| দুই-মেগাপিক্সেল | একুশে বইমেলা ২০১০ | পর্ব-০১ |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: রবি, ০৭/০২/২০১০ - ১০:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। তবে ফেব্রুয়ারি এগিয়ে এলেই যে দৃশ্যটা মনের চোখে ভেসে ওঠে প্রথমেই, বাংলা একাডেমীর বইমেলা। আসার কথা শহীদ মিনার আগে। কিন্তু তা যে হয়নি, এটার কারণ হয়তো মাসের শুরুতেই বইমেলার বিশাল উৎসব-আয়োজন। এবং তারও আগে এর প্রস্তুতির সরব কোলাহল। চারদিকে হৈহৈ রব রৈরৈ উল্লাস। এরপর একুশ যতই এগিয়ে আসতে থাকবে শহীদ মিনার ততই তার গভীর ও প্রোথিত সত্ত্বা নিয়ে একটু একটু করে অধিকার করতে থাকবে আমাদেরকে। যেহেতু একুশে বইমেলা এখন আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশই বলা যায়, আর তাই, মেলা এসে গেলো, অথচ আমার দুই-মেগাপিক্সেল চোখ বন্ধ করে থাকবে, তা কী করে হয় !

যারা প্রতিদিন বইমেলায় যাচ্ছেন বা যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার ঈর্ষা বর্ষিত হোক। কেননা সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া নকর আমার সে সুযোগ কই ! তবে যারা একান্তই অনিবার্য কারণে মেলায় যেতে পারছেন না বা যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বা এখনো যাওয়া হয়নি, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক সহানুভূতি রইলো। মূলত তাদের জন্যেই এই সিরিজ। ব্যক্তি আমরা অসংখ্য সীমাবদ্ধতা ধারণ করেই নিজ নিজ অস্তিত্ব বয়ে নিয়ে বেড়াই। তাই আমার নিজস্ব সীমাবদ্ধতাকেও আশা করি কেউ বিবেচনার বাইরে রাখবেন না। তাহলে আসুন এবার আমরা মেলায় যাই।

মেলায় প্রবেশ:
এবারও মেলার পরিসর বাংলা একাডেমীর সীমানা ছাড়িয়ে বাইরের রাস্তা জুড়ে নিয়েছে। (ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ছবিতে ক্লিক করুন।)

ছবি ০১:
টিএসসি বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র হয়ে যারা মেলায় যাবেন, মেলা-চত্বরে ঢুকতে হবে এই প্রবেশমুখ দিয়েই।
auto
.
ছবি ০২:
মেলা-চত্বরে ঢুকেই সামনের দিকে তাকালে দৃশ্যটা এরকমই হবে। হয়তো মানুষের মুখগুলোতেই থাকবে ভিন্নতা।
auto

ছবি ০৩:
পথ-বিভাজকের বাঁ দিক দিয়ে ঢুকলেও ডান দিকে তাকালে মেলা-ফেরৎ বইপ্রেমীদের উজ্জ্বল মুখগুলো চোখ এড়ানোর কথা নয়।
auto

ছবি ০৪:
মেলা-চত্বরে ঢুকে কয়েক কদম এগুলেই বাঁ দিকে রমনা কালী মন্দিরের গেট। গেটের দু’পাশেই সারিবদ্ধ বইয়ের স্টল।
auto

ছবি ০৫:
রমনা কালী মন্দিরের গেটের ঠিক বিপরীত দিকেই বাংলা একাডেমীর উত্তর পার্শ্বস্থ গেটটা, যেখান দিয়ে আপনি অনায়াসে মেলার মূল চত্বর অর্থাৎ বাংলা একাডেমীর নিজস্ব এলাকায় ঢুকে যেতে পারেন। এবং এটাই আপনার মেলায় ঢোকার বৈধ প্রবেশপথ।
auto

