চাপ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ২১/০৩/২০১০ - ৬:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মোহাম্মদপুরের মোস্তাকিমের চাপের দোকানে বিকালে ভীষণ ভিড় থাকে। রয়েল কোনমতে একটা চেয়ার পায় কোনার চিপায়। এক প্লেট মগজ আর লুচির অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করে। এই শালার বিহারীগুলো বেজায় নোংরা। ময়াম হাতের ঘাম আর রাস্তার ধুলোয় কালচে হয়ে গেছে। বাসি তেলে মগজ ভাজার ঝাঁঝালো গন্ধে ভেতরে বসা কষ্টদায়ক হয়। অথচ টক নামের থিকথিকে পানিতে লুচি চুবিয়ে মগজ গালে পুরলে স্বাদগ্রন্থি বেবাক কিছু ভুলে প্রফুল্ল হয়। আরো এক হাফ মগজ আর লুচির অর্ডার দেয়া হয়ে যায়।

রয়েলের এক চাচাকে একাত্তরে এই বিহারীগুলা জবাই করেছিল। তার দাদীর চোখের সামনে। বোবা হয়ে তিনি সেই শোক ধরে রেখেছেন। ছোটবেলা থেকে সে দেখে আসছে দাদীর চোখের কোনা ভেজা থাকে। একটা অশ্রুগ্রন্থি দিনের পর দিন অশ্রুর যোগান দিতে দিতে নিঃশেষ হয় না কেন –এই জাতীয় প্রশ্নগুলো ছোটবেলায় মাথায় বাড়ি দিলেও ইদানীং থিতিয়ে এসেছে। চাপের দোকান থেকে বেরিয়ে রয়েল দেখে সন্ধ্যা প্রায় হয়ে আসছে। বিহারীদের ন্যাংটা হাফ-ন্যাংটা পিচ্চিদের একটা দঙ্গল একসাথে সামনে মার্চ করে করে চলে যায়। সামান্য এগিয়ে একটা রিকশায় উঠতে গিয়ে ‘কাহাঁ জানা হ্যায়’ প্রশ্ন শুনে রয়েল থমকে যায়। ‘কি কইলি তুই’? ‘কহো, কাহাঁ জানা হ্যায়’। ‘আবে খানকির পোলা বাংলায় কইতে পারোছ না।’ অনেক জোরে রিকশাওয়ালাকে চড় দিতে গিয়ে চড় ফসকায়। হাত গিয়ে লাগে রিকশার খুলে রাখা হুডে। প্রচণ্ড ব্যথায় নীল হয়ে বসে পড়তে গিয়ে গিয়ে দেখে বিহারী রিকশাওয়ালা রিকশা নিয়ে ভেগে যাচ্ছে। পেট ও গুলিয়ে ওঠে। ভেতর থেকে একটানে সব মগজ লুচি নিকষ বমি হয়ে বেরোতে থাকে রয়েলের মুখ দিয়ে।


মন্তব্য

দুর্দান্ত এর ছবি

হামনে পুছা কিধার যায়েঙ্গে
এটা পশ্চিমা হিন্দি।
বিহারীরা বলবে 'কহো, কাহাঁ জানা হ্যায়'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিক কর্তেছি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রয়েলতো তবু বমি করতে পেরেছে। আমরাতো দিব্বি হজম করে ফেলি আবার অন্যকে দাওয়াতও দেই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

টুকরো চিন্তা। খিদা মেটেনা। আরেকটু যত্ন করে বড় গল্প লিখুন প্লীজ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বালক এর ছবি


টুকরো চিন্তা। খিদা মেটেনা। আরেকটু যত্ন করে বড় গল্প লিখুন প্লীজ।

কথাটি আমারো।
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বড় গল্প লেখা ধইরযে কুলায় না। যাউগ্‌গা তাও একটা লিখুম।

তারানা_শব্দ এর ছবি

হুম!!! এই মোস্তাকিমের জন্য রাস্তাটায় সন্ধ্যার পর এতো জ্যাম লেগে থাকে যে হাঁটাচলা করাই মুশকিল!

বমির কথা পড়লে বা শুনলে আমার ও বমি পায়! মন খারাপ

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আগে কন, মোস্তাকিমের চাপ খাউনের শখ আছে নাকি?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোই লাগলো, আরেকটু বড় করা যায় না? মোস্তাকিমের চাপ খাওয়া কি এর পরও কমবে? সুযোগ পেলেই কী আমরা চেটে দেখি না? আমরা কী পেরেছি পাকিস্তানি পণ্য বর্জন করতে? আগে আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, তারপর বিহারী, পাকিস্তানিদের গালি দিলে কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয়ে লেখার জন্য।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাহ্‌ আপনি - অনেকদিন পর? কেমন আছেন?

