আমাদের স্বাধীনতা প্রকৃতপক্ষে মহান: গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ-রসুল বাদ দিলো জামাত

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১২/২০১২ - ২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটি পড়লাম। আপনিও পড়ুন দয়া করে। পড়ে বিস্মিত হলে আপনার সবকিছুতে খুব বেশি বিস্মিত হবার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলুন। যদি ভাবেন, ‘ওরা এমনি’ তারপর ধরে নিন যে এমনি করেই দিন যাবে তাহলে আপনার জন্য ০৪ ডিসেম্বরে একটি জামাত ঘোষিত হরতাল অপেক্ষা করছে, এরই মাঝে সারাদেশে তাণ্ডব ঘটেছে ব্যাপক। পুলিশ ধারনাটার উপর সাধারণ জনগণের আস্থা নেই, তার সুযোগে কর্তব্যরত পুলিশের উপর হামলা হয়েছে যত্রতত্র। সব করা হয়েছে ধর্মের নামে, আজ থেকে শুরু হয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে সুযোগ, পৃষ্ঠপোষকতা পাবার পর থেকে জামাত-শিবিরের হাতে সারাদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারা গেছেন অসংখ্য মুক্ত বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন আরও সব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

শুধুমাত্র ধর্মের নামে একটি দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে গণিমতের মাল হিসেবে এরা ধরে ধরে খুন করেছে, কন্যা-জায়া-জননী’দের তুলে দিয়েছে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী’র হাতে, নিজেরাও ধর্ষণ করেছে, লুটপাট করেছে -- সব ইতিহাসের পাতায় ছবিসহ রাখা আছে। শুধুমাত্র ধর্মের নামে এরা এখনও পারলে আপনার আমার ঘরে হানা দেবে, এরা এখন মরিয়া। আজকে (৩ ডিসেম্বর ২০১২) দের গঠনতন্ত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে জামাত, আগামী কাল (৪ ডিসেম্বর ২০১২) ডেকেছে হরতাল। সেই হরতালে একদম মন থেকে সাড়া দেবে, কাজ করবে জামাতের সকল শক্তি, একদম পরিকল্পনা অনুসারে ঘটবে সব। আমরা এখনও গণিমতের মাল, বাংলাদেশ নামে কোন দেশের অস্তিত্ব কোনদিন কোনভাবে ছিলোনা এদের কাছে, এদের সংঘবদ্ধ চক্রের কাছে আমি, আপনি, আমরা সবাই বন্দি। চিড়িয়াখানার হায়েনা, চিল, শকুন এখন খাঁচায় থাকেনা; আমাদের মন, মনন বোধ এরা তাদের ব্যবসায়ী খাঁচায় বন্দি করে ফেলেছে। আমরা পণ্য। আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে জামাতকে টাকা দেন, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন, করেন না?

গঠনতন্ত্র থেকে যাই বাদ দিক, এদের বিশ্বাস পাল্টায় নি, কোনদিন পাল্টাবেনা, তেমনি পাল্টাবেনা চর্চা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে আপনি যদি খুব বীতশ্রদ্ধ হন এবং সেই কারণে ধর্ম বাদ দিলেই যদি আপনি জামাতের সবকিছু ভুলে যেতে রাজি থাকেন তাহলে এখান থেকেই পড়া বাদ দিয়ে দিলে খুশী হই, সবার জন্ম নিয়ে সবর মা কোনদিন গর্বিত হয়-না, আমাদের একসাথে ভাবতে চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গেট লস্ট!

ধর্ম চিবিয়ে খায়না কেউ, বাংলাদেশের কোথাও কোন ধর্মযুদ্ধ নেই, কোনদিন ছিলোনা। যারা বুঝে ধর্ম পালন করেন তাদের-ও ভাবার সময় এসেছে আপনি আসলে নিজের ধর্ম পালনের পাশাপাশি শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্ম পালনের জন্য কিংবা কোন ধর্মীয় আচার না মেনে চলা কোন মানুষের জীবনে সমস্যা তৈরির অধিকার রাখেন কিনা। কিন্তু যারা শুধুমাত্র পালন করতে হবে বলে পালন করতে করতে পরকালের কথা ভাবতে ভাবতে তবুও চুরি করেন, ঘুষ খান এবং অবসর জীবনে এসে হজ্ব করে মুচলেকা দিয়ে ফতোয়া দিতে শুরু করেন, এমনকি আপনারও ভেবে দেখা উচিত দাঁড়িপাল্লা মানে ওজনে কতটা কারচুপি হতে পারে!

আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে, জাতিগত ভাবে বাঙালী -- আমরা কেউ ঢাকাইয়া, চাঁটগাইয়া, সিলেটী কিংবা কামরূপ কামাখ্যার অধিবাসী নই। একই দেশের নাগরিক, একই জাতীয় সঙ্গীত গাই, একই রণসঙ্গীত শুনে সবার-ই রক্ত দামাল হয়, একই ভাষার ভিন্ন ভিন্ন স্থানিক উচ্চারণে কথা বলি, একই একাত্মতা অনুভব করি -- বিশ্বাসে এবং মানবিক সংজ্ঞায় পার্থক্য আছে, থাকাটাই স্বাভাবিক। হয়তো আমার কথায় আপনি প্রচুর তর্কের সুযোগ খুঁজে পাবেন। আপনি তর্কের অজুহাত খুঁজতে থাকুন, ডান আর বামের মাঝামাঝি আপনার অজুহাত নামে আরেকটা হাত লেজের মত ঝুলতে থাকুক, আপনি ঘুমোতে যান।

নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে। একই সঙ্গে নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে দলটি। -- যে দেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম (এরশাদ প্রদত্ত, এই নরাধমের বিচার হয়নি এখনও বাংলাদেশে), শতকরা হিসেবের বাইরে মসজিদে মসজিদে একেক ওয়াক্তে আযান শুনতে পাবেন আপনি কম-সে-কম ১০ মিনিট নানাদিক থেকে, সে দেশে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে-ও জামাত যা বুঝায় তার কথা ইসলামে বলা হয়নি। আমার কাছে এই এখন কোন রেফারেন্স নেই তবু আপনি চাইলেই দেখতে পারেন, খুঁজে নিতে: জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর ইসলামের শুরু কবে, কিভাবে এর বিকাশ ঘটেছে, কোথা থেকে সব পরিচালিত হয় এবং ফাকিস্তান নামের একটা অথর্ব রাষ্ট্রে’র জনগণ তাদের কতটা ঘৃণা করে। সেসবের প্রমাণ দেয়ার জন্য প্রচুর মানুষ বসে আছেন, আপনি চেয়ে দেখুন একবার সত্যিকারভাবে। আপনি নিজ থেকে খুঁজে নেন কি? নাকি ধরেই নেন আপনার বাড়ী পাহারা দিতে আপনার সতর্ক থাকার প্রয়োজন নেই, সমাজ আর রাষ্ট্র নামের একটা যন্ত্র আপনাকে সব বালা-মুসিবত-মুশকিল থেকে আসান দিবে তাবিজ-কবজের মত?

