ছবি ব্লগঃ পাদুয়া

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৬/২০১৩ - ৫:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC_6871

পালাজ্জো রেজ্জোর ভেতরে। অসংখ্য ফ্রেস্কো সমৃদ্ধ এই বিশালাকার ঘরে একটি দানবাকৃতির ঘোড়া অতীতকে জানান দিয়ে যাচ্ছে যেন।

একদিকে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, আরেকদিকে পো আর আদিজে নদী, এই দুটো নদী ছাড়াও আরও পাঁচটি নদী কুলকুল ধ্বনিতে প্রবাহিত হয়ে চলেছে ইটালির ভেনেতো রাজ্যের চারপাশ দিয়ে। আল্পস পর্বত থেকে উৎসরিত হয়ে গারদা লেক এই রাজ্যের মহিমা বাড়িয়েছে যেন অনন্ত কাল ধরে। মাঝখানে সাগর এবং নদীর সংযোগ স্থলে জেগে উঠেছে লেগুন। সেই লেগুনের ধারেই তিলোত্তমা ভেনিস নগরী। ভেনিসের এই শৌর্য বীর্যের বহুকাল আগেও মনুষ্য বসতির ইতিহাস রয়েছে এই অঞ্চলে যা রচিত হয়েছে পো ভ্যালিতে। খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার বছর আগে, মুলত বর্তমান রোভিগো শহরের ধার ঘেঁসে যে জনবসতি গড়ে উঠেছিল তা ছিল এতদঞ্চলের বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। জলের লোভে লোভে মানুষের আগমন, মানুষের বসতি, মানুষের সংযোগ আর বানিজ্যের সূত্রপাত আর সেখান থেকে এই ভেনেতো রাজ্য কালক্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইউরোপের বানিজ্যের পীঠস্থান হিসেবে। সাগরের মধ্যে দিয়ে অন্যান্য মহাদেশ, নদীর ভেতর দিয়ে ইটালির অন্যান্য রাজ্যের সাথে এই অঞ্চলের গড়ে উঠেছে এক বহুমুখী সম্পর্ক। দীর্ঘ এক হাজার বছর এই ভেনেতো রাজ্য ছিল একটি স্বাধীন রিপাবলিক। অ্যাড্রিয়াটিক সাগর পারি দিলেই ভূমধ্যসাগরের পূর্ব পারের দেশ। সেইসব দেশের মানুষরা সাগরের এপার ওপার বানিজ্য বসতি করেছে সে অতি প্রাচীনকাল থেকে। আবার বাণিজ্য নগরী হিসেবে সুনাম গড়ে ওঠার পরপরই সিল্ক রুটের মাধ্যমে সুদূর এশিয়া মহাদেশ থেকেও সওদা নিয়ে হাজির হয়েছে নানান রঙের বণিকেরা। এশিয়া থেকে এসেছে মশলা ও সিল্ক, অ্যাড্রিয়াটিকের পূর্ব পার থেকে এসেছে রঙিন গ্লাস, গ্রিস থেকে এসেছে সিরামিক, আর বিনিময়ে এখান থেকে গেছে প্রসেসকৃত মেটাল, উল, লবন এবং শক্ত পোক্ত ঘোড়া। আর এই বিনিময়ে বিপুল লাভ ও উদ্বৃত্ত হয়েছে এই রাজ্যের। শুধু বিনিময়ের মাধ্যমে উপার্জন নয়, এখানে বনিকেরা এইসব পন্যের স্থানীয় বাজার নির্মাণে অগ্রণী হয়েছে, কারখানা গড়ে তুলেছে নানান সামগ্রীর।এইসব কারখানায় স্থানীয় কারিগররা নির্মাণ করেছেন সমৃদ্ধ কাঁচ শিল্প, বালটিক অ্যাম্বার এর নয়ন মনোহর গয়না, ব্রোঞ্জের থালা বাসন, মেয়েদের মাথার চিরুনি থেকে শুরু করে নানান নিত্য ব্যাবহার্য সামগ্রী। তাঁদের তৈরি এইসব অপূর্ব নির্মাণ কর্মের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুরে। তবে এই ভেনেতো রাজ্যের লক্ষীর শহর ভেনিস হলেও সরস্বতী কিন্তু বাস করেন অন্য আরেক শহরে, নাম তার পাদুয়া। বাকিলিয়নে নদীর ধারে গড়ে ওঠা ইটালির আরেক প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ নগরী।

