নক্ষত্রপিপাসা ও হাওয়ার রাত

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৫/২০০৯ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক'দিন ধরে তেমন কিছু লেখা হয় না, পুরানো লেখাগুলো নাড়িচাড়ি আর এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করি। আর ভাবি কি যেন খুঁজছিলাম, কি যেন খুঁজছিলাম! কার্ল সাগানের "কনট্যাক্ট" বইটা খুলে এখানে ওখানে এলোমেলোভাবে পড়ি, মন ছটফট কমে না। "কসমস" খুঁজে বেড়াই, কে জানি বইটা নিয়েছিল! মনে পড়ে না। জগদীশের "ভাগিরথীর উৎ‌স সন্ধানে" খুঁজি, সে এখানে কিকরে পাবো?

সিরাতের পেল ব্লু ডট লেখাটা দেখে আবারও মন কেমন করলো, সে কি মাত্র দু'দিন আগে স্পেস ওডিসি দেখার ফল? স্পেস ওডিসি বইটা আগে পড়া ছিলো, মুভিটা এতদিন বাদে দেখার পরে মনে হলো সত্যিই সিনেমা আর লিখিত বই আসলে আলাদা প্রকাশমাধ্যম, তুলনা করলে আশাভঙ্গ হবেই।

খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম জীবনানন্দ, "হাওয়ার রাত"। আহা।
"গভীর হাওয়ার রাত ছিলো কাল-অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;
সারারাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;
মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনো মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো;
কখনো বিছানা ছিঁড়ে
নক্ষত্রের দিকে উড়ে যেতে চেয়েছে;"

কনট্যাক্টের এলি অ্যারোওয়েকে মনে পড়ে, সেও তো অমনি করেই তারাময়ী রাত্রির মধ্যে কেবল খুঁজতো আর খুঁজতো! সারাজীবন। খুঁজে সে পেলো কি?

"সমস্ত মৃত নক্ষত্রেরা কাল জেগে উঠেছিলো-আকাশে একতিল ফাঁক ছিলো না;
পৃথিবীর সমস্ত ধূসর প্রিয় মৃতদের মুখও সেই নক্ষত্রের ভিতরে দেখেছি আমি;
অন্ধকার রাতে অশ্বত্থের চূড়ায় প্রেমিক চিলপুরুষের শিশিরভেজা চোখের মতো
ঝলমল করছিলো সমস্ত নক্ষত্রেরা;
জ্যোত্‌স্নারাতে বেবিলনের রাণীর ঘাড়ের উপরে চিতার উজ্জ্বল চামড়ার
শালের মতো জ্বলজ্বল করছিলো বিশাল আকাশ!
কাল এমন আশ্চর্য রাত ছিলো।"

আহা তেমন এক আশ্চর্য রাত পেতে ইচ্ছে করে, যে রাতে চুমুকে চুমুকে পান করা যায় নক্ষত্রমদিরা, "আমার হৃদয় পৃথিবী ছিঁড়ে উড়ে গেল,
নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে;"

কী বিশালতা! কী গভীরতা! সেই অমেয় আকাশস্পন্দন! অনন্ত আকাশসম্ভব জগৎ। এ কি ধূলিমাটির সংসারের ক্ষুদ্র জীব সহ্য করতে পারে?

একেবারে শেষে এসে ছোট্টো মৌমাছির ছিঁড়ে যাওয়া ডানা নতুন হয়ে ওঠে, কে যেন লিখেছিলো, "যে কাল পিছনে ছিলো সে কাল সমুখে ফিরে আসে,/ অনবগুন্ঠিত মুখে,তারকাখচিত পট্টবাসে"? কে সে, কেন লিখেছিলো?

