পাকিস্তানের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের আতংক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/১২/২০১৩ - ১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১।

গিয়েছিলাম প্রতিবেশী এক পিচকুর প্রথম বর্ষপূর্তিতে, কেক্কুক খেতে। বহুদিন পরে বাসায়, তাই আমিও প্রতিবেশীদের কাউকে চিনিনা- আমাকেও প্রতিবেশীরা চেনেনা। ফলাফল হল- গৃহকর্তা আমাকে সম্বোধন করলেন ‘ভাই’, আর পাশে দাঁড়ানো আমার জনককে ‘দুলাভাই’। পাকিস্তানী পাস্পোর্টধারী বাঙ্গালীদের (আজকাল আশেপাশে এই জাতের লোকজন দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি) মত খানিকক্ষন আত্মপরিচয় সঙ্কটে ভুগলাম।

আড়চোখে জনকের দিকে চেয়ে দেখি উনার সাড়ে তেত্রিশখানা দাঁতই বাইরে- ব্যাটা ফাজিল! বাড়ি ফিরে লুপ্তপ্রায় আত্মপরিচয় পুনরুদ্ধার করতে সংবিধান খুলে বসলাম, দেখি কোনও সাংবিধানিক পন্থা পাই কিনা এই আশায়। সেখানকার এক রেফারেন্সের পশ্চাদ্ধাবন করতে গিয়ে কোন কুক্ষণে (নাকি সুক্ষণে) জানি ‘আন্তর্জাতিক আইনের মূল দলিল’ খুলে বসলাম। আমার আশা পুর্ণ হল না বটে, তবে পাকিস্তানের দুরাশার ষোলোকলা খুজে পেলাম। এখন ভাদ্র মাস নয়, পৌষ মাস। তবু সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পাকিস্তানিরা কেন অর্শরোগীদের মত ছটফট করছে তার একখানা দুর্দান্ত কারণ চোখে পড়ল। তাই ভাবছি সবার সঙ্গে সেটা শেয়ার করি।

০২।

সংবিধানের সর্বশেষ মুদ্রণটিতে (অক্টোবর ২০১১) একটি জিনিস চমৎকার। এতে সকল সংশোধনীর অতীত-বর্তমান দুটিই গ্রন্থিত আছে। ফলে কখন কোন বেড়াল বদলে কেমন রুমাল করা হয়েছে সহজেই বোঝা যায়। আগের মুদ্রণগুলিতে এই সব ক্ষেত্রে দেখেছি তিনখানা *** দিয়ে বলা থাকত অমুক আইন মোতাবেক বিলুপ্ত অথবা প্রতিস্থাপিত। ফলে পেছনের কথা ভোলা অনেক সহজ ছিল। বর্তমান মুদ্রণের পেছনের কুশীলবেরা বোধহয় একটা ধন্যাবাদ পেতেই পারেন। এই সংস্করণে তাই কোন আমলে কি হয়েছে এই ধোঁয়াশা অনেকটাই পরিস্কার। সেটা দালাল আইন বাতিলকরন হোক, আর নাগরিকত্ব ফেরতের সামরিক ফরমানই হোক। তা সেখানা ঘাঁটতে গিয়েই কিভাবে জানি মন্ত্রমুগ্ধের মত আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত ‘গণহত্যাজনিত অপরাধ নিরোধ ও তার শাস্তি সম্পর্কিত কনভেনশন (Convention on the prevention and punishment of the crime of genocide)’ খুলে বসলাম।

০৩।

এই কনভেনশনটি ১৯৪৬ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে ৯৬ (১) নম্বর সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্থাপিত হয়। এর পটভূমি অংশে সাক্ষী মানা হয়, নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল ও টোকিও ট্রাইব্যুনালকে। অবশেষে, ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ১৭৪ (এ/৮১০) নম্বর সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে কনভেনশনটি গৃহীত হয়। এর প্রথমেই বলাঃ