এই সরস্বতীর দেখা মিলেছে ১২২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে। বোলোনিয়ার পরে এটি ইটালির দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। এই সেই বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে গ্যালিলিও গ্যালিলেই দীর্ঘ আঠারো বছর শিক্ষকতা করেছেন এবং স্বীকার করেছেন যে এটিই তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়! এখান থেকেই কোপার্নিকাস পেয়েছেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত ডক্টরেট ডিগ্রি। তাছাড়া ভেনিসের নিকটবর্তী হওয়ায় যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো হবার কারণে প্রচুর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাঠের সুযোগ মিলেছে এখানে।

শিল্পকলায় এই শহর ইটালিতে একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। তাঁর কারণ হলেন জত্তো। জত্তো হলেন রেনেসাঁর শুরুর দিকের অর্থাৎ চতুর্দশ শতকের শুরুর দিকে ইটালির শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী। ফ্লোরেন্স মিউনিসিপালিটির বেতনভুক্ত শিল্পী ছিলেন তিনি। গোটা ইটালি জোরা তাঁর সুনাম। ফ্রেস্কোর মাধ্যমে বিভিন্ন গির্জার দেয়াল এবং সিলিঙে তাঁর ছবি থাকা মানে গির্জার সুনাম বেড়ে যাওয়া। ফ্লোরেন্সের দুয়োমোর বেল টাওয়ারের নকশা করেছেন তিনি। আবার আসিসিতে অবস্থিত অনবদ্য সেন্ট ফ্রাঞ্চিসকো গির্জার ফ্রেস্কো এঁকেছেন তিনি। যদিও ফ্রাঞ্চিসি গির্জার ছবিগুলি তাঁর আঁকা কিনা এনিয়ে সংশয় আজো কাটেনি।

তবে উনার মাস্টারপিসটি রয়েছে এই পাদুয়া শহরে। পাদুয়ার বিত্তবান বনিক জনাব স্করভিয়েনি মশাই শিল্পের ভক্ত মানুষ। তাঁর শহরে রোমান এম্পিথিয়েটার ভগ্নপ্রায়। তাঁর পাশেই রয়েছে অপরূপা বাগান। অনেকদিন থেকেই পুরো জায়গাটি কিনতে চান তিনি। সামর্থ্য হওয়া মাত্রই পুরো জায়গাটি কিনে এখানে একটি গির্জা নির্মাণে ব্রতী হয়ে ওঠেন, সাথে চাই এমন একটি চ্যাপেল যা কিনা শিল্পকলায় পরিপূর্ণ থাকবে। ডাক পড়ল ইটালির শ্রেষ্ঠ ফ্রেস্কো শিল্পী জত্তোর। কমিশন ছিল অঢেল। জত্তো আঁকালেন তাঁর মনের মত করে। পুরো চ্যাপেলের সিলিং ডুবিয়ে দিলেন নীল রঙ দিয়ে যেন তা রাতের জ্যোৎস্না ভরা আকাশ, তাঁর মাঝ দিয়ে উঁকি দিচ্ছেন যীশু। আর দেয়াল ভরিয়ে দিয়েছেন একের পর এক অনন্য সব মাস্টার পিস দিয়ে। সেখানে রয়েছে যিশুর গল্প, যিশুর বেড়ে ওঠা, যিশুর মৃত্যু, এছাড়াও আছে স্বর্গ এবং নরকের গল্প। এক একটি ক্যানভাস যেন এক একটি মাস্টারপিস।। এমনই দ্যুতি, এমনই সেগুলির বৈভব, এমনই তাঁর সৌন্দর্য। এমনকি একটি ক্যানভাসে একটি নারী ও পুরুষকে চুম্বনরত অবস্থায়ও দেখা গেছে। আর এটাই নাকি চুম্বনের প্রথম শিল্পরূপ। এই স্কারভিয়েনি চ্যাপেল এর আর্ট কর্ম শেষ হলে ইটালি জুরে হৈচৈ পরে যায়। কেননা এত অপূর্ব এবং নিখুঁত সব ফিগারেটিভ আর্ট ছিল সেই জামানায় অভূতপূর্ব। এই আর্টের খবর ইউরোপ জুরে ছড়িয়ে পড়তেও সময় লাগেনি। এই চ্যাপেল জত্তোকে দিয়েছে অমরত্ব আর পাদুয়া শহরকে দিয়েছে আর্টের ক্ষেত্রে একটি অমুল্য স্থান। এটি রেনেসাঁসের শুরুর দিকের একটি শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আছে।