ঊর্ধ্বে জ্বলজ্বল করে প্রজাপতিমন্ডল, তার উজল তারাটির নাম ব্রহ্মহৃদয়। এই ভঙ্গুর মৃত্তিকাহৃদয় কিকরে ধারণ করতে পারে তাকে? পারে না।

ছায়াপথের ফিনফিনে ওড়নায় ঢেউ ঢেউ ঢেউ, ঘুম আসে। স্বপ্ন-স্বপ্ন ঘুমের বাতিঘর।
"যে নক্ষত্রেরা আকাশের বুকে হাজার-হাজার বছর আগে ম'রে গিয়েছে
তারাও কাল জানালার ভিতর দিয়ে অসংখ্য মৃত আকাশ সঙ্গে করে এনেছে;
যে রূপসীদের আমি এশিরিয়ায়, মিশরে, বিদিশায় মরে যেতে দেখেছি
কাল তারা অতিদূর আকাশের সীমানার কুয়াশায় কুয়াশায় দীর্ঘ বর্শা হাতে ক'রে
কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে গেছে যেন-
মৃত্যুকে দলিত করবার জন্য?
জীবনের গভীর জয় প্রকাশ করবার জন্য?"

অনন্ত বাতিঘর ছড়িয়ে যায়, দূর থেকে আরো দূরে আলো জ্বলে জ্বলে ওঠে, ঢেউ আসে, ঢেউ যায়।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পড়ে খুব উদাস লাগলো।

তুলিরেখা এর ছবি

উদাস লাগলো? আহা।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শিক্ষানবিস এর ছবি

স্ট্যানলি কুবরিকের স্পেস অডিসি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কুবরিক এই সিনেমায় মূলত ভিজ্যুয়াল স্টাইল ব্যবহার করেছেন। যা বলতে চান তা কথায় না বলে ছবির মাধ্যমে বলেছেন। সিনেমাটা অনেক গভীর, বইয়ের চেয়ে অনেক বেশী গভীর।
বইটা তো সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরই প্রকাশিত হয়েছিল। দুটার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে অবশ্য।

কবিতা পড়ে আমিও উদাস, পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছা করছে।

তুলিরেখা এর ছবি

আমার অবশ্য বইটাই বেশী ভালো লেগেছিলো। ব্যক্তিগত রুচি ভিন্ন ভিন্ন তো হতেই পারে।
এত উদাস হবেন না প্লীজ, আপনার লেখা আমাদের আরো অনেকদিন পেতে হবে। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শামীম রুনা এর ছবি

আহা, আজ রাতে যদি গভীর হাওয়া এসে জুড়িয়ে দিয়ে যেত।

আমার প্রথম বই 'টমবয় নিশো ও তার বন্ধুরা'

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

তুলিরেখা এর ছবি

গভীর হাওয়া তো আসবেই!
আপনার বই? মানে আপনার লেখা? একটু ডিটেলে বলুন না!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা আপনি কী করে যে এই সব লেখেন!

উৎস লিখতে খণ্ড-ত খুঁজে পান নি? আমি ফোনেটিকে লিখি, তাতে TT লিখলেই হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

আমিও তো ফোনেটিকে লিখি।
কিন্তু লিনাক্সে খন্ড ত আসে না, এখন জানালায় দেখছি, দিব্যি খন্ড ত দেখছি উত্‌সে।
এই অসুবিধাটা কেউ দূর করতে পারেন?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আর লিনাক্স! আমার আপেলযন্ত্রে আদ্ধেক জিনিসই আসে না, প্রোফাইলই খোলা যায় না, হটমল ডাউনলোড হয়ে একাকার হয়, কাজের কাজ কিস্যু হয় না।

মূলত পাঠক এর ছবি

"মাউস দিয়ে বাংলা" ব্যবহার করেও হচ্ছে না?