দ্রোহী এর ছবি

দুর্দান্ত একটা প্লট কিন্তু গল্পটা অনেক ছোট হয়ে গেছে। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো; তবে আসলেই গল্পটা অনেক ছোট হয়ে গেছে হাসি

"মুক্ত বিহঙ্গ" [অতিথি লেখক]
মোঃ জিয়াউর রহমান ববি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কেনো জানি মোহাম্মদপুরের ঐ এলাকায় চাপ, টাপ খাওয়ার কোনো আকাঙ্খা হয় নাই কখনোই। বন্ধুরা প্রায়ই বলতো, এক সন্ধ্যায় গিয়েছিলামও কিন্তু খেতে পারি নাই কিছুই। আমার জন্য আসলে ফার্মগেটের ব্রীজের নিচে বেঞ্চ বিছানো অথবা শাহবাগ মোড়ের পূবালি ব্যাংকের সামনের ভ্যানগাড়ির লুচি পরোটাই বেস্ট।

চুল কাটাতাম মিরপুর রোডের লর্ডসে। কানের কাছে কতোগুলা মানুষ বিজাতীয় ভাষায় কিচির মিচির করতো, এটা শুনতে ভালো লাগতো না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি ও বাটে পড়ে এক দুইবার কাটাইছি। ওগো ভাষা বুঝতাম না।

মনামী এর ছবি

আর কোনো ছুতো নয়, সবক্ষেত্রে, সবভাবে বিহারী,পাকিস্তানি বর্জন করতে হবে। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

দুর্দান্ত এর ছবি

বিহারী,পাকিস্তানিদের মধ্যে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, তাদের ও বর্জন করবেন?

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

আমারও একই প্রশ্ন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এর কোন লিস্ট কি আছে?

অতিথি লেখক এর ছবি

একজনের কুকীর্তির দায় কি তাঁর নাতি নাতনি বয়ে বেড়াবে??? সব বিহারীদের যদি বর্জন করা হয়,তা কি মানবিক হবে!!! অমানবিক...

-স্নিগ্ধা করবী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একজনের কুকীর্তির দায় কি তাঁর নাতি নাতনি বয়ে বেড়াবে???
গো আজম, ম র নিজামী, মুজাহিদ রাজাকার— এদের নাতি নাতনির ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

আপনার অভিমত জানার আগে আমার নিজেরটা জানিয়ে দেই। এদের সহমতের নাতি-নাতনিই খালি না, এদের সমমনা চৌদ্দ গোষ্ঠী এমনকি যারা এই চৌদ্দ গোষ্ঠীর কাউকে "বেনিফিট অব ডাউট" দিতে চায় কিংবা দেয়ার মনোভাব ব্যক্ত করে তাদেরকেও গো আজম, মইত্যা-মুজা রাজাকার— এদের সবার কুকীর্তির দায় বয়ে বেড়াতে হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মতটা বোঝাতে হয়ত আমি পুরোপুরি সক্ষম হই নি দাদা। যারা ওই সব চিন্তা নিয়ে বেঁচে আছে,দাদার সহমতে বিশ্বাসী,তাদের 'সাইজ' করার ব্যাপারে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু আমরা যদি ঢালাও ভাবে এরকম কিছু করতে যাই,তাহলে নির্দোষ মানুষও ভুগবে...এটাই বলতে চেয়েছিলাম।

-স্নিগ্ধা করবী

দুর্দান্ত এর ছবি

"এদের সহমতের নাতি-নাতনিই খালি না, এদের সমমনা চৌদ্দ গোষ্ঠী এমনকি যারা এই চৌদ্দ গোষ্ঠীর কাউকে "বেনিফিট অব ডাউট" দিতে চায় কিংবা দেয়ার মনোভাব ব্যক্ত করে তাদেরকেও গো আজম, মইত্যা-মুজা রাজাকার— এদের সবার কুকীর্তির দায় বয়ে বেড়াতে হবে।"

সহমত। বিহারীদের একটি অংশকে ৭১ এ তাদের নীচ ও অমার্জনীয় ভুমিকার জন্য শাস্তি পেতেই হবে। তাদের সেই ভুমিকাতে যারা কোন অসুবিধা দেখে না, তাদের আম ঘৃণা করি।