এই পাদুয়া শহরে রয়েছে ইউরোপের দীর্ঘতম উদ্যান প্রাতো দেল্লা ভাল্লে। এই গোলাকার আকৃতির শুন্য উদ্যানটি এক সময় ছিল রোমান থিয়েটার। এখন শহরবাসীর রিল্যাক্সেশনের অন্যতম জায়গা। ৭৮ টি বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গের মুর্তি সম্মিলিত উদ্যানের চারপাশ জুরে আছে পাদুয়ার প্রাচীন সব প্রাসাদ। এই উদ্যানের অনতিদূরেই রয়েছে এই শহরের আরেক জুয়েল, বাসিলিকা সেন্ট অ্যান্থনি যার আরেক নাম বাসিলিকা ইল সান্তো। সান্তোর মৃত্যুর পর ১২৩১ সালে এই গির্জার নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টানদের একটি অন্যতম তির্থস্থান। এখানে সান্তোর কবর সহ তাঁর ব্যাবহৃত কিছু সামগ্রী রয়েছে। আর রয়েছে অসাধারণ সব চিত্রকর্ম। আর এই গির্জার ঠিক বাইরে রয়েছে দোনাতেল্লোর একটি ভাস্কর্য যা তাঁর অন্যতম মাস্টারপিস হিসেবে স্বীকৃত।

১) ১৩০৫ সালে নির্মিত স্করভিয়েনি চ্যাপেল বাইরে থেকে দেখলে নেহাত সাদাসিধে, ছোটখাটো এক গির্জার মতন মনে হয়।

DSC_6988

২) তবে ভেতরে আছে অমুল্য সব পেইন্টিং। জত্তোর মাস্টারপিস।

DSC_6793

৩) প্রাতো দেল্লা ভাল্লে। ইউরোপের বৃহত্তম উদ্যান।

DSC_6905

৪) অপূর্ব বাসিলিকা ইল সান্তো। ইউরোপে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের এক পীঠস্থান।

DSC_6921

৫) বাসিলিকার বাইরে অবস্থিত দোনাতেল্লোর ব্রোঞ্জের ঘোড়সওয়ার।

DSC_6920

৬) পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়

DSC_6924

৭) পাদুয়ার দুয়োমো। এই দুয়োমোর নকশা আঁকায় সহযোগিতা করেছিলেন খোদ মিকেলএঞ্জেলো।

DSC_6900

৮) পালাজ্জো দেল রেজ্জো। বাইরে খোলা মার্কেট।

DSC_6826

৯) দক্ষিণ কোরিয়ার এক শিল্পীর ভাস্কর্য প্রদর্শনী চলছে গোটা শহরে।

DSC_6778

১০) দোকানে কিউপিড।

DSC_6899

১১) অলঙ্কারের দোকানে সোনার জলহস্তী!

DSC_6965

১২) খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার বছর পূর্বে ব্যাবহৃত রমণীদের মাথার ক্লিপ।

DSC_6838

১৩) এরেমিতানি গির্জার ভেতরে

DSC_6805

১৪) দান্তে সাহেব এমন রেগে রয়েছেন কেন?

