ঘুরে এলাম সিঙ্গাপুর (পর্ব - ৩)

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: বুধ, ২০/০৮/২০০৮ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৩. হাসি কান্না বেদনার একদিন
আজকে দিনটা আমার জন্য এতো যে বেদনার হবে কে জানতো সে কথা। দুই ঘন্টার ঘুম শেষে সকাল সাতটায় আবার উঠে পড়লাম। গোসল করে রেডি হয়ে নাস্তা সেরে ঠিক আটটায় হোটেল লবিতে হাজির। ড্যানি আমার দিকে মুচকি হেয়ে ঘড়ির কাটা দেখলো। বাসে উঠতেই রুটিন মাফিক আমাদের আজকের পরিকল্পনা বলে দিলো ড্যানি। শুরুতেই সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা পর্ব সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত। সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের অফিস দেখার মতো। ছোট্ট একটা টিলার ওপর অফিস। পুরো অফিসের বাইরে এবং ভেতরে হাজার রকমের প্লান্ট দেখতে পেলাম। নানান রঙের পাতা। পাতা ছেঁটে তাতে নানা আকার দেয়া হয়েছে। এক কথায় নয়নাভিরাম যাকে বলে। সবচেয়ে মজার লাগলো লিফটটা। লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ার পর মনেহলো আমি এক অরন্যের ভেতর। লিফটের চারদিকের দেয়ালে অরণ্যের ছবি প্রিন্ট করে পেস্ট করা হয়েছে। দারুণ আইডিয়া।

গাইড ড্যানির সাথে সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড অফিসে

কর্মকর্তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন। ভ্রমণ কেমন লাগছে, খাবারে সমস্যা হচ্ছে কিনা, প্রতিদিন সেমিনার আর হাসপাতাল পরিদর্শন বেশি মাত্রায় হয়ে যাচ্ছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। মনেমনে বললাম, সারা দুনিয়া থেকে কোটি কোটি ডলার কামানোর জন্য তোমাদের আয়োজনের তুলনা হয় না। ধন্যবাদ জানাই তোমাদের, ধন্যবাদ জানাই সিঙ্গাপুরের মিনিস্টার মেন্টর কিংবদন্তিতুল্য লী কুয়ান উইকে।
এবার হাসপাতাল ঘুরে দেখার পালা। আজকের বিষয় ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণাকেন্দ্র। শুনেই খুব মন খারাপ হলো। ক্যান্সার চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর এশিয়ায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। সে যাই হোক না কেন, মৃত্যুপথযাত্রী কিংবা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানোর মানুষদের মুখোমুখি কিভাবে হবো! হতে কার ভালো লাগে! সত্যিকথা বলতে, আমার খানিকটা ভয় ভয় করতে লাগলো। বিখ্যাত ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারসহ আরো বেশ কিছু হাসপাতাল ঘুরে দেখলাম। ক্যান্সার বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিলাম। জানলাম নানা অদ্ভূত কেরামতি। কিভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ পরিকল্পনা এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় ক্যান্সার মানেই ছিলো নিশ্চিত মৃত্যু। কিন্তু এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার ভালোও হয়। অনেক ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের পরিনতিকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। তারপর এলো ভয়ঙ্কর সেই ক্ষণ। রোগীদের সাথে মত বিনিময়। আলাদা আলাদা। আবেগঘন এক একজনের ঘটনা। এই ঘটনাগুলো আমার পক্ষে এখানে লেখা সম্ভব হলো না। মাঝে মাঝে চোখে পানি এসে যাচ্ছিলো। নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে এমন মানুষের মুখোমুখি যারা হয়েছেন একমাত্র তারাই বুঝবেন এ অভিজ্ঞতা কতটা বেদনাদায়ক, কতটা ভয়ানক। তবে রোগীতো আর সে কথা জানেন না। ডাক্তাররা আমাদের জানালেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি এর পরিণতি দীর্ঘায়িত করতে। তবে একদম ভালো হয়ে উঠবেন এ কথা কারো ক্ষেত্রেই জোড় দিয়ে বলা মুশকিল। আর এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা। তবে এক একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর জন্য একজন চিকিৎসক কিংবা একটি বিশেযায়িত হাসপাতালের যে কত বড় ভূমিকা সে কথা লিখে শেষ করা যাবে না।

সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার

সিঙ্গাপুরের হাসপাতালগুলো ঘুরে মনেহলো তারা রোগীর চাহিদা বেশ ভালোই বোঝেন আর হয়ত সে কারনেই রোগী বিছানায় শুয়ে যে বাগানটা দেখতে পান সেটিও বানানো হয়েছে পরম যত্নে, বাহারী সবুজ বৃক্ষের সমারোহে। শিশু বিভাগ তৈরি করা হয়েছে ঠিক শিশুদের ভালো লাগার বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে। শিশু বা রোগীর কাছাকাছি যাতে স্বজনরা থাকতে পারেন সেজন্য হাসপাতালের মধ্যেই আছে ফ্যামিলি স্যুইট। হোটেল রুমের ভাড়ার চেয়ে সে ভাড়া খুব একটা বেশি নয়। এছাড়াও আরো কত কিছু দেখলাম। যেমন হাসপাতালের কড়িডোরে এমন কার্পেট ব্যবহার করা হয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া নিরোধক। আমি এমন কার্পেটের কথা কখনো শুনি নাই। রোগীর বাথরুমে এমন বিশেষ টাইলস বসানো হয়েছে যা থেকে পিছলে পড়ার কোন ভয় নেই। আকারে সাধারন ফ্লোর টাইলসের চেয়ে ছোট ছোট। রুমের এমন বিশেষ টিউব লাইট ব্যবহার করা হয়েছে যা রোগীর চোখ ধাঁধিয়ে দেবে না। আরো কত কি, সব এখন মনেও নেই। খুঁটিনাটি বিষয়, কিন্তু চমকপ্রদ।

একটি হাসপাতালের শিশু বিভাগ, দেখলে কে বলবে এটি হাসপাতাল!,

দুপুরের মধ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষ হতেই আমরা দর্শনীয় স্থান ঘুরতে বের হলাম। বলা চলে এক রকম হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। তারপর গ্যাস বেলুনে চড়লাম। সিঙ্গাপুর পুরো শহরটা দেখতে দারুন লাগে এখান থেকে। ভয়ে যদিও আমার কাঁপাকাঁপি অবস্থা ছিলো।

গ্যাস বেলুন, উচ্চতা ভীতি না থাকলে উঠতে পারেন, দারুণ মজা পাবেন!

তবুও এই অপূর্ব সুযোগ মিস করা ঠিক হবে না ভেবে কাঁপা কাঁপা হাতে সিঙ্গাপুর শহরের বেশ কিছু ছবি তুললাম।

গ্যাস বেলুন থেকে তোলা সিঙ্গাপুর শহরের ছবি

তারপর চলে গেলাম কাম্পংগ্লামের আরব ষ্ট্রীটের সুলতান মসজিদ আর মালয় হেরিটেজ সেন্টার ঘুরে দেখতে। ইতিহাসের পাতাগুলোকে যেন মেলে রাখা হয়েছে এলাকাটির নানা অংশে, অধ্যায়ের পর অধ্যায়। অনেক ছবি তুললাম। ড্যানি শান্ত কিন্তু ইতিহাসের অধ্যাপকের মতো গম্ভীর ঢঙে কাম্পং গ্লামের ইতিহাস, স্যার স্ট্যামফোর্ড র‌্যাফেলস এর কাহিনী, সুলতান হুসেন শাহ এর কাহিনী বলে যেতে লাগলো। তার বক্তব্য বকবকানির পর্যায়ে চলে যাওয়ার আগেই সে থেমে গিয়ে বিচক্ষেণের পরিচয় দিলো।

