ফেসবুক বিভ্রাট, অথবা স্বত্ত্বা চুরি

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৪/২০০৮ - ২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটা লেখার আদৌ কোন ইচ্ছা ছিল না। তবে উপায় না দেখেই লেখতে বসলাম। সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আগেই ক্ষমাপ্রার্থী।

এই তল্লাটের অনেকের মত আমিও ফেসবুকের সদস্য। গত জানুয়ারী মাসের দিকে পরিচিত দুই একজন সচলের ফ্রেন্ড-লিস্টে আমি Subinoy Mustafi নামে একটা প্রোফাইল দেখতে পাই। আন্দাজ়ে বলছিলো যে যেই সচল ভাইয়েরা ওনাকে লিস্টে যোগ করেছেন, তারা হয়তো আমাকে ভেবেই যোগ করেছেন। কিন্তু কথা হলো আমি সেই মানুষ না। আমার একটা প্রোফাইল আছে বটে কিন্তু সেটা নিজস্ব নামে, এবং ব্লগে ছদ্মনাম ব্যবহার করলেও ফেসবুক-সচলরা অনেকেই আমার প্রকৃত নাম জানেন এবং আমার নিজের বন্ধু-লিস্টেও আছেন।

সে যাই হোক, এটাকে তেমন আমল দেইনি তখন। কিন্তু আজকে আবার তিন মাস পরে ঘুরতে ঘুরতে গিয়ে দেখি ভদ্রলোকের লিস্ট আরো লম্বা হয়েছে, এবং আরো সচলবাসীরা - ইনক্লুডিং আমার কিছু প্রিয় লেখক, যেমন নিঝুম, মুজিব মেহদী, ফারুক ওয়াসিফ, অমিত আহমেদ প্রমুখ - ওনার লিস্টে যোগ হয়েছেন। যদিও এটা তাদের জানার কথা না, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে ভন্ড এক সুবিনয়কেই ওনারা যোগ করেছেন। গতানুগতিক ধারার চুরি না, তথাপি এক প্রকার আইডেন্টিটি থেফটের শিকার হলাম বলেই মনে হচ্ছে। খুশখুশে অপ্রিয় একটা অনুভূতি।

যাক গে। বিরক্তি নিয়ে লিখতে বসেছিলাম, লেখা শেষ করে আরো বিরক্তিকর / হাস্যকর লাগছে। ফ্রন্ট পেজ়ে যুক্তিযুক্ত না হলে মডুরা সরিয়ে দিতে পারেন।

নকল সুবিনয়ের স্ক্রীন প্রিন্ট


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

হুম। ঘটনা মনে হচ্ছে প্যাঁচ খেয়ে গেল।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আর কইয়েন না ভাই। নেট ভর্তি ফাজিল। -------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দ্রোহী এর ছবি

কি আর করবেন । বরং সেই সুবিনয় মুস্তফীরে বন্ধু লিস্টে যোগ করে ফ্যালেন।


কি মাঝি? ডরাইলা?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সুবিনয় মুস্তফী দেখে মাত্র একটু আগে আমি কনফার্ম করলাম
কিন্তু তখন তো বুঝি নাই ওইটা আসলা না নকলা

নিঝুম এর ছবি

হায় হায় আমিতো ভাব্লাম এইটা আমাদের সুবিনয়দা।একটু অবাক হয়েছিলাম যদিও।সুবিনয়'দা ...দ্রোহী ভাইয়ের বুদ্ধি টা মন্দ না।।হে হেহে হে হে
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

হেহেহে আইডিয়াটা সরেস মানতেই হবে। ব্যাটার প্রোফাইলে কি দেখতে পাও?

আর এমনিতে খবর কি? একদম ডুব দিছো আজকাল...

