ঢাম ঢাম পূজোর স্মৃতি

নিঘাত তিথি এর ছবি
লিখেছেন নিঘাত তিথি (তারিখ: রবি, ২১/১০/২০০৭ - ১:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoআমার কিচেনের সিংকের কলটা ঠিকমত বন্ধ হয় না কিছুতেই। পানি পড়তেই থাকে একটানা। খুব জোরে চেপে বন্ধ করার আগে পর্যন্ত নিজস্ব একটা ছন্দে পানি পড়তে থাকে। হঠাৎই এক সময় খেয়াল হলো যে এই শব্দটা ঠিক টিপটিপ নয়। কেমন যেন বরং "ঢাম ঢাম"। একটু খেয়াল করে শুনতেই দেখি কেমন যেন উৎসব উৎসব লাগছে। বুঝলাম কেন শুনছি এতক্ষন ধরে। শব্দটা আসলে ঠিক পূজোর ঢাকের মত!

ক্রমাগত পানি পড়ার শব্দের বিরক্তি কেটে গেছে আমার সেদিন থেকেই। এখন যত শুনি কেবল দেশের কথা মনে হয়, মনে হয় পূজোর কথা। ছেলেবেলায় পূজোর উৎসব আর প্রতিমার দেখার তীব্র আগ্রহ থেকে শুরু করে এই মাত্র ক'দিন আগের ইউনিভার্সিটির উৎসবমুখর ক্যাম্পাস, সব কিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

ছেলেবেলায় কি ভীষন আকর্ষন ছিলো প্রতিমা দেখার! অত ছোট বয়সে ধর্ম কিছু বুঝতাম না। যেখানে সবাই আনন্দ করতো সেখানেই ছিলো যত আকর্ষন। কাজেই পূজো শুরু হলো তো প্রতিমা দেখতে যেতেই হবে। বিকালবেলা সুন্দর কোন ফ্রক পড়ে আমি রেডি। আম্মু হাসতে হাসতে চুলে পরিপাটি দুইটা বেনী করে চোখে টানা কাজল দিয়ে দিতো। আমি আমার ছোট আপুর (মেজো বোন) হাত ধরে বেরুতাম প্রতিমা দেখতে। আমাদের ভীষন প্রিয় সেই ছোট্ট মফস্বল শহর টাংগাইল। ছোট কিন্তু খুব ছিমছাম একটা শহর আমাদের টাংগাইল। আমরা তখন থাকতাম আকুর টাকুর পাড়ায়। আমাদের বাসার আশেপাশ দিয়ে কত গলি-ঘুপচি। অনেক হিন্দু-বাড়ি ছিলো ওখানটায়। যেখানেই ঢোলের শব্দ, সেখানেই ঢুকে গিয়ে দেখতেই হবে আমাদের। প্রতিটা বাড়িতে ছোট পরিসরে নিজেদের প্রতিমা-পূজো হতো। একটা বাড়ি - ওদের একটা আলাদা ঘর ছিলো, আর সেই ঘরের পুরোটা জুড়ে আলাদা আলাদা তাকে অনেক অনেক খুব ছোট ছোট প্রতিমা সাজানো থাকতো। আরও অনেক নকশা করা ছিলো দেয়াল জুড়ে। প্রতি বছর এই বাড়িটাই থাকতো আমার প্রধান টার্গেট। তখন বুঝি নি, এখন স্মৃতি থেকে মনে হয় যে সম্ভবত ওগুলো টেরাকোটার মত ছিলো। একবার ভীড়ের কারনে আমার চার বছরের ছোট্ট শরীর ওই বাড়িতে ঢুকতে পারলো না, এত মন খারাপ হলো।

নিজেদের পাড়ার সব ছোট ছোট পূজা-মন্ডপ দেখা শেষ হলে আমরা বাড়ি ফিরে অপেক্ষা করতাম সন্ধ্যায় বাবা অফিস থেকে ফেরার। তখন বাসার সবাই মিলে যাবো বড় কালীবাড়ির সবচেয়ে বড় পূজা-মন্ডপ দেখতে। এক রিকশায় আম্মু, আর বাবার কোলে আমি, আরেক রিকশায় ছোট আপু-বড় আপু। পাঁচজন মিলে ভীড় ঠেলে প্রতিমা দেখে মেলা ঘুরে টুরে বাড়ি ফিরতাম আরো রাতে।