মালয় হেরিটেজ সেন্টার, কাম্পং গ্লাম

বিকেলে সূর্যটা যখন আরেকটু পশ্চিমে ঢলে পড়েছে তখন আমরা সিঙ্গাপুর রিভার আর ম্যারিনা বে ঘুরতে চলে গেলাম। ম্যারিনা বে'র কোল ঘেঁষে সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীক মারলায়ন দাঁড়িয়ে আছে। সিংহের মুখাবয়ব নিয়ে মাছ সদৃশ্য জন্তুর প্রতিমূর্তি। মুখ দিয়ে অবিরাম পানির ফোয়ারা ঝরে পরছে ম্যারিনা বে'র জলে। কে এই মূর্তি ডিজাইন করেছে জানতে পারিনি। তবে একটা মূর্তির সারাক্ষণ এই বমি করার আইডিয়া তার মাথায় কেমনে আসলো জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো। ড্যানিকে জিজ্ঞেস করলাম, এইটা তোমাদের জাতীয় প্রতীক হলো কি করে। 'চতুর্দশ শতাব্দীতে সুমাত্রার রাজকুমার একটা বাঘকে দেখে সিংহ বলে ভুল করেন', ড্যানি এই পর্যন্ত বলেই খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠলো। বললো, 'তার দৃষ্টিশক্তি একদমই প্রখর ছিলো না। তিনি বাঘটাকে মাদী সিংহ মনে করেছিলেন নিশ্চয়ই। আর তাই তিনি পেনিনসুলরার একেবারে মাথায় এই ছোট দ্বীপটির নাম দেন ‌‌'সিঙ্গাপুরা' অর্থাৎ সিংহ শহর।' সিংহের এই লোগো তাদের সব খানেই।

মারলায়ন, সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীকমারলায়ন, সিঙ্গাপুরের জাতীয় প্রতীক

ইতিহাস এবং ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরবাসীর জুড়ি মেলা ভার। পেছনেই দেখলাম সিঙ্গপুরের ফাইন্যানশিয়াল ডিস্ট্রিক্ট। বিশ্বের প্রায় দেড় শতাধিক ব্যাংকের কার্যালয়সহ বড় বড়সব কর্পোরেট হাউজগুলো সব এখানেই। আকাশচুম্বী এক একটা বিশাল অট্টালিকা। এক পাশে শোভা পাচ্ছে সিঙ্গাপুরের আরেক আইকন এসপ্লানেড থিয়েটার হল। এতে আছে এক বিশাল কনসার্ট হল যেখানে একসাথে ১৬০০ জন বসে কনসার্ট উপভোগ করা যায়। সেই সাথে আছে পারফর্মি আর্টের জন্য ২০০০ জনের বসার উপোযোগী থিয়েটার হল। এর পুরো নাম এসপ্লানেড - থিয়েটার অফ দ্য বে। এর ডিজাইন করে দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে। একটি বৃটিশ প্রতিষ্ঠান, নাম মাইকেল উইলফোর্ড এন্ড পার্টনার্স, অন্যটি সিঙ্গাপুরের, নাম ডিপি আর্কিটেক্টস। ডিপিতে কি হয়, জানতে পারিনি। তবে বিল্ডিংটা সামনাসামনি দেখতে এক এলাহী ব্যাপার!

এসপ্লানেড থিয়েটার হল, সিঙ্গাপুরের আরেক আইকনএসপ্লানেড থিয়েটার হল, সিঙ্গাপুরের আরেক আইকন

মায়াময় সন্ধ্যা নেমেছে, পাল্টে গেছে পানির রঙ, ম্যারিনা বে'র পাশে জমে উঠেছে প্রাণমাতানো আড্ডা

প্রায় দুই ঘণ্টা আমরা ম্যারিনা বে ঘুরে বেড়ালাম। তারপর ঘুরতে গেলাম ভিভো সিটি, শপিংমল। ঘুরে বেড়ানোর মতো শপিংমল বটে! বিশাল এর আকার! ড্যানি বলল, বেশি দূরে গেলে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হারিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এতোই বিশাল। আমরা ভিভোসিটির একটা খানদানি রেষ্টুরেন্টে সবাই ডিনার শেষে হোটেলে ফিরে এলাম। তখন রাত প্রায় দশটা। খায়রুল ভাইর আসার সময় হয়ে গেছে।

