আজ একটু ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কম্প্যুটারটা অন করার পর অপেক্ষা করছি। অনীল এল হঠাৎ। অভিযোগ করে, আমি নাকি আদিবার সাথে তার সম্পর্ক ঠিক করে বলতে পারিনি। জায়গাটা আবার লিখতে হবে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে ওয়ার্ডের ফাইল খুলি। সীমার কিছু কথা ছেটে ফেলে দিই। একটু ডিটেইল করি অনীল আদিবাকে। লেখা শেষে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি সীমা অনীল আর আসে নি।
দুপুরে বাসায় কেউ ছিল না। মাথাটা একটু ব্যথা করছিল। শুয়ে ছিলাম। আমার গল্পে এক সৈন্যের কথা আছে। আমিন। গল্পে লেখা – একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে সে মাত্র ফিরেছে। আমার মুখের ওপর টেনে রাখা কাঁথা সরিয়ে আমিন বলে- বস্, আমার আর মানুষ অইয়া থাকবার মন চায় না। আমারে সাপ-খোপ গিরিগিরি-টিকটিকি কিছু একটা বানায়া দ্যান। মানুষ অইয়া থাকন বড়ই ভ্যাজালের।
মন্তব্য
"গল্প" ট্যাগ দিয়েছেন কারণ এইটা নিজেই একটা গল্প, নাকি গল্প নিয়ে ব্লগাইছেন বলে? প্রথমটা সত্য না হয়ে থাকলে স্বত্তর গল্পটা ছাড়ুন - তা না হলে লিখতে বসুন। অপেক্ষায় রইলাম।
গরুর গাড়িটা তুলেই দিলেন তবে!!
নিজেই একটা গল্প।
অদ্ভূত সুন্দর তিলগপ্পো
মানুষ অইয়া থাকন বড়ই ভ্যাজালের।
চারপাশে যা হচ্ছে, মানুষ হয়ে থাকা আসলেই দায়।
সেপ্টেম্বর ১১ সিনেমাটা কি দেখছেন? ইমামুরার অংশটা পারলে দেইখেন।
হুম ইমামুরার ভাবানুবাদ হল।
-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়
ভাল বলছেন।
অভিনব!
আরে না।
অনেক টুকুন গল্প চাই।
আমি কিন্তু আপাদমস্তক গল্পের অপেক্ষায় আছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যান দিমু নে একটা।
ভালোইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখকরা অন্তর্যামীর খালাতো ভাই, ওদের ক্ষমতা প্রায় ঈশ্বরের কাছাকাছি। ঈশ্বর যেমন সব প্রার্থনা "approve all" করেন না, তেমনি লেখকরাও বেশ নিষ্ঠুর হয় অনুরোধ রক্ষার বেলায়।
ভালো লাগে তোমার টুকুন গল্পগুলো শুভাশীষ। এখনো ভোটাধিকার নেই, কিন্তু কমেন্টাধিকার আছে, তাই জানিয়ে দিলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলে লেখালেখি কমেন্টানো জারি রাখলে অচিরেই সব অধিকার পাইয়া যাবেন।
গল্পের ট্রেইলার ভাল পাইলাম। মূল গল্প নিয়ে মূলা না ঝুলিয়ে ছেড়ে দেন
আহারে মূলা খাই নাই কতদিন। মনডাই খ্রাপ কইরা দিলেন।
চমৎকার কুট্টিগল্প। চরিত্ররা এসে লেখকের সঙ্গে কথা কইছে এরকম এরকম আঙ্গিক অবশ্য আগে দেখেছি শরদিন্দুর গল্পে, আরো কারু কারু গল্পে।
আপনি চালিয়ে যান, পড়ছি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শরদিন্দুর কোন গল্পে?
গল্পটার নাম 'চরিত্র' (নাকি 'প্রিয় চরিত্র'?)। তুলিরেখা কী আশ্চর্য জানেন, আমারও ঠিক শরদিন্দুর ঐ গল্পটার কথাই মনে পড়েছিলো এটা পড়তে পড়তে!
ভালো লাগলো। খুব ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম।
ভালো লাগলো। কিন্তু শেষের অনুচ্ছেদ (কিংবা গল্পটারই শেষ নিয়ে) কিছুটা খাপছাড়া লাগলো।
আমার অবশ্য ছোট গল্প বেশ ভালো লাগে, একটা চমৎকার ঝরঝরে, নির্মেদ, কম্প্যাক্ট ভাব আছে। লিখতে থাকুন আরো
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি দেখি সবজান্তা মন্তব্য করছে। দ্যাটস অল।
আমি দেখি সবজান্তা মন্তব্য করছে। দ্যাটস অল।
বেশ ভাল্লাগলো
চরিত্রগুলোর সাথে আড্ডাবাজি চালিয়ে যান,
এ আড্ডাবাজি বেশ মজারই বটে...
