জরায়ু যার, সিদ্ধান্ত তার

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ১০/০৬/২০১৬ - ১২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোনখানে এক নারী ছিলেন, বয়স ৩০ ঘেঁষা। মানুষ তাকে প্রশ্ন করে- এখনো সন্তান হল না? তার একেকদিনের উত্তর একেক রকম হয়, কিন্তু তাদের সবসময়ের সাথী হয় জোর করে আনা হাসি।

“না, এখনো নয়”- মৃদু হাসতে হাসতে হতাশা ঢেকে বলা তার উত্তর!

যাবার আগে মানুষেরা বলা যায় “সারা জীবনের জন্য অপেক্ষা কর না। সময় এগিয়ে আসছে, জানো তো?”

তারা বিদায় নেয়। মহিলা তাঁর হাসি ধরে রাখেন। আর একাকী, সে কাঁদে।

সে কাঁদছে, কারণ ৪ বার অন্তঃসত্ত্বা হবার পরও প্রত্যেকবার মিসক্যারিজ হেয়ে গেছে। সে কাঁদছে কারণ গর্ভধারণের চেষ্টা সে শুরু করে ছিল বিয়ের রাত থেকেই, যা ছিল আজ থেকে ৫ বছর আগে। সে কাঁদছে কারণ তার স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী ঠিকই সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। সে কারণে কাঁদছে কারণ শেষ পর্যন্ত সে টেস্টটিউব বেবির চেষ্টা করতে চেয়েছিল, কিন্তু এত অর্থ জোগানো সম্ভব নয়। সে কাঁদছে কারণ কয়েকবার টেস্টটিউব বেবির চেষ্টা করার পরও সে সাফল্য লাভ করে নাই। সে কাঁদছে কারণ তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিও জরায়ু ধার দিতে রাজি নয় নি (Surrogate ), কারণে এটি নাকি এক অদ্ভুত ব্যবস্থা। সে কাঁদছে কারণ তার ঔষধগুলো গর্ভধারণের জন্য বাঁধা তৈরি করছে। সে কাঁদছে, কারণ এই ইস্যু তার বিবাহে সমস্যার তৈরি করছে। সে কাঁদছে, কারণ ডাক্তারের মতে তার সব ঠিকই আছে, কিন্তু অন্তরের ভিতরে মনে হয় সমস্যাটা তারই। সে কাঁদছে, কারণ তার স্বামী মনে করে সমস্যাটা স্বামীরই, এবং এই অনুশোচনা তার সাথে বাস করা কঠিন করে তোলে। সে কাঁদছে, কারণ তার সব বোনের সন্তান আছে। সে কাঁদছে কারণ তার সেরা বন্ধুটি এখন অন্তঃস্বত্বা। সে কাঁদছে, কারণ আরেকটি বাচ্চার অনুষ্ঠানের দাওয়াত এসেছে। সে কাঁদছে কারণ মা প্রশ্ন করতেই আছেন “তোমার এত অপেক্ষা কিসের?” সে কাঁদছে কারণ শ্বশুর-শাশুড়ি এখন নাতির মুখ দেখতে চান? সে কাঁদছে, কারণ প্রতিবেশীর জমজ সন্তান আছে কিন্তু তাদের সাথে অতি জঘন্য ব্যবহার করে। সে কাঁদছে কারণ ১৬ বছরের কিশোরী কোন চেষ্টা না করেই প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে। সে কাঁদছে কারণ তাদের বাড়িতে একটা ফাঁকা ঘর আছে। সে কাঁদছে কারণে তার দেহে একটি ফাঁকা জায়গা আছে। সে কাঁদছে কারণ তার অনেক কিছু দেবার আছে। সে কাঁদছে কারণ তার স্বামী একজন চমৎকার বাবা হতে পারত। সে কাঁদছে কারণ সে একজন চমৎকার মা হতে পারত, কিন্তু এগুলো হয় নি।

অন্য কোথাও ৩৪ বছরের একজন নারী যিনি ৫ সন্তানের মা, তাকে মানুষ বলে- “পাঁচ?উফফ, আশা করি তুমি এখন সন্তুষ্ট ”, তার পরই তারা হাসিতে ফেটে পড়ে, কারণ এই ধরনের মন্তব্যকে রসিকতা মনে করা হয়। মহিলাটিও হাসেন, কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নয়। তিনি কথার বিষয় পরিবর্তন করে ফেলেন, বরাবরের মতই এই অসন্মানকে উপেক্ষা করে। একাকী, তিনি কাঁদেন।