আপনি কিসের উপর ভিত্তি করে নিজের দেশপ্রেম নিয়ে নিজের কাছে ভাবিত হন একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে? ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়ান, কেন পেজে লাইক দেন, কার স্ট্যাটাস শেয়ার করেন, কতবার মন্তব্যে বলেছেন আপনি জামাতের বেলায় কতটা সচেতন? কতবার নিজেকে মনে করিয়ে দেন, মুখ ফুটে বলে ফেলেন জামাত’কে আপনি ঘৃণা করেন কারণ আপনার স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের অস্তিত্বে আপনি বিশ্বাসী, এর চাইতে সুবৃহৎ আর কোন বিশ্বাস আপনাকে গর্বিত হতে দেয়না! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কেবলমাত্র কোন মিথের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে নেই আপনি যতটা ভাবেন! সত্যিকারভাবে একটা ১৯৭১ ছিলো, ছিলো সত্যিকারের যুদ্ধে হাসতে হাসতে মরে যাওয়া তিরিশ লক্ষ শহীদ, সত্যিকারভাবেই এই দেশের অগণিত কন্যা-জায়া-জননী’র উপর চলেছিলো অকথ্য অত্যাচার, সত্যিকারভাবে-ই আপনি, আমি ভুলে যাওয়া মানুষের দলে নাম লিখিয়েছি। আমাদের পূর্বতন প্রজন্মের ব্যর্থতার কারণে সেইসব নারী’রা তাদের সম্মান ফিরে পান-নি, সেই পাপ বহন করে এই এখনও আপনার, আমার ছোট বোনটিকে সেফটি-পিন হাতে বাসে উঠতে হয়... শেষ নেই... আপনি কখনও প্রতিবাদ করেন? টাইটেল পাস করা একজন মাদ্রাসা ছাত্র যখন আপনাকে ধর্মের নামে কাফের হত্যার বৈধতা দিয়ে দোয়া পাঠ করে, আপনি তখন কতটা প্রতিবাদ করেন? আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলেন এই নিয়ে?

আমাদের যদি সবারই দল থাকে, সবারই একেকটি নির্দিষ্ট দল থেকে থাকে প্রত্যাশা তবে শুধুমাত্র একটি মানদণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে আপনি, আমি একসাথে কথা বলতে পারি। সেই মানদণ্ড’টির কোন আকার নেই, আয়তন নেই, নেই কোন সূচনা, শেষ কিংবা সারাংশ। একটি যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া দেশে স্বাধীনতা বিরোধী’রা সব দেশেই ছিলো, আছে, থাকবে কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের মত এমন সুযোগ-সুবিধা আর বাহুবল নিয়ে পৃথিবীর আর কোন দেশে এরা থাকেনি।আপনি আপনার শুধুমাত্র শারীরীক নয়, মানসিক অবস্থান-ও বেছে নিন। না পারলে মানুষকে ভালবাসুন, বাবা-মা’কে শ্রদ্ধা করুন, বৃদ্ধদের সহায়তা করুন, শিশুদের প্রতি হওন সদয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষ হিসেবে গল্পের বই পড়ুন, গান শুনুন, কবিতার বই পড়ুন, সিনেমা দেখতে যান, নাটক দেখতে যান -- সামগ্রিকভাবে একটা কিছু করুন অন্তত। শুরু করুন এই বিজয়ের মাসে। এই বিজয়ের মাসে এরা হরতাল দিয়েছে সারা বাংলাদেশ জুড়ে!! একবার ভাবুন, তাদের বিচারের এই ক্রান্তি লগ্নে বিজয়ের মাসে একা একা হরতাল দেয়া, তার আগের দিন এই ভণ্ডামি কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। নাকি মগজ ধোলাই হয়ে গেছে এরই মধ্যে? বিক্রি হয়ে গেছে আত্মা, স্বদেশ, সংস্কৃতি, মা-বোন --- সব?

স্বাধীনতার গর্বের পাশাপাশি এটা আমাদের জাতীয় লজ্জা হতে পারে যদি না এই ধর্মেরে খোলসে বন্দি পশুটির প্রকৃত খোলস বেরিয়ে আসার পর আমরা তাদের আবার সুযোগ করে দেই, সেই ব্যর্থতার ইতিহাসে আপনার নাম লিখা হবেনা হয়তোবা কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যখন ‘সব শালা মাদারচোদ ছিলো!’ বলে গালি দিবে তখন সেখানে আপনার শিশুটি আপনার মুখ খুঁজে নেবে সবার আগে।


মন্তব্য

অরফিয়াস এর ছবি

সুতীব্র !!!! গুরু গুরু

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব প্রয়োজন, খুব। এ কথাগুলো এমন সুতীব্রভাবে বিদ্ধ করেই বলা দরকার এতে যদি আমাদের ঘুম ভাঙে।

স্বয়ম

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এগুলো আই ওয়াশ। ক্ষমতা যদি পায় কোনোদিন তাহলে গঠণতন্ত্রে উল্লেখ করা ছাড়াই ছাটাই করা অংশ গুলো কাজে লাগাতে ছাড়বে না এই ুদির ভাইরা।

আসলে গঠণতন্ত্র ছাড়াও নিয়ম করা দরকার ছিলো যে, পরিচালনা পরিষদে দেশের অবস্থিত শতকরা সমান পরিমানে সংখ্যালঘু থাকতে হবে। অর্থাৎ দেশে যদি ২০% হিন্দু, ৫% খ্রীষ্টান, ইত্যাদি থাকে তাহলে পরিচালনা পরিষদের ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন হিন্দু এবং ৫ জন খ্রীষ্টান, ইত্যাদি রাখতে হবে।

দিগন্ত এর ছবি

আপনার এই মতামত ইন্টারেস্টিং। এটা মহম্মদ আলি জিন্নহের অবিভক্ত ভারত গড়ার একটি পূর্বশর্ত ছিল। তবে জিন্নাহের মতে সংখ্যালঘু যত শতাংশ থাকবে, তার থেকে কিছুটা বেশী তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। তবে জিন্নাহের হাতে দেশ যখন এল তখন উনি সেই দাবী ভুলে গেলেন হাসি আমি যতদূর জানি লেবাননে ঠিক এই প্রথা অবলম্বন করা হয় মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের প্রতিনিধিত্ব হিসাব করার জন্য।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

