রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাদম্বরী ------ ঘটনার অন্তরালে (১)

তানবীরা এর ছবি
লিখেছেন তানবীরা (তারিখ: বুধ, ০২/০৭/২০০৮ - ৩:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাদম্বরী ------ ঘটনার অন্তরালে (১)

মানুষের সাথে মানুষের অনেক ধরনের সম্পর্ক থাকে। নর ও নারীর সম্পর্ক ও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। একটা সময় হয়তো ছিল নর - নারীর মধ্যে সামাজিক লেখা পড়ার বাইরে অন্য কোন ধরনের সম্পর্কের কথা ভাবাই যেতো না। সভ্যতার সাথে যুগে যুগে মানুষ তার সম্পর্কগুলোকে আলাদা নাম দিতে ও ব্যাখা করতে শিখেছে। তারপরও একটা কথা থেকেই যায়। সব সম্পর্ককেই কি সব সময় ভাষায় ব্যাখা করা যায়? নাকি সব ভালোলাগাকেই চিরাচরিত নাম ভালোবাসা বা প্রেমের আবরনে মুড়িয়ে দেয়া যায়? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আলোচনা হলে অনেক সময়ই অনেকে তার বৌদি কাদম্বরী দেবীকে তার সাথে জড়িয়ে এক ধরনের রসাত্মক আলোচনা করতে পছন্দ করেন। তাদের মধ্যে একটা অন্য ধরনের সম্পর্কের ইঙ্গিতও দেন। আসলেই কি সেই ধরনের কিছু আদৌতেও তাদের মধ্যে ছিল? ভালোলাগা মানেই কি কোন ধরনের আলাদা বা নিষিদ্ধ সম্পর্ক?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের পরিবার একেতো ব্রাক্ষ ছিলেন তারমধ্যে আবার পিরালী। তাদের সাথে বিয়ের সম্পর্ক করতে সামাজিকভাবে অনেকেই সাহস পেতেন না। সেজন্য বাংলাদেশের যশোরের দিকে, যেখানে ঠাকুর পরিবারের জমিদারী ছিল, তার আশে পাশের গ্রামের সাধারন ঘরের মেয়েদের দেখে বউ বানিয়ে আনা হতো। কিন্তু কাদম্বরী যশোরের সেরকম রায় বংশের মেয়ে ছিলেন না। তিনি ছিলেন কোলকাতার মেয়ে। যদিও তাদের আগে থেকেই ঠাকুর বাড়ির সাথে বিয়ের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। শুধু জোড়াসাকোর ঠাকুরবাড়ি নয়, পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুর বাড়ির সাথেও তাদের আত্মীয়তা ছিল বিয়ের সূত্র ধরে। তারপরও কাদম্বরীর সাথে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এর বিয়েতে জ্যোতি এর দাদা সত্যেন্দ্রনাথ কিছুতেই রাজী ছিলেন না। কাদম্বরীর দাদা একসময় কাদম্বরীর বাবা ও কাকাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। কাদম্বরীর দাদা তাদের বাড়ীর সন্দেশ খেয়ে বলে দিতেন কোনটি বাসি আর কোনটি নয়, সে সন্দেশ পরীক্ষকের নাতনী হবে তার আদরের ভাই জ্যোতির বউ? জ্যোতি তখন বিলেত যাবেন পড়তে। ফিরে এসে এই ছোট্ট খুকীর সাথে মানিয়ে নিতে পারবেনতো? শেষে না দুটি জীবন নষ্ট হয়ে যায় এই ভাবনায় তিনি কাতর ছিলেন। কিন্তু এতদসত্বেও তিনি কিছুতেই গুরুজনদের মত পরিবর্তন করতে পারলেন না।