আরেকটু বড় হতে হতে মা-ও বড় হয়ে গেলো, তখন আর আমাদের সাথে মা যেতো না। মফস্বল শহরে আপুরাও বড় না হতেই বড় হয়ে গেলো অনেকখানি, কেবল আমি বাসায় সবার ছোট বলে আজীবন ছোটই রয়ে গেলাম। তাই প্রতি বছর পূজোয় আমার মেলায় যেতেই হবে, যেতেই হবে প্রতিমা দেখতে। বাবার কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান, জেদ করে করে অবশেষে চলে যেতাম দুজন মিলে। আরো কিছু বড় হলে পরে মেলায় ঘুরতাম বন্ধুরা মিলে, মাসীমাদের আদরের হাতের মোয়া-মিষ্টি খাওয়ার আশায় জুড়ে বসতাম তাদের খাটের ওপর সারাদিন ধরে।

ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় পূজার সার্বজনীন উৎসবের স্বরূপটা দেখলাম সবচেয়ে ভালো করে। আমি থাকতাম রোকেয়া হলে, ঠিক পাশেই জগন্নাথ হল। কি মহা ধুমধাম করে যে পূজা পালন হতো সেখানে। প্রায় সমস্ত ডিপার্টমেন্ট পূজা-মন্ডপ সাজাতো জগন্নাথ হলে (ইসলামিয়াত এবং আরবী ছাড়া হাসি )। সব ধর্ম নির্বিশেষে উৎসব কেমন করে পালন করতে হয় তার একটা দারুন উদাহরণ আমি দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুজার অনুষ্ঠানগুলোতে। স্বরসতি পূজার দিনে আমি খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে যেতাম নিজেদের হলের পূজা-পালন দেখার জন্য। সবার ছবি তুলে দিতাম আমি। কেমন করে জজ্ঞ করা হয় দেখলাম তখনই প্রথম। আর বিকালবেলা শাড়ি পড়ে, বড় লাল টিপ আর কখনও কখনও সিঁদুরে সিঁথি রাঙিয়ে ঘুরে বেড়াতাম বন্ধুরা সবাই মিলে। মেয়েদের হলের মাঠের একটা অংশ পর্যন্ত ছেলেরা ঢুকতে পারতো পূজোর দিনে। তার একটা বিশেষ আকর্ষন থাকতো তাদের। হাসি পরের দিন ক্যাম্পাসে দেখা হলে বেশ ভাব নিয়ে কোন ছেলে বন্ধুর মুখ থেকে শুনতাম, "কাল তো তোমাদের হলে ঢুকেছিলাম"!

ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীনই প্রথম মা-কে না বলে এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। সময়টা ছিলো পূজার। সেই বন্ধুর আরেক বন্ধুর বাড়ি বসে গল্প করছি, এমন সময় ঠিক পাশেরই পূজা মন্ডপ থেকে তুমুল ঢাকের শব্দে আমার আর প্রিয় বন্ধু শিবার মাথা খারাপের অবস্থা, খালি নাচতে ইচ্ছা করছিলো। পরে আন্টিকে কি একটা বলে ছুতো দিয়ে বারান্দার পাশে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আমার আর শিবার সে কি নাচ!

এখনও পূজা। এখন কোথাও থেকে তুমুল ঢাকের শব্দ শোনা যায় না। তবু এই বিভুঁইয়ে সিংকের কলকে ঢোলের শব্দ ভেবে মস্কিষ্কে আশ্চর্য আলোড়ন ওঠে আমার। স্মৃতির সময় যন্ত্রে চড়ে আমি পাড়ি দেই বহু পুরনো দিনের পথ। ছুঁয়ে আসি অনেকগুলো মমতাময়ী, বিশ্বস্ত হাত- মা'র, বাবার, আমার দুটি সোনা আপুর, আমার পরমপ্রিয় বন্ধুদের।


মন্তব্য

অমিত আহমেদ এর ছবি

নটর ডেমের দুটো বছর পূজো মানেই নারায়নগঞ্জ। অনেক বন্ধু ছিল সেখানে, দল বেঁধে মন্ডপ দেখতে বেরুতাম। হায়রে সেই পুরানো দিনগুলো! লেখা ভাল লেগেছে।


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আজ পূজা উপলক্ষে পাওয়া কিছু এসএমএস।

এক
পূজোর বাঁশী বাজে দূরে
মা আসেন বছর ঘুরে,
শিউলীর গায়ে আগমনী
কাশের বনে জয়ধ্বনী,
নীল আকাশে মা'কে খুঁজো
হাসিখুশি কাটুক পুজো।

দুই
ঠাকুর দেখে সারারাত
নিদ্রাদেবী কুপোকাত,
ঢাকের বোলে জাগছে পাড়া
সেরা পূজো এবার কারা?