তুলিরেখা এর ছবি

হয় না। মাউস দিয়েই তো দেই।
জানালায় যারা দেখেন, ঠিকই দেখেন। লিনাক্ষে কষ্ট।
এই রকম লিনাক্ষবিরোধী চক্রান্তকারীদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দিন। দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

থ্যাঙ্ক ইউ পাঠকদা। হয়েছে, এতদিনে হয়েছে। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বইয়ের সাথে সিনেমার মিলের চেয়ে অমিলটাই যে বেশি চোখে পড়ে তার কারণটা বোধহয়, বইটা পড়ার সময় পাঠকের চোখের সামনে অনেক বিস্তারিত চিত্র ফুটে ওঠে যা ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়াটা একজন পরিচালকের জন্য কঠিন। আর সে অনুযায়ী সব ফুটিয়ে তোলাটাও কুশীলবের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ, যা বেশিরভাগ সময়েই মেটানো সম্ভবপর হয় না। আজকে একটা বইয়ের সাক্ষাৎ মনঃক্ষুণ্ণ হওয়ার মতো সিনেমা দেখে এলাম। এঞ্জেলস এণ্ড ডিমনস। হয়তো সিনেমাটাই ভালো, হয়তো পাঠক হিসেবে আমার মনটাই অনেক বেশি কল্পনাবিলাসী।

আপনার কোবতে কিন্তু ভালোই হয়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

এগুলি আমার কোবতে না তো!
জীবনানন্দ দাশের। (কানে হাত দিয়ে মাফ চাই ওস্তাদের কাছে। )

কল্পনাবিলাসীদের পক্ষে লিখিত বই আগে পড়ে সেইটার উপরে বেস করে তৈরী সিনেমা দেখা ভারী কষ্টের, যেমন ধরুন না কেন, কনট্যাক্ট ভালো সিনেমা কিন্তু বইয়ে যে বিশ্বব্যপ্তি ছিলো সেটার কিছুই সিনেমায় আসে নি, সম্ভবও না।
সিনেমা ভিন্ন প্রকাশমাধ্যম। তার আলো রঙ সুর গানবাজনা এইসব সুবিধা আছে যা কিনা লিখিত বইয়ে সরাসরি নেই, কিন্তু কল্পনার অবাধ গতি নিবিষ্ট পাঠককে কতখানি যে দিতে পারে সে কেবল পাঠকরাই জানেন।
"পথের পাঁচালী" লিখিত বই হিসাবে পড়ে যেমন একটা স্বাদ পাওয়া যায়, সিনেমাটি দেখে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায়। একটা যদি হয় টকঝাললবণ দিয়ে কুলমাখা বা মায়ের হাতের পিঠা তবে আরেকটা হলো দোকানের সন্দেশ বা কেক।
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি অবশ্য একটা উপায় বের করছি। কোনো সিনেমা দেখার আগে সেই বই কোনো মতেই পড়া যাবে না। আর যদি পড়েই ফেলা হয় তাহলে ভুল করে হলেও সেই সিনেমা দেখা যাবে না। তবে সিনেমা দেখার পর কয়েকমাশ অপেক্ষা করে বইটা পড়ে ফেলা যেতে পারে, কারণ ততোদিনে মস্তিষ্ক থেকে সিনেমার আলোছায়া আর ঝলমলে কোমরনাচানী নাইকা'র নাক পালিশ, গাল পালিশ মার্কা চেহারা কিছুটা হলেও আড়াল হবে। বইটার আসল স্বাদটা কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে তখন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

s-s এর ছবি

প্রত্যূষা ,গভীর হাওয়ার রাতটা আমার অ-স-ম্ভ-ব প্রিয় একটা কবিতা , প্লিজ একটু কষ্ট করে মন্তব্যে পুরো কবিতাটি তুলে দিন না একসাথে? আমি তুলে রাখবো। কত্তদিন যে এটা আবৃত্তি করেছি খুব কাছের দুই কিশোরী বন্ধুকে নিয়ে রাতের বেলা ছাদে ---
কথা দিচ্ছি, তাহলে বানান টানান ধরবো না :শয়তানী হাসি এই পোস্টে :শয়তানী হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

নিন তবে। হাসি

আমার বার বার একটা কথা মনে হয়, আপনি কি সুচেতা বলে কাউকে চেনেন?
গতজন্মে আমি সুচেতা বলে একজনকে চিনতাম, তিনিও বিষুবের অনেক দক্ষিণে থাকতেন, আমাকে প্রত্যূষা বলে ডাকতেন।

আচ্ছা, কিছু মনে করলেন না তো আবার ?