কিন্তু বিহারী হলেই রাজাকার, আর জেনেভা ক্যাম্প থাকলেই তাকে ঘৃণা করা যায় - এগুলো কেমন কথা? ৭১ এর রাজাকার প্রজন্ম আর জেনেভা ক্যাম্পে স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশ প্রশ্নে কোন পরিবর্তনে কি আসতে নেই? আমি চাইনা একটি গোষ্ঠী প্রজন্মান্তরে শুধু আমাদের ঘৃণার পাত্র হবার জন্যই টিকে থাকুক। রাজাকার বিহারী বাবা-মায়ের যে সন্তান বাংলাদেশকে ভালবাসে, তাকে আমি বাহবা দিতে চাই। যে বিহারী ১৯৭১ তাদের পূর্বপুরুষের ভুমিকার জন্য লজ্জ্বিত, যে তার ছেলেমেয়েদের বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভালবাসতে শিখিয়েছে, তাদের কি হবে? বিহারী ক্যাম্পে যে শিশুটি আজকেই জন্মালো, যে শিশুরা সেখানে রাস্তার ধারে ন্যাংটো হয়ে হাঁটছে, তাদের সাথে ঢাকার বস্তিবাসী অন্যান্য শিশুর অধিকারগত পার্থক্য করে দেয়াটাকে আমার একটি অপরাধ মনে হয়। একটি শিশুকে আমি কিভাবে ঘৃণা করবো?

রাজাকারের বিচার চাই। কিন্তু একটি গোষ্ঠীকে শুধুমাত্র তাদের পূর্বপুরুষের কুকীর্তির মাপে চিহ্নিত করে তাদেরকে ঢালাওভাবে ঘৃণা করা যায় - এমন ধারনার প্রচার যেন না হয়, সেদিকেও যত্নবান হওয়ার অবকাশ আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। এ কথাটাই আসলে বলতে চাইছিলাম।

-স্নিগ্ধা করবী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দুর্দান্ত,

জানি না গল্পটা বলার ভঙ্গি অস্পষ্ট কিনা। একাত্তরে কারো চাচাকে বিহারীরা মেরে ফেললে সে যদি সব ভুলে তাদের দোকানে লুচি-মগজ খেতে যায়, তাহলে এই গল্প লেখার প্রয়োজন আছে। বিহারীদের প্রতি ঘৃণা গল্পে প্রায় অনুপস্থিত। আমাদের ভুলে যাওয়ার খাসলত গল্পে মূখ্য। রয়েল হয়ত বমি করে। কিন্তু পরদিন স্বাদগ্রন্থির টানে আবার যে চাপের দোকানে যাবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

সাবিহ ওমর এর ছবি

লবঙ্গের উপ্রে একটা জেক্স সেলুন আছে না, আমি ওখানে চুল কাটাতাম। ওখানকার সবগুলা বিহারী ভোটার, বুঝেন অবস্থা!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

---

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

শুভাশীষের এই টুকুন গল্পের ধারাটা ব্লগ-মাধ্যমের জন্য আমার বেশ লাগে। নতুন মাধ্যমে নতুন আর্ট-ফর্ম নিয়া একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলুক না! উপন্যাসের ফুল-মিলের পাশে ছোটগল্প যদি একপ্লেট চটপটি হয়, টুকুন-গল্প নাহয় এক-চামচ চাটনিই হল।

তবে এই গল্পটা নিয়া একটা কথা - ছফাশীষের টুকুন-গল্পের চাটনিতে জাতীয়তাবাদী কেওড়ার জল কিন্তু তেতো ঠেকল মন খারাপ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার এই টুকুন গল্পের ধারায় আপনার আস্থা দেখে ভাল লাগল।

জাতীয়তাবাদী কেওড়ার জল ঢালা ছফাশীষের না মানালেও শুভাশীষ এক দুই জায়গায় এটা না করে পারে না। কারণ অনুমেয়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমার মত আবাহনী মাঠের চাপ খান, মোস্তাকিমের উপরে চাপ কমান চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দ্রোহী-স্বপ্নেরা এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে।মোস্তাকীম এর কথা বন্ধুদের কাছে অনেক শুনেছি কিন্তু চেখে দেখা হয়নি কখনো।

গল্পের প্লট টা দারুণ তবে একটু যেনো হিটলারি হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বমি করা হিটলারি মনে অইলে আর কি কইবাম।

