রূপালী ফিতেয় আফ্রিকার একনায়ক-- দ্য লাষ্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ২১/০৫/২০১২ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দ্য লাষ্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড! কেমন অদ্ভুত নামের চলচ্চিত্র, স্কটল্যান্ডের আবার স্বাধীনতা হল কবে, রাজাই বা পেল কোথায়! আর সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রের পটভূমিই আফ্রিকায়! আর স্কটল্যান্ডের শেষ রাজা আসলে একজন আফ্রিকান!

( সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )

পর্দা উঠতেই দেখা যায় হৈ হুল্লোড়ে মত্ত সদ্য ডাক্তারী পাশ করা তরুণ-তরুণীরা, ১৯৭০ সালের ঘটনা, নিকোলাস গ্যারিগান তার ডাক্তারীবিদ্যা মানব সেবায় নিবেদনের মহৎ উদ্দেশ্যে আর অ্যাডভেন্চারের লোভে, খানিকটা ঝোকের বসেই রওনা দিল পূর্ব আফ্রিকার দেশ সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ উগান্ডায়।

দেখা যায় লাল ধূলি ধূসরিত আফ্রিকার চিরচেনা প্রান্তর, এর মধ্যে ফাকে ফাকে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রাম, ফলের বাগান, পরিশ্রমী মেঠো মানুষের সারি। লক্কড়-ঝক্কড় বাসে চড়ে অবশেষে গন্তব্যে পৌছে তরুণ ডাক্তার, স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছ থেকে তার দায়িত্ব বুঝে নেবার সাথে সাথেই অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা আর অপর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাব বাস্তবতার রূঢ় ভূমিতে দাড় করিয়ে দেয় তাকে, সেই সাথে জানতে পারে এখনো শতকরা আশি ভাগ স্থানীয়ই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার চেয়ে ঝাড়ফুক- তুকতাকে বিশ্বাস করে।

নিকোলাসের আসার সাথে সাথেই কাকতালীয় ভাবে উগান্ডার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটে বিশাল পরিবর্তন, সেনাবাহিনীর ক্যুর ফলে ক্ষমতায় আসে জেনারেল ইদি আমিন দাদা, জনগণের কাছে ভবিষ্যত সমৃদ্ধির প্রতীক আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিভূ হিসেবে পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দেবার এক পর্যায়ে বাকপটু জেনারেলের সাথে প্রথম চাক্ষুষ দেখা হয় নিকোলাসের, গরুর সাথে গাড়ীর ধাক্কায় দূর্ঘটনায় পতিত জেনারেলকে তার আহত হাতের পরিচর্যায় নিপুণ হাতে ব্যান্ডেজ বেধে দেয়ায় মূলত সেখান থেকেই ইদি আমিনের সাথে নিকোলাসের হৃদতার শুরু, আর আমিনও প্রচন্ড খুশী হয় নিকোলাসের নির্ভীক আচরণ আর তার স্কটিশ পরিচয় জেনে, কারণ প্রাক্তন ঔপনিবেশক প্রভু হিসেবে ইংরেজদের প্রচন্ড ঘৃনার চোখে দেখত সে।

ঘটতে থাকে একের পর একে ঘটনা, জেনারেলের নির্দেশে উগান্ডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিকোলাসকে সাদর আমন্ত্রণ করে নিয়ে যায় রাজধানী কাম্পালায়, সেখানে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি জেনারেল তাকে অনুরোধ করে নবগঠিত স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনায় অংশ নিতে এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কাম্পালায় স্থায়ী ভাবে থেকে যাবার জন্য, প্রথম রাজী না হলেও পরে নিমরাজি হতে হয় তরুণ ডাক্তারকে, প্রচন্ড আকৃষ্ট হয় সে ইদি আমিনের দিল- খোলা ব্যবহারে, আকর্ষণীয় বাগ্মিতায়, রাশভারী ব্যক্তিত্বে আর দেশের জনসাধারণের প্রতি তার দেশসেবার অঙ্গীকারে, সেই সাথে নিঃসন্দেহে পুরো জাতির হর্তা-কর্তা-বিধাতার সাথে এমন নিবিড় সম্পর্কে যথেষ্টই প্রভাবিত হয়েছিল সে, এমনকি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কিছু গুরুদায়িত্ব পালন করে সে যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সাথে, এই ব্যাপারে ইদি আমিনের বক্তব্য ছিল দেশের সবাই তাকে যেমন প্রাণ উজাড় করে ভালবাসে, তেমন প্রচন্ড ভয়ও পায়, কেবল মাত্র নিকোলাসই তাকে ভয় পায় না, কাজেই সে এমন দায়িত্ব পালনের যোগ্য।