তানিম এহসান এর ছবি

লেবাননের সিস্টেমে যেটা দেখলাম তাতে শুধু খ্রিস্টান কিংবা মুসলমান না, তাদের ভেতরও যে আলাদা আলাদা চর্চা সেটার গুরুত্ব-ও দেয়া হয়েছে। কত যে ভাগাভাগি ধর্মের নামে।

বাংলাদেশেও দেখেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি বাদ-ও দেন তাহলেও কতশত ভাগ, এবং সব ভাগের সব লোকজন ভাবে তারাই সঠিক, বাকিরা ভুল, সব ধর্মের চর্চাতেই। এবং এইসব ভাগাভাগি জিইয়ে রেখে সবার পাপ আর পুণ্যের হিসেবের সব গুড় খেয়ে নেয় একদল ব্যবসায়ী।

এমনকি সনাতন সুফিবাদের চর্চাটাকেও এই দেশে ভ্রান্তির বেড়াজালে আটকে ফেলা হয়েছে।

সেদিন শুনলাম দেওয়ান বাগি না কোন বাগি তার আস্তানার উপর কাবা আকৃতির একটা ঘর বানিয়েছে, সেখানে নাকি সবাইকে ঘুরতে হয়, হজ্বের সমান সওয়াব পাওয়া যায়! জামাতের পাশাপাশি এই দলটাও কম বিপদজনক নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্ষিনার পীর এর ভূমিকাই সবাই জানে, সেও হুমায়ুন আহমেদ পড়ার সুবাদেই মনে হয়। আর কেউ ছিলোনা? যদি থেকে থাকে তাহলে তাদের বর্তমান গদ্দিনশীন যারা তাদের চেহারা জানা থাকা দরকার আমাদের।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং!

তাছাড়া আরেকটা ব্যাপার "জামায়াতে ইসলামী" মানে হলো "ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জামাত বা দল"। যে দলের গঠণতন্ত্র থেকে ধর্মের ব্যাপারটা বাদ দেয়া হলো সে দলের নাম থেকে ধর্মের ব্যাপারটা দূর করা হলো না ক‌্যানো? "জামায়াতে ইসলামী" নামটা ুু কেটে "জামায়তে ইনসানিয়াৎ" টাইপের কিছু দিতে পারতো। বেটার ইয়েট, পুরো বাংলা নাম, "মানবতা সংঘ" দিলে আরো ভালো হতো।

ঠাট্টা মস্করা যাই করি না কেনো, আমার ভয় হচ্ছে অন্য জায়গায়। বিএনপি যেমন স্বাধীনতা উত্তর দূর্বল জামাতে ইসলামকে হটিয়ে কট্টরপন্থীদের দলে টেনে জামাতের শূণ্যস্থান পূরণ করেছিলো, এই বেলা জামাত তেমন নিজেদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দূর্বল বিএনপির জায়গা দখল করতে চায় বলে আমার ধারণা। সে কারনেই এই পরিবর্তন তারা শেষ মেষ মেনে নিয়েছে।

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক

সহমত, জামায়াত বুঝে নিয়েছে আর এখন বিয়েম্পি (পড়ুন বায়োমেকানিক্য়াল স্য়ুট) গায়ে দিয়ে বাংলাদেশে বিচরণের দরকার নেই, বাতাবরণ অনুকূল তাই খোলস আলগা করা হচ্ছে।

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

ইসি মেনে নেয়নি, বলেছে নতুন করে তাঁরা এটা নিয়ে কাজ করবে এবং সমূহ সম্ভাবনা আরও কিছু রদবদলের। দেখা যাক। তবে পুরো নিষিদ্ধ করা গেলে একটা কাজের কাজ হতো।

বিএনপি দখলে নেয়া শেষ, খালেদা জিয়া’র আশেপাশে একটা লোক দেখান যার নামের প্রতি আমরা এই ইস্যুতে কিছুটা সুবিচার করতে পারি, নাই। এরশাদের কোন খোঁজ খবর নাই পুরো ইস্যুটাতে, বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্নে জামাত তার পাপোষ ঠিক করে দিবে এই আশায় বসে আছে নাকি? এই এরশাদের ঘটকালি করার ক্ষমতা বিস্ময়কর।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমিও এরকম ভাবছিলাম, এটা তো আসলেই একটা আইওয়াশ। গঠনতন্ত্র বদলালেই তো আর ভিশন বদলাবে না। আর আসলে আমার মনে হয় গঠনতন্ত্র বদলালেও লাভ নাই। নামটাই তো মেরে দিচ্ছে সব পূর্বশর্ত। জামাত-এ-ইসলামি নাম থাকলে গঠনতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষতা কে **বে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এটা করা হয়েছে কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের রিকয়ারমেন্ট মেটানোর জন্যে, আই ওয়াশ তো বটেই। সময় ও সুযোগ আসলে এই কুত্তাগুলো ঠিকই পুরোনো মসলায় ফিরে যাবে।

দ্বিতীয় প্যারায় দারুনভাবে সহমত। চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

জাতিতাত্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকাটাও প্রয়োজন।

পুতুল এর ছবি

আমার পর্যবেক্ষণ বলছে; জামাত মড়ন কামড় দিচ্ছে।

জামাতের পরিকল্পনা সব সময়ই নরম-গরম ছিল। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের শুরুর দিকে এরা নরম ছিল। তাদের সমর্থিত সব মিডিয়া তাদেরকে মার খাওয়া একটা ভাল দল হিসাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু এতে জনগনের তেমন সহানুভূতি মেলেনি। তাই এবার গরম হয়েছে। গরম হয়ে আল্লাহর আইন নবীর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে বেছে নিয়েছে জেহাদ। মানুষ আরো ভীশ্রদ্ধ হয়ে পরেছে। জামাত-শিবির একটা আতংকের নাম। সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে আবারও। আবারও বলছি কারণ; এরশাদ আমলে ভয় দেখিয়ে কুড়াল নিয়ে মাঠে নামে ফ্রডম পার্টি আর জামাত নামে খুর নিয়ে রগ কাটতে। এভাবে ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করে সমর্থন আদায় করা যায়্ কিন্তু সেটা ক্ষণস্থায়ী। এবং ঐ ক্ষণস্থায়ী সময়ের অত্যাচার মানুষ এত তাড়িতাড়ি ভুলে যায় না। যেম আমরা ভুলিনি ৭১-এ জামাতের ভূমিকা, যা আপনি বলেছেন।

