তলস্তয়ের ‘হাজি মুরাদ’। পর্ব এক।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: সোম, ২৮/০৬/২০১০ - ১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


There was one nation which would not give in, would not acquire the mental habits of submission—and not just individual rebels among them, but the whole nation to a man. These were the Chechens…
- Alexander Solzhenitsyn on the Chechens, The Gulag Archipelago …

হাজি মুরাদ তলস্তয়ের শেষ উপন্যাস। উপন্যাসটি লেখা হয় আট বছর ধরে। ১৮৯৬ থেকে শুরু করে ১৯০৪ পর্যন্ত; তলস্তয়ের মৃত্যু হয় ১৯১০ সালে। বইটি প্রকাশ পায় দুই বছর বাদে,১৯১২তে। তবে জার শাসন ১৯১৭ সালে শেষ হওয়ার পর বইটির আনসেন্সরড্ সংস্করণ রাশিয়ায় প্রকাশিত হয়। উপন্যাসে বর্ণিত সময়কাল ১৮৫১; হাজি মুরাদ নামের এক মুসলিম আভ্‌র্‌(Avar) পাহাড়ি বিপ্লবী ও সমরনায়ক পাহাড়িদের অন্য মুসলিম নেতা শামিলের ওপর প্রতিশোধ নিতে আর তার হাত থেকে নিজের পরিবারকে মুক্ত করতে শত্রুপক্ষ রাশিয়ানদের সাথে একটা জোট গড়ার চেষ্টা করেন। আপাতভাবে ঘৃণ্য একজন কোলাবোরেটর কিভাবে নায়কের আসনে চলে আসেন তার তালাশ ঘটে তলস্তয়ের ‘হাজি মুরাদ’ উপন্যাসে। হাজি মুরাদের সত্যিকার জীবন কাহিনী নিয়ে উপন্যাসের ঘটনাক্রম। তলস্তয় এর আগে কসাকদের নিয়ে আরেকটি উপন্যাস ‘দা কসাকস্' লিখেন। প্রকাশ পায় ১৮৬৩ সালে। সেখানে কসাকদের পরিচয় করানো হয় রুশি লেখকের দৃষ্টিকোণ থেকে। ‘হাজি মুরাদ’ তলস্তয়ের লেট ওয়ার্কস। ফলে বেশ পরিণত। নির্মোহ। হাজি মুরাদের জীবনী বলতে গয়ে ঔপন্যাসিক কারো দিকে ঝুঁকে পড়েননি। অনেক সমালোচক অবশ্য বলেন, তলস্তয় ঝুঁকেছিলেন হাজি মুরাদের চরিত্রের দৃঢ়তার দিকে।

উপন্যাস শুরু হয় তলস্তয়ের উত্তম পুরুষালি বর্ণনায়। গরমকালের মাঝামাঝি কোনো সময়কাল। ফসল কাটার মৌসুম শেষ। তাতারদের একটা শস্যক্ষেত দিয়ে যাচ্ছেন তলস্তয়ের উত্তম পুরুষ। পথে একটা থিসল বা গোক্ষুর তাঁর চোখে পড়ে। অন্যান্য ফুটন্ত ফুলের মধ্যে দেখতে ‘course and rough’ আবার একই সাথে ‘beautiful in its proper place’; ‘কি ধৈর্য আর শক্তি! নিজেকে কিভাবে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল অথচ শেষমেষ কি পরিণতি!’ তলস্তয়ের উত্তম পুরুষের এই ভাবনার সাথে কোয়েটজি'র ‘ডিসগ্রেস’ উপন্যাসের প্রফেসর লুরির একটা উক্তির কথা মনে পড়ে। ... ‘Such high hopes, and to end like this.’ … থিসলের টিকে থাকার চেষ্টা দেখে হাজি মুরাদের ঘটনার কথা মনে পড়ে। উত্তম পুরুষের আড়ালে হাজি মুরাদের গল্প বলা ধরেন তলস্তয়। তলস্তয়ের একটা চিঠিতে জানা যায়, হাজি মুরাদ উপন্যাসে বর্ণিত ঘটনা তিনি নিজে দেখেছেন , কিছু কথা অন্যদের মুখে শুনেছে, বাকিটা কল্পনা।

‘আনা কারেনিনা’ উপন্যাসের প্রথম লাইন ‘All happy families are alike; each unhappy family is unhappy in its own way.' … তলস্তয় এই উপন্যাসের শুরুর লাইনে পরিণতি ঘোষণা করেছেন। ঠিক তেমনি হাজি মুরাদের পরিণতি প্রথমেই জানিয়ে দেন তলস্তয়।

tolstoy
তলস্তয় (সেপ্টেম্বর ৯, ১৮২৮- নভেম্বর ২০, ১৯১০)

