Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান

মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়ঃ ২ (১/৩)

নিটোল এর ছবি
লিখেছেন নিটোল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ১২:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই সিরিজটি ইউভাল নোয়া হারারি রচিত Sapiens: A Brief History of Humankind এর ধারাবাহিক অনুবাদ।

১ম অধ্যায়- [পর্ব-১] [পর্ব-২]

জ্ঞানবৃক্ষ

প্রথম অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে, সেপিয়েন্সরা ১৫০,০০০ বছর আগে থেকেই পূর্ব আফ্রিকায় বসতি গড়ে তুলেছিল; তবে কেবল ৭০,০০০ বছর আগে থেকেই ওরা বাকি পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং অন্যান্য মানব প্রজাতিকে বিলুপ্তির পথে চালিত করে। সেই মধ্যবর্তী সহস্রাব্দগুলোয়, আদিম সেপিয়েন্সরা দেখতে ঠিক আমাদের মতোই ছিল, তবে তাদের মস্তিষ্ক আমাদের মতোই বড় হওয়া সত্ত্বেও, ওরা অন্যান্য মানব প্রজাতির তুলনায় কোনো লক্ষণীয়/বাড়তি সুবিধা উপভোগ করে নি। ওই সময়কালে, ওরা কোনো জটিল হাতিয়ার বা সরঞ্জাম তৈরি করতে পারে নি, এবং পারে নি কোনো অসাধারণ কীর্তি গড়তে।

সত্যি বলতে কি, সেপিয়েন্সনিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রথম যে লড়াইয়ের ব্যাপারে জানা যায়, সেখানে নিয়ান্ডারথালরা জয়ী হয়েছিল। প্রায় ১০০,০০০ বছর পূর্বে, কিছু সেপিয়েন্স দল আফ্রিকা ছেড়ে উত্তরের লেভান্তে (আজকের দিনের লেবানন, জর্ডান, ইজরায়েল) পাড়ি দেয়, যা ছিল নিয়ান্ডারথাল রাজ্য। কিন্তু সেখানে ওরা শক্ত খুঁটি গাড়তে পারে নি। এর পেছনে সেখানকার হিংস্র অধিবাসী, রুক্ষ জলবায়ু কিংবা স্থানীয় কোনো পরজীবীর হাত থাকতে পারে। তবে যে কারণই এর পেছনে থাকুক না কেন, সেপিয়েন্সরা অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নিয়ান্ডারথালরা রয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের হর্তাকর্তা।


মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়ঃ ১ (২/২)

নিটোল এর ছবি
লিখেছেন নিটোল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৬/০৪/২০১৫ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আগের পর্ব- লিংক)

রাঁধুনে প্রজাতি

শীর্ষে উঠার পথে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ধাপ ছিল আগুনের নিয়ন্ত্রণ। অল্প কিছু মানব প্রজাতি ৮ লক্ষ বছর পূর্বে মাঝে মধ্যে আগুন ব্যবহার করতো। তবে ৩ লক্ষ বছর আগে থেকে, হোমো ইরেক্টাস, নিয়ান্ডারথাল এবং হোমো সেপিয়েন্সের পূর্বপুরুষেরা নিয়মিতভাবে আগুন ব্যবহার করা শুরু করে। ফলে মানুষ পেল আলো ও উষ্ণতার একটি নির্ভরযোগ্য উৎস, এবং শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো সিংহ থেকে বাঁচার জন্য পেল মারাত্মক একটি অস্ত্র। নাতি-দীর্ঘকাল পরেই, মানুষেরা ইচ্ছে করেই প্রতিবেশের বন-জঙ্গল জ্বালিয়ে দেওয়া শুরু করে। খুব সতর্কভাবে পরিচালিত অগ্নিকাণ্ড দিয়ে একটি অনুর্বর জঙ্গলকে তৃণভূমিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব ছিল যেটি থাকবে শিকারে পরিপূর্ণ। তদুপরি, আগুন নিভে আসলে, উদ্যোগী মানুষেরা পোড়া বনভূমি ঘুরে দগ্ধ পশুপাখি, বাদাম আর কন্দ-মূল তুলে আনতে পারত।

কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে সবচেয়ে অসাধারন যে বিষয়টি ঘটেছিল সেটি হলো- রান্নার উদ্ভাবন।


মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়ঃ ১ (১/২)

নিটোল এর ছবি
লিখেছেন নিটোল [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০১৫ - ৭:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইউভাল নোয়া হারারি ইতিহাস পড়ান হিব্রু ইউভার্সিটি অব জেরুজালেমে। তাঁর রচিত বেস্টসেলার Sapiens: A Brief History of Humankind সম্প্রতি বেশ আলোড়ন তুলেছে। এরই মধ্যে এই বইটি প্রায় ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটিতে লেখক মানব জাতির বিবর্তন থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপ্লবের নানা বিষয় অত্যন্ত দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার হলো, বিভিন্ন বিশ্লেষণে তিনি ব্যবহার করেছেন বিবর্তনীয় জীববিদ্যার নানা সিদ্ধান্ত। বইটির বাংলা অনুবাদ শুরু করার দুঃসাহস দেখিয়েছি। অনুবাদ নিয়ে সকলের মতামত কামনা করছি। যে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।


মানুষ কি সত্যই 'ব্ল্যাঙ্ক স্লেট' হয়ে পৃথিবীতে জন্মায়?

অভিজিৎ এর ছবি
লিখেছেন অভিজিৎ (তারিখ: বুধ, ১৭/০৬/২০০৯ - ১০:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি আমার আগের লেখায় বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান নামের নতুন শাখাটি সম্বন্ধে কিছুটা আলোকপাত করেছিলাম। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান নামের সাম্প্রতিক এই শাখাটি আমাদের কি বলতে চাচ্ছে? সাদা মাঠাভাবে বলতে চাচ্ছে এই যে, আমাদের মানসপটের বিনির্মাণে দীর্ঘদিনের বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার একটি ছাপ থাকবে, তা আমরা যে দেশের, যে সমাজের বা যে সংস্কৃতিরই অন্তর্ভূক্ত হই না কেন। ছাপ যে থাকে, ত...


মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা -১ (বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান)

অভিজিৎ এর ছবি
লিখেছেন অভিজিৎ (তারিখ: রবি, ১৪/০৬/২০০৯ - ১১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small

লেখাটা শুরু করতে গিয়ে ছোট বেলায় শোনা একটা ‘বড়দের জোক্’ মানে প্রাপ্তবয়স্ক কৌতুক মনে পড়ল। কৌতুকটা এইরকম।

এক আধ-পাগলা ব্যাটা (ধরা যাক তার নাম মন্টু মিয়া) সারাদিন পাড়ায় ঘুরে ঘুরে গুলতি দিয়ে জানালার কাঁচ ভাঙ্গত। এইটাই তার নেশা। কিন্তু বাপ, তুই নেশা করবি কর – তোর নেশার চোটে তো পাড়া-পড়শীর ঘুম হারাম। আর তা হবে নাই বা কেন! কাশেম সাহেব হয়তো ভরপেট খেয়ে দেয়ে টিভ...