সে কাঁদছে কারণ সে আবার গর্ভধারণ করেছে এবং মনে হচ্ছে তার এই আনন্দ লুকিয়ে রাখতে হবে। সে কাঁদছে কারণ সবসময়ই একটি বড় পরিবারের অধিকারী হবার সাধ তার ছিল এবং সে বোঝে না কেন মানুষের তাতে এত বিরক্তি। সে কাঁদছে কারণ তার দাদীর ১২জন সন্তান ছিল, এবং তারও এই রকমই ইচ্ছে। সে কাঁদছে কারণ সন্তান ছাড়া জীবন কল্পনা করা তার পক্ষে সম্ভব না, কিন্তু মানুষ এমন ভাবে কথা বলে যেন সন্তান মানেই শাস্তি! সে কাঁদছে কারণ সে কারও করুণার পাত্রী হতে চায় না। সে কাঁদছে কারণ মানুষ ধরেই নিয়েছে যে সে এমন জীবন চায় নি। সে কাঁদছে কারণ মানুষ মনে করে সে দায়িত্বহীন। সে কাঁদছে কারণ মানুষ বিশ্বাস করে তার কিছুই বলার নাই। সে কাঁদছে কারণ তাকে ভুল বোঝা হচ্ছে।সে কাঁদছে কারণ নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ রক্ষার কথা বলতে বলতে সে ক্লান্ত। সে কাঁদছে কারণ সে এবং তাঁর স্বামী সহজেই তাদের পরিবারের দেখভাল করতে পারে, কিন্তু মনে হচ্ছে তাতে কিছুই যায় আসে না। সে কাঁদছে কারণ উপহাসের পাত্রী হতে হতে সে ক্লান্ত। সে কাঁদছে কারণ নিজের কাজ সে ভালই বোঝে। সে কাঁদছে কারণ তার আশা অন্যরাও তাদের কাজ এবং দায়িত্ব বুঝবে। সে কাঁদছে কারণ মাঝে মাঝে তার নিজেকেও সন্দেহ হয় এবং মনে হয় যদি আরও দুই সন্তান আগেই থামা যেত। সে কাঁদছে কারণ অন্যরা জলদি খুত ধরলেও সাহায্যের বেলায় তাদের দেখা মেলে না। সে কাঁদছে কারণ মানুষ নিষ্ঠুর। সে কাঁদছে কারণ একগাদা মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে যায়। সে কাঁদছে কারণ সে শুধুমাত্র একটা জিনিসই চায় তা হচ্ছে শান্তিতে বসবাস।

আরেকজন নারী, যার বয়স ৪০, এক সন্তানের মা। যার প্রতি মানুষের প্রশ্ন,”মাত্র এক সন্তান? আরও সন্তান চাওনি কোনসময়?”

খুব শান্ত ভঙ্গীতে তিনি বলে “নিজের সন্তানকে নিয়েই আমি খুশি”। আগে থেকেই অভ্যাস করে রপ্ত করা উত্তরটি তাকে দিতে হয় অসংখ্যবার। হতেই পারে এমন । কিন্তু কেউ কোনদিন বিশ্বাস করবে না যে একাকী, সে কাঁদে-
সে কাঁদছে কারণ তার গর্ভধারণ ছিল একটা বিস্ময়। সে কাঁদছে কারণ তার পুত্র এখনো একজন ভাই বা বোন চায়। সে কাঁদছে কারণ সবসময় সে ৩ সন্তান চেয়েছিল। সে কাঁদছে কারণ তার ২য়বার গর্ভধারণকে বিসর্জন দিতে হয়েছিল তার জীবন বাঁচাবার জন্য। সে কাঁদছে কারণ ডাক্তার বলেছে ২য়বার খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। সে কাঁদছে কারণ এক সন্তানের যত্ন নিতেই তার হিমসিম খেতে হয়। সে কাঁদছে কারণ তার স্বামী আরেক সন্তানের কথা চিন্তাও করবে না। সে কাঁদছে কারণ তার স্বামী মারা গেছে এবং সে আর কখনো ভালবাসা খুঁজে পায় নি। সে কাঁদছে কারণ তার পরিবার মনে করে এক সন্তানই যথেষ্ট। সে কাঁদছে কারণ নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সে খুবই ব্যস্ত এবং এখন আর পিছিয়ে আসার সময় নেই। সে কাঁদছে কারণ নিজেকে তার স্বার্থপর মনে হয়। সে কাঁদছে কারণ কারণ প্রথম গর্ভধারণের ফলে বাড়া ওজন এখনো কমে নাই। সে কাঁদছে কারণ অন্তঃসত্ত্বাজনিত হতাশা খুব বেশি ভয়াবহ ছিল। সে কাঁদছে কারণ এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আবার যাবার অবস্থা সে কল্পনাও করতে পারে না। সে কাঁদছে কারণ তার দৈহিক অবস্থা এবং প্রেগন্যান্সি কেবল এই অবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণই করে তুলবে। সে কাঁদছে কারণ সে আরেক সন্তানের জননী হতে চায়, কিন্তু তা সম্ভব নয়।