তিন
ঢাকের তালে ধুনচি নাচে
এটাই প্রাচীন রীতি,
মনে প্রাণে বাঁধিয়ে রেখো
দূর্গোপূজার স্মৃতি।

নিঘাত তিথি এর ছবি

বাহ! আমারে কেউ পাঠায় নাই। মন খারাপ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নজমুল আলবাব এর ছবি

ছোট বেলা থেকেই পূজা পার্বনে যাই। বাসা থেকে কখনই কোন বাঁধাআসেনি। উৎসবের ভাবটা সবসময় ভাল লাগে। আগেতো সারা পূজায়ই মেতে থাকতাম।

এখন আর সেভাবে সময় পাইনা।

পরশু রাতে রিপন নামে এক পুরনো বন্ধুর বাড়িতে খেলাম। অনেকদিন পর রানা ( রানা মেহের/জানালা) আর অন্য বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা হল।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

নিঘাত তিথি এর ছবি

রানা মেহেরই কি সামহোয়ারইন-এর জানালা? আচ্ছা! আর তিনি কি "ছুটির দিনে"এর বিভাগীয় সম্পাদক?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নজমুল আলবাব এর ছবি

রানা মেহের আর জানালা একজনই। কিন্তু ও ছুটির দিনের কিছু নয়। ও থাকে ইংলেন্ড। বেড়াতে এসেছে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অমিত আহমেদ এর ছবি

জানালার লেখা ভাল্লাগে।
উনি কদ্দিন আছেন দেশে?


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ছুটির দিনের সম্পাদক সম্ভবত: মুনির রানা।

নিঘাত তিথি এর ছবি

হু হু, এবার ঠিক আছে। আমি গুলিয়ে ফেলেছিলাম। থ্যাঙ্ক্যু।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

না, মুনির রানা অনেক আগেই ছুটির দিন/ প্রথম আলো ছেড়েছেন। যাযাদি হয়ে তিনি এখন বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ফিচার এডিটর।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৌরভ এর ছবি

সাম্প্রতিককালে প্রথম আলো থেকে পাওয়া এক মেইলে ইকবাল হোসাইন চৌধুরি নামের একজন নিজেকে ছুটির দিনে র ইনচার্জ বলে উল্লেখ করেছিলেন।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নিঘাত তিথি এর ছবি

হু, এইটাই ঠিক। কনফুও তাই বললো। খালি সব ভুলে যাই।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তিথি আপু, আবারো খুব ভাল লিখেছেন!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হাসিব এর ছবি

জগন্নাথ হলের পুজাটা মিস করি । দল বাইন্ধা যাইতাম সবটি মিলা ।

নিঘাত তিথি এর ছবি

জগন্নাথ হলের পূজাটা আসলেই মজার একটা স্মৃতি। হাসিব ঢাকা ইউনির নাকি? কোন ডিপার্টমেন্ট?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

হাসিব এর ছবি

আমি ফিন্যান্সের । ৯৪ এইচএসসি । ৯৫ তে ঢুকছিলাম ।

নিঘাত তিথি এর ছবি

ওরে বাবা, সিনিয়র ভাই। হাসিব ভাই, আসসালামু আলাইকুম।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নিঘাত তিথি এর ছবি

অমিত আহমেদ, বিপ্লব'দা,
অনেক ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সৌরভ এর ছবি

হুমম।রঙহীন উৎসব এই রঙহীন জীবনে।


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমাদের সচল ব্লগার হাসান বিপুল এখন টাঙ্গাইলে পূজোঁর ছবি তুলতে ব্যস্ত ।দেখা যাক,উনি আপনাকে এবছরের টাঙ্গাইলের পূজোঁ দেখানোর জন্য কিছু ছবি আপলোড করেন কি না ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

নিঘাত তিথি এর ছবি

সত্যি? হাসান বিপুলকে ঠিক চিনছি না,আমি অত রেগুলার ব্লগার না বলেই হয়তো, লিংক দিতে পারবেন? উনাকে ব্যাক্তিগত মেসেজ দিয়ে বলব যেন অবশ্যই ছবিগুলো দেন, খুবই দেখতে ইচ্ছা করছে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

বিবাগিনী এর ছবি

খুব স্মৃতিকাতর করে দিলেন।অনেক ভাল লাগল!

