অলখ আমেরিকা - বেলুন ফিয়েস্তা - চলো আকাশে উড়ি

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: বুধ, ০৬/১০/২০১০ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্ত নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে, কার না স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছা করে সেখানে সাদা মেঘের মত ভেসে বেড়াতে? অন্তত আমার করে। অনেক ছোট বেলা থেকে করতো। এক সময় ভাবতাম বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে এই সুযোগটা গ্রহন করবো, কিন্তু বাবা-মাকে অতটা দুঃখ দিতে মন চাইলো না - এক মাত্র ছেলে হবার কিছু অসুবিধাও আছে। চট্টগ্রামে নব্য সৃষ্ট ফ্লাইং ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম - এই ধারনা নিয়ে যে অন্তত পি,পি,এল লাইসেন্সটা থাকলে মাঝে মাঝে হয়তো সখ করে উড়তে পারবো। স্বাধীনতার যুদ্ধে সব বদলে গেল। এক বিমানবালার প্রেমে পড়লাম - হয়তো মুক্ত বিহঙ্গের মত সেও আকাশে উড়ে - এই কল্পনা করে। অনেক চেষ্টার পর তার মন জয় করে শেষ পর্যন্ত তাকে বিয়ে করে মাটিতে নামিয়ে আনলাম - কিন্তু আমার আর উড়া হল না।


আমেরিকার আলবাকারকি শহরে বদলি হয়ে আসার পর প্রথম জানলাম এখানকার 'বেলুন ফিয়েস্তার' কথা। বেশ অবাক হলাম যখন জানলাম পৃথিবীর সব চাইতে বড় বার্ষিক বেলুন উৎসব হয় এই শহরে। পৃথিবীর নানান দেশ থেকে বেলুন প্রেমিক মানুষ এখানে এসে জড় হয় অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহের নয় দিন ব্যাপী এই বেলুন ফিয়েস্তা উৎসবে। 'ফিয়েস্তা' একটি স্প্যানিশ শব্দ - মানে হচ্ছে 'পার্টি করা' বা 'ফিস্ট করা'। আমেরিকান 'গ্রিঙ্গো'রা 'এদেশ' (নিউ মেক্সিকো) দখল করার আগে এখানকার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতো - সে সংখ্যা কমে এখন ৪২ ভাগে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সংখ্যাটাও খুব একটা কম না। ফলে এখানকার ভাষা ও সংস্কৃতিতে স্প্যানিশ প্রভাব অনেক। ইংরেজী 'J'-কে এখানে 'হ' উচ্চারন করা হয়। ফলে আমাকে যখন বন্ধুরা 'হেমেজ মাউন্টেনে' বেড়াতে যাবার কথা বলল, তখন আমি আর ম্যাপে সেটা খুঁজে পেলাম না। এমনি ভাবে 'Juan tabo' লেখা রাস্তাতে আমি 'হুয়ান টাবো' খুঁজে খুঁজে হয়রান হতাম। এখন অবশ্য বেশ অভ্যস্ত গেছি। যে মেয়ের নাম জুলিয়া, তাকে হুলিয়া ভাবতে খারাপ লাগে না।

প্রায় ৪০ বছর আগে প্রথম শুরু হয়েছিল এখানে 'বেলুন ফিয়েস্তা'। হিসাব করে দেখলাম আমিও ঐ সময় প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলাম বেলুনে চড়ে আকাশে উড়ার। আমি তখন সিলেটের এক চা বাগানে কাজ করি। প্রকৃতির অপূর্ব সুন্দর ঘন সবুজের সমারোহের মধ্যে বাস করি। কিন্তু আমি তখন বড় একাকী। আমার প্রিয়তমা তখন তার চাকরী ছেড়ে আমার সাথে ঘর বাধাঁর কথা চিন্তা করছে না। প্লেনে করে সে তখন ঢাকা, করাচী, কাটমুন্ডু, ক্যান্টন, রেঙ্গুন ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি তখন আমার একাকী সময় কাটাতে 'লং প্লেয়ারে' গান শুনতাম আর বেহালা বাজাতাম। সেই সময় আমার এক প্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ছিল 'এঞ্জেল বার্ড হাম্বারডিংক', এবং তার একটা গান শুনে প্রথম বেলুনে উড়ার কথা মাথায় এসেছিল। গানের লাইনগুলি এখনো মনে আছে আমারঃ

Would you like to ride in my beautiful balloon
We could float among the stars together, you and I
For we can fly we can fly
Up, up and away
My beautiful, my beautiful balloon