এমন নারী সবখানেই আছেন। তারা আমাদের প্রতিবেশি, আমাদের বন্ধু, আমাদের বোন, আমাদের সহকর্মী, আমাদের কাজিন। আমাদের উপদেশ বা সিদ্ধান্তের তাদের দরকার নেই। তাদের জরায়ু তাদের একান্ত নিজস্ব। সেটাকে সন্মান করা শিখুন।
~Nadirah Angail এর লেখা থেকে অনুবাদ

এখানে আমি বাস্তব জীবনের পরিচিত আর একজন নারীর কথা উল্লেখ করছি। তার বয়স ৩০ বা ৩৫ বা ৪০ বা ৪৫-

সে নিজস্ব বুদ্ধিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মা না হবার।

কারণ তার মনে হয়েছিল, বিশ্বে ৭০০ কোটি মানুষ চলেই এসেছে, আর কত? কারণ তার মনে হয়েছিল, আর কত শিশু আছে মা-বাবা ছাড়া, কেন আমি প্রাকৃতিক নিয়মে স্বার্থপর হয়ে কেবল নিজেই স্পার্মজাত সন্তান চাইব, কেন অন্য এতিম শিশুদের সাহায্য করব না? কারণ তার মনে হয়েছিল, আমি নিজের মত একটা জীবন কাটাই না কেন ভ্রমণ, অ্যাডভেঞ্চার, লেখা, আঁকা এবং আটপৌরে অফিসের জীবনই, কিন্তু একান্ত নিজের মত? কারণ তার মনে হয়েছিল, আরও কোন হাজারো অজানা কারণ।

এই নারীর জরায়ুও তার একান্ত নিজস্ব। সেটাকে সন্মান করা শিখুন।


মন্তব্য

দেবদ্যুতি এর ছবি

সেদিন মূল লেখাটা পড়লাম, চমৎকার লেখা। আপনার অনুবাদ আর সংযুক্তিও ভালো হয়েছে।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, আরও বিস্তারিত লিখতে পারলে ভাল হত, কিন্তু পথে আছি বিঁধায় আপাতত এই পোষ্ট-

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটি যে প্রেক্ষিত থেকে লেখা হয়েছে সেটি সমর্থনযোগ্য। বস্তুত পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানোর সংস্কৃতি, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থাকলে এমন পরিস্থিতিগুলো তৈরি হয় না। আমরা আশা করতে পারি মানুষ একদিন অতটা ভদ্র, রুচিশীল, মানবিক ও বোধসম্পন্ন হবে যেদিন কোন নারীকে (কোন কোন পরিস্থিতিতে তার সাথে থাকা পুরুষটিকেও) এমন করে কাঁদতে হবে না।

লেখার শিরোনামটি নিয়ে একটু খটকা আছে। এটা যেমন লেখায় বর্ণিত অবস্থাগুলোর প্রেক্ষিতে সমাধানমূলক উচ্চারণ হিসেবে আসে, তেমন এটি দিয়ে গর্ভধারিনীর পার্টনার পুরুষটির সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করাকেও বোঝায়। আমার এই খটকাটি যে অমূলক নয় সেটি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে পুরুষ পার্টনারের সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করা গোষ্ঠীর কথাবার্তা শুনলে বোঝা যায়।

প্রতিটি শিশু জন্মগ্রহন করুক তার পিতামাতার যৌথ ও সানন্দ সম্মতিতে, একান্তই তাদের সিদ্ধান্তে। প্রতিটি শিশু হোক তার পিতামাতার ভালোবাসার ফসল। তারা বেড়ে উঠুক পিতামাতার ভালোবাসায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরুষের সিদ্ধান্ত!! সে পুরুষ যেদিন গর্ভধারণ করতে পারবে সেদিন দেখা যাবে।

মন মাঝি এর ছবি

অনেকদিন আগে রবার্ট হাইনলাইনের একটা বইতে নেপোলিয়নের একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম --

Even rascality has its limits, yet stupidity has none whatsoever.