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

অন্য ট্রলার এর ছবি

এই পোস্ট স্টিকি করা হোক।

তারেক এর ছবি

চিটাগাং এ জ়েএম সেন হল, ঢাকায় জগন্নাথ হল... এইবার কোথাও যাই নাই পূজায়।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

কারুবাসনা এর ছবি

ভালো লাগল। অনেক বিপ্রতীপ শব্দ থাকলেও।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

নিঘাত তিথি এর ছবি

ভালো লাগলো বলে ধন্য হলাম। বিপ্রতীপ শব্দগুলো কি? জানতে এবং বুঝতে ইচ্ছা করছে, সময় হলে একটু বলবেন?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনি সবার ছোট? কুংফু যে কইলো তার নাকি শালি আছে, তাইলে ক্যামনে হৈলো? মন খারাপ

(ছেলেবলায় তো পূজা নিয়ে কিছুই লেখা হৈলো না। অমিত ঠিকই কইছিলো, লেখলে বিশাল বিশাল একেকটা বই হৈয়া যাবে একেকজনের ছেলেবেলা নিয়েই।)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বস আপনের বাল্যকালের কোন লেখা-টেখাও তো মনে হয় চোখে পড়ে নাই ...

নিঘাত তিথি এর ছবি

কনফু বেচারার শালি নাই, আমি পুরা গুষ্টির ছোট। সে জোর কইরা আমার খালাতো বইনরে শালি বানাইসে, সেও আমার নয় মাসের বড়, (মোটে নয় মাস)। আমার এই বইন কিন্তু দেখতে মাশাল্লাহ পরীর মত! দেঁতো হাসি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হেহ হেহ হেহঃ আমি কিন্তু ঘুমাই নাই। আপনের উত্তরের লাইগা যে সেই কবে থাইকা ওয়েটিং রুমে ওয়েট করতেই আছি।
তা মানে ইয়ে, ঢাকা যাওয়া লাগবে নাকি মেলবোর্ণ আসলেই চলবে। বললে কৃতার্থ হই!

বিদ্রঃ যেইখানেই যাই গাছের মুরগী আর খোয়ারের বড় লাউডা লগে লইয়া যামু পানচিনির সাক্ষী হিসাবে। আমি পোলা হিসাবেও খারাপ না, গ্রামের মেম্বার সাবে কয়!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নিঘাত তিথি এর ছবি

মেলবোর্ণ আইসা বাভ নাই। ঢাকাই যেতে হবে, তাও শিঘ্রী শিঘ্রী। পরী যেকোন জ্বিনের সাথে উড়াল দেবার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে!
কিন্তু, গ্রামের মেম্বারসাব সাট্টিফিকেট দিলে তো "ভালোত্ব" নিয়ে সন্দেহ হয়!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

তিথি আপু, আসল কথাটাই তো কওয়া হয় নাই ... লেখাটা অতি উত্তম হইছে ...

দিগন্ত এর ছবি

আঃ কি সুন্দর ঝরঝরে লেখা ... আমার নিজের ছোটোবেলার পূজোর কথা মনে পড়ে গেল ... আমি অবশ্য বাজি পোড়ানোটাই বেশী এনজয় করতাম।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নিঘাত তিথি এর ছবি

সৌরভ, বিবাগিনী, অন্য ট্রলার, তারেক, কিংকং, দিগন্ত,
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শান্তি পেলাম পোস্টটা পরে। খুব ভাল লাগলো।

বিপ্রতীপ এর ছবি

খুব ভালো লেগেছে...

নিঘাত তিথি এর ছবি

বিড়ি বিল্লাল ভাই এবং বিপ্রতীপ'দাকে অনেক ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জগন্নাথ হলে পূঁজা সবসময়ই মজা হয়... বিশেষ করে স্বরস্বতী পূঁজায়। আগে রেগুলার যাওয়া হইতো... এখন ছোটভাইরাও হল ছাড়ছে তাই আর যাওয়া হয়না। একবার পূঁজা পালন করছিলাম ধামড়াইতে... রথের মেলা যেখানে হয়... সেই বিরাট বাড়িটায়। সেইবাড়িতে বহুবার শুটিংয়ের অজুহাতে খাতির হইছিলো মাসীমার সাথে... তাই ওইখানে দাওয়াত থাকতো। গতবারের আগেরবার গেছিলাম ফরিদপুরে পূঁজা দেখতে। এইবার কোনোহানে যাওয়া হয়নাই।
তবে লেখাটা পইড়া ভালো লাগলো... সিঙ্কের পানি বনাম ঢাকের বাদ্য... জটিল।

রানা ভাই টুয়েন্টি ফোরে জয়েন করছে ? খুঁজতেছিলাম তারে... একদিন হাজির হইতে হইবো তো তার দপ্তরে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।