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

নিঝুম এর ছবি

আমি এই নকল সুবিনয় মুস্তফীকে ডিলিট করে দিয়েছি।

আর আমি আছিতো...এইতো নতুন গল্প দিলাম...
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যাক, আমি ফেসবুকে আসল নাম না দিয়ে ভালই করেছি। তাহলে কেউ প্রকৃতিপ্রেমিক নিয়ে একই কান্ড বাধাত। (সে সম্ভাবনা যদিও কম, কারণ সুবিনয়ের মত লেখক তো আমি হতে পারিনি)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নকল সুবিনয়ের স্ক্রীনশট না দিয়া আসল সুবিনয়েরটা দিয়া একটা শ্লোগান দিয়া দিতেন, "আসল সুবিনয় দেখিয়া কিনিবেন, নকল কিনিয়া ধরা খাইলে আসল সুবিনয় দায়ী থাকিবে না"।

এখন আরকি, বন্ধু লিস্টে যোগ করে ফেলেন ব্যাটাকে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

মুস্তফী ভাই, আপনার ফেসবুকের ঘটনার সাথে আমি ও আরেকটা ঘটনা শেয়ার করি...যদি ও এটি ফেসবুক সংক্রান্ত নয়।
আমি গত সপ্তাহে সচলায়তনে আশরাফুল ও মাশরাফিদের সাথে একদিন নামে একটি গল্প লিখি। পরেরদিন একটা মন্তব্য পাই এ বলে যে, সে লোক আমার গল্পটি বাংলাদেশ ক্রিকেট ওয়েবসাইটে পড়েছে এবং এখানে আমাকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছে।
আমি এ মন্তব্য পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট ওয়েবসাইটে গেলাম, দেখি ওখান কার এক সদস্য গল্পটি সচলায়তনে পড়ে পছন্দ করেছে, তাই ওখানে পোস্ট করে দিয়েছে (অবশ্য আমার নাম সহ)।
প্রথম অবস্থাতে একটু খুশীই হয়েছিলাম, ওখান কার সদস্যদের সাড়া দেখে। কিন্তু একটু পরেই আমার আনন্দ উবে গেল।যিনি এটি শেয়ার করেছেন, উনি শেয়ার করার আগে অনুমতি নেননি কিংবা পরে জানান ও নি।
তাও উনি ভদ্রতা করে আমার নামটুকু রেখেছিলেন গল্পটির সাথে।
কিন্তু সবাই যে এই ভদ্রতাটুকু ও করবে, তারই বা গ্যারান্টি কি?
তখন মনে হচ্ছিল, আমার বাসা থেকে কেউ কোন জিনিষ চুরি করে নিয়ে উনার বাসায় সাজিয়ে রেখেছেন।
কি আর বলব!
~রেনেট

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

বড়ই আনফরচুনেট যদিও গল্পটা খুব মজার ছিল। ঐ পোস্টদাতাকে জিজ্ঞেস করছিলেন তার এই অনধিকার চর্চার কারন কি??

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ক্ষেত্রে তো কেবল একই নামে একাউন্ট খুলেছে। আমার দুইজন বন্ধুর তো একাউন্টই হ্যাক্‌ হয়ে গেছে...ফেইসবুকের মত জায়গায় এটা কি করে হয় আল্লাহ্‌ই জানে! তবে আপনার সমস্যাটাও বিরক্তিকর...

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

কনফুসিয়াস এর ছবি

সুবিনয়,
ব্যপারটা এত সহজভাবে নেয়া ঠিক মনে হচ্ছে না। সম্পূর্ণ নতুন কোন সুবিনয় মুস্তফী হলে সমস্যা ছিল না, কিন্তু এটা পরিষ্কার যে ইনি আপনার আইডেন্টিটিই ব্যবহার করছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে। কারণ বন্ধুত্ব করছেন সব ব্লগারদের সাথে। আর ব্লগাররা আপনি মনে করেই তাকে এপ্রুভ করছেন!
এখনো ঠিক আছে, কিন্তু ভবিষ্যতে আপনাকে কোন গোলমালে ফেলবেন না তার নিশ্চয়তা কি?
আপনি এক কাজ করুন। আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টের সবার কাছে ঐ লিংকটা ফরোয়ার্ড করে আসল ঘটনা জানিয়ে দিন। সচলায়তনে তো বলা হলোই, অন্য যে সব ব্লগ বা ফোরামে আপনাকে সুবিনয় হিসেবে সবাই চেনেন, ওখানে জানিয়ে দিন।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এ তো ভালো ফাঁপর!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