আট বছরের খুকী মাতঙ্গিনীর সাথে জ্যোতির বিয়ে হয়ে গেলো। ঠাকুরবাড়ীতে বহু বউদেরই আগের নাম বদলে দেয়া হতো। মাতঙ্গিনী হারিয়ে গেলেন কাদম্বরীর মধ্যে। যখন কাদম্বরী বউ হয়ে ঠাকুর বাড়িতে প্রবেশ করেন, ঠাকুরবাড়ীর সে বছরের হিসেবের খাতায় লেখা আছে তার জন্য সে বছর বর্ণ পরিচয়ের প্রথম ও দ্বিতীয়ভাগ কেনা হয়েছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ প্রথম জীবনে কিছুটা গোড়া থাকলেও পরে দাদা সত্যেন্দ্র ও বৌদি জ্ঞানদানন্দিনীর প্রভাবে সাবেক সংস্কার ত্যাগ করে কাদম্বরীকে ঘোড়ায় চড়া ও শিখিয়ে ছিলেন। গঙ্গার ধারে নির্জন শিক্ষা শেষ হলে প্রতিদিন তারা দুজন গড়ের মাঠে ঘোড়ায় চড়ে হাওয়া খেতে বের হতেন। সেই সময় কাদম্বরীর অশ্বারোহন রীতিমতো আলোড়ন জাগিয়ে ছিল কোলকাতার সমাজে। সাধারন নারীদের চোখে তিনি একে দিয়েছিলেন দুঃসাহসের মায়াঞ্জন। তিনি পশ্চিমিধারায় চলা মেয়ে নন, রীতিমতো সুপুরী কাটতেন, প্রতিদিন তরকারী কাটার আসরে তিনি উপস্থিত থাকতেন, বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে দেখাশোনা করতেন। কারো জ্বর হলো শিয়রে কাদম্বরী, কারো অন্য সমস্যা ছুটলেন কাদম্বরী। সদ্য মাতৃহারা দেবর বালক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও তিনি পরম স্নেহে সেসময় তার কাছে টেনে নেন, অথচ কতোই বা বয়স কাদম্বরীর তখন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ে বয়সে তিনি মাত্র এক বছরেরইতো বড়।

ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের যা কিছু সুন্দর তার সব কিছুর সাথে জড়িয়ে আছেন কাদম্বরী। তিনি এ বাড়িতে এসে তিন তলার ছাদে গড়ে তুললেন “নন্দন কানন”। পিল্পের উপর বসানো হলো সারি সারি পাম গাছ, আশে পাশে চামেলী, গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, করবী, দোলনচাপা। তার সাথে এলো নানা রকম পাখী। ঘর সাজানোর দিকে প্রথম থেকেই কাদম্বরীর প্রখর দৃষ্টি ছিল। দেখতে দেখতে ঠাকুরবাড়ির চেহারা তিনি পালটে দিলেন। কিশোর রবীন্দ্রনাথের সৌন্দর্যবোধকে তিনি সবচেয়ে উচু তারে বেধে দিয়েছিলেন, যা থেকে রবীন্দ্রনাথ আর কখনো সরে আসতে পারেননি। মাত্র কয়েক বছরেই প্রায় অশিক্ষিত এই বালিকাটি ঠাকুর পরিবারের মতো বিখ্যাত পরিবারের সাহিত্যের প্রানকেন্দ্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে কিছুতেই অংশ গ্রহন করতেন না। অপরকে প্রেরণায় উজ্জীবিত করাই ছিল তার ব্রত। যেটাকে প্রচলিত অর্থে বলা হয় রোমান্টিক সৌন্দর্যবোধ, তা কাদম্বরীর পুরোমাত্রায়ই ছিল। হয়তো ঠাকুরবাড়ীতে অনুকুল পরিবেশ পেয়ে তা তরতর করে বেড়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল কিন্তু তার ভিতরে তিনি সেটা বহু আগে থেকেই লালন করতেন। নইলে এ বাড়ির প্রানপুরুষকে জাগিয়ে দিতে তিনি যতোটা সফল হয়েছিলেন, অন্যকেউই তা পারেননি। কাদম্বরীকে নিয়ে এতো বেশী আলোচনার কারন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং। কিশোর রবীন্দ্রনাথের মানসিক গঠনে কাদম্বরীর ভুমিকা অসামান্য। তার অকালমৃত্যু রবীন্দ্রনাথের মনের মধ্যে গভীর ছাপ রেখে যায়, যা তার অসংখ্য গল্পে, কবিতা, গানে তিনি প্রকাশ করেছেন। যারা অনেক কিছু কল্পনা করতে ভালোবাসেন তাদেরকে সেসব কল্পনা করার রাস্তা তৈরী করে দিয়েছেন কবি নিজেই। তিনি নিজেও জানতেন সেকথা। যার জন্যে তিনি কৌতুক করে শেষ বয়সে লিখেছিলেন, “ভাগ্যিস নতুন বৌঠান মারা গিয়েছিলেন, তাই আজোও তাকে নিয়ে কবিতা লিখছি, বেচে থাকলে হয়তো বিষয় নিয়ে মামলা হতো” ।

(চলবে)