১৮৫১ সালের ঘটনা। আভ্‌র্‌ মুসলমান মুরশিদ হাজি মুরাদ একজন মুরিদ নিয়ে তাঁর অনুসারি সেডোর বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাঁকে তাড়া করছে পাহাড়িদের প্রধান মুসলমান নেতা শামিল। সেডো বিপদের আশংকা সত্ত্বেও তাঁকে আশ্রয় দেন। পরে সেডোর সহায়তায় সেখান থেকে মুরিদ এলডারকে নিয়ে পালান হাজি মুরাদ। তাঁর আরো কিছু অনুসারী দিয়ে রুশিদের সাথে একটা যোগাযোগের ব্যবস্থা করেন। হাজি মুরাদ তাঁর মনোভাব জানান। জারের প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা কবুল করেন। রুশ ভাইসরয়ের নির্দেশে লরিস মেলিকভ আসে হাজি মুরাদের আসল কথা জেনে নিতে। এই চেচেন বিপ্লবী রুশদের সাথী হতে এসেছে নাকি শামিলের চেলা হয়ে রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরের খবর জেনে পাহাড়ে ফিরে দলবল নিয়ে এসে যুদ্ধ করার ধান্ধা করছে- এই বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়ার দরকার দেখা যায়। মেলিকভের কাছে আভ্‌র্‌ সমরনায়ক তাঁর জীবন কাহিনী বলা শুরু করেন। হাজি মুরাদের পরিচয় পেতে থাকে পাঠক।

১৯১২ সালেই বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেন আয়েলমার মড। সেই সংস্করণে আয়েলমার একটা বিস্তারিত প্রাককথন ও লিখেন। হাজি মুরাদের ইংরেজি অনুবাদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত আয়েলমারের অনুবাদ বেশি প্রকাশিত। তবে সেই প্রাককথন সাথে রেখে প্রাক-প্রাককথন জুড়ে দিয়ে কিছু সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। আয়েলমারের অনুবাদটি জড়তামুক্ত নয়। কথোপকথনে ওল্ড ইংলিশের দেদার ব্যবহার। পরবর্তীতে করা থমাস সেন্ডারস আর গ্যারি হামবুর্গের করা অনুবাদ বেশ প্রাঞ্জল। তবে হাজি মুরাদের চেলা হানিফির গান অনুবাদের তুলনা করতে গেলে আয়েলমারের কাব্যজ্ঞান শক্ত ঠেকে।

ইংরেজি অনুবাদ দুটির তুলনা করতে অধ্যায় তেইশের একটা অংশ উদাহরণ হিসেবে নিতে পারি। উপন্যাসের এই অংশটুকু বেশ গুরুত্বের। মানুষের ভেতরে অচেতনে যা ঘটে তা সঠিক মাত্রায় বের করে আনতে পারেন বলেই তলস্তয় মাপের লেখকেরা কালোত্তীর্ণ। মানুষের সকল কথা সকল আচরণ হিসাব অনুসারে চলে না। উপন্যাসের অধ্যায় তেরোতে আমরা জানতে পারি হাজি মুরাদের ভাইদের খুন করে হামজা। তার প্রতিশোধ নেন হাজি মুরাদ। সেটাও রক্তাক্ত পথে। অথচ সেই হামজার বীরত্বগাঁথা গাওয়া হলে হাজি মুরাদের অস্বস্তি হয় না। বরং নিজের মুরীদের কণ্ঠে শোনা গানের তারিফ করেন। অধ্যায় তেইশের অংশটুকু দেখি।

... Hadji Murad got himself some water from a tub, and was already at his own door when above the sound of the grinding he heard from his murids’ room the high tones of Khanefi’s voice singing a familiar song. He stopped to listen. The song told of how a dzhigit, Hamzad, with his brave followers captured a herd of white horses from the Russians, and how a Russian prince followed him beyond the Terek and surrounded him with an army as large as a forest; and then the song went on to tell how Hamzad killed the horses, entrenched his men behind this gory bulwark, and fought the Russians as long as they had bullets in their rifles, daggers in their belts, and blood in their veins. But before he died Hamzad saw some birds flying in the sky and cried to them:

Fly on, ye winged ones, fly to our homes!
Tell ye our mothers, tell ye our sisters,
Tell the white maidens, that fighting we died
For Ghazavat! Tell them our bodies
Never will lie and rest in a tomb!
Wolves will devour and tear them to pieces,
Ravens and vultures will pluck out our eyes.
(আয়েলমারের ইংরেজি অনুবাদ)…

[আয়েলমারের অনুবাদ আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। বেশ রেটোরিক আর কিছু্টা অচেতন। বাংলায় অনুবাদ এখান থেকেই করি।