তীরন্দাজ এর ছবি

দু:খজনক!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ফেইসবুকে সাবধানে ঘোরাফেরা করতে হইবো। মন খারাপ



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সাধু সাবধান

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রেজওয়ান এর ছবি

আমার মনে হয় অনুমতি না নিয়ে এরকম করলে সাথে সাথে এর প্রতিবাদ করা উচিত। এতে লাভ তেমন হয় বলে মনে হয় না। তবে প্রতিবাদ না করলে বরং নকলটাই গেড়ে বসবে।

রেনেট: অনুমতি নেয়ার কালচারটি আমাদের দেশে এখনও গড়ে ওঠেনি। এরকম হয়েছে যে কারও ব্লগ পোস্ট (যেমন আরিফ জেবতিকের) পত্রিকায় পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে গেছে অন্য নামে।

আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ায় এখনও প্রচুর জিনিষ প্রতিদিন ইন্টারনেট থেকে কাট পেস্ট বা অনুবাদ করে দেয়া হয়। আর নিচে একটি টিকা থাকে "ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত"।

এ বছর বাংলাদেশী এক নারী ফটো ব্লগারের এক বছর আগের পোস্ট করা ছবি মানব জমিনের নববর্ষের শুভেচ্ছার সাথে ৭-৮টি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মানব জমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে তাদের কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে এটি পেয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থার কথা বলা হলে উক্ত ব্লগারকে উল্টো শাসানো হয়।

একুশে টিভিও বাংলাদেশের এক এমেচার ফটোগ্রাফারের ফ্লিকারে প্রকাশিত ছবি ব্যবহার করেছে অনুমতি না নিয়েই।

আমার ইংরেজী ব্লগের থেকে একটি প্যারাগ্রাফ চুরি করে "বাংলাদেশ পরবর্তী আফঘানিস্তান" ধর্মী একটি লেখা একটি আন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টালে ছাপিয়েছিল এক ভারতীয় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। আমি প্রমাণ সহ তা ওই সাইটের সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এর পর সেই লোক আমার কাছে অনেক ধর্ণা দিয়েছিল আমি যাতে তার সম্পাদককে লেখি যে আমি অনুমতি দিয়েছিলাম এবং কিছু মনে করিনি - সে আর এক গল্প।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

রায়হান আবীর এর ছবি

আমাদের শিক্ষানবিসের বিজ্ঞান নিয়ে লেখা ব্লগ গুলো থেকে দুই মাস আগের সায়েন্স ওয়ার্ল্ডে দুইটি লেখা ছাপা হয়েছিল সংক্ষিপ্ত আকারে!! একদম বিনা অমুমতিতে...

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

হিমু এর ছবি

ইন্টারেস্টিং গল্প রেজওয়ান ভাই। হাতে সময় পেলে শোনান আমাদের।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাগিব এর ছবি

সে আর বলতে ... খোদ বিডিনিউজ২৪ পর্যন্ত আমার তোলা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ছবি দিব্যি লাগিয়ে দিয়েছিলো তাদের সাইটে। ছবিটা ব্যবহারে অবশ্য আপত্তি ছিলোনা কারণ সেটা উইকিপিডিয়ার জন্য তুলে আমি মুক্ত লাইসেন্সে দিয়েছি, কিন্তু সেই ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের মূল শর্ত হলো, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে, অর্থাৎ ছবির উৎস ও ফটোগ্রাফারের নাম প্রকাশ দরকার। সেটা করতে বিডিনিউজ২৪ আর চায়নি, আমি যা বুঝলাম, ইন্টারনেটে ঢাকা কারাগারের ছবি সার্চ করে যা পেয়েছে, সরাসরি মেরে দিয়েছে।