আলবাকারকি বেলুনে উৎসবে ৫০০ থেকে ১০০০ বেলুন এক সাথে আকাশে উড়ে। বিভিন্ন রংয়ের ও আকারের বেলুন যখন এক সাথে আকাশের নীলে ভাসতে থাকে, তখন যে অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয় - তার বর্ণনা দেবার ক্ষমতা আমার নেই।

বেলুন ফিয়েস্তার প্রায় সব বেলুন হচ্ছে 'গরম বাতাস বেলুন' (Hot Air Ballon), অর্থাৎ বেলুনের ভিতরের সাধারণ বাতাস যখন গ্যাস বার্ণারের তাপে গরম হয়ে বাইরের বাতাসের চাইতে হালকা হয়ে যায়, তখন বেলুন উড়তে আরম্ভ করে। এই বেলুনগুলি অবশ্য আকারে অনেক বড়। আকারে এক একটা বেলুন ৫ তলা বিল্ডিং-এর সমান হতে পারে। সাধারনত ৩ থেকে ৫ জন যাত্রী ও পাইলট বহন করতে সক্ষম এই বেলুনগুলি। যার ফলে এর নীচে লাগানো 'গন্ডোলা' সহ এটা সহজে আকাশে উঠতে পারে। গন্ডোলা বা বাসকেট বা ঝুড়ি তৈরী হয় বেত জাতীয় এক প্রকার 'উইকার' (wicker) বস্তু দিয়ে। এর ফলে বেলুন যখন মাটিতে নামে তখন ধাক্কা খেলেও গন্ডোলা সেই ধাক্কা বেশী সহ্য করতে পারে। সাধারনত দুই-তিন জন বা আরও বেশী একসাথে গন্ডোলাতে চড়ে উড়তে পারে। এক সাথে ১৬ জন উঠতে পারে এমন গন্ডোলাও আছে।

বেলুন সাধারনত শুধু উপরে উঠতে পারে বা নীচে নামতে পারে। উপরে উঠাতে গেলে বার্ণার থেকে আগুনে গ্যাস ছাড়া হয় বেলুনের ভিতরে বাতাস আরও গরম করার জন্যে। নামাতে গেলে বেলুনের পাইলট একটা দড়ি ধরে টেনে বেলুনের উপরের একটা ভালব কিছুটা খুলে দিয়ে গরম বাতাস বের করে, ফলে বেলুন নামতে থাকে। এছাড়া কিছু কিছু স্থান আছে, যেমন পাহাড়ে ঘেরা এই শহর, যেখানে উপরের বাতাস উচ্চতা অনুসারে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। হয়তো দেখা গেল ৫০০ ফিট উচ্চতায় বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে আবার ১৫০০ ফিট উচ্চতায় বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূর্বে। এই বাতাস প্রবাহের দিক পরিবর্তন অনুসরণ করে পাইলটরা বেলুনের দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। সধারণত বাতাস প্রবাহের গতিবেগ ১০ নটের কম হলে বেলুন চালানো সম্ভব হয় না। আলবাকারকি শহর এমনিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক মাইল উচ্চতায়। এখানকার বাতাস বাতাস এমনিতে হালকা। এসব মিলিয়ে বলা হয় বেলুন উড়াবার জন্যে সব চাইতে উপযুক্ত স্থান এটি।

বেলুন যে শুধু গোলাকৃতি বা বেগুনের আকারে হতে হবে এমন কোন কথা নেই। সাধারনত বেলুনের আকারকে বলা হয় 'inverted tear drop' বা 'চোখের পানির উল্টা ফোটা'। এছাড়াও অনেক বিচিত্র আকার ও প্রকারের বেলুন দেখা যায় বেলুন উৎসবে। এদের মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে জোয়ি ও লিলি - এরা দুজনেই মৌমাছি বেলুন এবং একসাথে থাকে সব সময়। আকাশে উঠার পর মাঝে মাঝে এদেরকে জড়াজড়ি করে একে অপরকে চুমা দেবার চেষ্টা করতে দেখা যায়। খুবই রোমান্টিক এরা।