আমার কাছে সরকারের ভূমাকা এই মূহুর্তের জামাত প্রসংগে বরং বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়েছে। হয়তো সে ভাবে সরকার ভাবে নি। কিন্তু বাস্তবতা দেখল জনগন; জামাত এখনই কোন আইন-কানুন তো মানেই না! আইন বা সরকারের অর্গানকে পর্যন্ত আঘাত করতে ছাড়ে না! এরা ক্ষমতায় গেলে তো বোরকা-টুপি ছাড়া রাস্তায় বেড়োলে মার-ধোর খেতে হবে! এই ভীতাটার দরকার ছিল তথাকথিত শিক্ষিত-মধ্যবিত্ত- খোদাভীরু মুসলমানদের।

এই তথাকথিত শিক্ষিত-মধ্যবিত্ত- খোদাভীরু মুসলমানরা কিন্তু ছেলে-মেয়েকে আবার রসায়ন-পদার্থ বিদ্যা পড়ানোর জন্য অক্সফোর্ডে পাঠানোর স্বপ্নও দেখে, যাতে তাদের সন্তানেরা অন্তত প্রমান করতে পারে যে; বিজ্ঞানের সব আবিস্কার তো আসলে কোরনেই লেখা আছে। আমাদের আগে সেটা ইহুদী-নাসারা-রা পড়ে নিয়ে আবিস্কার করে ফেলেছে।

তার সাথে যুক্ত হয়েছে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া নামাজী ছেলেটির (কী যেন নাম!) বোমা মারার কাহিনী। এই লাইনে ভাবা "তথাকথিত শিক্ষিত-মধ্যবিত্ত- খোদাভীরু মুসলমানরা" কিন্তু জিহাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের সন্তান কোরবান করতে চায় না। কাজেই তারা এখন খুব খোদাভীরু ছেলে-মেয়ে দেখলে নিজেরাই সতর্ক হয়ে যাবে। কারণ আল কায়েদার মতো এক্সট্রিম খোদাভীরু সন্তান তারাও চান না।

আর এখন জামাত শিবির সেই এক্সট্রিম দিকটাই প্রদর্শণ করছে। এতে তাদের ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই। আমাদের ক্ষতি হল " দেশে কর্যকরী কোন বিরোধী দল রইল না"। কারণ; খালেদা জিয়া বা বিএনপি যাই বলিনা কেন; তাদের (জামাত ছাড়া) স্বতন্ত্র অস্তিত্ব কিন্তু আর নাই (বলেন আলহামদুলিল্লাহ)। আমরা আমাদেরকে যতই চালাক মনে করি না কেন; জনগন আপনার আমার চেয়ে আরো বেশী চালাক। তারা ঠিক জানে; কখন কী করতে হবে, কোন মৌশমে কী ফসল ভাল জন্মে। আমাদের কাজ হল এখন কী মৌশুম, সেটা জনগনকে বলার চেষ্টা করা।

এই ইসলামী তাণ্ডবের ভেতর আমার সংকট হচ্ছে একটা বিরোধীদলের অস্তিত্ব এখনো অনুপস্থিত! বিএনপি জিয়ার মতো শহীদ বা গোলাম আজম কর্তৃক ধরাশায়ী (পড়ুন ধর্ষিতা)। জামাত শিবির (আপনার মতো সচেতন যুবকের সামনে) অলরেডী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে বিলুপ্ত। এদের অস্তিত্ব থাকবে কেবল সন্ত্রাসবাদী হিসাবে। তার ট্রিটমেন্ট দেবে সময়।

আমাদের শক্তিশালি বিরোধী দল দরকার এই মূহুর্তে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানিম এহসান এর ছবি

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের পরিবারের শান্তি কমিটির সাথে সম্পৃক্ততার কথা শোনা যায়। বিএনপি’র নোয়াখালী লবি (মওদুদ গং) আগে থেকেই জামাত এর পারপাস সার্ভ করে। সেদিন শুনলাম ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি জামাত সমর্থিত।

বহুবছর আগে সাপ্তাহিক ২০০০ (নাকি বিচিত্রা? ভুলে গেছি) এ একটা প্রচ্ছদে যা দেখানো হয়েছিলো জামাত ধীরে ধীরে বিএনপি’কে গ্রাস করে নিচ্ছে। সব ভবিষ্যৎবাণী’র জন্য জ্যোতিষ হতে হয়না। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ পুতুল ভাই।

দুর্দান্ত এর ছবি

লীগ কেন জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের লিস্ট থেকে ফেলে দিয়ে দেশের প্রতি একটা ইনসাফ করতে পারছেনা, সেটা রহস্য।

একটা কারণ হতে পারে যে, সুগঠিত অদৃশ্য জামাত আর ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ঘুরঘুর করতে থাকা চৌকশ জলপাই - এটা শেখের বেটির পুরাতন দুঃস্বপ্ন। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে অন্তত জামায়াতের রাজনৈতিক মঞ্চে হারানোর আর কিছু অবশিষ্ট থাকতো না। জামায়াত নিজেকে শুধু রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তারা তাদের অনুসারীদের ব্রেইনওয়াশ করে একটি সামাজিক আন্দোলনের কর্মী হিসাবে। তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি এতটাই সুপ্রসারিত ও সুগঠিত, লীগ, যে কিনা রাজপথ ছাড়া আর কিছু চেনে না, তাকে কোণঠাসা করতে জামায়াতের খুব বেশী সময় লাগাবে না। জামায়াতকে বাগে আনতে তখন জলপাই মাঠে নামাতেই হত। জঙ্গি ধরতে সিদ্ধহস্ত একটি বড় দলকে আমরা পিলখানায় হারিয়েছি। এখন কুর্মিটোলা-ভাটিয়ারীতে যারা আছেন, তারা যদি নিজের দেশের চাইতে সাব-সাহারার আফ্রিকাকে ভাল চেনেন, আমি অবাক হবোনা। কুর্মিটোলার খুটি হাতের মুঠিতে শক্ত ধরা থাকলে ইমাম সাহেবকে নির্বাচনের এত নজদিখে এসে জেনারলদের মিউজিকাল চেয়ার খেলিয়ে বাগে রাখতে হতনা।
আমার ধারনা রাজপথ থেকে খেদিয়ে জামায়াতকে হ্যান্ডেল করার আত্মবিশ্বাস শেখের বেটি বা ইমাম-মখাদের নেই। তারা 'মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি' বলে মাইক ফাটিয়ে ফেলেও জামায়াত প্রশ্নে তারা সংসদের এবসলুট মেজরিটি প্রয়োগ করতে ইতস্তত করছে। দেশে জামায়াত বলে একটা রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব এখনো আছে, মানে এই রেখে দেওয়াতে লীগ একটি উপযোগ এখনো দেখছে, সেটাই জামাতের মূল-স্রোত রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কেন্দ্রীয় আস্কারা।