হাওয়ার রাত
-জীবনানন্দ দাশ

গভীর হাওয়ার রাত ছিলো কাল-অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;
সারারাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;
মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনো মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো;
কখনো বিছানা ছিঁড়ে
নক্ষত্রের দিকে উড়ে যেতে চেয়েছে;
এক একবার মনে হচ্ছিলো আমার-আধো ঘুমের ভিতর হয়তো-
মাথার উপর মশারি নেই আমার,
স্বাতী তারার কোল ঘেঁষে নীল হাওয়ার সমুদ্রে শাদা বকের মতো উড়ছে সে!
কাল এমন চমৎ‌কার রাত ছিলো।

সমস্ত মৃত নক্ষত্রেরা কাল জেগে উঠেছিলো-আকাশে একতিল ফাঁক ছিলো না;
পৃথিবীর সমস্ত ধূসর প্রিয় মৃতদের মুখও সেই নক্ষত্রের ভিতরে দেখেছি আমি;
অন্ধকার রাতে অশ্বত্থের চূড়ায় প্রেমিক চিলপুরুষের শিশিরভেজা চোখের মতো
ঝলমল করছিলো সমস্ত নক্ষত্রেরা;
জ্যোৎ‌স্নারাতে বেবিলনের রাণীর ঘাড়ের উপরে চিতার উজ্জ্বল চামড়ার
শালের মতো জ্বলজ্বল করছিলো বিশাল আকাশ!
কাল এমন আশ্চর্য রাত ছিলো।

যে নক্ষত্রেরা আকাশের বুকে হাজার-হাজার বছর আগে ম'রে গিয়েছে
তারাও কাল জানালার ভিতর দিয়ে অসংখ্য মৃত আকাশ সঙ্গে করে এনেছে;
যে রূপসীদের আমি এশিরিয়ায়, মিশরে, বিদিশায় মরে যেতে দেখেছি
কাল তারা অতিদূর আকাশের সীমানার কুয়াশায় কুয়াশায় দীর্ঘ বর্শা হাতে ক'রে
কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে গেছে যেন-
মৃত্যুকে দলিত করবার জন্য?
জীবনের গভীর জয় প্রকাশ করবার জন্য?
প্রেমের ভয়াবহ গম্ভীর স্তম্ভ তুলবার জন্য?

আড়ষ্ট-অভিভূত হয়ে গেছি আমি,
কাল রাতের প্রবল নীল অত্যাচার আমাকে ছিঁড়ে ফেলেছে যেন;
আকাশের বিরামহীন বিস্তীর্ণ ডানার ভিতর
পৃথিবী কীটের মতো মুছে গিয়েছে কাল!
আর উত্তুঙ্গ বাতাস এসেছে আকাশের বুক থেকে নেমে
আমার জানালার ভিতর দিয়ে,শাঁই শাঁই করে,
সিংহের হুঙ্কারে উৎ‌ক্ষিপ্ত হরিৎ‌ প্রান্তরের অজস্র জেব্রার মতো।

হৃদয় ভরে গিয়েছে আমার বিস্তীর্ণ ফেল্টের সবুজ ঘাসের গন্ধে
দিগন্তপ্লাবিত বলীয়ান রৌদ্রের আঘ্রাণে
মিলনোন্মত্ত বাঘিনীর গর্জনের মতো অন্ধকারের চঞ্চল বিরাট সজীব রোমশ উচ্ছ্বাসে,
জীবনের দুর্দান্ত নীল মত্ততায়!