প্রথম যখন বেলুন উৎসবে যেয়ে বেলুন দেখলাম তখন আবার আমার চা-বাগানের পুরানো স্বপ্নটা ফিরে এলো। খোঁজ নিতে গেলাম একটা বেলুন কিনতে কত টাকা লাগতে পারে। আমি ভেবছিলাম নাইলনের কাপড়ের তৈরী আর গরম বাতাস ভরা বেলুন - কতই বা তার দাম হবে। যখন শুনলাম ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ ডলার পরবে একটা বেলুনের দাম - তখন বাতাস চলে যাওয়া বেলুনের মতই চুপসে গেলাম আমি। এ ছাড়াও আরো খরচ আছে। প্রতিবার বেলুন উড়াতে প্রায় ২০০ ডলার খরচ হয় বার্ণারের গ্যাসের মুল্য হিসাবে। এছাড়া উদ্ধার কাজের জন্যে রাখতে হয় 'চেইজ টিম' - যারা বেলুন নামার সময় বেলুনের পিছে পিছে ট্রাক চালিয়ে ধাওয়া করে। বেলুন চালাবার পারদর্শিতার জন্যে লাইসেন্স / পারমিট ইত্যাদি নিতে হয়। আসলে বেলুন উড়ানো শুধু বড়লোকদের হবি। সাধারনের জন্যে শুধু টিকেট কেটে বেলুন ফিয়েস্তা মাঠে যেয়ে দেখা ছাড়া গন্ত্যান্তর নেই। ফিয়েস্তা মাঠের পাশে একটা বড় বেলুন মিউজিয়াম আছে। সেখানে বেলুন ভ্রমণের ইতিহাস ও নানা রকম দ্রষ্টাব্য শোভা পাচ্ছে। একটা 'বেলুন স্কুল'ও আছে সেখানে।

গত শনিবার থেকে ২০১০ সালের বেলুন ফিয়েস্তা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৫০,০০০-এর বেশী মানুষের সমাগম হয়েছে। এরা সবাই টিকিট কেটে ঢোকা লোক। ফিয়েস্তা উপলক্ষে এই সময় আরও অনেক অনুষ্ঠান হতে থাকে এই শহরে। হ্যাম রেডিওর একটা বুথ হয়েছে শুনলাম যখন সকালের 'রেডিও নেটে' গাড়ী চালাতে চালাতে কথা বললাম অফিস যাবার পথে। বন্ধুরা অনুরোধ করল আমি যেন সেই বুথ দর্শন করে ওদেরকে উৎসাহ দিয়ে আসি। অফিসে যেয়ে ই-মেইল পেলাম আমাদের কোম্পানী (এখানকার একমাত্র বিদ্যুত সরবরাহকারী) থেকেও ফিয়েস্তার মাঠে একটা বুথ খোলা হয়েছে এবং এই বৃহস্পতিবারে সেখানে যাবার জন্যে ফ্রি টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৫ টা থেকে সেখানে ফ্রি কফি ও চকলেট-মিল্ক পাওয়া যাবে এবং ৭টার পর ফ্রি ব্রেকফাস্ট। এখনো ঠিক করিনি যাব কিনা। তবে না যাবার সম্ভাবনা বেশী।

কিছু দিন আগে খোঁজ পেয়েছিলাম যে এখানে একটা প্রতিষ্ঠান আছে যারা কিছু টাকার বিনিময়ে ঘন্টা খানেকের বেলুন ভ্রমনের সুযোগ করে দেয়। তারা বেলুন চালাবার জন্যে পাইলটও দেবে - ভ্রমণকারীর ভুমিকা শুধু দর্শকের। খুবই আগ্রহ ভরে কথাটা পারলাম আমার প্রিয়তমার কাছে। ভাবলাম আমার এত দিনের স্বপ্ন এবার সফল হতে যাচ্ছে। আমার কথা শুনেও না শোনার ভাব দেখিয়ে সে বললো - "পিছনের মাঠের ঘাস অনেক বড় হয়ে গেছে, অন্য বাজে কাজে সময় নষ্ট না করে তুমি বরং ঐ সময়ে ঘাসটা কেটে রাখো।"

আমার ভাগ্যে আর কতদিন শুধু ঘাস কাটা আছে, কে জানে?


মন্তব্য

জাহামজেদ এর ছবি

বেলুনের ছবি কই ?

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

সাইফ শহীদ এর ছবি

জাহামজেদ,

আমি কিন্তু মজিলাতে সাইন-আউট করেও দেখতে পাচ্ছি সব ছবি। আপনি কোন ব্রাউজার ব্যবহার করছেন?