সম্পদের প্রয়োগের আলোকে এটা লীগের বিচক্ষণতা, কারণ জামাতের মোকাবেলা মূলস্রোতে রেখে করাই সাশ্রয়ী - পুলিশ আর যুবলীগ দিয়েই চলে - জলপাই লাগেনা বা লাগলেও শুধু ইন্টেলিজেন্সে। লীগের মূল-মেধা বা কোর কম্পিটেন্সিই হল রাজপথ। বাংলাদেশে রাজপথ মাতানোর যে টেক্সটবুক, সেটা লীগের লেখা - অন্তত এই ফিল্ডে জামাতকে নিয়ন্ত্রণে রাখা লীগের জন্য ওয়ান-টুর খেলা। জামায়াতের মূলনীতির এই পরিমার্জনায় খুশী থেকে (যুদ্ধপরাধীর দল হিসাবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষনা না করে) লীগ আপাতত জামায়াতকে রাজপথে ধরে রাখল।

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত।

শেখ হাসিনা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী কিংবা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নন, তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, এখনও জীবিত আছেন, তাঁর জীবনের নিরাপত্তা কিন্তু ইমাম-মখারা দেয়না। ১৫ই আগস্টের গ্রেনেড হামলা আর লালদীঘি ময়দানের হামলা স্মরণ করে দেখুন, তাঁকে বাঁচাতে সেদিন মানুষের ঢাল ছিলো আপামর -- তাঁর সবচাইতে বড় শক্তি এটাই। বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ পরিবারের ভেতর কতজন তাঁর সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার কাজে সর্বত সহায়তা করে সেটাও ভাববার বিষয়।

তবে আমি মনে করি আওয়ামী লীগের এখন উচিত তার ব্যানার প্রসারিত করা। বঙ্গবন্ধু একটা জাতিকে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে একতাবদ্ধ করেছিলেন, প্রায় সব দল সেই বৃহৎ ছায়ার ভেতর একসাথে লড়েছিল একটা মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করার জন্য। বর্তমান আওয়ামী লীগের ভেতর একটা শুদ্ধি অভিযান-ও হয়তো প্রয়োজনীয়।

মখা’র বিরুদ্ধে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেদিন যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর একটা বক্তব্য জেনে খুশী হয়েছিলাম খুব, মখা জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে যুবলীগকে লড়াই করার আহ্বান জানানোর পর ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছিলেন, জন নেত্রী তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন জনমত তৈরির জন্য, জামাত-শিবির কে ঠেকানোর জন্য পুলিশ আর রাষ্ট্রযন্ত্র আছে। মখা’র মত, ইমামদের মত মানুষজন সারাজীবন গাছের উপর আর তলার সব ফল খেয়ে গেছে, এরা কতটা পরিপূরক শক্তি সেটা টের পাওয়ার সময় মনে হয় খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

লীগের জামাতকে নিষিদ্ধ না করার বা বিএনপি কে আক্ষরিক অর্থে মুছে ফেলার শক্তি এই টার্মে থাকলেও তা না করার আরেকটা কারণ সম্ভবত, এরা নিশ্চিহ্ন হলে তার কোনও ডান প্রতিদ্বন্দি থাকে না। সেক্ষেত্রে লীগের উদারনৈতিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ যে ইমেজ তা খসে পড়ে। এটা দীর্ঘসূত্রিতায় তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যে মঙ্গলজনক নয়। এখানে আড়িয়াল বিল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটটা স্মরণযোগ্য। বিএনপি, এই সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু ছাড়া আন্দোলনের আর যে ক্রেডিট পায় তা হলো আড়িয়াল বিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই আন্দোলনের ক্রেডিট বিএনপিকে দিয়েছেন। সরকার নতি স্বীকারের আগ মুহুর্তে মিডিয়াতে এই ধরনের কিছু কথা চালাচালির পর আমরা বিএনপিকে মাঠে দেখি। মূলত আন্দোলনটা ছিল, প্রগতিশীলদের নেতৃত্বে ঐ অঞ্চলের সাধারণ জনগণের।

স্বয়ম

অনিকেত এর ছবি

আগুন-ঝরানো লেখা--আপনার অন্তর্দহনের অকপট বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ছত্রে ছত্রে!
গুরু গুরু

অনেক আগে যখন আলীগ জামায়াতের সাথে গাট-ছড়া বেঁধেছিল নির্বাচনে যাবার জন্যে, তখন আমার ক্ষুব্ধ বিস্মিত মুখের দিকে তাকিয়ে আলীগ করা বন্ধুটির অশ্লীল হাসিমুখ নিঃসৃত বাণীটির কথা মনে পড়ে--"রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই"--আমি নিশ্চিত, আমি জীবনে যত অশ্লীল কথা শুনেছি, এর মাঝে শ্রেষ্ঠ নোংরা কথাটার শিরোপা পাবে এই কথাটি।

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই!!

জামায়াতের গঠনতন্ত্র বদল আমাকে বিস্মিত করেনি একেবারেই। এই দলটি একটি আদর্শহীন ক্ষমতালিপ্সু শুকরছানাদের দল---দাঁড়ান দাঁড়ান--আমি তো মনে হয় আমার দেশের সবক'টি দলের সংজ্ঞা দিয়ে দিলাম এক লাইনেই!!

