একজন কৃষক আমাকে বলল

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: রবি, ২৯/০৪/২০১২ - ২:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আমরা ভাতের কাঙাল
মোড়লের ভাগ্য নিয়ে আসিনি
লাঙল কাঁধে নিয়ে সবুজের রাখালগিরি করি
খরা-মঙ্গার দুনিয়ায় আমরাও মাজরা পোকার মতো
কুরে কুরে খাই মাটি...’

আমি তাকে টেনে বসালাম, বললাম -
শ্রাবনের মুষল-বৃষ্টি ধরিত্রী ভাসমান, মাটির কসম,
কসম এই বিদ্যুৎ চমকের
আমাদের এই কলমের ফলা, যা চষে শব্দ-বীজ
আর ফলায় শিল্পের খোড়াক, এ সবই আপনার দেয়া...
এই মাটি থেকে পাওয়া...
প্রতিদান কিছু দেইনি আমরা - চিরঋণী
আপনার সটান দেহের সামনে নতজানু কীটের সমান

সবুজ ধানের ক্ষেত শুয়ে আছে পানির ভেতর
যে ফলায় জীবনের শ্বাস মাটির ঔরষে
তার কাছে মাথা উঁচু করার সাধ্য কি আমার!


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাততালি

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হাসি

হাসান আল জামী এর ছবি

প্রতিদান কিছু দেইনি আমরা - চিরঋণী
আপনার সটান দেহের সামনে নতজানু কীটের সমান

কী যে অদ্ভুত সুন্দর কবিতা ! বিমোহিত হলাম ।
দুর্দান্ত সব শব্দ আর কুশলী শব্দ-বুনন কবিতার বক্তব্যকে আরও তীক্ষ্ণ ও সাবলীল করেছে !
কবিকে অভিনন্দন

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

পাঠের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক

এককথায় দুর্ধর্ষ।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হাসি
ধন্যবাদ।

তানিম এহসান এর ছবি

আমরা ভাতের কাঙাল
মোড়লের ভাগ্য নিয়ে আসিনি
লাঙল কাঁধে নিয়ে সবুজের রাখালগিরি করি
খরা-মঙ্গার দুনিয়ায় আমরাও মাজরা পোকার মতো
কুরে কুরে খাই মাটি...

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হাসি

এবিএম এর ছবি

ভালো লাগল কবিতাটা । চলুক

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

হাসি
অনেক ধন্যবাদ।

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

অসম্ভব ভালো লাগলো।
চলুক

Atithi Lekhok এর ছবি

দাদা খুব ভালো হয়েছে, এক কথায় দুর্ধষ:-)

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

অস্বাভাবিক  এর ছবি

দারুণ লিখেছেন চলুক

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

মাজহার এর ছবি

লাল সালাম।

সত্যিকারের জীবনবোধের দেখা মিলল অনেকদিন পর।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

জানি না সত্যিকারের জীবনবোধ কিনা। সাধারণ মানুষ, কৃষক, মজুরের যে কষ্টে দিন কাটায়, তা কাছ থেকে না দেখলে কেউ ধারণাও করতে পারবে না - এই বেঁচে থাকা কত আনন্দের। অনেক অনেক মানুষ অনেক অনেক কষ্টে বেঁচে আছে। কেউ মুখ ফুটে বলতে পারে, কেউ মুখ বুজে সয়ে যায়।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

যাদের শ্রমের বিনিময়ে দেশে ক্ষুধার খাদ্য ফলে,
সরকার কেনো থাকবেনা সেই চাষাভুষোদের দলে?

সচলে প্রত্যাখ্যাত একটি ছড়ার দুটি লাইন শেয়ার করতে নিজেকে আর আটকাতে পারলাম না। বাংলাদেশের কৃষকেরা যে কি নিদারূণ বঞ্ছনার মধ্যে দিনাতিপাত করে তা বলে শেষ করার মতো নয়। সব সরকারই নিজেদের কৃষকবন্ধু দাবী করে আর তলে তলে কৃষককে ধ্বংসের দিকে ঠেলতে থাকে। এর কারন হিসেবে বলা যেতে পারে দলীয় মাস্তানদের 'ব্যবসা' করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে; শুল্কমুক্ত খাদ্যশস্য এবং কৃষিজাত পণ্য আমদানীর সুযোগ দিয়ে বিদেশী বন্ধুকে খুশী রাখতে (স্পেসিফিক, ইনডিয়া), প্রভাবশালী মহল কর্তৃক কৃষিজমিকে অকৃষি জমিতে রূপান্তরের মাধ্যমে, ইত্যাদি বলে শেষ করার মতো নয়।

আপনার মতো আমাদের সকলেরই কৃষকদের নিয়ে কিছু কিছু লেখা উচিত। পাবলিক আমাদের ব্লগগুলো পড়ে, তাই আমরা লিখলে সেই বার্তা দেশে বিদেশে অনেক দুর পৌঁছায়। এভাবেই জনগণ কৃষকবঞ্চনার প্রকৃত চিত্রগুলো জানতে পারে।

আপনি আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম গ্রহন করুন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

আপনার কথা খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।

বৃষ্টির রঙ এর ছবি

কবিতা অসাধারণ। কয়েকটা বানান ভুল চোখে লাগলো।
খোরাক, ঔরসে।
আর শ্বাস টা কি শাঁস হবে? ইয়ে, মানে...
বানান ভুল ঠিক করে দেওয়ার ধৃষ্টতা মার্জনীয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।