হাজি মুরাদ পাত্র থেকে কিছু পানি নিয়ে ওজুর জন্য প্রস্তুত হয়। দরজার কাছ থেকে মাড়াইয়ের শব্দ ডিঙিয়ে মুরিদদের ঘর থেকে হানেফির কন্ঠের পরিচিত গান কানে আসে। হাজি মুরাদ দাঁড়িয়ে পড়ে শোনার চেষ্টা করে। গানটা হামজাকে নিয়ে। রুশিদের কাছ থেকে সাদা ঘোড়ার দঙ্গল নিয়ে এসেছে হামজা আর তার সাহসী সাথীরা। এক রুশ প্রিন্স তাদের অনুসরণ করে তেরেক নদীর কাছে এসে বিশাল এক দঙ্গল সেনা নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে।গানে বলা হচ্ছে হামজা কিভাবে ঘোড়াগুলো কতল করে, সেগুলোর মৃতদেহ দিয়ে পরিখা বানিয়ে নিজের লোকদের লুকোয়, বন্দুকের শেষ গুলি, কোমরে রাখা সর্বশেষ ছুরি ব্যবহার করে কি শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তারা রুশিদের সাথে লড়ে। মরার আগে হামজা দেখে আকাশে কিছু পাখি উড়ছে। তাদের বলে:

ওরে পাখি, উইড়া যা আমাগো বাড়ি
গিয়া কহ আমার মায়েরে, আমার বইনডারে
ফর্সা ফর্সা আমার বউগুলারে
গিয়া কবি গাজার লাইগা যুদ্ধ করবার গিয়া
আমরা গেছি মইরা, কইবি আমাগো শরীল
কবরে গিয়া শুইয়া শুইয়া পচবো না
নেকড়ে আইয়া খুবলাইবো আমাগো শরীল
চক্ষু খাইবো শকুনে আর বায়সপক্ষী আইসা
]

Hadji Murad- The light that shines ... - Google Books_1277595544003
হাজি মুরাদের প্রচ্ছদ

... Before dawn Hadji Murat went into the hallway again to get water for his ablutions. From the passageway, the nightingales, who burst into song at the coming light of dawn, could be heard even more distinctly than during the night. From his retinue’s room issued the regular hiss and whistle of iron on stone made by a dagger being sharpened. Hadji Murat had dipped some water out of the barrel and had gotten as far as the door to his room, when he heard from his murid’s room, alongside the sound of sharpenirig, Khanefi’s thin voice singing a familiar tune. Hadji Murat stopped and began to listen.

The song told how the dzhigit Hamza and his boys wrestled a herd of white horses from the Russians, how a Russian prince overtook them beyond the Terek river, and how the prince surrounded them with an army as great as a forest.

Then the song told how Hamza had slaughtered the horses and, having entrenched himself with his men behind a bloody rampart of dead horses, how they had fought the Russians so as long as there were bullets in their rifles, daggers in their belts, and blood in their veins. But before he died, Hamza spied some birds flying in the sky and shouted to them:

“You, migrating birds, fly to our homes and tell our sisters, our mothers and our fair maidens that we all died for the ghazwa. Tell them that our bodies won’t lie in graves, but savage wolves will drag our bones away and devour them, and black crows will pluck out our eyes.”
( থমাস সেন্ডারসের ইংরেজি অনুবাদ)…

তলস্তয় কেন রাশিয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রতি আকৃষ্ট হলেন? কেনই বা ককেশাস অঞ্চলের একজন যোদ্ধার কাহিনী দীর্ঘ আট বছর ধরে অজস্র উপাত্ত সংগ্রহ করে লিখলেন? ‘হাজি মুরাদ’ বুঝতে চাইলে এই ইতিহাস জানা জরুরি। জার শাসন আমলে জারকে হীন মানুষ হিসেবে বর্ণনা করা আর পাহাড়িদের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার কথা জানানো- এর পেছনে কোন ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নস্টালজিয়া’র মুখোশ আছে সামনের পর্বগুলোতে সে আলোচনার আশা রাখি।

সূত্র

১। Edited and translated by Thomas Sanders, Ernest Tucker and Gary Hamburg, Russian-Muslim Confrontation in the Caucasus (Routledge Curzon, New York, 2004) [পৃষ্ঠা ৬]
২। J.M. Coetzee, Disgrace ( Penguin, New York, 2000) [পৃষ্ঠা ২০৫]
৩। Leo Tolstoy, Translated by Constance Garnett, Anna Karenina (Bobbs-Merill, 1978) [পৃষ্ঠা ১]
৪। Leo Tolstoy, Translated by Aylmer Maude, Introduction by John Bayley, Great Short Works (Herper & Row, New York, 1967) [পৃষ্ঠা ৬৫৪]
৫। Edited and translated by Thomas Sanders, Ernest Tucker and Gary Hamburg, Russian-Muslim Confrontation in the Caucasus (Routledge Curzon, New York, 2004) [পৃষ্ঠা ১৪০]