স্নিগ্ধা এর ছবি

কোনভাবে ধৈর্য টৈর্য বাড়ায় টাড়ায় যদি একটা বড় গল্প লেখা যেতো ...... হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দিদিভাই,

আর ধইরযো।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

টাইম পাস গল্প - আপনের লেখার হাতে জং ধরছে। হুমায়ুন আহমেদ হইয়া যাইতাসেন - প্রথম দিকে বোমা মাইরা পোস্ট দিতেন - অখন ঘাস কাটার লেংচি লইয়া দৌড়া-দৌড়ি করতাসেন। পবল ধিক্কার!
auto

মামুন হক এর ছবি

ভাগিনা তুই তোর মামুর দোস্তরে এমুন পচাইলি?! তোরেও ধিক্কার আর ভূমিকম্প মাছের দো পেয়াজার আধাবাটি কাটা গেল হাসি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আয় হায় - আমি তো ভাবছিলাম পোস্টারের শৈল্পিকতা দেইখা আরো এক বাটি বাড়াইয়া দিবেন ওঁয়া ওঁয়া
auto

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার উপর আবুর চ্যাঁতসে। দেঁতো হাসি

বিকল্প এর ছবি

দেশপ্রেমিক হতে গিয়ে Racist না হওয়াটাই কাম্য। আর ওয়াইল্ড-স্কোপ ভাইকে বলছি নিজের ধর্মের প্রচারক নিয়ে এরকম Poster নিয়ে কেউ সচলায়তনে লিখলে সেটা নিতে পারবেন?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রেসিজমরে আমিও যমের লাহান ডরাই।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

পয়েন্ট নোটেড - মডুদের উপরোক্ত সকল আমার মন্তব্য এবং পোস্টার মুছে দিতে অনুরোধ করছি

বিকল্প এর ছবি

ধন্যবাদ ওয়াইল্ড-স্কোপ।ভূল আমরা সবাই করি। কিন্তু সেটা বুঝতে এবং শুধরে নিতে পারাটা জরুরী।
শুভাশীষের মূল লেখাটাতে একটা প্রচ্ছন্ন জাতিবিদ্বেষ এর সুর আছে। পাকিস্তনীদেরকে নিয়েউ এরকম লেখা আগে অন্যদেরকে লিখতে দেখেছি। সহমত হতে পারিনি। এইভাবে ভাবলে নিজেকে কেমন জামাতীদের মতই দেখায়।আমরা ওদের থেকে আলাদা সেটা প্রতিফলিত হোক আমাদের কাজে এবং চিন্তায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দুর্দান্তকে করা প্রতি-মন্তব্য দেখতে পারেন।

সংসপ্তক এর ছবি

কি কমু। আগে ব্যাপক খাইতাম, আপনি তো জানেন ই। এখান যাই না, সেটাও চাপের টেইস্ট গেসে অখাদ্য হয়া তাই। খুব কঠিন বিষয়। ১৫ বছর ভাড়া ছিলাম এক বিহারীর বাড়িতে, অসাধারণ ভালো মানুষ ছিলেন সেই বুড়া ভদ্রলোক, কিন্তু একাত্তর এ কি ভূমিকা ছিল কোনদিন জানা হয় নাই। যত দোকানে চুল কাটাই, সব বিহারী নাপিত। গাড়ির মিস্তিরি ও। মোহাম্মদপুর এলাকাই এমন। আব্বা মুক্তিযোদ্ধা, তাই সেই আমার এইসব ব্যাপারে বেঞ্চমার্ক...তার কথা হইলো এরাও যুদ্ধের পর যথেষ্ট সাফার করসে, অনেকেরেই হত্যা করা হইসে, বাড়ী-জমি মোটামুটি সবি হারাইসে, অখন এরা নিজদের সারভাইভাল নিয়াই যথেষ্ট গ্যাঞ্জামে আসে - থাকে ক্যাম্পে ড্রেনের উপর; পানি-আলোর ঠিক নাই, ভবিষ্যত বলেও কিসুই নাই।

এদের চেয়ে, জামাতি শুয়ার দমন অনেক বেশি জরুরি মনে করি। দেশের মানুষ মাইরা যাইতেসে এখনো, এখনো কোটি কোটি টাকার গাড়িতে চইরা বয়ান কইরা যায়,মন্ত্রী-মিনিষ্টার হয়, ১৪ই ডিসেম্বরে মিলাদ ডাইকা শহিদের মাগফেরাত কামনা করে!! এই শুয়ার জবাই দেয়া এই মুহূর্তেই প্রয়োজন।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