এটা নিয়ে পোস্ট দেয়ার পরে অঃরঃপিঃ ভাই দুঃখ প্রকাশ করেন ও উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া - এই ক্রেডিট স্বীকার করার কথা বলেন। কিন্তু এই প্রবণতা বাংলাদেশের পত্রিকা মহলে রয়েই গেছে।
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সুবিনয়দা,

আপনার এই দুরাবস্থার কথা জেনে কেনো যেনো লালন সাঁইয়ের একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো:

চোর দিয়া চোর ধরাধরি
একি কারখানা,
আমি যা জিজ্ঞাস করি
তুমি বলো না।

সাধুরা চুরি করে
লয়ে যায় শুন্য ভরে
গোপনে...
---
অনুমতি ছাড়াই একজন ব্লগার কিছুদিন আগে ফেসবুক থেকে আমার একটি ছবি পাশের বাড়িতে প্রকাশ করেছে। বিষয়টি আমার ভালো না লাগলেও ভদ্রতা করে কিছু বলিনি।...

এরপর ফেসবুকে প্রজন্ম '৭১ গ্রুপে গিয়ে দেখি একজন কোনো সূত্র উল্লেখ ছাড়াই অবলীলায় প্রকাশ করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর একটি ছবি। বিষয়টি তাকে জানাতে তিনি অবশ্য এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ছবিটি শেষে সরিয়ে দেন।

কিছুদিন পর ফেসবুকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি গ্রুপে গিয়ে দেখি আরেকজন আমার খুব প্রিয় পরিবেশবিদ ও আলোকচিত্রী ফিলিপ গাইনের ছবি অবলীলায় সেখানে তুলে দিয়েছে। ফিলিপ দার নাম উল্লেখ করার ভদ্রতাটুকু পর্যন্ত তিনি করেন নি।

শেষোক্ত ঘটনায় আমি এতোটাই আহত হই যে, শেষে ওই তস্কর বরাবরে একটি বিনয়মিশ্রিত মেইল পাঠাই। প্রায় এক মাস হতে চললো, এখনো এর জবাব পাইনি। আর ছবিটি সেখানে ওই তস্করের নামেই শোভা পাচ্ছে!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তারেক এর ছবি

আমার ফেসবুক নাই দেঁতো হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমি ভাবছিলাম খালি আমার নাই, এখন দেখি তারেকেরও নাই। যাক একজন সংগী পাওয়া গেল চোখ টিপি
ফেসবুক ভালো লাগে না।

রায়হান আবীর এর ছবি

খাইছে!!
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

মুজিব মেহদী এর ছবি

ফেসবুকে সুবিনয় মুস্তফী নামটা দেখে সম্ভবত আমিই বন্ধু হবার আমন্ত্রণ পাঠিয়ে থাকব। অথবা ওইদিক থেকেও আমন্ত্রণ এসে থাকতে পারে। এখন ঠিক মনে নেই। তবে মনে আছে আমন্ত্রণ পাঠানো ও গ্রহণের মধ্যে আপনার প্রসঙ্গটি উঠেছিল। পরে এ প্রসঙ্গে আলাপ গড়িয়েছিলও কিছুদূর।
আপনার পোস্ট পড়বার পর ইনবক্স ঘেঁটে তার সাথে হওয়া কথোপকথনটার অস্তিত্ব আবিষ্কার করা গেল। খুবই প্রাসঙ্গিক বিধায় ভুল ইংরেজিতে লেখা ওই কথোপকথনটি এখানে উপস্থাপন করছি, তার অবস্থানটি এর থেকে পরিষ্কার হতে পারে।
সঙ্গে একটা স্ক্রিনশটও দিতে চাইলাম, কিন্তু কমেন্টে হার্ডড্রাইভের ছবি সংযুক্ত করার কায়দাটা আমার রপ্ত করা হয় নি মনে হচ্ছে। ছবিটা ধরে রেখেছি, কেউ কায়দাটা শিখিয়ে দিলে এবং প্রয়োজন মনে করলে দিতে পারব।

Muzib
9:47pm Jan 7th
I knew a Subinoy Mustafi of Sachalayatan. He is in out of Bangladesh now. I thought you are that person, who is one of my favorite blogger. Do you know him?