আপনার মন্তব্যটা পড়ে নেপোলিয়নের প্রজ্ঞায় আবারও শ্রদ্ধাবনত হলাম! হাসি

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

গর্ভধারণের ব্যাপারটি যদি শুধু গর্ভাধারণেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে পুরুষের সিদ্ধান্তের প্রশ্নই উঠতো না। কিন্তু গর্ভধারণের বাস্তব অর্থ হচ্ছে একটি শিশুর জন্মগ্রহন। শিশুটির জীবনধারণ, লালনপালন ইত্যাদির ব্যাপারে যদি পিতার কোন ভূমিকা ও দায়িত্ব না থাকতো তাহলে তার সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন থাকতো না। যেহেতু এক্ষেত্রে তার অনস্বীকার্য ভূমিকা ও দায়িত্ব আছে তাই গর্ভধারণ তথা সন্তানের জন্মদানের ব্যাপারে গর্ভধারিণী নারীর সাথে সাথে পুরুষের সিদ্ধান্তও আবশ্যক।

যদি কোনদিন পুরুষ গর্ভধারণের সক্ষমতা অর্জন করে তাহলে সেদিনও গর্ভধারণের ব্যাপারে পিতার সাথে মাতা’র সিদ্ধান্ত একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

যে শিশুটি মাতৃগর্ভে বেড়ে না উঠে পরীক্ষাগারের কোন টিউব বা চেম্বারে বেড়ে উঠবে জন্মাবে তার জন্মের ব্যাপারেও শুক্রাণুদাতা পিতা আর ডিম্বানুদাতা মাতা উভয়ের সিদ্ধান্ত সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

স্পার্ম ব্যাংক থেকে শুক্রাণু নিয়ে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে শুক্রাণুদাতার কোন ভূমিকা ও দায়িত্ব নেই। সেটা সকল পক্ষের সম্মতিতেই হয়। সুতরাং সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি গর্ভধারিণীর।

তারেক অণু এর ছবি

মূল লেখার শিরোনামেরই বাংলা করার চেষ্টা করেছি, যেহেতু এইটা মূলত একটি অনুবাদ। এবং এর প্রতিটি লাইনের সাথেই আমি একমত।

সোহেল ইমাম এর ছবি

কারো সাথে দেখা হলেই আমাদের সমাজে কিছু ছক বাঁধা কথা বলার প্রচলন আছে। অবিবাহিত হলে বিয়ে করছোনা কেন, তারপর বিয়ে ছাড়া জীবন কেমন অসম্পূর্ণ থাকে হাবিজাবির দীর্ঘ লাইন। বিয়ে করার পর বলা হবে সন্তান নিচ্ছনা কেন, বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে সন্তানকে মানুষতো করতে হবে। এসব যারা বলে তারা ভেবে দেখেনা যাকে বলা হচ্ছে তার বাস্তবতাটা কি। এমন হতে পারে অর্থনৈতিক অসাচ্ছন্দ্যের জন্যই তার বিয়ে বা সন্তান নেবার সিদ্ধান্তটা পিছিয়ে যাচ্ছে অথচ এইটা না বুঝে ঐ বিষয়টাতেই ঘ্যানর ঘ্যানর করে তার মনটাকে আরো অস্থির করে তোলা হয়। বিয়ে করা, সন্তান নেওয়া এসবকে অনেকেই জীবনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন। শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয় বাধ্যতামূল অপরিহার্য বলেই ভাবেন। জীবনে সমাজকে বা অন্য মানুষের জন্য কি কাজ করা যায় সেটার চেয়ে এরা সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে চায় সন্তান উৎপাদন করেই। বেশির ভাগ সময় এই ঘ্যানর ঘ্যানরটা করা হয় কেন বক্তার কোন টপিকসই নেয় অন্য কিছু নিয়ে কথা বলার। এসব বলার সময় শ্রোতার কি মনোভাব হচ্ছে সে কিভাবে নিচ্ছে সেসব দেখারও প্রয়োজন মনে করেননা অনেকে। নারীর গর্ভধারন আমিও মনে করি নারীরই সিদ্ধান্তে হওয়া উচিত।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই। নিজেদের যে কিছু বলার আছে, জীবনে চাওয়ার আছে, এই নিয়ে যেন কারো কোন ভ্রূক্ষেপই নাই।