ছবি ০৬-০৭:
বাংলা একাডেমীর উত্তর-পাশের গেট দিয়ে একান্তই না ঢুকে রাস্তা বরাবর আরেকটু এগিয়ে গেলেই দেয়াল জুড়ে ম্যুরাল ফর্মের দীর্ঘ শিল্পকর্মটি চোখে পড়বে। এরপরই পেয়ে যাবেন একাডেমীর প্রধান ফটক, হাতের ডানে।
auto

auto

ছবি ০৮:
বাংলা একাডেমীর এই প্রধান ফটক দিয়ে মেলায় ঢুকতে চাচ্ছেন ? বেরসিক প্রহরীরা আপনার ইচ্ছেকে একটুও তোয়াক্কা না করে সোজা উল্টো পথ দেখিয়ে দেবে। কারণ এটাকেই মেলা থেকে বেরনোর পথ হিসেবে নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে এবার।
auto

ছবি ০৯:
বাংলা একাডেমীর প্রধান ফটকের বিপরীত দিকে একবার তাকান, দেখুন না কী সুন্দর করে স্টল সাজানো হয়েছে। এখন না দেখলেও মেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় ঠিকই চোখে পড়বে একেবারে নাক-বরাবর।
auto

ছবি ১০:
বাংলা একাডেমীর দক্ষিণ পাশের গেট। দোয়েল চত্বর হয়ে আগত বইপ্রেমীদের জন্য মেলায় ঢোকার ব্যবস্থা। ইচ্ছে করলে আপনিও এদিকে ঢুকতে পারেন।
auto

যত দীর্ঘ লাইনই ধরুন না কেন, শেষপর্যন্ত গেট পর্যন্ত যেহেতু পৌঁছা গেছে, মেলার ভেতরে ঢুকতে আর বাধা থাকার কথা নয়, যদি না আপত্তিকর কিছু বয়ে আনা হয়। আসুন ঢুকে পড়ি !

বিঃ দ্রঃ লেখা ও ছবির জড়াজড়ি একান্তই চক্ষুপীড়ার কারণ হলে এখানে এই ব্যক্তিগত ব্লগ 'হরপ্পা'য় দেখতে পারেন। আশা করি উপভোগকর্ম সহন-ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে।

(চলবে…)

পর্ব: [*] [০২]


মন্তব্য

সুস্মিতা শ্যামা [অতিথি] এর ছবি

হায়, কী পোস্ট দিলেন,দাদা! কেন দিলেন! পরীক্ষার কারণে এখনো মেলায় যেতে পারিনি। এই পোস্ট দেখে দুঃখটা আরো বেড়ে গেল. মন খারাপ
তবু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

হায় হায় ! বলেন কী ! আমি কি দুঃখ দেয়ার জন্য পোস্ট দিলাম !
তাহলে কি সিরিজ বন্ধ করে দেবো !

কুট্টুশ করে এক ফাঁকে এসে মেলা দেখেই চলে যাবেন। বই-টই কিনতে হবে না। তবে কিছুক্ষণ আড্ডা মারতে পারেন বাদাইম্যাগোর সাথে ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

যান। আপনার লগে ঘুইরা আইলাম। বাদাইম্যারা কি আড্ডা দেয় একটু লেখেন। দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

রণ'দা, আইজকা আপনারে দেখলামনা কেন?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

রন দা আমরা যারা মেলায় আসতে পারছি না নানা কারনে আপনার এরকম সিরিজ পেলে কৃতার্থ হবো।
চালিয়ে যান প্লীজ এই ছবির পোস্ট।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার কল্যাণে মেলা ঘুরে এলাম।

রণদীপম বসু এর ছবি

এখনো তো মেলার ভিত্রেই ঢুকলাম না ! আপনি ঘুইরা আইলেন কেমনে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বারে এত ধরলে চলে নাকি! মেলার বাহিরটা বুঝি মেলার অংশ নয় চোখ টিপি
রণদা, আপনি একটা ভিডিও ক্যামেরা হাতে নেন। ছবি দিয়ে কি আর পুরা আশ মেটে?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো, আমাদের দুই মেগা-পিক্সেলই ভালো। কিন্তু আমার তো তা-ও তোলা হয় না।
রৌদ্রকরোজ্জ্বল নিপাট ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দুই মেগাপিক্সেলই সই, তবু সিগারেটটা ছাড়েন! :|

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দুই মেগাপিক্সেলই সই, তবু সিগারেটটা ছাড়েন! :|

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।