ছবিগুলি খুবই সুন্দর, না দেখতে পারলে অর্ধেক আনন্দ মাটি। এই মাত্র ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দিলাম। দেখেনতো ছবি গুলি সেখানে দেখা যায় কিনা। তবু না দেখা গেলে আমাকে জানাবেন, যাতে আমি দুঃখ প্রকাশ করতে পারি।

ক্যাডেট কলেজ ব্লগ

শুভেচ্ছান্তে,

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

জাহামজেদ এর ছবি

আমিও তো মজিলা। তবে ছবি দেখা যাচ্ছে না !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ছবি আমিও দেখতে পাচ্ছিলাম না। ইমেজের ডেড লিংকগুলোয় রাইট-মাউস ক্লিক করে লিংক কপি করে আলাদা আলাদা দেখে নিলাম।

চমৎকার। আপনার লেখার সাবলীলতা প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে।

এই জীবনে কতকিছু করা হলো না... বেলুন রাইড... বাঞ্জিঝম্প... স্কুবাডাইভিং... ! এর মধ্যে আবার ঘাস কাটার কথা মনে করিয়ে দিলেন! লোকে ঘোড়ার ঘাস কাটে, আর আমি ঘাস কাটি অযথা মন খারাপ
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

সাঈদ,

ছবির ব্যাপারে জানাবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আমি এ ব্যাপারে অন্যদের মতামত চাচ্ছি। যদি অন্যরাও ছবি দেখতে অসুবিধা বোধ করেন, তবে সম্পাদনা করে সমস্য দূর করতে চাই। সম্পাদনার সময় লেখাটা আগের মত গায়েব হয়ে যাবে, যতক্ষণ না মডু আবার এটা প্রকাশ করেন। তাই যাতে বারে বারে সম্পাদনা করতে না হয়, সেই জন্যে আরও কিছু ফিড-ব্যাক পেলে ভাল হয়।

আমি বাড়ীতে এসে এখন অন্য কম্পুউটার এবং অন্য আই,পি ঠিকানা ব্যবহার করছি। আমি কিন্তু এখনো মজিলাতে ছবি দেখতে কোন অসুবিধা দেখছি না।

ঘাস কাটার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্যে দুঃখিত - কিন্তু এইতো জীবন। এক দিক দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হবার চাইতে, অপূর্ণ স্বপ্ন আমাদেরকে বেশী পথ এগিয়ে নিতে সাহায্য করে, তাই নয় কি?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

রানা মেহের এর ছবি

আমি দুবার দুটো উপলক্ষ্যে ভার্জিনের বেলুন রাইডটা করতে চেয়েছিলাম।
এরা এতো ব্যস্ত। একটু দেরি করলেই আর পাওয়া যায়না।

পেছনের মাঠের ঘাস কেটেছেন তো? দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

বেলুনে আমারো চড়তে ইচ্ছে করে। মেঘের মাঝে দিয়ে উড়ে যেতে খুব ইচ্ছে করে। আচ্ছা বেলুনে ঘন্টা খানেকের জন্য কত টাকা নিবে?

অনন্ত

সাইফ শহীদ এর ছবি

অনন্ত,

২০০ থেকে ৪০০ ডলার চার্জ করে বলে শুনেছি। নীচে একটা লিঙ্ক দিলামঃ

"হট এয়ার বেলুন রাইড"

সুভেচ্ছান্তে,

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

দ্রোহী এর ছবি

যথারীতি চমৎকার লেখা। আপনি অলখ আমেরিকা সিরিজটার পাশাপাশি ছোট গল্প লিখতে শুরু করেন। হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

সাইফ শহীদ এর ছবি

দ্রোহী,

বেলুনগুলা কোথায় পেলে? একবারই তো শুধু ইংরেজীতে লেখা হয়েছে বেলুন। তার মানে কি তুমিও ছবি গুলি দেখতে পারছো না?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

দ্রোহী এর ছবি

হুম। ঘটনা পরিষ্কার হল। আমি ছবিগুলোর জায়গায় অল্টারনেট টেক্সট হিসাবে Ballon-1, Ballon-2 ইত্যাদি নাম দেখতে পাচ্ছি। দেঁতো হাসি

ছবি সংযুক্ত করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে ছবিগুলোকে ফ্লিকার বা অন্য কোন ইমেজ শেয়ারিং সাইটে তুলে দিয়ে এইচটিএমএল কোড বা বিবিকোড দিয়ে এমবেড করে দেয়া।

আপনার অনেকগুলো লেখার ছবি দেখার সৌভাগ্যবঞ্চিতদের একজন আমি। এতদিন শুধু ছবির বদলে অল্টারনেট টেক্সট দেখে দেখে চোখ জুড়িয়েছি। মন খারাপ

সচলে ও ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ছবিগুলো পরীক্ষা করে দেখলাম। ইমেজ লিংক হিসাবে গুগল সাইটের যে লিংকগুলো আপনি ব্যবহার করছেন সেগুলো অটো রিডিরেক্টেড পেজের লিংক। এ কারনে ছবিগুলোর বদলে অল্টারনেট টেক্সট আসছে। আর ডেড লিংকগুলোকে জোর করে ওপেন করলে সেই রিডিরেক্টেড পেজে নিয়ে যাচ্ছে।
আপনি বরং এ ধরনের রিডিরেক্টেড লিংকের বদলে সরাসরি ইমেজ লিংক বসিয়ে দিন। আপনার কম্পিউটারের ক্যাশে থেকে যাবার কারণে হয়তো আপনি দেখতে পাচ্ছেন।