আমার মনে হয় আমার দেশের গত চল্লিশ বছরের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল--কোনটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর কোনটা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি তাদের মাঝের তফাতটুকু ঘুচিয়ে ফেলা।
আর আমার দেশের গত চল্লিশ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য হল---এত শত শুকরছানার জন্মের পরেও, এত শত শুকরছানার ঘোঁ ঘোঁৎকারের পরেও সাধারণ মানুষের মন থেকে একাত্তরকে মুছে ফেলা যায় নি! আমার ভাবতে অবাক লাগে প্রায় সিস্টেমেটিক এলিমিনেশান প্রসেস চালানোর পরও অনেক মানুষ বেরিয়ে এসেছেন সত্যটাকে বুকে আকড়ে ধরে।

শুধু এই কারণেই আমার দেশের উপরে আস্থা হারাতে পারি না--
আমি জানি হাম্বালীগ-বেম্পি-জামায়াত সবাই আসলে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এরা সবাই আমার অশ্লীল বন্ধুটির কাছ থেকে শিখে নিয়েছে 'রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই'

ওরা যা জানেনা, ওরা যা জানতে পারে না, ওরা যা শুনতে পারে না, ওরা যা দেখতে পারে না--তাহলো--
এই বাংলাদেশ লড়াই করেছিল ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, এই দেশ লড়াই করেছিল তার নিজের সংস্কৃতির জন্যে---এই দেশের লড়াই ছিলো না এছলামী-মিছলামী-বাচলামীর জন্যে---
১৯৭১ এ আমরা দেখিয়ে ছিলাম--ধর্মের শিখন্ডিকে আমাদের ভয় নেই
১৯৭১ এ আমরা দেখিয়েছিলাম অথর্ব ধর্মের চেয়েও বড় কিছু যদি থাকে সে হল আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের কৃষ্টি---

১৯৭১ এ আমরা দেখিয়েছিলাম আমরা এমন একটি জাতি, যাদের গোলকধাঁধায় আটকে রাখা সম্ভব নয়---

জামায়াত নিপাত যাক
নিপাত যাক দল-মত নির্বিশেষে সকল শুকরছানার দল ----

তারাপ কোয়াস এর ছবি

গুরু গুরু


love the life you live. live the life you love.

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

এই সুতীব্র আহবান ছড়িয়ে পড়ুক সবজায়গায়।
সেফটিপিনের কথা লিখে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিলেন। ব্যাগে আমিও সেফটিপিন রাখি, মেড ইন চায়না হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

সেসব কথা বলেননা কেন? আপনি সাহস করে বললে আরও অনেকে বলবে, বলার দরকার আছে। লিখতে শুরু করুন।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

(খাপু) জামাত শিবির নিপাত যাক।


love the life you live. live the life you love.

সুলতান এর ছবি

বাংলাদেশের বড় দুই দলের রাজনৈতিক কৌশলের গুটি ওই জামাত। কেউ ওদের বাদ দিবে না কিন্তু বড় বড় কথা বলবে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। গুরু গুরু

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কী কমু এর ছবি

মলের দলা যতই ঘি-ননী দিয়ে মাখিয়ে আনুন না কেন, মল মলই থেকে যাবে। জামাত হল বিশ্বের সবচে বড় খুনী-ধর্ষণকারীদের ক্লাব, এরা ইতিহাসের কাছে চিরকাল মলের দলা হয়ে থাকবে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই তানিম, জামাতের মতো বদমাশ দলের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। যেটা প্রয়োজন ছিলো, তা হলো বাংলাদেশ থেকে জামাত নিষিদ্ধ করা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

এই নিষিদ্ধ কিন্তু আইন করে করার চাইতে চেতনায় সমুন্নত হওয়াটা খুব বেশি প্রয়োজন আগে।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

৭৫ থেকে ৯৫ পর্যন্ত এরা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুঁকে গেছে। তখনকার তরুণ বা সুশীল প্রজন্ম কতটুকু দায় এড়াতে পারেন চিন্তার বিষয়! এখন অন্তঃত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেহেতু ক্ষমতায় আছে সেহেতু জামাত-শিবির উৎপাটিত হবে-ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে-সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যকর হবে এমন স্বপ্ন ছিল। তবু নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠনতন্ত্র সংশোধন করানোটাকে ইচিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখতে চাই। হয়তো এরপর ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে-এরপর জামাত নিষিদ্ধ হবে.............


_____________________
Give Her Freedom!

তানিম এহসান এর ছবি

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলতে আমরা কি বুঝি আসলে? এই কথাটি বলে প্রচুর জামাত পন্থী লোকজন তাদের আশ্রয়-প্রশয় নিয়ে নিয়েছে। স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তির বিপক্ষে যে শক্তি সেটা একজন মানুষ একাই হতে পারেন, আলাদা আলাদা মানুষ সেই শক্তি ধারণ করেন, যখন সবাই মিলে একসাথে হয় তখন সেটাকে বৃহৎ অর্থে একটা সাধারণ শক্তি হতে পারে। কিন্তু সেখানে কিন্তু আদতে ব্যক্তিদের ভিড়, গোষ্ঠীকেন্দ্রিকতা আছে, আছে নব্য লুটেরা, পুরাতন কামড় আর কামার্ত নতুন রাজাকার।

বিএনপি প্রায় শেষ, শুধু দম বেরিয়ে যেতে বাকি। আওয়ামী লীগের ভেতর-ও কি জামাতের ইনফিলট্রেশন ঘটেনি? পত্রিকা পড়লে দেখা যায়, নাটক দেখলে দেখা যায়, টক-শো খেয়াল করলেই দেখা যাবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে কত লোভী কুকুর দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে সুকৌশলে, এরা পারেও! ৫ টাকার বিনিময়ে মা-বোন’কে বিক্রি করে দিবে। মানুষের অবচেতন মন সাংঘাতিক জিনিস। সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে যা বলা হয় মানুষ সেটাই আসলে নিয়ে নেয় সবচাইতে বেশি। একজন কাদের সিদ্দীকি কিংবা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ ঘরানা বলে একদা পরিচতি ‘দয়াল’ অলি আহমদ যখন পল্টি খান তখন প্রচুর সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে ফেলে যে ‘ঠিক আছে’।

এটা ২০১২ সাল, ৪ই ডিসেম্বর। জেনারালাইজেশনের সময় না এটা। জেনারালাইজেশনের সময় আদতে শেষ হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু’র আত্ম স্বীকৃত খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর থেকেই, বাঙালী ভুলে গেছে মনে হয়!

দিগন্ত এর ছবি

"স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলতে আমরা কি বুঝি আসলে?"

- ঠিক কথা। স্বাধীন দেশে সবাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। এইটা স্বাধীনতা শব্দের একটা মিস-ইউস -


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

তানিম এহসান এর ছবি

বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ একটা প্রয়োজনীয় সত্য। পাশাপাশি বিপক্ষ খুব বেশি স্পষ্ট বলেই ‘পক্ষ’টাকে ক্ষমতার পাশাপাশি থাকা মানুষের বেলায় খুব বেশি জেনারালাইজড করে ফেলাটা এখন মনে হয় বোকামি হয়ে যাবে। সামনে মনে হয় আরও বহু কিছু দেখতে হবে আমাদের।

বিচার হয়ে যাক শুধু। বিচার হওয়াটা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য সবচাইতে বেশি প্রয়োজনীয়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

জামাত শিবির তো সবকিছুর আশ্রয়ে প্রশ্রয়েই লুকায় থাকতে চাইবে। আমাদের থাকতে হবে সজাগঃ জামাত জামাতই খুঁজে-বুঝে নিতে হবে!

