[ছবিব্লগ] যদি হারিয়ে যায়...।০৬। সড়কদ্বীপ-ভাস্কর্য

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/১২/২০০৮ - ১১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিবারই ভাবি, অন্য লেখাও পোস্ট দেই। এসব ছবিব্লগপোস্ট রয়েসয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু কী একটা মোহ না কি কোনো অনিশ্চয়তা ভেতরে কড়া নাড়তে থাকে, যদি হারিয়ে যায়...!

তবে আগামীতে মোহ কিছুটা কমিয়ে আনার আশা রাখি। কেননা এই ছবি-সিরিজ বিভিন্নভাবে চলতেই থাকবে। তাহলে কি অন্য লেখা থামিয়ে দেবো ! এটা কি সম্ভব !

এবারে 'ফেসবুক' দিয়েছি। ইমেজ বড় করে দেখতে চাইলে ছবির উপরে ক্লিক করুন।

সবাইকে স্বাগতম...

auto

auto
ছবি ০১-০৩: 'নগর-নিসর্গ' (সড়ক-দ্বীপ ভাস্কর্য)। অবস্থান> হোটেল শেরাটন-চত্বর, শাহবাগ, ঢাকা।

auto

auto

auto

auto
ছবি ০৪-০৭: সড়ক-দ্বীপ ভাস্কর্য। ভাস্কর> মৃনাল হক। অবস্থান> কাকরাইল মোড়, ঢাকা।

auto
ছবি ০৮: সড়ক-দ্বীপ ভাস্কর্য। অবস্থান> গুলিস্থান, ঢাকা।

auto
ছবি ০৯: নাম> বলাকা। অবস্থান> বাংলাদেশ বিমান অফিস চত্তর, মতিঝিল, ঢাকা।


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

রাগিব ভাই'র কাছ থেকে গতকাল সিস্টেম শিখে প্রয়োগ করলাম গতকালের মতোই। কিন্তু ছবি না এসে শুধু ছবির লিঙ্ক আসলো !
এর উত্তর আমার জানা নেই। কেউ জানলে বইলেন তো !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি তো ছবি দেখতে পাচ্ছি।

রণদীপম বসু এর ছবি

স্যরি রাগিব ভাই, ভুলটা আমিই করেছিলাম। এখন সংশোধন করলাম।
আচ্ছা, টেক্সটগুলো সংশ্লিষ্ট জায়গা মতো থাকছে না কেন ? প্রয়োজনীয় ছবির নীচে নীচে ক্যাপশান দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায় !
বুঝি না, কেমনে কী হয় !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানভীর এর ছবি

বলতে চেয়েছিলাম আগেই- 'দারুণ একটা কাজ হচ্ছে' চলুক

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ তানভীর ভাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাল্যবান এর ছবি

আপনি ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু ছবি তোলার সময় আলোর দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আলো হচ্ছে ছবির প্রাণ। যতদূর বুঝেছি, আপনি চাচ্ছেন এসবের একটি প্রামাণ্য দলিল রাখতে। সে ক্ষেত্রে ছবিগুলো যতদূর সম্ভব স্পষ্ট আর ডিটেলসমৃদ্ধ হতে হবে।
ওপরের ছবিগুলো মেঘলা দিনে তোলা বলে তেমন কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। শেরাটনের সামনের ভাষ্কর্যের ছবি তোলার সময় লেন্সে আকাশের আলো বেশী পড়ায় এক্সপোজার কমে গিয়ে মূল বিষয় আন্ডার এক্সপোজড। অর্থাত, এখানে ব্যাকলাইটেড ছবি তোলার সময় যে ধরনের এক্সপোজার দেয়া দরকার তা দেয়া উচিত ছিল।
আমার মনে হচ্ছে আপনি কোথাও লিখেছিলেন যে দুই মে.পি, ফোন-ক্যামেরা দিয়ে ছবিগলো তুলছেন। দুই মে.পি. কিন্তু খুব খারাপ না, কিন্তু ফোন দিয়ে ক্যামেরার কাজ না করাই ভাল। সম্ভবতঃ লসি ডিজিটাল কম্প্রেশনের কারনে মার খায়। এ বিষয়ে কোন সচল যদি কিছু বলেন তাহলে জানা যায়। মোদ্দাকথা, এসব "একের ভিতর পাঁচ" জাতীয় ক্যামেরা দিয়ে ছবি না তুলে "ক্যামেরা" দিয়েই ছবি তুলুন।
আপনার কাছে যদি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে গুরুত্ব দিয়েই কাজটি করুন। আজ থেকে ৩০ বছর পর হয়তো এসব ছবিই আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে জানাবে আমরা কেমন ছিলাম।
অফটপিক, এসব ভাষ্কর্য তৈরিতে কত টাকা খরচ হয়েছে জানেন কেউ? সাধারন নাগরিক সুবিধে বাড়ানোর বদলে যখন নগরপিতারা এসবে টাকা খরচ করেন তখন কেমন কেমন যেন মনে হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