এখানে একটি কথা অবশ্যই বলে রাখা দরকার, ২০০৬ সালে স্কটিশ পরিচালক কেভিন ম্যাকডোনাল্ডের পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য লাষ্ট কিং অফ স্বক্টল্যান্ড চলচ্চিত্রটির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু জেনারেল ( পরবর্তীতে স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল) ইদি আমিনের চরিত্রে অভিনয়কারী ফরেষ্ট হুইটেকারের শ্বাসরুদ্ধকর বাস্তবতাময় অভিনয়। এই চরিত্রের জন্য জীবনের অগণিত দিন অতিবাহিত করেছেন অভিনেতা হুইটেকার পশ্চিম আফ্রিকায়, খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন সেখানকার অধিবাসীদের জীবনধারা, ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছেন ইদি আমিনের অত্যাচারের শিকার অসংখ্য পরিবারের সাথে, কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করেছেন তাদের উচ্চারণে ইংরেজী বলা। সেই সাথে জেনারেলের কথা বলার, ভাষণ দেবার, চলা ফেরার ভঙ্গী। এমন প্রচন্ড পরিশ্রমের পরই পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে সুঅভিনয়ের সাধুবাদ, মানুষ আঁতকে উঠেছে পর্দায় নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের ভূমিকায় তাকে দেখে, অবশেষে অর্জন করেছেন ২০০৭ সালে সেরা অভিনেতার অস্কার ( উল্লেখ্য, সেরা অভিনেতার ভূমিকায় অস্কার অর্জনের ক্ষেত্রে একজন আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে সিডনী পোয়েটার, ডেন্জেল ওয়াশিংটন আর জেমি ফক্সের পরে তার স্থান চতুর্থ) ।

আর সেই সাথে তরুণ স্কটিশ ডাক্তারের নমনীয় কিন্তু ন্যায়ের ক্ষেত্রে অতীব দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী নিকোলাস গ্যারিগানের ভূমিকায় চমৎকার ভাবে উৎরে গেছেন বাস্তব জীবনের স্কটিশ অভিনেতা জেমস ম্যাকঅ্যাভয়, কাজেই তার পর্দার ইংরেজী উচ্চারণ যে নিখুত স্বক্টিশ ছিল সে ক্ষেত্রে আর কিছু বলার অবকাশ রাখে না।

প্রতিদিনই নানা ঘটনার ঘনঘটায় ইদি আমিনের আরো প্রিয় পাত্র হয়ে উঠে নিকোলাস, কিছু আবেগী মূহুর্তে আমিন বলে যায় তার নিষ্ঠুর শৈশবের কথা যেখানে পরাধীন দেশে পদে পদে গ্লানির শিকার হয়েছে এক গ্রাম্য কিশোর, কিন্তু নিজের উচ্চাকাঙ্খা আর মানুষের ভালবাসার আজ সে জাতির রাষ্ট্রনায়ক, একটি স্বাধীন দেশে।

নিজের গাড়ী চালিয়ে ইদি আমিনকে বিমান বন্দরে পৌছাবার সময় চরম সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয় রাষ্ট্রপতির বহর, কিন্তু নিকোলাসের বীরত্বপূর্ণ গাড়ী চালানো ও উপস্থিত বুদ্ধির জন্য প্রাণে রক্ষা পায় আমিন। আক্রমণকারীদের উপর নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নেয় সামরিক জান্তা, এর পরপরই চারপাশের কিছু অশুভ ঘটনায় সম্বিত ফিরতে থাকে নিকোলাসের, বুঝতে পারে ক্ষমতার একচ্ছত্র লোভে ইদি আমিন দেশপ্রমী নেতাতে নয়, পরিণত হয়েছে এক অত্যাচারী, দমনকারী শাসকে।