---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ঠিকাছে চালাব।
টুকুন গল্প ভাল লাগল।
ইন্টারেস্টিং... ছফাগিরির মত প্রচুর পরিশ্রমে তৈরী করা লেখার সাথে একই সমান্তরালে এই টুকুন গল্প।
এভাবেও গল্প বলা যায় আলবাত।
সুন্দর হচ্ছে, এগুলোকে বলতে পারি আত্মকথন। অনুগল্পের মাঝেমাঝে, সামনে কি আসছে, আর লেখক কি ভাবছে, সেটাও বেশ মজার গল্প।
ভালো লেগেছে।
পড়তে খুবই ভাল লাগলো।
এরকম একটা নাটক দেখেছিলাম আগে। লেখক নিজ সৃষ্ট চরিত্রের সাথে কথা বলে, যাপন করে। নাটকের নাম ভুলে গেছি, বিটিভিতে দেখিয়েছিল।
আপনার গল্পের শেষ লাইনটাই প্রধান। মনে হচ্ছে এই লাইনটা মাথায় রেখে গল্প ফেঁদেছেন! ভালো লাগল।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
শেষ লাইনটা অবশ্যই গুরুত্বের।
হ! ঠিক কইসেন ভাই।
---- মনজুর এলাহী ----
হ
লেখকের সাথে চরিত্রের কথা হওয়া নিয়ে অসংখ্য গল্প, উপন্যাস আর চলচ্চিত্র আছে... এ মূহুর্তে একটা জার্মান সিনেমার কথা মনে পড়ছে, যেটায় গল্পের প্রধান নারী চরিত্র এসে লেখকের প্রেমে-টেমে পড়ে যায় এরকম। নামটা মনে করতে পারছি না। তবে ছবিটায় সাকুল্যে চরিত্র ছিলো ওই দুটোই।
এইটার চেয়ে আপনার আগের টুকুন গল্পগুলো বেশি ভালো লেগেছিলো, বা বলা যায় এটার শেষটার চেয়ে ওগুলো আরও ভালোভাবে শেষ হয়েছিলো।
তবুও খারাপ লাগেনি। আরও আসুক।
আমি অবশ্য ‘এ টেল অব লাভ এণ্ড ডার্কনেস’ নিয়ে আমোজ ওজের সাক্ষাৎকারে কথোপকথনের এই ধরণ জেনেছিলাম। সাপ- গিরগিটি হয়ে যাওয়া বা খায়েশ করা ও নতুন কিছু না। ইমামুরার সিনেমার কথা তো ওপরেই বললাম।
ইমামুরার স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটা দেখে এইরকম একটা গল্পের কথা অনেক আগে মাথায় এসেছিল। সীমা মেয়েটা চঞ্চল। অবিরাম বকবক করে। অনীলের সাথে আদিবার দাম্পত্য প্রায় ফ্রিজড। আদিবার বোন সীমা। সীমার সাথে বিয়ে ঠিক হয় এক যুদ্ধফেরত আর্মি অফিসারের। বলা নেই কওয়া নেই, বিয়ের আগের রাতে আর্মি হবুবর সাপের মত গড়িয়ে চলতে শুরু করে।
আর আমার কাঁথা কিন্তু সত্যি কেউ একজন সরিয়েছে। কসম।
আমি লেখার অরিজিনালিটি নিয়ে বলিনি আসলে। ওপরে অনেকেরই অনেক গল্প-উপন্যাস-সিনেমার কথা মনে হয়ে যাচ্ছিলো, আমিও সেই আলোচনায় অংশগ্রহন করলাম আর কী। সূর্যের নীচের পুরনো হয়ে যাওয়া জিনিসগুলো নিয়ে নতুন করে লেখাতেই লেখকের কৃতিত্ব, আর সেটা আপনাকে পুরোপুরিই দিয়েছি। কিন্তু আগের মন্তব্যে হয়তো সেটা বোঝাতে পারিনি।
আমার মন ভরেনাই...
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
এই রকম কথোপকথন ভাল লাগে!
লেখা ভাল লাগল ।
বোহেমিয়ান
বড্ড ভাল৷
এ: আপনার এই সারি সারি গল্প দেখে আমারও একটু একটু লিখতে ইচ্ছে করছে৷
কি চাপ!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমার মন ভরে নাই, ভাই।
নতুন মন্তব্য করুন