কাকস্য পরিবেদনা

সাইফ শহীদ এর ছবি

দ্রোহী,

অনেক ধন্যবাদ আমার ভুল ধরে দেবার জন্যে। আমি নিশ্চয় আমার ক্যাশ থেকে নেওয়া ছবি দেখে খুশি হচ্ছিলাম যে ছবিগুলি ঠিক মত দেখা যাচ্ছে।

আমার ফ্লিকারের একাউন্টে আর ছবি আপলোড করলে পুরানো ছবি মুছে যাবে, যার কিছু কিছু আমার ইংরেজী সাইটে লিঙ্ক দেওয়া আছে এবং এই মুহূর্তে হাতে অতটা সময় নেই যে, ব্যাবহার হয় না এমন ছবিগুলি খুঁজে খুঁজে বাতিল করি। আবশ্য পয়সা দিয়ে ফ্লিকার প্লাস গ্রাহক হলে সমস্যাটা থাকবে না। দেখি আর কি করা যায়।

তোমাকে আবার ধন্যবাদ আমাকে এই তথ্য দেবার জন্যে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

কাজী মামুন এর ছবি

চমৎকার লেখা। মজিলা, এক্সপ্লোরার এবং ক্রোম কোনো ব্রাউজার দিয়েই বেলুন এর ছবি দেখতে পেলাম না। এ সমস্যাটা আমারও হয়। শুধুমাত্র ফ্লিক-আর এ আপ করা ছবিই দেখা যায়। এ ব্যাপারে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ কাজী মামুন - উপরে দ্রোহীর কাছে লেখার জবাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ সমস্যাটা আমারও হয়। শুধুমাত্র ফ্লিক-আর এ আপ করা ছবিই দেখা যায়। এ ব্যাপারে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সমমত। সোজাসুজি আপ-লোড করার ব্যবস্থা থাকলে সময় বাঁচে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

কৌস্তুভ এর ছবি

google images থেকে ছবিগুলো আসছে না। ফ্লিকার পিকাসা ইমেজশ্যাক ইত্যাদি কিছু একটা ব্যবহার করুন।

লেখা যথারীতি (গুড়)।

সাইফ শহীদ এর ছবি

কৌস্তুভ,

আগে এ ব্যাপারটা খেয়াল করলে হয়তো অন্য পথ নিতাম। অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

নীল-মডু এর ছবি

প্রিয় সাইফ শহীদ,

আপনি হয়তো অবগত নেই, সচলায়তনে প্রকাশিত কোনো লেখা ৭২ ঘন্টার আগে অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশ করা সচলায়তনের নীতিবিরুদ্ধ। অনুগ্রহ করে সচলায়তনের নীতিমালাটি একটু দেখে নিন। আপনার এই পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে আপনার নিজের ব্লগে প্রকাশিত হলো।

ছবি যোগ করতে চাইলে ফ্লিকারে আপলোড করে সেখান থেকে এমবেড করে দিতে পারেন। ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ এর ছবি

নীল,

দুঃখিত যে আমার অজান্তে তোমাদের নীতিমালা ভংগ হয়েছে। এ লেখাটা এখান থেকে বাদ দিলেও আমার কোন আপত্তি নেই।

কোন সমস্যা দেখলে আমার প্রথম চিন্তা কি ভাবে সেই সমস্যা দূর করা যায়। সেই চিন্তাতে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দিয়ে দেখতে চেয়েছি সেখানে ঠিক মত দেখা যাচ্ছে কিনা। অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

দুর্দান্ত এর ছবি

আমিও অফিসের কম্পিউটার থেকে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছিনা। বাসায় গিয়ে নিশ্চই দেখতে পাবো।
---

সেই সময় আমার এক প্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ছিল 'এঞ্জেল বার্ড হাম্বারডিংক', এবং তার একটা গান শুনে প্রথম বেলুনে উড়ার কথা মাথায় এসেছিল।