আমার হৃদয় পৃথিবী ছিঁড়ে উড়ে গেল,
নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে;
একটা দূর নক্ষত্রের মাস্তুলকে তারায় তারায় উড়িয়ে নিয়ে চললো
একটা দুরন্ত শকুনের মতো।

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

s-s এর ছবি

অ-নে-ক অ-নে-ক অ-নে-ক অ-নে-কঅ-নে-ক ধন্যবাদ, আসলে আসিনি অনেকদিন এখানে তাই এটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো, আজ দেখলাম। ভীষণই ভাল্লাগছে, আজ রাতেই এটা আবৃত্তি করবো। সেই স্কুলের দিনগুলোর মতো।
নাতো প্রত্যূষা, সুচেতা নামে কাউকে তো চিনিনা ভাই! অহনা নামে একজন আপুকে চিনতাম উনি ব হু বছর আগেই এ দেশ ছাড়া হয়েছেন, আর প্রত্যূষা নামটা ভীষণ আবেদনময় মনে হয় আমার কাছে, আরাত্রিকারই মতো। আরাত্রিকা কে মনে আছে?

সিরাত এর ছবি

কি দারুন কবিতা!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দিলেন তো আমার বারোটা বাজিয়ে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, মাত্র তো বারোটা! তেরোটা বা সাড়ে তেরোটা বা চোদ্দোটা তো না! হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দ্রোহী এর ছবি

শুরুর দিকে কনট্যাক্ট আর কসমস শব্দদুটো দেখে ভেবেছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা। পড়া শেষ করে দেখি এ পুরাই কবিতা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

তুলিরেখা এর ছবি

তবু জীবনানন্দের এই কবিতা নিজেই কি এক মহাবৈশ্বিক কবিতা না?
কার্ল সাগান এই কবিতার মানে বুঝলে কি পেগলে যেতেন না? হাসি
কবিতার কখনো অনুবাদ হয় না, এইটাই কঠিন পার্থিব দুঃখ।
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সিরাত এর ছবি

আহা, তা আর বলতে! কি যে এক সিনার্জি হত দু'জনের। কি দুঃখ! মন খারাপ

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আপনার লেখা পড়ি এবং সেগুলো ভালও লাগে, কিন্তু কখনো মন্তব্য করা হয়না। একটি প্রিয় কবিতার রেফারেন্স দিয়েছেন বলে এই লেখাটি আরো ভাল লাগলো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য আর সমালোচনা পেলে খুবই ভালো লাগবে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শাহীন হাসান এর ছবি

বেশ ঘোর আছে লেখাটির ভেতরে, ভাল-লাগলো।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ নিন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

সকল সচল ও অতিথিদের কাছে অনুরোধ, কেউ যদি জীবনানন্দের মহাপৃথিবী সম্পর্কে পাঠানুভূতি ও আলোচনা দেন! আর মহাপৃথিবীর কোনো পিডিএফ থাকলে যদি দেন, খুব ভালো হয়।
আর সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের "পদ্মাবতী" এর যদি পিডিএফ থাকে, তবে প্লীজ সেটা ও ....
আগাম ধন্যবাদ রইলো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

লেখায় আপনার মতো ভেগোলজিস্ট আর দেখি নাই আমি।
চলুক

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

আহা। হাসি
কিন্তু ভেগোলজিস্ট কারে কয়?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ব্যাপারটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়!
মাঝে মাঝেই সন্দেহ হয়, তাইলে কি আমি আসোলে এইটা কোথাও বাস্তবে জাগরণে পড়িনাই, স্বপ্নেই শুধু! কারণ, অন্য যার সাথেই আমি পরে বিষয়টা পেড়েছি, সবাইকেই আমারই ফ্রেশ জায়গা থেকেই এক্সপ্লেইন করতে হয়েছে সেটা।
অথচ পৃথিবীর একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না কি সেই বছর ছয় আগেই (যখন আমি পড়েছিলাম ব্যাপারটা) এটাকে পাঠ্যবিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও জোর লবিং চলছিল!
গুগুলমামা-কে জিজ্ঞেস করেও আর পেলাম না কখনও তেমন কিছু! খুবই অবাক কাণ্ড!
এমনকি আপনার উইকিপিসিমাকেও এই এখনও আরেকবার জিজ্ঞেস করলাম, সেও ঠোঁট উল্টে দেয় শুধু!
আর, আপনিও শোনেননি! মানে, তাইলে কি পৃথিবীতে এই জিনিস নাই আসোলে?! অ্যাঁ

