একটি প্রস্তাব

স্বাধীন এর ছবি
লিখেছেন স্বাধীন (তারিখ: শনি, ০৯/০৫/২০০৯ - ১০:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশ নিয়ে চিন্তা করনে না এমন মানুষ মনে হয় কমই আছেন। যারা আবার বিদেশে বসবাস করি তারা মনে হয় একটু বেশিই করি। এক্ষেত্রে আমাদের ছড়াকার রিটন ভাইয়ের একটি সাক্ষাত্কার এর একটি মন্তব্য আমার খুব ভাল লেগেছিল যা তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারছি না। রিটন ভাই কে উপলক্ষ্য করে সব প্রবাসীদের উদ্দেশ্য কবি নির্মলেন্দুগুণ বলেছিলেন- “মায়ের দেহ থেকে, মায়ের গর্ভ থেকে যখন সন্তান ভুমিষ্ঠ হয় তখন সে সন্তান মায়ের দেহটিকে চিনতে শিখে এবং পরিপূর্ণভাবে মাকে বুঝতে শিখে”।
দেশ নিয়ে সচলয়াতনে অনেকেই লিখেছেন বিক্ষিপ্ত ভাবে, যার সব হয়তো আমার চোখে পরেনি। ইশতি লিখেছেন নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্রের ধারনা নিয়ে, সুবিনয় ভাই লিখেছেন অর্থনীতি নিয়ে, পলাশ দত্ত জানতে চেয়েছেন কেন আমরা রাজনীতি করি না। আমি মনে করি রাজনীতিতে নামতে হলে আপনাকে তার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অপরিণত বয়সের প্রেম যেমন বেশিদিন টিকে থাকে না, নিজেকে প্রস্তত না করে রাজনীতিতে নামলে আপনার সেই দেশপ্রেম খুব বেশিদিন টিকে থাকবে না। আপনার জানতে হবে কেন আপনি রাজনীতি করতে চান, কি আপনি করতে চান এবং কিভাবে আপনি তা করবেন।

সে রকম একটি চিন্তা হতে আমার আজকের এই প্রস্তাব। ধরুন আপনি নিজে একটি দল গঠন করতে চান। তাহলে এখনি চিন্তা করুন আপনার সেই দলের আদর্শ কি হবে। মানে আপনার দল যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে আপনি কি করবেন? এখন ধরুন আপনার দল ভোটের মাধ্যমে নিরুঙ্কুশ বিজয় লাভ করে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় গেল। আপনার হাতে এখন সর্বময় ক্ষমতা। আপনি চাইলে যে কোন লোক দিয়ে দেশ চালাতে পারবেন, চাইলে সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন। এমতবস্থায় বর্তমান বাংলাদেশ হতে আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ এ নিয়ে যেতে আপনি কি কি পদক্ষেপ নিবেন?

আজই চিন্তা শুরু করুন এবং লিখুন। লেখার শুরুতে অল্প লেখায় বর্ণনা করুন আপনার দলের আদর্শ কি হবে এবং কেন হবে। তারপর বলুন আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশকে কি রূপে দেখতে চান। তারপর লিখুন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা হতে আপনার সেই কাক্ষিত বাংলাদেশ এ যেতে কি কি পদক্ষেপ আপনি নিবেন। পাঁচ বছরেই আপনি সেখানে পৌঁছে যাবেন সে প্রত্যাশা নিশ্চয়ই করি না, কিন্তু পাঁচ বছরে কি কি করবেন এবং কেন করবেন সে কথাগুলো লিখুন। আশা করি লেখার সময় বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় রাখবেন। আমাদের দেশের বিশাল জনসংখা, নিম্নশিক্ষার হার, দূর্বল অর্থনীতি, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দূর্বল প্রশাসনিক ব্যাবস্থা, দূর্নীতি এবং আরো এরকম অনেক বাস্তব সমস্যা গুলো বিবেচনায় রাখবেন।

শুধু রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করেই আমাদের দায়িত্বতো শেষ হয়ে যায় না। তাদের সামনে তাদের কর্মপন্থাও দিতে হবে। আর এ কাজতো আমাদেরই করতে হবে। যদি তারা সে গুলো গ্রহন না করে তবে বিকল্প চিন্তায় হয়তো নিজেদেরই সেগুলো বাস্তাবায়নের দায়িত্ব নিতে হবে। হয়তো এখান থেকেই নুতণ কোন দলের যাত্রা হতে পারে। তাই ছোট কিংবা বড়, পূর্ণ কিংবা অপূর্ণ, আপনার যে কোন চিন্তাই লিখে জানান। মা-দিবস উপলক্ষে এ আমার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা। সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। সকল জননীর জননী আমার দেশমাতৃকার জন্য রইল এক হৃদয় ভরা ভালোবাসা আর সকল মা- যাদের অপরিসীম যন্ত্রণা, বঞ্চনার বিনিময়ে আজ এই পৃথিবীর আলো দেখছি- তাদের প্রতি রইল অশেষ শ্রদ্ধা। যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক, আমি তোমায় ছাড়বো না মা.........।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

ডেডিকেটেড গুণ্ডা বাহিনী লাগবে রে ভাই... নাইলে মাইর দিয়া শোয়ায়া ফেলবে... মন খারাপ


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি

আমি ক্ষমতায় গেলে দেশ চালাবে বিজ্ঞান আকাদেমি আর সেনাবাহিনী বিজ্ঞানীদেরকে স্যালুট দিবে ।

বুঝতেই পারছেন আমার রাজনীতি বোধ পরিনতি লাভ করা তো দূরের কথা, এখনো মায়ের পেট থেকেই বের হয়নি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি যদি খুব ভুল জেনে না থাকি, তাহলে
প্রস্তাব = Proposal
প্রস্তাবনা = Preface



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জগৎ এবং সময়ের আপেক্ষিকে প্রতিটি নাগরিকের জানা উচিত তাদের অবস্থান কোথায়, তারা ন্যূনতম কোন মানের জীবন চায়, সেজন্য তাদের কতটুকু সম্পদ দরকার, ঘাটতির পরিমাণ কত, এবং তা পূরণে কী করতে হবে। সহজ ভাষায়, নো দাই নিডস।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।