জামাতি শুয়োর জবাই দেয়া আসলেই দরকার।

বিহারীদের নিয়া যা বলছো তার বিপরীতেও অনেক কথা আছে। জানোই তো সব।

গল্পটার টুইস্ট অনেকেই খেয়াল করছেন না। ন্যাংটা, হাফ ন্যাংটা পিচ্চি, ময়ামে ময়লা - এগুলো নজর এড়াইয়া গেছে অনেকের।

আমরা বেবাক ভুইলা যাই। চাপ খাইতে থাকি। বড়জোর বমি করি। বাদবাকি সবে জনতার কিছু করার নাই, সেখানে রাজনীতি।

আর অর্ক, তুমি লেখালেখি বাদ্দিলা ক্যান?

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। 'জামাতী'-গুলারে ধইরা...

-স্নিগ্ধা করবী

লাবণ্য [অতিথি] এর ছবি

এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। আমরা বাংলাভাষীরা পরদেশে এসে পরবর্তী প্রজন্মকে আমাদের নিজস্ব ভাষা/সংস্কৃতি অভ্যাস করাতে গলদঘর্ম হয়ে যাই। খুব কম বাবা-মাই পারে এতে সফল হতে। শনি-রবি বার বাচ্চাদের নিয়ে বাংলা স্কুল, নাচগানের স্কুলে যাওয়া আসা করতে করতে বাবা-মাদের বারোটা বাজে। দেশে নিশ্চয়ই ঊর্দু স্কল নেই। অথচ এই বিহারীরা কি ভাবে এত বছর পর্যন্ত তাদের আদি ভাষা মনে রেখেছে! দেশভাগের পর এখন নিশ্চয়ই চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্ম চলছে। আর এখানে দেখি দ্বিতীয় প্রজন্ম মিশালো বা আবছা ভাবে কিছুটা জানলে বুঝলেও, তৃতীয় প্রজন্ম একেবারেই 'ভিনদেশী' হয়ে যায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিহারী পাড়ায় এনারা একসাথে থাকেন। ফলে ভাষা মাতৃজবানে থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। যারা বিচ্ছিন্নভাবে থাকেন তাদের ছেলেমেয়েরা অতো স্বতঃস্ফূর্ত নাও হতে পারে।

বোহেমিয়ান এর ছবি

সেই চাপ খাওয়ার জন্য ও অনেক চাপাচাপি হইছে, তাও খাওয়া হয় নাই! এই জন্য এখন ভালো লাগতেছে!

ভালু হাসি

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাসি

সাফি এর ছবি

বাবর রোডে বড় হইসি, হাজামতি থেকে শুরু করে চাপ খাওয়া সবই বিহারীদের হাতে। তবে এরা এখন না ঘরকা না ঘাটকা, এদের অনেকেই পাকিস্তান ফিরে যাবার স্বপ্ন দেখে এখনও আবার অনেকে আদালত থেকে ভোটাধিকার নিয়ে বাংলাদেশী হয়ে যাবার চেষ্টা করে।
বিহারীরা আমার দেখা মতে সবসময়ই নিজেদের মাঝে উর্দু ভাষায় কথা বলে, সেই হিসেবে রয়েলের চড় মারার ইচ্ছে আরও আগেই জাগা উচিত ছিল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

---

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই গল্প নিয়া আপ্নারে একটা মেসেজ দিতাসি। সবুর...

_________________________________________

সেরিওজা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পাইলাম মেসেজ। হাসি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

----------
---------------
--------------------
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

মূলত পাঠক এর ছবি

একটা অজ্ঞতাপ্রসূত প্রশ্ন ছিলো: বিহারিদের কথা বাংলাদেশের অনেক সাহিত্যেই দেখি, এরা কি আদিতে ভারতের বিহার প্রদেশের বাসিন্দা অর্থে বিহারি? সেক্ষেত্রে পাকিস্তানি কানেক্শনটা কী? আর না হলে আদতে এরা কারা?

রণিতা এর ছবি

পাঠুদা মেল চেক করেন। আর নীচের লিঙ্কদুটা পড়েন
http://www.statelesspeopleinbangladesh.net/home.php
http://www.faqs.org/minorities/South-Asia/Biharis-of-Bangladesh.html

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।