DSC_6903

১৫) নগ্নিকা

DSC_6977

১৬) বুদ্বুদ বেলুন

DSC_6974

১৭) একটি গির্জার সিলিং

DSC_6917

১৮) ১৮৩১ সালে নির্মিত ক্যাফে পেরদক্কি।

DSC_6928

১৯) রোমান প্লেট।

DSC_6799

২০) পালাজ্জো দেল রেজ্জোর অপূর্ব বারান্দা। বারান্দায় ফটো সেশন।

DSC_6891

২১) ব্রোঞ্জের তৈরি প্রাচীন ক্ষুদ্রাকৃতির মূর্তি।

DSC_6858

২২) স্করভিয়েনি চ্যাপেলে অবস্থিত অনেকগুলি চিত্রকর্মের মধ্যে একটি। ছবিটি নেট থেকে সংগৃহীত।

646px-Giotto_di_Bondone_009


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার পোস্ট পড়লে শিল্পকলা সম্পকে যে কিছুই জানি না তা বুঝতে পারি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মনি শামিম এর ছবি

আমিই বা বেশী কি জানি নজরুল ভাই? হালে একটু আগ্রহ বাড়ছে, এই আরকি। নইলে আমিও এই জগতে এক গণ্ডমূর্খ বই বেশী কিছু নই!

জিল্লুর রহমান  এর ছবি

শামিম ভাই, আপনার ছবিগুলো দেখলেই যেন বেশির ভাগ বিবরণ বুঝে যাই। ছবিগুলোই যেন কথা বলে। আপনার বিবরণ পড়তে গিয়ে তো থমকে গিয়েছিলাম, হেড লাইন "ছবি ব্লগঃ পাদুয়া" অথচ ভেনিস নগরীর বিবরণ শুরুতেই! কিন্তু আরেকটু এগিয়েই ঘোরটা কাটলো। যাই হোক ছবিগুলোর পাশাপাশি ইতিহাসটা এতো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে, অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ জিল্লুর ভাই মন্তব্যের জন্য। পাদুয়া চমৎকার লাগলো। দেখার আছে অনেক কিছু। আপনি থাকতে থাকতে বেরিয়ে যাবেন। আর আরেজ্জো যাবার প্ল্যান নিয়ে পরে আলাপ করবো। আমার তো আসিসি যাওয়া লাগে, আরেজ্জো নয়! কি করি! দুটো শহরই কিন্তু একই রাজ্যে, উমব্রিয়া।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক
জিয়ত্তোর নামের উচ্চারণ এইভাবেই নাকি?

মনি শামিম এর ছবি

ইটালিয়ানরা তো উচ্চারণ করে এভাবেই। আর কিভাবে হতে পারত? জিয়োত্তো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক বরাবরের মতই আপনার তোলা ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। সেন্ট অ্যান্টনির বাসিলিকা দেল সান্ত আমদের দক্ষিন এশীয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক তীর্থস্থান।

অনু ভাইয়ের সন্দেহ অমূলক নয়, নামটি জত্তো হবে। ইতালিয়ান ভাষায় এই নামটি অন্যভাবে উচ্চারণের সুযোগ নেই।

......জিপসি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি সংশোধন করে দিচ্ছি। জিপসি, তাইতো বলি শনিবারে ওখানে এত ইন্ডিয়ান মানুষ দেখলাম কিভাবে। আর অনেক নানকে দেখলাম ইন্ডিয়ান। কিন্তু ঠিক কি কারণে ওখানে দক্ষিণ এশিয়ান খ্রিস্টানদের এত ভিড়, জানা আছে কি আপনার?