বর্ণবাদে অন্ধ হয়ে ইদি আমিন হঠকারী ঘোষণা করে বসে উগান্ডায় যুগ যুগ ধরে বসবাসরাত ভারতীয় উপমহাদেশের বংশদ্ধোভূতদের ৯০ দিনের মধ্যে উগান্ডা ছেড়ে যেতে হবে, তার মতে এরা জোকের মত উগান্ডার অর্থনীতি শুষে চলেছে যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। নিকোলাস মাথা মোটা স্বৈরশাসককে বোঝানোর চেষ্টা করেন ভারতীয়রা যেহেতু অনেক দশক ধরে উগান্ডার ব্যবসার সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে, তাদের এভাবে দেশ থেকে চলে যেতে বললে ধস্ নামবে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে, পরিণতি হবে ভয়াবহ। কিন্তু আত্নঅহমিকায় অন্ধ ইদি আমিন অটল থাকে তার একগুয়ে সিদ্ধান্তে।

আমিনের কজন স্ত্রীর মধ্যে একজন তরুণী আকর্ষনীয়া কে্‌ আমিনের সাথে অবৈধ পরিণয়ে জড়িত হয়ে পড়ে নিকোলাস, এক পর্যায়ে গর্ভবতী কে্‌ আমিন অন্য কাউকে জানানোর ভয়ে গর্ভপাত করাতে যেয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রতিশোধের নেশায় হিতাহিতজ্ঞান শূন্য হয়ে যান নিকোলাস, তার উপর কোন রকম অনুমতি ছাড়াই নিকোলাসের বৃটিশ পাসপোর্ট চুরি করে তার জায়গায় উগান্ডার পাসপোর্ট রেখে যায় আমিনের অনুসারীরা অর্থাৎ তার দেশ ছাড়ার পথ হয়ে যায় চিরতরে বন্ধ। এর মধ্যে কিছু পরিচিত বৃটিশের কাছে ইদি আমিনের নিষ্ঠুরতার বাস্তব প্রমাণ পান আলোকচিত্রের মাধ্যমে, তারা জানায় গ্রামান্চলে এত বেশি মানুষ হত্যা করেছে সামরিক জান্তা যে মানুষ আর কবর খোড়ার কষ্টতে না যেয়ে সরাসরি জলার কুমিরের মুখে ফেলে দিচ্ছে মৃতদেহ, পরিচিত স্বাস্থ্য মন্ত্রীও হয়ে গেছেন অগণিত নিখোজদের একজন। বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করতে অত্যাচারের রোলার চালিয়ে যাচ্ছে আমিনের অনুসারীরা আর্ন্তজাতিক মহলের অগোচরে অনন্ত তিন লক্ষ দেশবাসী হত্যা করেছে তার আট বছরের শাসনামলে।

এরমধ্যে আন্তজার্তিক রাজনৈতিক মঞ্চে ঘটে যায় এক নাটকীয় ঘটনা, ফিলিস্তিনিদের হাতে হাইজ্যাক হওয়া এক বিমান অবতরণ করে উগান্ডার মাটিতে, হাইজ্যাককারীরা তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেয় ইসরায়েলী নাগরিক বাদে অন্য সব যাত্রীকে, দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করতে কমান্ডো ফোর্স পাঠায় ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি গেরিলাদের সাথে রফা করতে বিমানবন্দরে হাজির হয় জেনারেল আমিন স্বয়ং।

এক পর্যায়ে উদ্ধারপ্রাপ্ত যাত্রীদের স্পেশাল বিমানে করে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়, প্রতিশোধের নেশায় উম্মত্ত নিকোলাস মাথাব্যথার ঔষুধের জায়গায় বিষাক্ত ঔষধ দিয়ে খুন করার পরিকল্পনা আটেন ইদি আমিনকে, কিন্তু আমিনের চতুর দেহরক্ষীর চোখে ধরা পড়ে যায় তার কাঁচা কৌশল, দেহরক্ষীদের হাতে অকথ্য নির্যাতনের পরে স্বয়ং ইদি আমিন এসে আরেক দফা নির্যাতন করে বুকের মাংসে ইস্পাতের বড়শি লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় টাঙ্গিয়ে রাখে নিকোলাসকে যন্ত্রণাময় মৃত্যুর অপেক্ষায়। অন্যদিকে যাত্রীরা একে একে বিমান উঠতে থাকে, এই হট্টগোলের সুযোগে নিকোলাসের পূর্ব পরিচিত সহকর্মী উগান্ডার চিকিৎসক ডাঃ জুনজু প্রাণের ঝুকি নিয়ে মুক্ত করেন নিকোলাসকে, ভিড়িয়ে দেন তাকে বিমান গমনরত যাত্রীদের ভিড়ে, সেই সাথে অনুরোধ জানান আমিনের সত্যিকার অত্যাচারী রূপের কথা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে, কারণ ডাঃ জুনজুর বিশ্বাস ছিল এক শ্বেতাঙ্গ হিসেবে নিকোলাসের বক্তব্য সবাই বিশ্বাস করবে। নিকোলাসের পলানোর পরপরই রক্ষীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হন জুনজু, চলতেই থাকে উগান্ডার বুকে দমন- পীড়ন।