Subinoy
9:47pm Jan 21st
No, I am not him.
But i read him.
I am a member of Kabishabha since it was started and recently started blogging through kabishabha group. If you are dishearted to know that I am not him You may remove me from your friend list.
thank you.

Muzib
9:56pm Jan 21st
If you knew him, why did you get the same name? Because, both of you are virtual existances.
I don't think to remove you for this cause.

Subinoy
8:54pm Jan 23rd
It seems that you missed my position, dear. I am subinoy from 2004. If you see the kabishabha members list you will find me there. And here is the question arises how long you know this new Subinoy?
So, I took the name first, then the new Subinoy.
Take care. Thank you.

Muzib
7:53am Jan 24th
Ok, I am delighted to know the real situation. Actually I didn't know that you are Subinoy from 2004. I am also a member of Kobishabha, but I didn't feel any interest to know all of the members of it. So don't mind that I coudn't find you out as an old Subinoy.
I know new Subinoy from 2007 only.

Anyway, are you a poet? What is your actual name? Do I know you face to face? And did you read me?

Thanks.

Subinoy
2:25pm Mar 3rd
I read you regularly on blog.
In fact i am some kind of fan of you.
I do not like to write poems.

Muzib
4:34pm Mar 3rd
Oh fine. I feel nice to know that you read my blog regularly.

You may read my book also. These are fully free. You may click here and go to the another and another link, what you want.

http://mmmomyupattyaka.blogspot.com/

Subinoy
5:03pm Mar 10th
Feeling comfort to get your texts online.
thank you.

Muzib
11:20am Mar 11th
Thanks a lot.
If possible please make comments on the texts.

এই কথোপকথনের পরে তার সঙ্গে আমার আর কোনো বাতচিৎ খুঁজে পেলাম না। অর্থাৎ আর এগোয় নি কথা। কাজেই আমার তাকে চেনাও হয় নি এখনো অবধি।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুজিব মেহদী এর ছবি

অভিযোগ উঠতে পারে যে, কারো সাথে হওয়া ব্যক্তিগত কথোপকথন আমি ওপেন ফোরামে ফাঁস করতে পারি কি না। আমার জবাব হলো, এই কথোপকথনে এমন কোনো প্রসঙ্গ উঠে আসে নি, যা প্রকাশ পেলে কথোপকথনে অংশগ্রহণকারী দুজনের কারোর মানের হানি ঘটতে পারে। বরং এই পোস্টের যা বক্তব্য তার সঙ্গে ব্যাপারটা খুব ভালো যায়ও। এই পোস্টে নকল সুবিনয়ের বন্ধু হিসেবে যেহেতু আমার নামেরও উল্লেখ আছে, সুতরাং তার বন্ধু হওয়ার প্রেক্ষাপটটা এখানে তুলে ধরাটা প্রয়োজনীয়ও হয়ে পড়ে বলে মনে করছি।
অবশ্য আমার ধারণা ভুলও হতে পারে।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

আরিফ জেবতিক এর ছবি

দেখা যাচ্ছে যে দুইজন সুবিনয়ই আসল ।
এখন তাহলে চেক করা যাক কার প্যাটেন্ট আছে নামটার ব্যাপারে ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

রেনেট, রেজওয়ান ভাই, রাগিব আর রহমান ভাই - সবারই দেখি কম বেশী অভিজ্ঞতা এই লাইনে!

তবে হোম্‌সীয় কায়দায় আসল রহস্য উদঘাটন করার জন্যে মুজিব ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ। কথা ঠিকই - সচলের সুবিনয় নন, কিন্ত উনিও তো সুবিনয় বটে। এতে আর কিছু বলার নেই। কিউরিওসিটি মেটাবার জন্যে একটু ঢুঁ মেরেছিলাম কবিসভা ফোরামে। সাকুল্যে সব মিলিয়ে আমার মিতার একটা মাত্র কমেন্ট পেলাম সেই ফোরামে, চার বছর আগের।

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি ও ধরা খাইছি । ভুয়া বিনয়রে এড করছি মন খারাপ
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।