তানবীরা তালুকদার
০২.০৭.০৮


মন্তব্য

খেকশিয়াল এর ছবি

পড়ছি, লিখতে থাকুন, দারুন লাগছে

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অনিকেত এর ছবি

বাহ, একেবারে জমিয়ে লিখছেন তো।

কেবল আগ্রহ নিয়ে নয়, উৎকন্ঠা সহ অপেক্ষায় আছি পরের পর্বের জন্য।

s-s এর ছবি

আসলে, প্রেম কোন্ টিকে বলবো , আর কোন্ টিকে নয়, মাঝে মাঝে সেটা নিয়ে নিজেই ধন্ধে পড়ে যাই, রবি ঠাকুর তো বটেই নিজেদের সম্পর্ক গুলোতেও, তাই না? কাম , মোহ , মুগ্ধতা, বাৎসল্য,আবেশ, প্রভাব ------আকর্ষণের মন্বন্তর নেই প্রেমে। রবি ঠাকুরের জীবনে বহু নারীর প্রভাবকেই প্রেম বলে চালিয়ে দেবার যে জনপ্রিয় ধারণা আছে, তার বিশ্লেষণে আপনার লেখাটি জরুরী।
সুখপাঠ্য, দাবী রইলো পূর্নাঙ্গের।
ss
=======================

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

তানবীরা এর ছবি

মানুষের মনোজগত খুবই জটিল একটি জায়গা। কেনো কখন কি ভালো লেগে যায় কে বলতে পারে। কিন্তু সব ভালোলাগাই হয়তো প্রেম নয়।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তানবীরা এর ছবি

রবি ঠাকুর বেচে থাকলে এরশাদ ঠাকুর এর মতো বলতেন, মেয়েরা আমাকে পছন্দ করলে আমি কি করবো?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিন্দিতা এর ছবি

খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি পরের পর্বের জন্য।

অমিত আহমেদ এর ছবি

সুলিখিত। পড়তে ভালো লেগেছে। ঠাকুরবাড়ি নিয়ে আর সব বাঙালির মতো আমারও আগ্রহ প্রবল। তাই পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। তবে একটি কথা লেখায় রেফারেন্স দিলে লেখাটির গ্রহনযোগ্যতা নিঃসন্দেহে বাড়তো।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

তানবীরা এর ছবি

অমিত, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি সাধারনতঃ লেখার শেষে রেফারেন্সগুলো দিই কিন্তু আপনি চাইলেন তাই আগেই লিখে দিচ্ছি,

ঠাকুরবাড়ির কথা - হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
ঠাকুরবাড়ির অন্দর মহল - চিত্রা দেব
জোড়াসাকো থেকে পৃথিবীর পথে - বাসব ঠাকুর

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কিছুটা দ্বিমত করি
আমাদের অভ্যাস হলো প্রিয় মানুষকে ধোলাইখানায় নিয়ে একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে উপস্থাপন করা
আর রবীন্দ্রনাথের মতো মানুষকে তো পারলে আমরা ব্যক্তি হিসেবে দেবতা বানাতেই বেশি পছন্দ করি

কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ
তার ব্যক্তি জীবনকে মহান করে সাহিত্যের লাভ কী?
কিংবা মানুষ হিসেবে ব্যক্তি জীবনে তার কিছু সাধারণ বিষয় আশয় থাকলে সাহিত্যের ক্ষতিটাই বা কী?

০২
কাদম্বরীরর সাথে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আপনি যা লিখেছেন তা একেবারেই শুদ্ধিকরণ জাতীয় লেখা

    কাদম্বরীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের রাহুর প্রেম কবিতা কাদম্বরীকে উৎসর্গ করা তার পাঁচ পাঁচটি বই
    রবীন্দ্রনাথ বিয়ে করার পরে কাদম্বরীরর আত্মহত্যা
    কাদম্বরীরর মৃত্যুর খবর পত্রিকায় না আসার জন্য পত্রিকাওয়ালাদেরকে ঠাকুরবাড়ি থেকে ঘুষ দেয়া
    এবং কাদম্বরীর মারা যাবার পর থেকে রবীন্দ্রনাথের দাড়ি রাখা (কাদম্বরীর তাকে দাড়ি না রাখতে বলেছিলেন)

এসব কিন্তু সাধারণ প্রেমকেই ইঙ্গিত করে
রবীন্দ্রনাথের সাথে কাদম্বরীরর প্রেম যদি সাধারণ প্রেম হয় তাহলে আজকের যুগে তো রবীন্দ্রনাথের যেমন সংসার ভাঙার রিস্ক নেই কাদম্বরীরও না
তাহলে খামাখা মৈত্রেয়ী দেবীর মতো তাকে অতো কাটখোট্টা দেবনা বানানোর দরকারটাই বা কী?