ভিভো সিটি, অপূর্ব এক শপিংমল

খায়রুল ভাইকে নিয়ে রাত ঠিক সাড়ে দশটায় বেরিয়ে পড়লাম। আজকে যাবো চায়না টাউন ঘুরতে। তখন চায়নিজ নিউ ইয়ার একদম ঘনিয়ে এসেছে। সপ্তাহ খানেক বাকি। চায়নিজ নিউ ইয়ার সিঙ্গাপুরের অন্যতম গূরুত্বপূর্ণ উতসব। এ সময় সারা সিঙ্গাপুর চায়নিজ থিমে সাজে। সারা শহর লাল লাল ফানুসে ছেয়ে যায়। আর রাস্তার দুপাশে নানা ফুল, পাতা আর গাছের কারুকাজ শোভা পেতে থাকে। সে এক দেখার মতো দৃশ্য। রাতের সিঙ্গাপুর তার সৌন্দর্যের সব শাখা উজার করে মেলে ধরে এই সময়ে।

চায়নিজ নিউ ইয়ার উপলক্ষে চায়না টাউনের অপূর্ব সাজ। এমন সাজ লক্ষ্য করা গেছে পুরো সিঙ্গাপুরের সর্বত্র।চায়নিজ নিউ ইয়ার উপলক্ষে চায়না টাউনের অপূর্ব সাজ। এমন সাজ লক্ষ্য করা গেছে পুরো সিঙ্গাপুরের সর্বত্র।

চায়না টাউনে পৌঁছে আমরা অনেক শপিং করলাম। তবে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে পছন্দের শপিংমল হচ্ছে মোস্তফা সেন্টার আর বুগিজ জাংশন, সেকথা আগেই বলেছি। এছাড়া সিঙ্গাপুরে শপিংয়ের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হচ্ছে অচার্ড রোড যেখানে পাওয়া যাবে, ফোরাম দ্য শপিং মল, ফার ইষ্ট প্লাজা, ট্যাংজ ল্লাজা, প্যারাগন শপিং সেন্টার, দ্য হিরেন শপস্, প্লাজা সিঙ্গপুরা ইত্যাদি। এরপর ম্যারিনা বে এলাকতে আছে র‌্যাফলস সিটি, ম্যারিনা স্কয়ার শপিং মল, সানটেক সিটি মল ইত্যাদি। চায়না টাউন থেকে প্রচুর চাইনিজ স্যুভিনিয়র কিনলাম। একধরনের দোকান দেখলাম ভুরিভুরি, যেখানে মাত্র দশ ডলারে যে কোন তিনটা জিনিস কেনা যায়, যা খুশি তাই, যেকোনো তিনটা। আমিও যা চোখে ভালো লাগলো তাই কিনলাম। খায়রুল ভাইকেও কিনে দিলাম। তারপর ম্যকডোনাল্ডসে গিয়ে মেগা সাইজের বার্গার খেলাম দুজনে। বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটতে থাকলাম রাস্তা ধরে।
রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে যখন হোটেলে ফিরলাম তখন রাত প্রায় শেষ, ভোরের আলো ফুটতে অল্প সময় বাকি। ঘুমানোর জন্য দুই ঘণ্টা সময় হাতে পেলাম।

(চতুর্থ পর্বে থাকছে সান্তোসা আয়ল্যান্ডের গল্প। এই সিরিজের সবচেয়ে মজার পর্ব।)


মন্তব্য

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বাহ ছবিগুলো খুব সুন্দর লাগল। আপনার শিশুদের হসপিটালের কথা শুনে মনে পরল। সিডনীতেও শিশু হসপিটাল খুবই সুন্দর। আমার খালাত ভাই ছোট বেলায় গাড়ির এক্সিডেন্টের জন্য বেশ কিছুদিন শিশু হাসপাতালে ছিল তারপর রোনাল্ড ম্যাকডোনাল্ড হাউসে আসে। তখন আমিও ছোট, ১৩ হব মনেহয়। ঐ হাসপাতালে একটা খেলার রুম ছিল বাচ্চাদের, অনেক খেলনা ভিডিও গেমস, পুলস সহ। আমি আমার ছোটভাই আর আমার আরেক ছোট খালাত ভাই আমরা সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান করতাম কখন আমরা হাসপাতালে যাব। সবাই ভাবত আহা অসুস্থ ভাই কে দেখার জন্য ওদের কত দরদ কিন্ত আসল ব্যাপার বুঝতে পারে যখন করিডোর দিয়ে ঢুকে সবাই যায় লেফ্ট আমার খালাত ভাইয়ের রুমে আর আমরা ৩ জন যাই ডানে খেলার ঘরে। সবাই বলে ওদিকে ওর রুম নাতো আর আমরা বলি জানি জানি এই একটুপর আসতেসি। খাইছে
ভাল লাগল এই পর্বটাও হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হা হা হা! আপনার গল্পটাও মজার।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