অনুচ্ছেদঃ ১
চুক্তিকারী পক্ষসমূহ দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যে, শান্তি অথবা যুদ্ধকালে যখনই সংঘটিত হউক না কেন, গণহত্যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি অপরাধ এবং তাহারা (পক্ষসমূহ) উহার নিরোধ ও শাস্তিবিধান করিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পক্ষসমূহের একটি অর্থাৎ পাকিস্তান স্পষ্টতই এই প্রতিশ্রুতির ঘোর বিরোধী। চমৎকার, উহারা অধম বলিয়া আমরা উত্তম হইব না নাকি? আরেকপক্ষ অর্থাৎ বাংলাদেশের কি করণীয় আছে? আসুন দেখি কনভেনশন কি বলে।

০৪।

কনভেনশনে শাস্তিযোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে-

অনুচ্ছেদঃ ৩
নিম্নোক্ত কাজগুলি শাস্তিযোগ্যঃ
ক. গণহত্যা;
খ. গণহত্যা সংগঠনের ষড়যন্ত্র;
গ. গণহত্যা সংঘটনের প্রত্যক্ষ ও প্রকাশ্যে প্ররোচনা দান;
ঘ. গণহত্যা সংঘটনের প্রচেষ্টা;
ঙ. গণহত্যার সহিত সহযোগিতা।

কনভেনশনে আরও বলা হয়েছে-

অনুচ্ছেদঃ ৪
যেসব ব্যাক্তি গণহত্যা সংগঠন করিবে অথবা ৩ অনুচ্ছেদে বর্নিত অন্য যেকোন কাজ করিবে, তাহারা সংবিধান অনুসারে দায়িত্বশীল শাসক হউক অথবা সরকারি কর্মকর্তা হউক অথবা বেসরকারি ব্যাক্তিই হউক, সেই সব ব্যাক্তিকে শাস্তি প্রদান করা হইবে।

খুউব খিয়াল কইরা বাহে, “বেসরকারি ব্যাক্তি”দের ১ জন ইতিমধ্যে গত, আরও অনেকে লাইনে আছে। তারপর কি? অবশ্যই “দায়িত্বশীল শাসক” ও “সরকারি কর্মকর্তা”। আচ্ছা এবার-

অনুচ্ছেদঃ ৫
চুক্তিকারী পক্ষসমূহ অঙ্গীকার করিতেছে যে তাহারা বর্তমান কনভেনশনটি কার্জকর করার জন্য এবং গণহত্যা অথবা ৩ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যে কোনও কাজের ফলপ্রসূ বিচার ও শাস্তি বিধানের জন্য, তাহাদের নিজ নিজ শাসনতন্ত্র অনুসারে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করিবে।

২০ জুলাই ১৯৭৩ তারিখে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত The Bangladesh Gazette Extraordinary আমাদের জানাচ্ছেঃ ১৯ জুলাই, ১৯৭৩ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংসদে “১৯৭৩ সালের ১৯ নং আইন” গৃহীত ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এটিই আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩। অর্থাৎ, আমাদের প্রথম ধাপ আমরা পার করেছি। কিন্তু, তাতে পাকিস্তানের কি? আসুন দেখি।

০৫।

সম্ভবতঃ কনভেনশনের যে অংশগুলো পাকিস্তানের জন্য অতীতে গাত্রদাহের এবং বর্তমানে আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করলামঃ

অনুচ্ছেদঃ ৬
গণহত্যা অথবা ৩ অনুচ্ছেদে বর্নিত অন্য কোনও কাজের জন্য অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিচার, যে রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে সেই কাজ সংঘটিত হইয়াছে সেই রাষ্ট্রের কোনও উপযুক্ত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অথবা এমন কোনও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি ট্রাইবুনালের মাধ্যমে করা হইবে যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট চুক্তিকারী পক্ষ স্বীকার করিয়াছে।

আমরা সেই ভূখণ্ড হলেও পাকিস্তান আমাদের ট্রাইব্যুনাল মানবে না সেটা স্পষ্ট। তাহলে ‘অথবা’ টুকুই ভরসা, কিন্তু ঠিক কিভাবে?