মন মাঝি এর ছবি

চমৎকার লেখা, কিন্তু শিরোনামটা সুপ্রযুক্ত হয়নি। আপনার শিরোনামটা একটা বিশেষ শ্রেণীর নারীবাদীদের স্লোগান ভিন্ন একটা প্রসঙ্গে এবং সে কারনেই এটা বিখ্যাত / কুখ্যাত। এই স্লোগানটা উচ্চারণ করলে ঐ প্রসঙ্গটাই বোঝায়, কিন্তু আপনার লেখার প্রকৃত বিষয়বস্তু তার থেকে অনেক ভিন্ন। ফলে ভুল বোঝার অবকাশ সৃষ্টি হয়। শিরোনামটা মডিফাই করতে পারলে ভাল হয়।

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

মূল লেখার শিরোনামেই এমনটা আছে। তাই পরিবর্তন করতে চাই নি।

রাকিব হাসান এর ছবি

ভাল লাগল লেখাটি পড়ে

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা

মোঃ সাইফুল ইসলাম এর ছবি

আপনার লেখা গুলা আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে কিছু লিখতে গিয়েও লেখা হয়না, ভয়কে এখনো জয় করতে পারিনি। আমিও আসতে চাই তোমাদের মাঝে।

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক চলুক

তিথীডোর এর ছবি

তার একেকদিনের উত্তর একেক রকম হয়, কিন্তু তাদের >তার সবসময়ের সাথী হয় জোর করে আনা হাসি।
মহিলা তাঁর হাসি ধরে রাখেন। আর একাকী, সে কাঁদে> কাঁদেন।
প্রত্যেকবার মিসক্যারিজ হেয়ে >হয়ে গেছে।
সে কাঁদছে, কারণ এই ইস্যু তার বিবাহে>বিয়েতে সমস্যার তৈরি করছে।
খুত >খুঁত
সে কাঁদছে কারণ কারণ প্রথম গর্ভধারণের ফলে বাড়া ওজন এখনো কমে নাই >নি।
কাছের বন্ধুটিও জরায়ু ধার দিতে রাজি নয় নি >হয় নি।
কিন্তু মানুষ এমন ভাবে কথা বলে যেন সন্তান মানেই শাস্তি > শান্তি।
সে কাঁদছে কারণ মা প্রশ্ন করতেই আছেন> করেই যাচ্ছেন “তোমার এত অপেক্ষা কিসের?''!।
সে কাঁদছে কারণ শ্বশুর-শাশুড়ি এখন নাতির মুখ দেখতে চান? > !।

চমৎকার একটি লেখার যত্নবিহীন অনুবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মর্মান্তিক কিছু অপ্রিয় বাস্তবতা এসেছে লেখাটিতে, আমার চেনাজানা ভুক্তভোগীদের কাছে এরকম গল্প শুনেছি বলে জানি সেই বাস্তবতার স্বরূপটা কিরকম মর্মান্তিক। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পরিবার কিংবা পরিবার ঘিরে আত্মীয় নামক যে সমাজ সেটা এরকম নারীদের জন্য কখনো কখনো ভয়ংকর রকম আতংক হয়ে দাঁড়ায়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

সবার সব কিছুতে নাক গলানো মানুষগুলো কবে যে বুঝবে " জরায়ু যার , সিদ্ধান্ত তার"।

দাদা আমি তো আপনার প্রকৃতি নিয়ে লিখা পড়ে পড়ে রাস্তা ঘাটে গজিয়ে উঠা ব্যাঙের ছাতা থেকে শুরু করে রাস্তা ধারের অযত্নে জন্ম নেওয়া ফুল সব কিছুর ছবি তোলা শুরু করেছি।

এ্যানি মাসুদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ।
দাদা চোখের এক কোণে পানি চলে আসল।
আমার একজন বোন আছে যার বেবি হয় নাহ। এই জন্য তাকে অনেক লাঞ্চনা পোহাতে হয়।

RuhulAminBD

অতিথি লেখক এর ছবি

সালাম সকল মায়ের চরণে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।