চলচ্চিত্রের শেষ মূহুর্তের ভিডিও ক্লিপে হাজির হয় বাস্তব জীবনের ইদি আমিন, জানানো হয় ১৯৭৯ সালে তার ক্ষমতাচ্যুতিতে আমজনতা স্বতফূর্ত ভাবে রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ প্রকাশ করে, নির্বাসিত জীবনে সৌদি আরবে ২০০৩ সালে এই নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের জীবনাবসান ঘটে। উল্লেখ্য ইদি আমিন ১৯৭৬ সালে নিজেকে স্কটল্যান্ডের শেষ রাজা বলে ঘোষণা দেয়, এর মধ্যে নিহিত ছিল তার ব্রিটিশ বিরোধিতার বীজ, অতিথিদের মনোরন্জনের জন্য স্কটিশ অ্যার্কডিয়ান সঙ্গীতের সাথে সাথে তার নিজের পরনে থাকত স্কটল্যান্ডের জাতীয় পোশাক কিল্ট। এখান থেকেই নেয়া হয়েছে এই অসাধারণ চলচ্চিত্রের নামটি।

যদিও এর অনেক ঘটনা, চরিত্রই ঐতিহাসিক ভাবে সত্য নয়, এসেছে কাহিনীর প্রয়োজনে, এমনকি অন্যতম প্রধান চরিত্র ডাঃ নিকোলাস গ্যারিগান চরিত্রও কল্পনার আদলে গড়া, কিন্তু এখানে পরতে পরতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একজন স্বৈরশাসকের সীমাহীন নিষ্ঠুরতা, স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির আলেখ্য। আফ্রিকার দেশগুলো তাদের ঔপনিবেশিক প্রভূদের হাত থেকে স্বাধীনতা পেলেও অনেকগুলোয় এখনো বন্দী তাদেরই একনায়কদের হাতে। এ কাহিনী তাদের-ই ।

250px-The_Last_King_of_Scotland


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

ফরেস্ট হোয়াইটেকার সম্ভবত অস্কার জিতেছিল এটার জন্য। বড়শিতে গাঁথার দৃশ্যটা মনে পড়তেই কেমন যেন লাগল

তারেক অণু এর ছবি

হ্যাঁ, সেটা উল্লেখ করেছি লেখাতে।

অরফিয়াস এর ছবি

অনুদা, লেখার নামটা ঠিক করে দিও। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

ডান !

কল্যাণ এর ছবি

স্বক্টল্যান্ড

??

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারেক অণু এর ছবি

কি বোর্ডের ভূত !

সৌরভ কবীর  এর ছবি

সিনেমাটি এমন যে দেখা শুরু করলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভালো লেগে যায়। বিভিন্ন দৃশ্যাবলীর সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের চমৎকার ব্যবহার ভীষণ উপভোগ্য। আর ফরেস্ট হুইটেকারের এই অভিনয় দেখবার পরে যতবারই একনায়ক বা স্বৈরশাসকের মতো শব্দগুলো কানে আসে ততবারই এই চরিত্রটির চেহারা ভেসে ওঠে মনে। আপনার লেখাটি পড়ে সিনেমাটির প্রাসঙ্গিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্বচ্ছ হয়ে উঠলো।

এধরণের লেখা আরো পড়তে চাই। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য। ফরেস্টের অভিনয় এত বাস্তবঘেঁষা ছিল!