অনুচ্ছেদঃ ৮
যে কোনও চুক্তিকারী পক্ষ জাতিসংঘের উপযুক্ত অঙ্গসমূহকে গণহত্যা অথবা ৩ অনুচ্ছেদে বর্নিত অন্য যে কোন কাজ নিরোধ ও দমন করার জন্য যথোচিত ব্যাবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাইতে পারিবে।

গণহত্যা চলাকালীন তৎকালীন বিশ্বনেতৃবৃন্দের কেউই এই অনুচ্ছেদ যথাসময়ে কাজে লাগিয়েছিলেন বলে খুজে পাইনি। যা হোক আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে-

অনুচ্ছেদঃ ৯
গণহত্যা অথবা ৩ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যে কোনও কাজের জন্য কোনও রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কিত বিরোধসহ, বর্তমান কনভেনশনটির ব্যাখ্যা, প্রয়োগ অথবা প্রতিপালন সম্পর্কিত চুক্তিকারী পক্ষসমূহের বিরোধসমূহ, যে কোনও বিবদমান পক্ষের অনুরোধে আন্তর্জাতিক আদালতে পেশ করতে হইবে।

আমরাও কিন্তু একটি “বিবদমান পক্ষ”, এখন পাকিস্তানের ভয়টা কি শেষকালে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হাইকোর্ট দেখার? নাহলে বড় গলা করে এত চেঁচাচ্ছে কেন!

০৬।

এবারে কিঞ্চিত অফটপিক। প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আজাদ তাঁর প্রবচনগুচ্ছে লিখেছিলেন- ‘... জানেন না কার সঙ্গে শয্যায় যেতে হয় আর কার সঙ্গে পর্দায়’। শেহাব ভাইয়ের গল্পের সূত্র ধরে বাংলাদেশের কথিত দুই বৃহত্তম দলের একটির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি তাদের কৃতিত্বের তালিকায় জ্বলজ্বল করে ঝোলানো* আছে “তথাকথিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি” কে রাজনৈতিক অধিকার প্রদান। এরপরে বড্ড হতভম্ব হয়ে যাই। হয় দলটির হতাকর্তারা জানেনা কার সঙ্গে শয্যায় যেতে হয়, নতুবা টকশো’র টকমারানীরা (যারা বিনা কারনে উক্ত দলটিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের নছিহত করে চলেছেন) তাঁরা জানেননা যে কার সঙ্গে পর্দায় যেতে হয়। এই প্রকাশ্য সত্যভাষনের পরেও কেবল একলা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয় কেন? কেউকি জানাবেন?

(*স্ক্রীনশট নিচে যুক্ত করলাম।)

০৭।

সবশেষে অল্প একটু অনুরোধ। ভাইসব পাকিস্তানীদের কিংবা জামায়াত-শিবিরের মাথায় কিন্তু পৌরাণিক দাজ্জালের মত নাম সীলমোহর করা নেই। আরও ভয়ঙ্কর যে এরা দেখতে অবিকল Homo Sapience এর মতই। এরা ছড়িয়ে আছে আমাদের আশে পাশেই। অফিসে, আদালতে, বাসে-ট্রেনে, চায়ের দোকানে, হাসপাতালে সর্বত্র। এদের বিরুদ্ধে একটাই অস্ত্র বাহে- সেটা সঠিক তথ্য। তাই নিজে জানুন, অপরকে জানান। এদের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের প্রচারণার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে আপনাকেই। অন্য কেউই আপনার সে কাজটা করে দেবেনা। আপনাকে রাইফেল হাতে নিতে হবেনা, গ্রেনেড ফাটাতে হবেনা, মাইন পুঁততে হবেনা। ছোট্ট একটু কাজ। সচেতন থাকুন, সচেতন রাখুন, সর্বত্র-সর্বক্ষণ। আপনার ছোট ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাস্তে-ভাস্তীর ভবিষ্যতের মুখ চেয়ে সেটুকুও কি করবেন না?