মাল্যবান ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন। ২মেঃপিঃ মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ছবি এগুলো।

এ যাবৎ যে ষাট-সত্তরটা ছবি তুলেছি এগুলোর বয়স এখনো দু-সপ্তাও পূর্ণ হয়নি। লাইটের যে কথাটা বললেন, লাইট থাকলে তো ফোকাসের বিষয় আসবে। বাংলাদেশে গত দুটো সপ্তাহ ছিলো কুয়াসাচ্ছন্ন। তাও আবার বিকেল ৩.০০ টা থেকে ৪.৩০ এর মধ্যে তোলা ছবিগুলো এতো সুন্দর করে যে এসেছে তাতেই আমি বিস্মিত ! তখন তো ভাই সন্ধ্যা হয় হয় ! আর যেটুকু ভালো হয়েছে তা সবই মোবাইল ক্যামেরার কৃতিত্ব।

অরিজিনালি আমি কিন্তু ক্যামেরাম্যান নই বা ফটোগ্রাফির কিছুই বুঝিনা আমি। হঠাৎ এক উগ্র মৌলবাদী দুঃসহকালে নিক্ষিপ্ত অবস্থায় নিজেদেরকে আবিষ্কার করে স্রেফ ব্যক্তিগত আবেগ থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখার প্রত্যয়ে। এটুকুই সার কথা। উত্তুঙ্গ আবেগে হয়তো শিল্পমান রক্ষিত হয়নি। কিন্তু শিল্পমানের অপেক্ষা করলে এ ছবিগুলো কিছুতেই তোলা হতো না। এ পোস্টের ছবিগুলো তোলা হয়েছে গত ১৯/১২/২০০৮ তারিখে গাঢ় কুয়াসাচ্ছন্ন বিকেলে। গোটা দিনে যেখানে একবারের জন্যেও সূর্য উঁকি দেয় নি, সেখানে আবেগ কি আর সূর্যের অপেক্ষায় থাকে ! চাইলেই সময় ও সুযোগও তো পাওয়া সম্ভব নয় সবসময়। দ্বিতীয়ত ফটোগ্রাফি করার সংগতি ও যোগ্যতাও আমার নেই। এটুকু না হয় জিনিয়াসদের জন্য তোলা রইলো ! আমরা অপেক্ষায় থাকবো তাদের শিল্পময় দক্ষতা দেখার জন্য। আমি শুধু স্মৃতি ধরে রাখলাম, কি জানি যদি হারিয়ে যায়...!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মতামত দেয়ার জন্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ছবিগুলো চেনা, স্বচক্ষে দেখাও। আবার মুগ্ধ হয়ে দেখলাম।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ পান্থ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুস্তাফিজ এর ছবি

দাদা, ভালো কাজ হচ্ছে। আপনি যদি চান ক্যামেরা ধার দিতে পারি কিছুদিনের জন্য, কিংবা মাঝে মাঝে যখন তুলবেন সেসময় গুলোতে। আরো ভালো হয় সপ্তাহে একটা দিন ঠিক করেন, আমি আছি আপনার সাথে, হয়ত আরো অনেককেই পাবেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

রণদীপম বসু এর ছবি

লোভনীয় প্রস্তাব মুস্তাফিজ ভাই !
কিন্তু আপনাদের বিশাল-বড় ক্যামেরাগুলো কীভাবে ধরতে হয় তা-ই তো জানি না ! তবে আপনার সাথে আছি আমি। যেকোন অফ-ডে তে আওয়াজ দিলেই আমি রাজী, যদি কোনো গিট্টুতে আটকে না যাই। ঢাকার বহু কিছু স্মৃতিতে ধরা বাকি। গোটা দেশটা তো পড়েই আছে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছোট ক্যামেরাও আছে, ব্যাপারনা।

...........................
Every Picture Tells a Story

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।