তারেক এর ব্লগ

আমরা বেঁচে আছি, একেকটা ধূলি-ধূসর দিনে...
মায়াবী রাতের প্রহরে, আমাদের যন্ত্রণাময় অস্থির দিনগুলোর ফসিল ভোরে আমরা নিজেদের খুঁজে পাই। পিপাসার্ত রোদ্দুরের ম...

আবু হাসান শাহরিয়ার আমার প্রিয় কবি। এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর "তোমাদের কাচের শহরে" বই থেকে ভালো লাগা কিছু কবিতা তুলে দিলাম সচলের পাঠকদের জন্য। ...

আমার আর কী ই বা বলার আছে
যখন আকাশের সৌম্যতা নিয়ে বয়োবৃদ্ধ জেদী স্বরে বলেন
এবং ভাবেন যে তিনি ছাড়া আর কেউ কিছু বোঝেন না
আমলাতন্ত্রের আটত্রিশ বছর যিনি এক ঢ...

দোহারা চাঁদের রঙ ফিকে হয়ে এলে সন্ধ্যার আঁধারে, স্বপ্নের নানান দুয়ার নরকের এক একটা প্রবেশমুখ হয়ে আরবার ফিরে আসে নিখাদ বাস্তবতায়। যে ছবি মুছে দেওয়ার জন্য প্রাণপাত করেছে অযাচক সময়, যে কল্পনার মায়াবী বিভ্রম আমাদের শূণ্য গহবর গুলো ...

সকালগুলো ইচ্ছে করেই যে যার মত। রাঙা প্রজাপতির ডানায় আলতো রোদে মাখামাখি, হালকা হাওয়া শুনছে ভোরের মাতাল করা ডাকাডাকি। আমিও তো জোনাক যেমন, সন্ধ্যে চাঁদের আলতো ছায়ায়, শহর জুড়ে বৃষ্টি চাদর মুড়িয়েছে নরোম মায়ায়।

আজ রাঙা ময়ূর দিন। পেখ...

... প্রদক্ষিণ করে যাবে নিজস্ব মৃত্যুময় পথ তোমার বলয়ে
গ্রহাণুপুঞ্জ আমাদের স্মৃতিতে যেরকম ছিল একদা
মেঘমন্দ্রিত ভোর প্রবল উচ্ছ্বাসে ভেসে বেড়াবে আষাঢ়ের প্রথম আকাশে
ঠিক যতটা ধূসর হলে তারে বিষণ্ণ বলা যায়...

এখনো নিয়মিত বৃষ্টি হয় এখা...

তোমাকে ভেবে আজকাল কিছুই লেখা হয়না
লাজুক শব্দগুলো যাদের কখনো ছুঁতে পারি না
তারা সবাই এসে জড়ো হয় একে একে
ফুলস্ক্যাপে অসংখ্য অক্ষর অবিন্যস্ত
গাঢ় স্বরে জিজ্ঞেস করে
ঠিক কতটা দীর্ঘ হলে সম্পর্কে বিশ্বস্ততা আসে
যখন প্রতিটি মুহূর্ত ...

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছগুলো কোন এক অপরাহ্নে জেনে গিয়েছিলো খুন হয়ে যেতে হবে তাদের। পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কর্কশ মৃত্যুর অপেক্ষায় তারা জীবনের শেষ কিছু দিন কাটিয়েছিল। গভীর রাতে উদ্যানের পূর্ণিমা ফিকে হয়ে যেত যখন সমবেত ক...

শীতজড়ানো বৈশাখী হাওয়ায় তুমি এলে
ভেজা পায়ে
উঠানে ভেজা কৃষ্ণচূড়া ফুল পড়ে আছে
কিছু ভাঙা ডাল, অজস্র ঝরাপাতা
এলোচুলো তরুনী বৃক্ষের।
ঝড়ের শেষে বিস্রস্ত
তুমি এলে; আমি সকাতর
ভাঙা দুয়ারে।
প্রাশনের ভাতের জন্য
ক্ষুধার্ত জেগেছে সহোদ...

দুপুরে খাওয়ার পর আম্মা সবসময় বকাঝকা করে ঘুমুতে চাই না বলে। এইসব বেয়াড়া স্নেহের বকুনিতে খুব বিরক্ত লাগে আজকাল। একটু রুঢ় হয়েই জবাব দেই, "ঘুম না আসলে কী করব? সবসময় এসব ভাল্লাগে না শুনতে।" আম্মা হয়তো কষ্ট পান তাই কথা বাড়ান না এরপর। আমি আমল দিই না। মা যখন হয়েছেন ছেলের এইসব একগুঁয়েমি সহ্য করে যেতে হবে- এইরকম একটা কিছু ভেবে নিই মনে মনে। স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি খুব টের পাই আমি এবং এই ভাবনাটা তে...