স্টারবাক্স-এ কফি খেতে গিয়ে আগে একবার খুবই বেকুব হয়েছিলাম। অনার্য সঙ্গীতের ভাষায় বললে 'কুত্তামারা' কফি। ওদিকে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেছে সেই কফি কিনতে। এত বড় এক মগে দিয়েছে যে খাবো না গোসল করব সেটাই বুঝতে পারছি না। অর্ডারের সময় সাইজের অপশন ছিলো তিনটা। সবচেয়ে বাম দিকে লেখা 'tall' মানে লম্বা। তাই সেদিকে না গিয়ে, আমি সবচেয়ে ডান দিকের অপশনটা অর্ডার দিলাম। ভাবলাম ওদিকে নিশ্চই 'শর্ট' বা ছোটোখাটো টাইপ কিছু
যে ব্যাটা চিরতরুণ সে যদি নিজেকে চির তরুণ ভেবে বসে তাহলেই যত বিপদ। কারো কাজকর্ম দেখে অন্যরা সবাই যদি তাকে চিরতরুণ খেতাব দেয়, তাহলে ব্যাপারটা ভুল হলেও ঠিক আছে। তবে আসল কথা হলো, বয়স বাড়লে আমরা বুড়ো হই। সে শরীরে বলেন, বা মনে। ব্যাপারটা মেনে নেওয়া স্বাস্থ্যকর। আমার আবার বুড়ো হতে ভালো লাগে না। তাই যখনই বয়স বাড়ার ব্যাপারটা মনে আসে অমনি নিদারুণ একটা মর্মবেদনায় পীড়িত হই। কিন্তু সারা বছর এসব দুঃখ-বেদনা অবজ্
কী যেন বলে অনুভূতিটাকে? নস্টালজিয়া। যতবারই বাঁশির সুরে শুনি ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে...’ ততবারই অব্যর্থ ভাবে আক্রান্ত হই নস্টালজিয়ায়। এইতো গতকালই চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে হঠাৎ চলে গেলাম বিটিভি তে। সেখানে হচ্ছে ‘মাটি ও মানুষ’। আমার ছোটো বোন, এই সেইদিন যার জন্ম হলো, সেও নাকি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত, এর সূচনা সংগীত শুনে! বিটিভিতেই থিতু হলাম তাই। এবারের পর্ব মধু চাষীদের নিয়ে।
হলে থাকতে প্রতি মিলেই কমন আইটেম ছিলো মুরগি- একটুকরো মাংস, একটুকরো আলু, আর কিছুটা ঝোল। ঝোল মানে হলুদ গোলানো পানি আরকি। বছরের পর বছর সেই মুরগি খেতে খেতে আরেকটু হলেই আমার মুরগির মত পাখনা গজিয়ে যাচ্ছিলো। তবে সে যাত্রা রক্ষা হয়েছে। পাখনা গজায়নি। কিন্তু শেষ রক্ষাও হয়নি পুরোপুরি। বাসায় বলুন, চাঙ্খারপুলের রেস্তোরাতেই বলুন, বা অন্য কোথাও- মুরগির মাংসের সেই হলুদগোলানো ঝোলের সাথে আদা, জিরা আর বিভিন্ন গরম মশল
ঘড়িতে বাজে নয়টা নয়। সকাল। একটু আগে মশাড়ির ভেতর থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হয়ে হাঁটু মুড়ে বসেছি একটা কাঠের চেয়ারে। সামনে খোলা ল্যাপটপ। লিখতে হবে কিছু-মিছু। শেষ রাতের দিকে যে মশকীরা আমাকে রীতিমত চ্যাংদোলা করে উড়িয়ে নিয়েছিলো মশাড়ির ভিতরে তারা এখন বাড়ি ফিরেছে। অলস ভঙ্গিতে ডিমে তা দিচ্ছে মনে হয়। কাঠের চেয়ারটা মাঝে মাঝেই বাতের ব্যাথ্যায় কেমন যেন কট কট করছে। বৃদ্ধ চেয়ার। আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি হিসাব করে দ
১. নায়ক
এখানে আমার গবেষণাগার থেকে সমুদ্র দেখা যায়। সমুদ্রে জাহাজ, জেলে নৌকা, আরো কত কী! সেদিন তার সাথে যোগ হলো একটা রংধনু। সমুদ্রের একটা জাহাজ ঘেষে উঠে, আকাশ ছুঁয়ে হারিয়ে গেছে পাশের একটা পাহাড়সারির পিছে। এখানে সাগর পাড়ে টিলার উপর জাহাজের ডেক আকৃতির একটা ক্যান্টিন আছে। নাম ‘দ্য ডেক’। আমি দ্য ডেকের ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। সমূদ্রের ওদিক দিয়ে রংধনু ছুঁয়ে বাতাস আসছিলো। হঠাৎ ছোটোব ...
