ছবির গল্প পড়ার গল্প

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৯/১২/২০১৩ - ২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছবির গল্প পড়ার গল্প

১। ছবি বানানোর গল্প

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বাসায় ফিরে আসার পথে পলাশীতে টিউশনি করি। বেতন পেলে নীলক্ষেতের পুরোন বইয়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে পছন্দের কোন বই খুঁজি। ফুটপাথে বসা একটি দোকানে মাটিতে মাদুর বিছিয়ে ছড়িয়ে রাখা পুরোনো বই গুলোর মাঝে একদিন পেয়ে গেলাম ছবি বানানোর গল্প বইটি। ভেতরে অনেক রঙ্গিন ছবি। ছবিওয়ালা বই আমার সব সময়ই ভালো লাগে। পুড়নো বই বলে খুব সস্তায় বইটি কিনে ফেললাম।

আগুনের পরশমণি ছবিটি তৈরীর করার পেছনের ঘটনা এবং অল্প কিছু কারিগরী দিক নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বইটি লিখেছেন। এই বইটিতেই প্রথম কোন চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য পড়লাম। খুব স্বাভাবিক ভাবেই হুমায়ূন আহমেদের গল্প পড়তে ভালো লাগে। গল্পকার যখন চলচ্চিত্রের টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো গল্পের ছলে তুলে ধরেন তখন আমার মত চলচ্চিত্র জগতের সাথে সম্পর্কহীন পাঠকের কাছেও বিষয়টি দারুণ আগ্রহ উদ্দীপক হয়ে উঠে। বইটি দারুণ লাগলো। চলচ্চিত্রের মত ইন্টারেস্টিং একটি বিষয়ের উপর সদ্য আবির্ভুত এক নির্মাতার অভিজ্ঞতা লব্ধ বইটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। লেখক গল্পের ছলে অনেক গুলো ক্লাসিকাল মুভির এবং চলচ্চিত্র নিয়ে লেখা কিছু ইংরেজী বইয়ের নাম জানালো পাঠককে। সে নাম গুলো পড়ার সময়ই আমি ডায়রিতে টুকে রেখে ছিলাম। পরবর্তীতে সেই লিস্ট থেকে ইউটিউবে পাওয়া যায় এমন কিছু সিনেমা দেখা হলেও সত্যজিত রায়ের অপুর পাঁচালি ছাড়া আর কোন বই পড়া হয়নি।

ছবি বানানোর গল্প একটি সুখপাঠ্য বই। সময় এবং বই কেনার টাকা কোনটাই জলে যায়নি। বইটি পড়ে ক্ষনিকের জন্য আমারও একটি চলচ্চিত্র বানানোর ইচ্ছে হয়েছিল।

তবে এই বইটি পড়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল আমার। যেকোন সিনেমা দেখার সময় নিজের অজান্তেই স্ক্রিনের পেছনের মানুষ গুলো কল্পনায় চলে আসতো।

ছবিতে হয়ত দেখাচ্ছে কোন রোমান্টিক দৃশ্য; নায়িকা নায়কের হাত ধরে চড়কির মত পাক খাচ্ছে। অথচ আমি দেখতে পাই, নায়িকা নায়কের হাত ধরে পাক খাচ্ছে না, বরং ক্যামেরার সামনে কোন হেন্ডেল ধরে ঝুলছে। সহজ ভাবে বললে ক্যামেরাম্যানের হাত ধরে পাক খাচ্ছে।

সিনেমায় সিরিয়াস কোন মূহুর্তে যদি অন্ধকারে জোনাকির আলো নিভে জ্বলে তখন ফট করে মনে হয়, আরে এগুলি তো জোনাকি পোকা না। নিশ্চয়ই কত গুলো মানুষ টর্চের মুখে গামছা বেঁধে অন্ধকারে বাতি অন-অফ করছে আর ক্যামেরায় তা ধারণ করার পর দেখতে লাগছে জোনাকির আলোর মত।

প্রতিটি দৃশ্যের জোড়া দেয়া জায়গাটি চোখে বাজত খুব। মাথার ভেতর এসব চিন্তা নিয়ে সিনেমা শান্তি মত দেখা প্রায় অসম্ভব। সিনেমার দেখার সাথে সাথে এর মেকিং কল্পনা করার রোগ আমার এখনো সম্পূর্ণ ভালো হয়নি।