[ পুনশ্চঃ আজ বিশিষ্ট লেখক-দার্শনিক-গবেষক সহসচল রায়হান আবীর এবং পার্টটাইম স্থপতি+ফুলটাইম প্রচ্ছদশিল্পী সামিয়া হোসেনের ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি’ তথা শুভবিবাহের প্রথম বর্ষপূর্তি। এই ব্লগটা তাই এক বছরের পুরানো এই নবদম্পতির জন্য। ]

ছবি: 
27/01/2012 - 9:56অপরাহ্ন

মন্তব্য

শিশিরকণা এর ছবি

বিম্পির ওয়েবসাইটের স্ক্রীনশট দকেহে মনে হইল, এরা নিশ্চয়ই এখন হাত কামড়াইতেছে যে ক্যান ভালমানুষি দেখাইতে গিয়ে হাসিনা আর জামাতরে আসতে দিছিল। দুইয়ে মিলে এদের কাছা ধরে টানাটানি করেই যাচ্ছে। এরা না থাকলে এখন এইরকম মিউ মিউ করে টিকে থাকার লড়াই করতে হইত না। খাল কেটে কুমীর আর হাঙ্গর আনছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

খাল কেটে...??? চিন্তিত হুমম... !!!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায় পাঁচতারা। চলুক

বিম্পির এই জামাত নীতির নাম তাহলে জাতীয়তাবাদ?

মাসুদ সজীব

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুঁ...
রা নাহি দেয় রাধা স্টাইলে 'জামাতীয়তাবাদ' এর 'মা' কে মেরে ফেলুন...
ব্যাস খেল খতম !!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

robot  এর ছবি

বিএনপিওয়ালারা প্রায়ই বলে শেখ হাসিনাকে মরহুম জিয়াউর রহমান সাহেব দেশে আসতে দিয়েছিলেন। এইটা দেখলাম বিএনপির ওয়েবসাইটেও আছে। বাংলাদেশের কোন আইনে, কোন আদালতের রুলিংএ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আসা নিষেধ ছিলো। নাকি জিয়াউর রহমান সাহেব বাংলাদেশের রাজা ছিলেন, তিনি যাকে খুশী আসতে দেবেন, যাকে খুশী দেবেন না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কি মুশকিল। এডমিরাল জেনারেল কি খালি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশই করে গেছেন নাকি। ওন্নেক সুইইট ভাল কাজও তো করে গেছেন নাকি... আপনেরা ছিদ্রান্বেষীরা যে কী! সুযোগ পাইলে তো চালুনি কিংবা মশারী তেও ফুটা খুইজা পাইবেন খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

৫ তারা।
"এদের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকমানের প্রচারণার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে আপনাকেই। অন্য কেউই আপনার সে কাজটা করে দেবেনা। আপনাকে রাইফেল হাতে নিতে হবেনা, গ্রেনেড ফাটাতে হবেনা, মাইন পুঁততে হবেনা। ছোট্ট একটু কাজ। সচেতন থাকুন, সচেতন রাখুন, সর্বত্র-সর্বক্ষণ।"
- সেইটাই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নহারা এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

চলুক
পাঁচ তারা দাগালাম।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

শাহেনশাহ জিয়াউর রহমান নিতান্ত দয়াপরবশ হয়ে শেখ মুজিবের কন্যাকে এদেশে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছিলেন! হাঃ হাঃ হাঃ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ছি ছি আব্দুল্লাহ ভাই... নির্দলীয়-নিরপেক্ষ হতে শিখুন... খাইছে ব্যালান্স কইরা যে "তথাকথিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি" কেও ইনি সুযোগ দিছেন হেইডি চাইপা যাইয়েন না... তয় আমার মনে কয়... ওই লাইনডা লেইখা আম্লীগ্রে "স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি" এর বিপক্ষ শক্তির ছাট্টিফিকেট দিয়া ফালাইছে... না বুইঝা হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

খাটাখাটুনি একটা চমৎকার লেখা দাঁড় করিয়েছেন।
আজকাল এরকম লেঘাগুলো প্রত্যেকটাকেই শহীদদের স্মৃতিতে বানানো সৌধ বলে মনে হয়।

শুভেচ্ছা হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

পাঁচতারা পোস্ট।

জামাতীরা ৭৫ পরবর্তী সময়ে কিভাবে ধাপে ধাপে বেড়ে উঠেছে তার একটা টাইমলাইন কি কেউ দিতে পারেন? সাধারণ মানুষের ভুলগুলো কি ছিলো, তা হয়ত আলোচনায় বেরিয়ে আসত। ভবিষ্যতে একই ভুল যেন আবার কেউ না করে, সেটার ব্যাপারে একটা সচেতনতা ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে লেখাটা মূল্যবান দলিল হিসেবে কাজ করত।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
সহমত... ঘাঁটাঘাঁটি করছি, আরাফাত ভাই... দেখি কি করা যায়