ছোটোবেলায়, আমার বাড়ির সামনে শিউলিগাছ ছিলো একটা। গাছটার মাথা খারাপ। সারাবছর ফুল হতো তাই। আর সেই গাছের নিচ দিয়ে যারা হাঁটতো তাদেরও মাথা খারাপ করে দিতো। তারপর একবার বন্যায় ডুবে গাছটা মারা গেল।
এই গল্প অবশ্য তার মৃত্যুর আগের। শিউলিতলায় তখন সাদা সাদা ফুলগুলো ছড়িয়ে থাকতো। আর থাকতো তাদের জাফরানি ডাঁটি। তবে সেই ফুল আমাদের কোনো কাজে লাগতো না। নীলাদের অবশ্য কাজে লাগতো। খুব সকালে ও আসত ...
না এই দর্শন মানে ফিলসফি না। দেখা। দুদিন আগের ঘটনা। ল্যাব থেকে বেরুতে একটু দেরী হয়ে গেছে। ৯৬ নাম্বার বাসে করে এসেছি ক্লেমেন্তি স্টেশনে। উপরে উঠলেই এম আর টির (নগর-রেল) প্লাটফর্ম। তবে সম্ভাবনা আছে লাস্ট ট্রেন মিস করার। তাই হেঁটে পাশেই বাস টার্মিনালে চলে গেলাম। ৯৯ নাম্বার বাসটা আমার বাসার ওদিক দিয়ে যায়। চলেও অনেক রাত অবধি। দেখি পাই কিনা। সামুয়েল বাটলারের প্রায়আত্মজীবনীমুলক উপন্য ...
আমি যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে ঢাকায় আসি তখন এক বাসায় উঠেছিলাম। সাবলেট। তো সেই বাসায় ঢুকতেই যে জিনিশটা প্রথমে খেয়াল করেছি সেটা হলো, আন্টি খুবই সুন্দর। মানে অতিবরূপবতী টাইপ আরকি। তো আন্টির বাসায় আন্টির বোনেরা বেড়াতে আসে। তারাও অতিবরূপবতী। তাদের যে আত্মীয়স্বজন, গ্রাম সম্পর্কের পরিচিত লোকজন সে বাসায় বেড়াতে আসে; তাদের মধ্যে যারা নারী তারাও দেখি সুন্দর ...
আজ রাতেই করলাম কলিজা ভুনা। গরুর কলিজা। একটু আগে সবাই মিলে খেয়ে-দেয়ে এই রেসিপি ব্লগ লিখতে বসেছি। সঙ্গে আছে তিলের খাজা। ভিয়েতনামি। তেমন স্বাদ না। দুয়েক কামড় দিচ্ছি আর লিখছি। তবে পাঠক, ভয়ের কিছু নেই। কলিজা ভুনা করা দারুণ সহজ। রীতিমত ‘আনাড়িবান্ধব’!
আমরা আনাড়িরা রান্নার সময় একটা জিনিশে ভয় পেয়ে যাই। ভাবি মশলা-পাতি কী না কী দেব। কোনটা বেশি হবে কোনটা কম হবে সব মিলিয়ে সর্বনাশ! এবং কোন ...