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি মানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, সেই শক্তি এখনও আছে; সেই শক্তিতেই অন্তঃত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার (ফাঁসির রায় কার্যকর) এই বিজয়ের মাসেই আমরা দেখবো আশা করতেছি!!


_____________________
Give Her Freedom!

কীর্তিনাশা এর ছবি

শালার ছাগুর বংশ ছাগু ! সেভ কইরা ছাগুলে দাড়ি ঝাইরা ফালাইলেই কি রূপ বদলায়া গেল ? ল্যাঞ্জা আর শিং লুকাবি কোথায় ??

জামাত-শিবির চিরতরে নিপাত যাক বাংলার মাটি থেকে ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্যাম এর ছবি

জামাত-শিবির-রাজাকার
এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়!!!

অবিলম্বে এই ভন্ডের দলকে নিষিদ্ধ করা হোক - ---

তানিম এহসান এর ছবি

জামাত মানে তোমার আমার বাংলাদেশের স্বাধীনতার টুকটুকে লাল সূর্য হরণ
জামাত মানে তোমার আমার মা বেঁচে নেই, বোন বেঁচে নেই, ভাই গিয়েছো ভুলে
জামাত মানে তুমিও তবু ভাবতে পারো সব সবুজের কিছু পোকা থাকে অমন
জামাত মানে তুমিও জামাত যদি তোমার রক্ত জুড়ে পশুর মত রক্ত মেলে...

আর আমাদের স্বাধীনতা অযুত-নিযুত স্বপ্নে বোনা খুব মানবিক এক পতাকায় লাখো শহীদ জোনাক জ্বলে- আলো!

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আজকের হরতালে যখন আমি বাসা থেকে বের হচ্ছি অফিসে আসার জন্য তখন দেখী আমার বোনও রেডী। সে সন্তানসম্ভবা এবং ব্যাংকে চাকরী করে। আগেই জানতাম আজকে তার চাকরীতে অঘোষিত ছুটি কারণ সে ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। তাই আমি যখন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম তার দিকে সে বলল, "ওই রাজাকারের বাচ্চাদের হরতাল আবার কোন হরতাল নাকি? এই হরতালে বাসায় বসে থাকলে ক্যামন জানি অশান্তি লাগবে।" আম্মুও দেখলাম অন্যান্য দিনের মতো নির্বিকারবাহবে তার লাঞ্চের ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছে। আমি কিছু না বলে মনের আনন্দ মনেই চেপে ঘর থেকে বের হলাম এবং এখন পর্যন্ত খুব ফুরফুরা মন নিয়ে অফিস করছি।

আপনার লেখাটা অসাধারণ ছাড়িয়ে মাইল পার হয়েছে তানিম ভাই। যুক্তির সাথে আবেগের এমন সহাবস্থান খুবই কম দেখা যায়। গুরু গুরু

স্বাধীনতার গর্বের পাশাপাশি এটা আমাদের জাতীয় লজ্জা হতে পারে যদি না এই ধর্মেরে খোলসে বন্দি পশুটির প্রকৃত খোলস বেরিয়ে আসার পর আমরা তাদের আবার সুযোগ করে দেই, সেই ব্যর্থতার ইতিহাসে আপনার নাম লিখা হবেনা হয়তোবা কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যখন ‘সব শালা মাদারচোদ ছিলো!’ বলে গালি দিবে তখন সেখানে আপনার শিশুটি আপনার মুখ খুঁজে নেবে সবার আগে।

খুবই সত্যি কথা।

ফারাসাত

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার বোনের জন্য শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা পুরো পরিবারটির প্রতি চলুক

স্যাম এর ছবি

ভীষন মিলে গেছে আপনার সাথে আমার - আজকের ঘটনা!!! - ফারাসাত আমি আসলেই চমকে গেছি এত মিল দেখে!

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক কি ধরনের মিল প্রিয় ব্যানার্স্যাম (ব্যানার + অসাম + স্যাম) ভাই?

ফারাসাত

স্যাম এর ছবি

বোন, তার কর্মস্থলে যাওয়া (সে আবার ছুটি কাটাতে খুব পছন্দ করে), এবং কেন যাচ্ছে ("ওই রাজাকারের বাচ্চাদের হরতাল আবার কোন হরতাল নাকি? এই হরতালে বাসায় বসে থাকলে ক্যামন জানি অশান্তি লাগবে।") - মা'র ব্যাগ গুছিয়ে দেয়া এবং আমার ফুরফুরা মনে অফিস করা - এগুলোই মিল।

তানিম এহসান এর ছবি

আমার মনে হয় আমার দেশের গত চল্লিশ বছরের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল--কোনটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর কোনটা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি তাদের মাঝের তফাতটুকু ঘুচিয়ে ফেলা ... ... আমার ভাবতে অবাক লাগে প্রায় সিস্টেমেটিক এলিমিনেশান প্রসেস চালানোর পরও অনেক মানুষ বেরিয়ে এসেছেন সত্যটাকে বুকে আঁকড়ে ধরে। আচ্ছা, এই এলিমিনিশন প্রসেস কি সব যুগে সব দেশে চালানো হয়নি? ধরে ধরে মেরে ফেলা হয়নি বেছে নেয়া মানুষদের? তবুও তো পৃথিবীর ইতিহাস মানবিকতার যুদ্ধে সমৃদ্ধ, ঋদ্ধ। মানুষ থামতে শিখেছে কবে?

বাইরে বেরিয়েছিলাম, পাড়ার মোড়ে’র সব চেহারা এমনিতেই পরিচিত নয়, তবু আজ পুরনো কিছু চেনা চেহারা দেখলাম অপরিচিত অবয়বে; দাঁড়ি’র চাইতে জামাত-শিবিরের চেহারায় একটা গুহায় লুকিয়ে থাকা বর্বরতা আর অন্ধত্বের ছাপ থাকে, তাদের চিনে নেয়া গেলো: হাঁটাহাঁটি করছে আলাদা আলাদা ভাবে, একটা ভ্যানের উপর বসে আছে একজন, চোখে চোখ পড়লো, এদের চিনতে একটা সংহত টুসকি’ই যথেষ্ট। পুলিশ আছে পর্যাপ্ত। দোকান থেকে সিগারেট কিনছি এসময় দেখলাম ৮-১০ টা মোটরবাইক নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে চলে গেলো খুব সম্ভবত ছাত্রলীগের একটা দল, দোকানদার বললো, ‘দেখেন দেশের অবস্থা, ছাত্রলীগ লাগে??’