সত্যপীর এর ছবি

খাঁটি কথা, ইউটিউবে ইদি আমিন দাদার কিছু ক্লিপস আছে যেটায় তার কথা বলার স্টাইল অঙ্গভঙ্গী পুরোই ফরেস্টের মতন। অসাধারন অভিনয়।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

হ, শিউরে ওঠার মত।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা বেশ ভাল লাগল।চলচ্চিত্রটাও নিশ্চই ভাল্লাগবে। হাসি

________অলস অনড়

তারেক অণু এর ছবি

নিশ্চয়ই

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সম্ভবত সত্তর দশকেরই কোন এক সময়ে পত্রিকায় একটা ছবি দেখেছিলাম, বৃহদাকার একটি চেয়ারে বসা 'ইদি আমিন' আর চারজন বৃটিশ সড়কের মাঝ দিয়ে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই চেয়ার।
লেখা ভাল হয়েছে।

তারেক অণু এর ছবি

ছবিটি দেখেছি কোন পত্রিকাতে, পাগলের একশেষ।

হিমু এর ছবি

উগাণ্ডার ৪% সম্পদ এক সময় মাধবানি পরিবারের মালিকানায় ছিলো। এরা ভারতীয়, সম্ভবত সিন্ধি বা গুজরাটি ছিলো। এই পরিবারের বউ হয়ে আসে বলিউডের নায়িকা মুমতাজ। ইদি আমিন মুমতাজের সাথে ভাব জমাতে আগ্রহী ছিলো। এই নিয়ে প্রভাবশালী মাধবানি পরিবারের সাথে তার গিয়ানজাম শুরু হয়, এবং তারই জের ধরে সব ভারতীয়কে সে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে উগাণ্ডা থেকে বার করে দেয়। কোথায় পড়েছিলাম এ কথা, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।

বিপদাপদে বহু বদ লোকের শেষ আশ্রয় সৌদি আরব।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিপদাপদে বহু বদ লোকের শেষ আশ্রয় সৌদি আরব।

চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

পূণ্য ভূমিতে শেষ আশ্রয়!!!

একেই বলে রাজারনীতি

কড়িকাঠুরে

তারেক অণু এর ছবি

কিসের পুণ্যভূমি, পাপের কারখানা। কদিন আগে মোবারকও ঐখানেই পালাতে চেয়েছিল। সালেহ হারামজাদা তো পালিয়ে আবার ফেরত এসেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এর জন্যই তো বাঁকা করে লিখেছিলাম । হো হো হো

চে'র কবিতাটা দিয়েছি

কড়িকাঠুরে

তারেক অণু এর ছবি
নীড় সন্ধানী এর ছবি

তিন দিন আগে মাত্র ছবিটার একটা কপি যোগাড় করলাম এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনে। এখনো দেখা হয়নি। প্রিভিউ দেখে মুভি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি চমক নষ্ট হলেও।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

তয়লে আর কি!

তানভীর এর ছবি

ছবিটা দেখেছিলাম। মোটামুটি ভালোই লেগেছিলো, বিশেষ করে হুইটেকারের অভিনয়। সেরা অভিনেতার অস্কার ২০০৬ সালে হবে। একই বছর রিলিজ পাওয়া দ্যা ডিপার্টেড, বাবেল, দ্যা পারসুট অফ হ্যাপিনেস- এসব ছবির তুলনায় লাস্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড বেশি ভালো লাগে নি অবশ্য।

তারেক অণু এর ছবি

পারসুট অফ হ্যাপিনেস দারুণ !

নিলয় নন্দী এর ছবি

দেখা দরকার।
রিভিউতে (গুড়)

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

মুভিটি দেখেছিলাম। প্রথমে এত ভালো লাগেনি সত্যি বলতে কি! কিন্তু পরে অনেক ভালো লেগেছিল। আপনার লেখা অনেক ভালো লাগলো।

___________
বুনোফুল

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ধুসর জলছবি এর ছবি

ছবিটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। রিভিউ টাও খুব ভালো লাগল। চলুক

তারেক অণু এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক আগে দেখেছিলাম। খুবই ভালো না লাগলেও একেবারে খারাপও লাগে নি। ফরেস্ট হুইটেকারকে আমার ভালো লাগে না। তবে এই সিনেমায় তার অভিনয় আসলেই ভালো ছিল।

তারেক অণু এর ছবি

বিতর্ক নিয়ে সিনেমাতেও কিন্তু তাকে বেশ মানিয়েছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্য লাষ্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড!

>কিংয়ের মতোই বটে।।।সুন্দর তারেক অনু ভাই, ভাল থাকুন

আশরাফুল কবীর বাঘের বাচ্চা

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।