Screen Shot 2013-12-27 at 23.48.33
বই থেকে হুমায়ূন আহমেদের বর্ণনায় তার এফডিসিতে পরিচালক সমিতির পরীক্ষা দেয়ার কাহিনীর অংশ বিশেষ তুলে দিচ্ছি-

`` এক সকালে দুরু দুরু বক্ষে পরীক্ষা দেবার জন্যে পরিচালক সমিতির অফিসে প্রবেশ করলাম। তিনবার ``ইয়া মুকাদ্দেমু´´ বলে ডান পা প্রথমে ফেললাম। পরীক্ষার হলে ঢুকে সত্যিকার অর্থেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। কুড়ি জনের মত পরীক্ষক (সবাই পরিচালক) গম্ভীর মুখে বসে আছেন। পরীক্ষা কমিতির সভাপতি চাষী নজরুল ইসলাম। সবার হাতেই কাগজ কলম। আমাকে নম্বর দেয়া হবে। আমি মনে মনে খাস নেত্রকোনার ভাষায় বললাম, ``আমারে খাইছেরে´´!
এ জাতীয় পরিস্থিতিতে নিজের অজ্ঞতা শুরুতেই স্বীকার করে নেয়া ভাল এই মনে করে আমি শুরুতেই দীর্ঘ এক ভাষণ দিয়ে ফেললাম। ভাষণের সারমর্ম হচ্ছে- ছবি পরিচালনার আমি কিছুই জানি না। আমি শিখতে এসেছি। আমি খুব দ্রুত শিখতে পারি। আমি যখন কোন সমস্যায় পড়ব- আপনাদের কাছে যাব। আপনারা আমাকে সাহয্য করবেন এবং শেখাবেন। এই ভরসাতেই ছবি পরিচালনার দুরূহ কাজে এসেছি।

আমার বক্তৃতায় কোন কাজ হল বলে মনে হল না। চাষী নজরুল ইসলাম সাহেব বোর্ড মেম্বারদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এখন আপনাদের যা প্রশ্ন আছে একে একে করুন।

পরীক্ষকরা নড়েচড়ে বসলেন। প্রথম প্রশ্ন করা হল।
``হুমায়ূন কবীর সাহেব ছবির পরিচালনা বলতে আপনি কি বুঝেন?´´
আমি বিনীত ভাবে বললাম, কিছু মনে করবেন না। আমার নাম হুমায়ূন আহমেদ।
``সরি আহমেদ সাহেব- আমার প্রশ্ন হচ্ছে ছবির পরিচালকের কাজটা আসলে কি?´´
আমি বললাম, ছবি পরিচালকের মূল কাজ হচ্ছে ক্রিকেট খেলার আম্পয়ারের মত একটা শাদা টুপি পরে হাসি মুখে চেয়ারে বসে নায়িকাদের সঙ্গে ফষ্টি নষ্টি করা।

আমার কথায় পরীক্ষকদের মুখ আরো গম্ভীর হয়ে গেল। আমি বললাম, ভাই রসিকতা করছি। এটাতো নিশ্চয়ই ফরমাল কোন পরীক্ষা না। রসিকতার উপর বিধি নিষেধ নিশ্চয়ই নেই।

চাষী নজরুল ইসলাম বললেন, হুমায়ূন সাহেব প্রশ্নের জবাবটা দিন। পরিচালকের সংজ্ঞা দিন। আমি যধাযথ গম্ভীর গলায় বললাম, আইজেনস্টাইনের মতে ছবি যদি স্টীম ইনজিন হয় তাহলে পরিচালক সেই স্টিম ইনজিনের স্টিম।

(আইজেনস্টাইন এই জাতীয় কথা কখনো বলেননি। আমি দেখলাম আমার অবস্থা শোচনীয়। ভারী কিছু কথা না বললে পার পাওয়া যাবে না। অন্যের নাম দিয়ে নিজের কথা বললাম। পরীক্ষায় রচনা লেখার সময় যে কাজটা অনেকে করে- রচনার মাঝখানে নিজের কথা বিখ্যাত কারো নামে চালিয়ে দেন- ``এই জন্যে জনৈক বিখ্যাত কবি বলেছেন বলে নিজের দুর্বল দু´লাইনের কবিতা)

আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করা হতে লাগল। …

২। অপুর পাঁচালি

সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি পথের পাচালি কেমন করে বানানো হল সেই ঘটনা নিয়ে লেখা এই বইটি। ছবি বানানোর গল্প বইটিতেই এর খোঁজ পেয়েছিলাম। পরে নিউমার্কেটের একটি দোকানে বইটি পেলাম। একটি কপিই ছিলো। যেখানে সচরাচর অন্য বই গুলোতে বইয়ে লেখার মুল্যের সমান অথবা ১০-২০% কম রাখতো। সেখানে এই বইটির বেলায় লেখা মুল্য থেকেও দিগুন দাম রাখলো। হয়ত আমার আগ্রহ আর ঘুরে ঘুরে বার বার এসে বইটি হাতে ধরে দেখাতে বুঝতে পেরেছিল আমি এটি না নিয়ে যাবো না। মনে আছে বইটির মলাটের পেছন দিকটা অনেকখানি ছেড়া ছিলো।

অন্য নতুন পরিচালকের মত সত্যজিৎকেও ঘুরতে হয় দাঁড়ে দাঁড়ে ছবির প্রযোজক খোঁজার জন্য। যখন পেলেন তাও আবার বাজেট কমানোর জন্য চাপ থাকাতে তিনি প্রথমে ঠিক করলেন সুটিং করবেন ১৬ মিলি মিটারে। পরে ছবি মুক্তির সময় ৩৫ মিলি মিটারে ব্লো-আপ করে নেবেন। যদিও পরবর্তীতে সে টেকনিক কাজে লাগেনি। তাই শেষ পর্যন্ত নিজের একটি ইন্সুরেন্স ভেঙ্গে টাকা তুলে এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে শুরু করলেন কিছু শুটিং এর কাজ। তার ইচ্ছে, এই ফুটেজ গুলো নিয়ে দেখাবেন প্রযোজকদের তখন হয়ত তারা চলচ্চিত্রে অনভিজ্ঞ এই পরিচালককে টাকা দিতে রাজি হবেন।

পথের পাঁচালি ছবিটা যারা দেখেছে আমি নিশ্চিত তাদের সবার মনে গেথে আছে সেই দৃশ্যটি। অপু আর দূর্গার কাশবনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে রেল গাড়ি দেখার দৃশ্য।

Screen Shot 2013-12-27 at 23.47.35

বই থেকে সত্যজিৎ এর নিজের বর্ণনার অংশ বিশেষ তুলে দিচ্ছি-

কাশবনের মধ্য দিয়ে অপু হাঁটছে। খানিক্ষণের জন্য চোখের আড়ালে চলে গেছে দিদি। অপু তাকে ডাকছে। প্রথম দিনের শুটিংয়ে এই দৃশ্যটা রাখা হয়। যখন-যখন দরকার হবে, চেঁচিয়ে আমি যেন `আ্যাকশন´ কি `কাট` বলি, বংশী এটা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল।

`ওয়াল´ ক্যামেরার ভিউ-ফাইন্ডারে চোখ রাখল সুব্রত। অনিলবাবু তাঁর ক্ল্যাপস্টিক এগিয়ে ধরলেন। হ্যাঁ, কাজ চালাবার মতন করে তখনকার মতো একজোড়া ক্ল্যাপস্টিক আমরা তৈরি করে নিয়েছিলাম। অপু এসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াল। আমি চেঁচিয়ে বললাম, ``আ্যাকশন!´´

কিন্তু যা ভেবেছিলাম, তা আর হল কোথায়? দেখা গেল, যে-রকম ভঙ্গিতে হাঁটলে স্বাভাবিক হয়, অপু মোটেই সেভাবে হাঁটছে না। এমন আড়ষ্ট তার হাঁটার ভঙ্গি যে, মনে হয় যেন নিশিতে-পাওয়া অবস্থায় পা ফেলছে। অথচ, তাকে খানিক হেঁটেই থেমে দাঁড়াতে হবে, দিদির খোঁজে এদিক-ওদিক তাকাতে হবে, তারপর ফের এগিয়ে যেতে হবে, এটা তাকে বলে দেওয়া হয়েছিল। তা সে করছে না, আর তার বদলে যা সে করছে, দামি নেগেটিভ খরচা করে তা ই কিনা ধরে রাখা হচ্ছে ক্যামেরায়!..।

একটা শিক্ষা হল।..