তানবীরা এর ছবি

লীলেন ভাই, আপনার মন্তব্য আমি সব সময়ই উপভোগ করি। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে ডিফেন্ড করে আমার কি হবে বলেন? উনি মরে ভূত আর আমার কোন আত্মীয়তাও নাই উনার সঙ্গে। কিন্তু আমিতো আমার মতামত এখানে লিখছি না কিছু গবেষকদের মতামত তুলে ধরছি মাত্র।
ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কে মাথা ঘামায়, এই যে হুমায়ুন আহমেদ শাওনকে বিয়ে করলো, আমি কি কিছু বলেছি বলেন? মানুষ আসলে সবাই সাধারন, আমরাই দেবতা বানাই।

আপনার বাকী মন্তব্যগুলোর জবাব আমার পরবর্তী পর্ব গুলোতে পেয়ে যাবেন আশাকরছি।
রবি ঠাকুর এর সংসার ভাঙ্গার আশংকা কোন কালেই ছিল না। পরকীয়ার কারনে রাজার ছেলের সংসার ভাঙ্গে না, ভাঙ্গে আবুল - কাবুলের। তারেক জিয়ার বউকে দেখেন না কি নিষ্ঠার সাথে স্বামীর জন্য বেহেশতী জেওর নিয়ে জেলে দেখা করতে যায়।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইবার আমাকে একটু মাপ করতে হবে
আপনি নিজে যে কোনো কিছু বললে আমি মেনে নিতে পারি কিন্তু গবেষকদের কথা বললে মানতে রাজি না
গবেষকদে কাজ হলো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জীবনী লেখা

এই জীবনীতে তাহাকে মহান করেতে হইবে...
এই টাইপ

০২
রাজার ছেলেদের সংসার ভাঙে না
একটা হাচা কতা কইছেন

০৩

রবীন্দ্রনাথের বৌকে নিয়ে আমার একটা গল্প ছিল প্লানচেট পড়ে কমেন্ট করবেন তো

খেকশিয়াল এর ছবি

আপনার প্ল্যানচেট শুনে 'রবীন্দ্রনাথের পরলোকচর্চা' বইটার কথা মনে পড়ল, বুড়ো নিজেও প্ল্যানচেট করেছিলেন, সে এক কাহিনী !

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তানবীরা এর ছবি

লীলেন দা, এর সবটাই হয়তো ঠিক নয়। কবি তার বউকে চিঠি লিখেছেন দাদা। আমি আগে কাদম্বরী শেষ করি, পরে না হয় মৃনালিনী বিষয়ে একটু লিখব।

রবি ঠাকুর আমারও খুব বেশী পছন্দ নয়, উনার কারনে বহুত ব্যাখা মুখস্থ করতে হয়েছে ছাত্র জীবনে কিন্তু আপনিতো বাংলায় ভালো, আপনার রাগ কেনো দাদা?

তানবীরা

---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দময়ন্তী এর ছবি

এই গল্পটার জন্য লীলেনজীকেও লাখো লাখো শুকরিয়া। এরকমভাবে মেয়েদের কথা মেয়েদের দিক থেকে দেখতে পারাটা একটা বিশাল ব্যপার। সাধারণতঃ এই ধরণের কথা তুললেই বিদ্বৎসমাজ "মেয়েলি কথা" বলে ফুসস করে উড়িয়ে দেয়। লীলেনের সূক্ষ অনুভূতিপ্রবণ মনকে তাই মস্ত সেলাম।

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কীর্তিনাশা এর ছবি

জমে উঠেছে দারুন। চলুক.................

------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তানবীরা এর ছবি

অনিকেত, কীর্তিনাশা, অনিন্দিতা ও খেকশিয়াল ধন্যবাদ আপনাদেরকে। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের আগ্রহ পূরন করতে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রচনা পর্ব শেষ হউক... কিছু ব্যাপারে তখন কথা বলার খায়েশ রাখি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

নিশ্চয়ই, আমিও কিছু শোনার আশা রাখি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

তানবীরা লিখেছেন:
সব ভালোলাগাই হয়তো প্রেম নয়।
এই সুন্দর সরল সত্যটাকে আমরা কতো সহজেই ভুলে যাই ।

ভীষন ভালো লাগলো আপনার এই প্রামাণ্য সুন্দর লেখা

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।