টেস্ট

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

লাগছে নাকি লাগে নাই?

কীর্তিনাশা এর ছবি

সিঙ্গাপুর দেখার জন্য মনে হয় না আর সেখানে যাবার দরকার আছে। এই ভ্রমন কাহিনী পড়েই মনের পর্দায় ছবির মতো সব দেখতে পাচ্ছি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

রাইত জাইগা লেখা তাইলে সার্থক হইছে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আখতার ভাই,আপনি সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর স্বল্পবসনা ললনাদের কিছু ফুটু দেখেছিলাম অ্যালবামে। ইশ! সেই ছবিগুলোর কথা এখনো চোখে ভাসে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পাঠক/দর্শকদের এভাবে বঞ্চিত করার তেবরো প্রতিবাদ জানাই! পান্থদা, সাথে আছেন তো? দেঁতো হাসি
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দাঁড়ান, লোক মারফত ছবিগুলা হাতে পাওয়ার চেষ্টা চালাইতেছি। যদি পাই, তাহলে আখতার ভাইয়ের ভক্ত দর্শক/পাঠকের মনোবাঞ্জা পূরণ হবে আশা করি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সুম্মা আমীন দেঁতো হাসি
______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হা হা হা! তাতো চোখে ভাসবোই। চোখে ছবি ভাসানোর চর্চা তো ভালোই শিখছো। সে যা খুশি তুমি করো গে, কিন্তু জনসমাজে আমারে নিয়া টান হেচড়া শুরু করলা ক্যান? ছি ছি ছি লোকে আমাকে এখন কী ভাববে! আর অতন্দ্র প্রহরীতো সারাক্ষণ এইসব লাইন দেখার জন্য তক্কে তক্কে থাকে। একবার পাইলে খাইছে!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ছবি আর বর্ণনায় দারুন ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভালো লাগল। কখনো সিঙ্গাপুর বেড়াতে গেলে আপনার সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করে যাব! অনেক মজা করেছেন বোঝা গেল। সিঙ্গাপুর শহরটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনার ছবিগুলোর কল্যাণে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারলাম।
চতুর্থ পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে বসে রইলাম ...
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

জটিল! আপনার লেখা কফির সাথে অসাধারন লাগে!

এমনিতেও ভালো লাগে হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কি করি, এই মুখ কোথায় লুকাই! যাই তাড়াতাড়ি চতুর্থ পর্ব ছাড়ি গিয়ে!

স্বপ্নাহত এর ছবি

ভ্রমণকাহিনী ভাল লাগলো।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

মাশীদ এর ছবি

আহ্ বুগিস, চায়না টাউন, অ্যারাব স্ট্রীট, অর্চার্ড রোড, মেরিনা বে, এসপ্লানেড আর ভিভো! কত্তদিন দাপিয়ে বেড়িয়েছে এই সব জায়গা! চোখের সামনে সব ভেসে উঠল।

খুব ভাল লাগছে আপনার ভ্রমণকাহিনী। সিঙ্গাপুরের এই পথ-ঘাট গভীর মায়ায় আমাকে আগলে রেখেছিল দুই বছর। আমিও তাই বুকের ভেতর আগলে রাখি সিঙ্গাপুরকে। ভাল লাগছে আপনারও ভাল লেগেছে বলে। এই লেখা পড়ে অনেকদিন আগে এসপ্লানেডের কাছে তোলা একটা ছবির কথা মনে পড়ে গেল। ছবিটার লিংক আপনাকে দিলাম।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।