আসলে, একটা বাচ্চা ছেলের হাঁটাচলার মত সামান্য একটি আ্যকশনকেও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে দেখানোর কাজট যে এত কঠিন, এই ধারণাই তখন আমার ছিল না।

৩। চলচ্চিত্রযাত্রা

এই বইটির সাথে সত্যজিৎ রায়ের বইটির একটি মনখারাপ করা মিল আছে। দুটি বইই লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়। অপুর পাঁচালি প্রকাশের মূল কৃতিত্ব তার সহধর্মিনী বিজয়া রায়ের। আর তারেক মাসুদের চলচ্চিত্রযাত্রাটি বই আকারে প্রকাশ করে তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।

পাবলিক লাইব্রেরীতে তারেক মাসুদের চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী চলছিলো সেদিন। রীমা আর আমি দুজনে আগ্রহ নিয়ে এক সাথে রানওয়ে আর নরসুন্দর দেখলাম। শুরুতেই ক্যাথরিন মাসুদ মঞ্চে উঠে ক্যাথরিন মাসুদ তারেক মাসুদের স্মৃতিচারণ করলো। সেদিনই যে চলচ্চিত্র যাত্রা বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেটিও জানালো। সিনেমা দেখা শেষ হলে রীমা আমাকে বইটি কিনে দিলো। এটি হল চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়া আমার তৃতীয় বই। আগের দুটির মত এটি কোন নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের তৈরীর গল্প না। বরং তারেক মাসুদের চলচ্চিত্র বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধ নিবন্ধ এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে তার ভাবনার সঙ্কলন।। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’ তৈরীর জন্য ফুটেজ সংগ্রহের জন্যে এই পরিচালক যুগলকে কি পরিশ্রম করতে হয়েছে সেই অনুচ্ছেদের কথা মনে পড়ে।

1369111658

তিনটি বইয়ের একটিও পাঠককে চলচ্চিত্রের থিওরি শেখাবে না। কিন্তু নির্মাতাদের নিজ নিজ সময়ের কাজের পরিবেশ প্রতিকূলতা এবং আনন্দের সময়টা ভাগাভাগি করে নেবে পাঠকের সাথে। চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহীরা এমনকি সাধারণ পাঠক যারা গল্প উপন্যাস ছাড়াও অন্য বিষয়ের লেখা বিশেষ করে আত্মজীবনী মুলক লেখা পড়তে ভালোবাসেন তারা বই তিনটি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।

বইটি যেদিন প্রকাশ হয় সেদিন দিন ক্যাথরিন মাসুদের বলা কথা গুলো ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিলাম সেটি পাঠকদের সাথে শেয়ার করছি।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কমল ভাই,
আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রটি সুন্দর, মর্মস্পর্শীও বটে, কিন্তু তাই বলে শেষোক্ত দুই ব্যাক্তির পাশে প্রথমোক্ত ব্যাক্তির আত্মজৈবনিক ভাঁড়ামো কেন জানি ভাল লাগল না।

[একান্তই ব্যাক্তিগত মত, কিছু মনে করবেন না, ইদানীং রুঢ় আচরন করে ফেলছি]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

দুঃখিত, লেখা আপনার প্রত্যাশা মত হয়নি বলে। তবে, প্রথম বইটি সেদিন আমার পড়া না হলে সত্যজিৎ এর লেখা বইটির কথাও আমার জানা হত না।

[আপনি কি তিনটি বইই পড়েছেন?]

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ছি ছি, লেখা আমার প্রত্যাশামত হতে হবে কেন?

দেড়খানা পড়েছি, আর নিচের কমেন্টে উল্লেখিত দুটো পড়েছিলাম অনেক আগে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্পর্শ এর ছবি

অপুর পাঁচালি পড়েছি। অন্য বই দুটো সম্পর্কেও আগ্রহী করে তুললেন। দারুণ পোস্ট উত্তম জাঝা!