কোন কোন রবিবার সকালে আমার ঘুম ভাঙত হুম্পার্ডিঙ্ক এর 'রিলিজ মি'র প্রায় অশরীরি সুরে। বাবার এলপি বাতিকের খুব মিঠে একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তার কালেকশানে দুটো হুম্পার্ডিঙ্ক নাম সম্বলিত এলপি ছিল/আছে। একটা আর-কে-ও রেডিও'র 'হান্সেল এন্ড গ্র্যাটেল' এনিমেশান ছবির সাউন্ড ট্র্যাক। আরেকটা 'রিলিজ মি' নামের একটা গানের এলবাম। অনেকদিন পর্যন্ত আমি ভাবতাম, কি প্রতিভাবান এই এঙ্গেলবার্ট লোকটি, একাধারে বাচ্চাদের জন্য ও বড়দের জন্য সে কাজ করে। পরে বাবার কাছে জেনেছি, এরা দুজন দু শতাব্দীর মানুষ।

একটি সুন্দর স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ এর ছবি

দুর্দান্ত,

তোমার বাবা নিশ্চয় আমার যুগের মানুষ - খুব খুশী হলাম জেনে তার এই পছন্দের কথা।

হুম্পার্ডিঙ্ক, যার আসল নাম ছিল 'Arnold George Dorsey' সত্যি অনেকগুলি মন মাতাল করা গান গেয়েছিল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সাইফ মামা, আমিও শুধু লেখা দেখছি। ছবি আপলোড নিয়ে আসলে সামান্য ঝামেলা মনে হয় সবাই পোহান।। আমি শুরুতে অনেক ক্যাচাল করেছি। ঠিক ঠিক বুঝেছিলাম না আসলে খাইছেএখানে একটু দেখুন। সুন্দর একটা ভিডিও টিউটোরিয়াল করে দেয়া আছে। আর এখানেও দেখতে পারেন।
ফ্লিকারে একটা ইয়াহু অ্যাকাউন্ট দিয়ে ছবি আপ করে সেখান থেকে ইমেজের লিঙ্কটা বা অন্য কোথাও ছবির উপর রাইট ক্লিক করে আসল ইমেজ অবস্থানটা বের করে সেই লিঙ্ক দিলেও হয় (দ্বিতিয়টার সময় কপিরাইট প্রোটেকশনহীন ছবি হওয়া বাঞ্চনীয় অবশ্য)।

আর লেখাটা এমনিতে ভালো লাগল। আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে অনেক শখ হট এয়ার বেলুন রাইডের। হবে দেখি কোনদিন নিশ্চয়ই! আমি আপনার উল্লেখ করা গানটা নামাতে দিলাম। ততক্ষণে এইটা শুনে দেখুন। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার,

ধন্যবাদ লিঙ্কগুলির জন্যে। শুনছি এখন গানটা।

কে যেন আমাকে বলেছিল যে বাংলাদেশেও এখন এই ধরনের বেলুনে চড়া যায় বা কেঊ সেটা নিয়ে কাজ করছে। সত্যি কি?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাংলাদেশে?? কী জানি! এমন তো শুনি নাই। খোঁজ নিতে হবে তাইলে।
আর ছবি এখন দেখা যায়। এতো দেখি পুরা রঙের হাট বসেছে আকাশে! অ্যাঁ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ছবিগুলো আপ হওয়ার পরে পড়বো হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তাসনীম এর ছবি

বছর দশেক আগে মিডওয়েস্টে এইরকম একটা ফিয়েস্তা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।

আমারো বেলুনে চড়ার শখ ছিল খুব, অনেক শখের মত এই শখও পূরণ হয় নি...ফ্যামিলি ভ্যাকেশনের জন্য পয়সা রাখতে হয়, হুট করে ৪০০ ডলার খরচ করে "বেলুন" কিনলে বিপদে পড়ার সম্ভবনা আছে হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ শহীদ এর ছবি

এমিল,

টাকা খরচ না করেও হয়তো শখটা পূরণ করা সম্ভব। আমি কয়েকজনকে জানি যারা এই সব বেলুনিষ্টদের সাথে বন্ধুত্বের সুবাদে অথবা 'বেলুন চেইজ টিমের' সদস্য হয়ে বিনা পয়সায় বেলুনে চড়েছে।

সুতরাং মনের ইচ্ছাটাই বড় কথা। দেখবে সুযোগ একদিন ঠিকই এসে গেছে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

এত বেলুন একসাথে আকাশে উড়ে! একটার সাথে আরেকটা ঢুঁশ খায় না? খাইছে
আমি সবকটা ছবি দেখতে পাচ্ছি। শুধু একটা ছবির জায়গায় ছবির পরিবর্তে 'Ballon-6' দেখাচ্ছে!