আর পিঙ্কু মেডাম ভাল কথা মনে করায় দিছেন... আপাতত ত্রিদেশীয় চুক্তি ঘাঁটি...
সেক্ষেত্রে, দেখি এই পোস্টের ২য় পর্ব করা যায় কিনা...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

ছোট্ট একটু কাজ। সচেতন থাকুন, সচেতন রাখুন, সর্বত্র-সর্বক্ষণ। আপনার ছোট ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাস্তে-ভাস্তীর ভবিষ্যতের মুখ চেয়ে সেটুকুও কি করবেন না? বাঙালী ছোট্ট কাজ করতে পারে-না, তার খুব লাগে; কল্পনাশক্তি যত ছোট-ই হোক না কেন সে নিজেকে যথেষ্ট বড় ভাবে, সবাই নবাব আলীবর্দি খাঁর বংশধর!! আর সর্বত্র সচেতনতা? সে ভণ্ডামি যে-পরিমাণ সচেতনতার সাথে করে, সেই ভণ্ডামি যে পরিমাণ সচেতনতার সাথে লুকিয়ে রাখে তার কণামাত্র যদি এই ছোট্ট কাজটার জন্য করতো তাহলে আজকে দেশে জামাতের এই পরিমাণ সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হতো-না।

লেখাটা ভাল লাগলো খুব।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- তানিম্ভাই...
আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে?

বিদ্রঃ আজকে সুজন সভাপতির বক্তব্য শুনলাম। মূলকথা- সেই ১৯৫ জনকে পাকিস্তানে রেখেই পাকিস্তানকে বিচার করার জন্য বকা দেবার আহ্বান... চিন্তার বিষয়... তয়, তারমানে ১৯৫ জনকে নিয়ে সবাই আগাম চিন্তিত...এইটা খারাপ না... দেখা যাক... ত্যাড়াঘেডি শেখেরবেটীরে লুকজন আগাম ডরাইতেছে বোধহয় হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

শুভবিবাহের প্রথম বর্ষপূর্তি’তে শুভকামনা রইলো সহসচল রায়হান আবীর এবং পার্টটাইম স্থপতি+ফুলটাইম প্রচ্ছদশিল্পী সামিয়া হোসেনের জন্য। মঙ্গল হোক!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক মঙ্গল হোক! হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শব্দ পথিক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, বিএনপি যে মানুষকে সাপের পাঁচ পা দেখিয়ে বেড়ায় সেটা তাদের ওয়েবেই স্পষ্ট। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনীতি করার এবং ক্ষমতায় আরোহনের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে বিএনপি'র নিবন্ধনই তো বাতিল করে দেয়া উচিত।

----------------------------------------------------------------
''বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''-সুকান্ত ভট্টাচার্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

নিরপেক্ষ ভাবেই বলছি, লেখাটা দারুণ হয়েছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনারা তো ৭৫ এর পরের সময়টা স্বচক্ষে দেখেছেন, লিখুন না সে সময়টা নিয়ে...ওপরে ইয়াসির আরাফাত ভাইয়ের কথার সূত্র ধরে বলছি... ব্যাপারটা অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য হত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

এটা আগেই পড়েছি, মন্তব্য করিনি। মহান নেতারে নিয়ে কিসব বলাবলি সহ্য কর্বোনা একদম! এনশাল্লাহ সম্পূর্ণ রঙিনভাবে আগামি ২৯ তারিখে ঢাকার সবকয়টি প্রেক্ষাগৃহে আসিতেছে, ' মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' ধুম৩ থ্রির রেকর্ডের মুখে ঝামা ঘষে ভারতীয় মোড়লিপনারে কেমন কাঁচকলা দেখায় দেখবেন খালি শয়তানী হাসি বী রেডি! বী সেইফ!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হু, রুশ-ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার, সাবধান! খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

ম্যাঁও

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই কালা বিলাইডার মানে কী, আসলে? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।