আর ভিডিওটার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। পড়ে ফেলুন। হাসি

সুরঞ্জনা এর ছবি

ছবি বানানো নিয়ে বই যেহেতু আপনার ভালো লাগে, সত্যজিৎ রায়ের আরো দুটো বই আছে, যদি পড়ে না থাকেন পড়তে অনেক ভালো লাগবেঃ

১। একেই বলে শুটিং
২। বিষয় চলচ্চিত্র

হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ! সত্যজিৎ রায়ের আরো দুটো বই আছে জানতাম না। যোগার করে পড়তে হবে। হাসি

হাসিব এর ছবি

ছবি কেন? চলচ্চিত্র শব্দটা ব্যবহার করলে হয় না?

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

হবে না কেন, অবশ্যই হয়। লেখাতে দুটি শব্দই তো ব্যবহার করা হয়েছে।

মনি শামিম এর ছবি

হাসিবের সাথে সহমত পোষণ করছি। চলচ্চিত্র বলাটাই সঠিক হয় বলে মনে করি। সিনেমাও বলতে পারেন। ছবি স্থির হলে ফোটোগ্রাফ আর চলমান হলে চলচ্চিত্র। শুধু ছবি বললে কেমন যেন শোনায়! অথচ আমি নিজেও যখন চলচ্চিত্র নিয়ে লিখেছি, নিজের অজান্তেই 'ছবি' শব্দটি এসে ভর করেছে! অদ্ভুত!

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পোস্টটির শিরোনাম `চলচ্চিত্রের গল্প পড়ার গল্প´ না দিয়ে `ছবির গল্প পড়ার গল্প´ দেয়ার একটি কারণ এর সহজ ছন্দোবদ্ধ উচ্চারন।

অথচ আমি নিজেও যখন চলচ্চিত্র নিয়ে লিখেছি, নিজের অজান্তেই 'ছবি' শব্দটি এসে ভর করেছে! অদ্ভুত!

চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতে গেলে `ছবি´ শব্দটি চলে এলে সেটা ´অদ্ভুত´ হবে কেন? `চলচ্চিত্রের´ অন্যতম একটি সমার্থক শব্দ হিসেবে `ছবি´ শব্দটি তো বহুল ব্যবহৃত এবং আভিধানিক অর্থেও ভুল নয়।

aalaapchari এর ছবি

ভালো।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

ভালো হলেই ভালো। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক বেশ লাগল আপনার লেখাটা।
ছবি বানানোর গল্প - পড়া ছিল অনেক আগে। মনে আছে সেই সময় আমিও অনেক আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম চলচ্চিত্র নিয়ে, এর পিছনের গল্প নিয়ে। পরে কিভাবে যেন ভুলেই গেছিলাম সব।
আপনার লেখা পড়ে বইগুলো পড়ার আগ্রহ জেগে উঠল আবার। অনেক ধন্যবাদ। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ছবি বানানোর গল্প আর অপুর পাঁচালি আমিও পড়েছি প্রায় সাত বছর আগে। হঠাৎ আবার চোখ পড়াতে সে সময়ের কথা মনে পড়ল, লিখতে ইচ্ছে করলো। হাসি

তিথীডোর এর ছবি

সত্যজিৎ রায়ের আরো দুটো বই আছে, ১। একেই বলে শুটিং ২। বিষয় চলচ্চিত্র

দুটোই পড়েছি।

সত্যজিতের চলচ্চিত্র নির্মাণের কলাকৌশল আর নানা দৃশ্যের বিশ্লেষণ নিয়ে অপু ট্রিলজি নামে রবিন উডের লেখা আরেকটা বই আছে, চিন্ময় গুহের অনুবাদে বেরিয়েছে কলকাতা থেকে। ওটাও পড়ে নিতে পারেন।

লেখা ভাল লাগল। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

ধন্যবাদ আরেকটি বইয়ের নাম দেয়ার জন্য। এতদিন আমার ধারনা ছিল, অপু ট্রিলজি একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি! খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

এখানে সিনেমা/নাটক/থিয়েটারের বই নিয়ে বেশ ভাল একটা সংকলন আছে। নামিয়ে পড়তে পারেন।
হ্যাপি রিডিং। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।