অটঃ একবার স্কাই ড্রাইভের উপর একটা আর্টিকেল পড়তে গিয়ে জোসেফ কিটিংগার এর কথা জেনেছিলাম যিনি ১৯৬০ সালে একা একটি বেলুনে চড়ে এক লাখ ফুট (১০২,৮০০) উপরে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে লাফ দিয়েছিলেন। যতদূর জানি তার ঐ রেকর্ডটা এখনও অটুট আছে।

সত্যান্বেষী

সাইফ শহীদ এর ছবি

সত্যান্বেষী,

'ঢুঁশ' মাঝে মাঝে খায় - তখন একজন চেষ্টা করে উপরে উঠতে বা অন্য জন নীচে নামতে। একটু পরে অবশ্য বিশাল আকাশে জায়গার অভাব হয়না।

এ ছাড়া এক্সিডেন্টে বেলুন থেকে মানুষ নীচে পরে গিয়ে মারাও যায়। বিগত কয়েক বছরে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তবু মানুষ ছুটে আসে কোন এক এডভেঞ্চারের টানে।

তুমি কিছু কিছু ছবি দেখতে পেরেছো জেনে আরও 'কনফিউজড' হয়ে গেলাম। তোমার কম্পিউটারে কি গুগল একাউন্ট অন করা ছিল?

যাহোক, ফিয়েস্তার কিছুটা নমুনা দেখার জন্যে নীচের ভিডিও ক্লিপ দিলাম [যদি দেখা যায়] - সৈজন্যে - জন বয়েলস

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ ভাই, আমার গুগল একাউন্ট অন করা ছিল, সাধারণত সবসময়ই অন করা থাকে। এই মূহুর্তে সবগুলা ছবি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। হাসি

সত্যান্বেষী

অদ্রোহ এর ছবি

কি আর করা, আপাতত দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাতে হবে। তবে শিগগির ছবি দেখতে চাই কিন্তু হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সাইফ শহীদ এর ছবি

যে কেউ,

এখানকার সময় বিকেল ৫টায় লেখাটা সম্পাদনা করে পিকাসার মাধ্যমে ছবি গুলি নতুন করে যোগ করেছি। প্রায় ৩ ঘন্টা অদৃশ্য হয়ে থাকার পরে এখন আবার ফিরে এসেছে। কেউ কি আমাকে দয়া করে জানাবে যে এখন ঠিক মত ছবি গুলি দেখা যাচ্ছে কিনা?

তাও দেখছি ২ টা ছবির আকার বেশী বড় হয়ে গেছে। আবার সম্পাদনা করে আবার অদৃশ্য করার চাইতে একটু দৃষ্টিকটু হলেও আপাতত এই ভাবে রাখলাম। আশা করি সবাই ক্ষমাসুন্দর ভাবে দেখবে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাফি এর ছবি

দেখা যাচ্ছে শহীদ ভাই। ছবিগুলো কই সবই আপনার তোলা? রিও গ্র্যান্ডের উপরে তোলা ছবিটা দারুন এসেছে

সাইফ শহীদ এর ছবি

সাফি,

আকাশ থেকে তোলা ছবি এবং আরও কিছু আমার তোলা না। তুমি রিও গ্রান্ড চিনলে কি করে? এই বিখ্যাত নদী কিন্তু হেটেও পার হওয়া যায়।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

"পিছনের মাঠের ঘাস অনেক বড় হয়ে গেছে, অন্য বাজে কাজে সময় নষ্ট না করে তুমি বরং ঐ সময়ে ঘাসটা কেটে রাখো।"
খুবই ঠিক কথা। ভাবিকে ১০০% সমর্থন জানিয়ে গেলাম।

--------------------------------------------------------------------------------

সাইফ শহীদ এর ছবি

মেহবুবা,

ভাবিকে ১০০% সমর্থন জানিয়ে গেলাম।

কোথায় লেখা পড়ে আমার প্রতি সহানুভুতির সৃষ্টি হবে, তা না একেবারে উল্টা ফলাফল। হাসিনা আর খালেদার দেশের মানুষের কপালে আর কি থাকতে পারে?

শুভেচ্ছা রইল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

তোহফা মিজান [অতিথি] এর ছবি

সাইফ শহীদ লিখেছেন:

কে যেন আমাকে বলেছিল যে বাংলাদেশেও এখন এই ধরনের বেলুনে চড়া যায় বা কেঊ সেটা নিয়ে কাজ করছে। সত্যি কি?