এই দোকানদার, রিকশাচালক, দিনমজুর আর খুচরা-পাইকারি বন্দোবস্তে বিক্রি হয়ে যাওয়া আম-জনতাই এই দেশের মূল শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চেয়ারে বসে, ফ্যান আর এসি রুমের বাতাস খেতে খেতে লিখেছে প্রায় সবাই।

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ বুকের ভেতর কতটা সাহস ধরে সেটা আমাদের লাল-সবুজ পতাকা জানে আর জানে মানচিত্র!

তানিম এহসান এর ছবি

অনিকেত’দা, এটা আপনার মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে করা।

অনিকেত এর ছবি

চলুক

ধুসর জলছবি এর ছবি

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ বুকের ভেতর কতটা সাহস ধরে সেটা আমাদের লাল-সবুজ পতাকা জানে আর জানে মানচিত্র!

গুরু গুরু

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ বুকের ভেতর কতটা সাহস ধরে সেটা আমাদের লাল-সবুজ পতাকা জানে আর জানে মানচিত্র!

চলুক চলুক চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

শিরোনাম বদলে দিলাম। জামাত বাদ দিয়েছে বলে আমার স্বাধীনতা মহান হয়নি, স্বাধীনতা মহান বলেই জামাত তবুও ঘৃণ্য।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অনিকেত, মন্তব্যে লিখেছেন,

আপনার অন্তর্দহনের অকপট বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ছত্রে ছত্রে!

একটা সময় পর্যন্ত আমার ভেতরেও একটি প্রচন্ড অব্যক্ত ক্ষোভ বিরাজিত ছিল। মার্চ অথবা ডিসেম্বরে খুব উদ্দীপ্ত হতাম। তারপর ধীরে ধীরে হতাশায় ম্রিয়মান হতে হতে এখন আমি ক্লান্ত।

এই প্রজন্মের আপনাদের দেখে আবার প্রাণের ভিতর এক ধরনের আশা সঞ্চারিত হয়। মনে হয়, আপনারা অথবা আপনাদের পরের প্রজন্ম নিশ্চয়ই গণমানুষের স্বপ্ন সেই একাত্তরের স্বপ্ন পুরণ করবে।

লেখাটার জন্য এবং আপনার লালিত চেতনার জন্য গুরু গুরু

তানিম এহসান এর ছবি

ভাইয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এবং তার পরবর্তী সময়ে আপনার দেখা কথাগুলো আমাদের জানতে দিন। মুখ খুলুন, আপনারা চুপ আছেন বলে প্রচুর মানুষ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করতে করতে আজকে পীর-পয়গম্বর বনে গেছে। এই ব্যর্থতা আপনাকে কিছুটা হলেও নিতে হবে।

পোস্ট দিন। সুমন চৌধুরীর ভাষায়: পৃথিবীর সব ইতিহাস-ই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ! লিখে ফেলুন প্লিজ।

ধুসর জলছবি এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
লেখাটা তীব্র অনুভূতিতে বিদ্ধ করে।

মনি শামিম এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

-মনি শামিম

তানিম এহসান এর ছবি

নতুন লিংক। খারাপ না, এরা বহু আগেই লেজ কিনেছে, ব্লগেই সেটা বারবার প্রমাণ করা হয়েছে, এবার আক্ষরিক ভাবে প্রমাণিত হলো।

দুর্দান্ত এর ছবি

জামায়াতে এই পরিকল্পনায় লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হত, কিন্তু প্রকারান্তরে দেশের জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপকৃত হত। লীগের ভেতরে আর জামায়াতের বাইরে অবস্থানরত যুদ্ধপরাধী ফ্য়ানক্লাবের সদস্য়দের সাথে আজকের প্রজন্ম পরিচিত হতে পারতো, চিনে রাখতে পারতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
তবে এইটাও খারাপ হয়নাই। আগে যাদের পাজামার দড়ি ঢিলা ছিল এখন তাদের আন্ডুও খুলে গেছে সবার সামনে।

ফারাসাত

তানিম এহসান এর ছবি

এখনও হবে দুর্দান্ত’দা। চোখ কান খোলা রাখলে প্রচুর নতুন মানুষের আসল চেহারা বেরিয়ে আসবে, তার চাইতে বড় কথা বেরিয়ে আসবে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেহারা -- প্রাতিষ্ঠানিক জামাত তোষণ আরও বেশি খারাপ। একটা জিনিস খেয়াল করেছেন, জামাতের এত বড় একটা বিষয় পত্রিকাগুলোতে ঠিকমত প্রচার পায়নি। জাতি একটা ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।

অরফিয়াস এর ছবি

গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত অঙ্গ কেঁটে বাদ না দিলে সেটা আরও বেশি করে ছড়াবে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

দুর্দান্ত এর ছবি

সহমত। জামায়াতকে সর্ব আকারে না বলুন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাতের এত বড় একটা বিষয় পত্রিকাগুলোতে ঠিকমত প্রচার পায়নি।

কে বলেছে প্রচার পায়নি?? আজকের প্রথম আলোতে এই বেজন্মাদের "আপনি" এবং "তাঁরা" বলে অপমান (?) করা হয়েছে!!

ফারাসাত

কড়িকাঠুরে এর ছবি

গুরু গুরু

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

আমি বুঝি, আপনি বোঝেন, আমরা কিছু মানুষ বুঝি কিন্তু দেশের সাধারন মানুষ কিন্তু বোঝেনা জামাতী কুত্তাগুলা কতটা সর্বনাশা। খুঁজতে গেলে বের হবে দেশের ২% মানুষও জানেনা যে গঠনতন্ত্র চেঞ্জ হইছে তাদের। শালার ভাইরা গ্রামে গ্রামে যেয়ে মানুষরে কোরান ধরাইয়া শপথ করায় ভোটটা তারেই দিতে হইব কিন্তু।

তানিম এহসান এর ছবি

আপনি জানিয়ে দিন। এটা নিজের লড়াই সবার আগে। আপনার চেনা-পরিচিত সবাইকে জানিয়ে দিন। ভুত থেকে ভুতে পদ্ধতি খুব চমৎকার কাজ করে।

মন মাঝি এর ছবি

কয়লা যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না ম'লে ---

****************************************

ফাহিম হাসান এর ছবি

জামাত-শিবির বিষোয়ে আপনার লেখাগুলো দুর্দান্ত হচ্ছে।
শ্রদ্ধা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।