অতিথি লেখক এর ছবি

হিসেবটা খুব সোজা, যে ভদ্রলোকের নামে এই বাসিলিকা সেই সেন্ট অ্যান্টনির মৃত্যু পাদুয়াতে হলেও জন্ম হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৮ শতাব্দী পূর্বে পর্তুগালের লিসবনে। আমাদের দক্ষিন এশিয়াতে খ্রিস্টধর্মের প্রসার হয়েছিল সেই পর্তুগিজ পাদ্রি সাহেবদের মাধ্যমেই। সঙ্গত কারনেই সেন্ট অ্যান্টনির একটি বিশেষ স্থান আছে দক্ষিন এশীয় খ্রিস্টানদের হৃদয়ে।

আমাদের বাংলাদেশও বেশ কিছু গির্জার নামকরণ হয়েছে এই সাধুর নামে। জুন মাসের ১৩ তারিখ কিন্তু ভাইয়া পাদুয়াতে কোনও স্কুল/অফিস খোলা পাবেন না, পাদুয়ার প্রতিপালক সেন্ট অ্যান্টনির মৃত্যুদিবস।

......জিপসি

মনি শামিম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জিপসি। এখন কি মনে হচ্ছে জানেন? আমার বদলে আপনি যদি লিখতেন তাহলে পাঠকরা আরও ইউনিক কিছু জানতে পারত। তা, আপনি থাকেন কোথায়? ইটালিতে? জানাবেন?

মনি শামিম এর ছবি

কিংবা জত্তো হতে পারে। এবং সেটাই তো ঠিক মনে হচ্ছে। তুই ধরেছিস ঠিকরে। ইটালিয়ান উচ্চারণে জত্তোই হবার কথা। নিশ্চিত নইরে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

মনি শামিম এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সালমান রহমান  এর ছবি

বছরখানেক ধরে পড়াশোনার খাতিরে পাদুয়াতে থেকেও এমন করে আগে অবলোকন করতে পারিনি একে। আপনি সাবলিল ভাষায় আর ছবির সমাহারে চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন শহরটাকে। ধন্যবাদ। আপনার এই লেখাটার জন্যই সম্ভবত আরেকবার ভালো করে দেখে নিতে হবে পাদুয়াকে।

মনি শামিম এর ছবি

আপনি পাদুয়াতে থাকেন? আগে বলবেননা? ভালো করে দেখুন যে শহরে আছেন। আর আপনার ভাবনা বিনিময় করুন আমাদের সাথে। অপেক্ষায় রইলাম!

মেঘা এর ছবি

এতোদিন এক অণু ভাইয়া ছিলো এখন আবার আপনি শুরু করেছেন মন খারাপ দুইন্না নিষ্ঠুর মানুষ দিয়ে ভরে গেলো! কেউ বোঝে না আমাদের মত প্রবল আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কোথাও যেতে না পারা মানুষদের কষ্ট!

এবার সিরিয়াস কথা বলি, লেখা ছবি দুটোই অসাধারণ হয়েছে। আমি তো আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি মনি ভাই দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ মেঘা। ভক্ত হবার দরকার নেই, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বন্ধু হিসেবে সাথে থেকো। আর লেখাজোখায় কোথায় ভুল হচ্ছে, কি করলে আরও ভালো হবে, পরামর্শ দিয়ে যেও। তোমার নাম দেখলে একটি গানের কথা মনে পড়ে যায়, সচিন কত্তার সুরে শর্মিলি চলচ্চিত্রে রাখীর ঠোঁটে অবিস্মরণীয় 'মেঘা ছায়ি আধি রাত।' কি চমৎকার কম্পোজ করেছিলেন কত্তা! শুনেছ?

তারেক অণু এর ছবি

পাদুয়া নিয়ে হেমিংওয়ের একটা ছোট গল্প আছে মনে পড়ে। আচ্ছা, অনেকেই কি এটাকে পদুয়া বলে উচ্চারণ করে?

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক কিছুই জানলাম,কঠিন কঠিন সব শব্দ আর ইতিহাস,শিল্পকলা।আমি ইতিহাস আর শিল্পকলার একেবারে নার্সারী লেভেলের স্টুডেন্টতো তাই সব কিছুই কঠিন কঠিন লাগছে।তবে কিছু শিখার পর,জানার পর আনন্দটা আগের মতো বিশ্বজয়ের আনন্দের সমানি আছে।ছবির পাশাপাশি বর্ণনাও আকৃষ্ট করেছে,সবকিছু মিলিয়ে লেখা -গুড়- হয়েছে

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।