তলস্তয়ের ছবি- আন্তর্জাল
প্রচ্ছদের ছবি- গুগল বুকস্‌


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

পুরো ছবিটা ধরা পড়লো না । হয়তো সবগুলো পর্ব পড়লে ধরা পড়বে । তবে আপাতত যেটা বুঝলাম সেটা হলো ছবিটা পরিস্কার করতে আগে সেইসময়কার তাতার, কসাক, রুশদের নিজেদের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কটা নিয়ে জানতে হবে । নাহলে,

সেখানে কসাকদের পরিচয় করানো হয় রুশি লেখকের দৃষ্টিকোণ থেকে।

অথবা,

তলস্তয় কেন রাশিয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রতি আকৃষ্ট হলেন? কেনই বা ককেশাস অঞ্চলের একজন যোদ্ধার কাহিনী দীর্ঘ আট বছর ধরে অজস্র উপাত্ত সংগ্রহ করে লিখলেন?

বোঝা যাবে না ।

অফটপিকঃ উজবেক, ও কিরগিজদের সাম্প্রতিক দাঙ্গা দেখে তাজ্জব বনে গেছি । ওদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পরের পর্বে কিছু তথ্য দিতে পারবো আশা করি।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নই নয় এখনকার রুশ ফেডারেশনও এমন একটা দেশ যেখানে জাতির সংখ্যা কয়েক ডজন। মধ্য ও দূর এশিয়ার রাজ্যগুলোতে যে জাতিগুলো বাস করে রুশদের সাথে তাঁদের বিরোধ-সংগ্রামের ইতিহাস দীর্ঘ। সেসব প্রত্যেকটা জাতির ভিন্ন ভিন্ন ইতিহাস আছে। রুশ ছাড়া প্রতিবেশীদের সাথে বিবাদের ইতিহাস আছে। দূর অতীতে হান বা মঙ্গোলদের সাথে বিরোধের ইতিহাস আছে। সবচে' বড় ব্যাপার তাঁদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম আর আচরণের নিজস্ব রূপ আছে। রুশ আধিপত্যে সেসব চাপা পড়ে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। তবু মাঝে মাঝে সেগুলোর কিছু কিছু নিদর্শন আমাদের সামনে চলে আসে।

আভ্‌র্‌ ভাষাটির আজকে যত দুর্গতিই হোকনা কেন এর কবিতার সমৃদ্ধি প্রাচীন। এটি ইঙ্গিত করে উত্তর-পূর্ব ককেশাসের আভ্‌র্‌ ভাষাভাষীরা সমৃদ্ধ অতীতের। তলস্তয় এমন একটি জাতির ব্যাপারে আগ্রহী হলে অবাক হবার কিছু নেই। তবু এই ব্যাপারে লেখকের বিশ্লেষণের ব্যাপারে আমার আগ্রহ আছে।

আমার আরো আগ্রহ আছে তলস্তয়ের চোখে নয়, তলস্তয়ের লেখা পড়ে পাঠকের চোখে "হাজি মুরাদ" কিভাবে ধরা পড়ে। তাই লেখকের পাশাপাশি অন্য পাঠকদের আলোচনার ব্যাপারেও আমার আগ্রহ জানিয়ে গেলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

১৮৫২ থেকে ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত তলস্তয় রুশ সেনাবাহিনীতে ছিলেন। প্রথমদিকে পোস্টিং ছিল ককেশাস অঞ্চলে। ফলে পাহাড়ি মুসলমান বিপ্লবীদের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মেছিল। শামিলের নেতৃত্বে ৬০০০ পাহাড়ির সাথে যুদ্ধে নেমেছিল তলস্তয়ের ইউনিট। যুদ্ধে প্রায় মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কোথাও এক জায়গায় পড়েছিলাম টলস্টয় নাকি এই বইটাকে তার শ্রেষ্ঠ রচনা মনে করতেন

আমার অবশ্য তা মনে হয়নি। আর অন্য কারো মনে হতেও শুনিনি
কিন্তু কোথায় যেন হাজি মুরাদ আর তারাস বুলভা'র ভেতর একটা মিল পাই

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

-লেট ওয়ার্কস নিয়ে লেখকদের একটা মোহ থাকে। সায়ীদের একটা বই আছে। অন লেট স্টাইল। অবশ্য সেখানে তলস্তয় নিয়ে আলোচনা নাই।

-কসাক উপন্যাস হিসেবে মিল কিছু থাকবেই।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।