সাইফ শহীদ

সাইফ ভাই,
বাংলাদেশে এখনও বেলুনে চড়ানোর কোন ক্লাব গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপাররা কেবলমাত্র স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে রং-বেরং এর প্যারাসুট নিয়ে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় সকলের জন্য উম্মুক্ত প্যারাজাম্পের প্রদর্শনী করে থাকে। আপনার সৃতি বিজড়িত পূণ্যভূমি সিলেটের সালুটিকর এলাকার আকাশ থেকে তুলা দুটি ছবি আপনাকে উৎসর্গ করে সকলের জন্য প্রকাশ করলাম। আপনি দীর্ঘ জীবি হউন!
auto

যেহেতু এগুলো প্রদর্শনীর প্যারাসুট না, তাই রং সাদা। আশা করি বুঝতে পারছেন।

auto

সাইফ শহীদ এর ছবি

তোহফা মিজান,

তোমার এই সুন্দর মন্তবের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু সালুটিকর আকাশ থেকে তোলা ছবিগুলি কোথায়? পারলে লিঙ্কগুলি দিও আবার।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কোন কোন ধরনের বিমান উড়াও তোমরা এখন?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

তোহফা মিজান [অতিথি] এর ছবি

সাইফ শহীদ লিখেছেন:
তোহফা মিজান,

তোমার এই সুন্দর মন্তবের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু সালুটিকর আকাশ থেকে তোলা ছবিগুলি কোথায়? পারলে লিঙ্কগুলি দিও আবার।

সাইফ শহীদ


প্রথমবারের মত এই ব্লগে মন্তব্য করেছি। কোথাও ভুল করেছি হয়ত, তাই লিংক দেওয়া সত্বেও ছবিগুলো আসেনি। আবার চেষ্টা করছি, না আসলে আপনার ইমেইলে পাঠিয়ে দিব।
Pilot schute while opening

ভাইয়া, ফেসবুকে আপনার বন্দু তালিকায় mmr.mizan নামে আমাকে পাবেন। ভাল থাকবেন।
One stick Para trooper

সাইফ শহীদ এর ছবি

মিজান,

সুন্দর এই ছবিগুলি সবার সাথে শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। নিচের ছবিতে কি দু'টি সুইট এক সাথে জড়িয়ে গেছে?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

তোহফা মিজান,
অনেক ধন্যবাদ এই ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য। আকাশ থেকে আমার চিরচেনা সিলেটকে চেনাই যাচ্ছে না।

সত্যান্বেষী

তোহফা মিজান [অতিথি] এর ছবি

সাইফ শহীদ লিখেছেন:
মিজান,
সুন্দর এই ছবিগুলি সবার সাথে শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। নিচের ছবিতে কি দু'টি সুইট এক সাথে জড়িয়ে গেছে?
সাইফ শহীদ

ভাইয়া, একজন জাম্পার (প্যারাট্রুপার) থেকে আরেকজন জাম্পার এর মধ্যবর্তী সময় পার্থক্য সাধারনত ০১ সেকেন্ড, অন্যদিকে যে প্যারাসুটের ছবি দেখছেন সেটি পুরোপরি খুলতে সময় লাগে সাধারনত ০৪ সেকেন্ড। তাই শেষের প্যারাসুটগুলো পুরোপুরি খোলার আগেই ছবিটি তোলার কারনে কিংবা শেষ জাম্পারদের মধ্যবর্তী সময় পার্থক্য কম হওয়ায় কিংবা বিমান থেকে ছবি তোলার কোণের কারনে এটি মনে হচ্ছে। আসলে ঐ জাম্পে কোন প্যারাসুট অন্যটির সাথে জড়ায়নি।
বাংলাদেশে প্যারাসুট না খোলা কিংবা জড়িয়ে গিয়ে এখন পর্যন্ত বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে Fryer DZ, Fort Benning, GA,USA তে মেইন প্যারাসুট না খোলে এক লেডি লেফটেন্যান্ট সরাসরি নিচে পড়ে মারা গিয়েছিল। এফবিআই তদন্ত করেছিল বিষয়টি।

তোহফা মিজান [অতিথি] এর ছবি

অতিথি লেখক লিখেছেন:
তোহফা মিজান,
অনেক ধন্যবাদ এই ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য। আকাশ থেকে আমার চিরচেনা সিলেটকে চেনাই যাচ্ছে না।
সত্যান্বেষী

সত্যান্বেষী,
আসলে বড় কোন ভূমি চিহ্ন যেমন কিন ব্রীজ,... ইত্যাদি ছাড়া আকাশ থেকে চেনা কঠিন। তবে এটুকু বলতে পারি, ঢাকার আকাশ থেকে না থাকিয়ে পূন্যভূমি সিলেটের আকাশ থেকে বাংলাদেশকে দেখলে অনেক ভাল লাগবে!
আপনাকেও ধন্যবাদ ছবিগুলো দেখার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।