কিন্তু, আমি আসোলেই পড়েছিলাম, বাংলাদেশের 'প্রথম আলো' পত্রিকায়, কে লিখেছিলেন ঠিক মনে নেই।
হাসান আজিজুল হক বা হাসান ফেরদৌস কেউ একজন হবেন।
vegas মানে সন্ধ্যাপ্যাঁচা, logos তো জ্ঞান।
vegology সেগুলোকে নিয়েই হয়েছে, যেটার বাংলা সেই লেখক আরো এক বা একাধিক রেফারেন্স দিয়ে 'সান্ধ্যবিদ্যা' করেছিলেন, আরো একটা নাম তিনি নিজে দিয়েছিলেন লেখার শিরোণামেও- সেটা ছিল 'চাড্ডা' (চা+আড্ডা)।
হয়তো এই শব্দগুলো থেকে কিছুটা আঁচ করতে পেরে থাকবেন-
সন্ধ্যার প্যাঁচা যেমন উদ্দেশ্যহীন ঘোরে, কোনো গন্তব্য ছাড়া, তেমন উদ্দেশ্যহীন রসের সব জিনিসপত্রেরও একটা গন্তব্যহীন স্টাডিই 'ভেগোলজি'।
আর, সেরকম উদ্দেশ্যহীন ভালোলাগা বিষয়গুলোও ভেগোলজি- যা কিছুই চলার আনন্দে চলে শুধু, রাঙিয়ে ভাঙিয়ে জড়িয়ে চলে, মনোরম চলে, চলাই ধন্যি তার, কিন্তু কোনো গন্তব্য নেই।
কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছানোর চে'ও সেই চলাই বরং নিজ মহিমায় অনেক বেশি সুন্দর!
"আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ"- রবিঠাকুরই হয়তো এটার নাম দিয়ে যেতে পারতেন আরো সুন্দর একটা কিছু, আরেকটু ভাবলে টাবলে! হাসি
চায়ের ধোঁয়ার সাথে রাজনীতির তুফান ভেগোলজি, অপ্রকাশ দিনিলিপি(খেরো) লেখাও ভেগোলজি, কোনো কোনো এক্সটেন্টে প্রেমও হয়তো ভেগোলজি হতে পারে! অ্যাবস্ট্রাক্ট সাহিত্যশিল্পও হয়তো সেই অর্থে একরকম ভেগোলজিই।
বিস্তারিত পাঠের আমার ইচ্ছে ছিল খুব এই স্বপ্নের মতো বিষয়টা।
নিজের মধ্যেও নামহীন অবস্থাতেই এই ব্যাপারটি সবসময় ছিল বলেও বুঝি-বা প্রথম সাক্ষাতেই অনেক আগ্রহী এবং ভক্ত হয়েছি আমি এই বিষয়টার।
কিন্তু পাঠের জন্য কিছু তো পাই-ই না আর কোথাও!
আমি এটার কাছাকাছি কনসেপ্ট অন্য যে সুন্দর বাংলা শব্দে পেয়েছি (যদি আমি বুঝতে ভুল না করে থাকি), সেটা হলো 'চরৈবেতি' (চলতে থাকা)।
আমি ভুল হলে শুধরে দেবেন আশা করি।
এমনকি টোটাল বিষয়টাই আসোলে যদি থেকে থাকে অন্যভাবে আপনার জানামতে, বরং আমিই যদি কোনো জায়গায় মিস-কনসিভ করে থাকি, কষ্ট করে আমার ভুলটা ঠিক করে দেবেন প্লিজ।
আর, কিছু পেলেও শেয়ার করবেন - অনুরোধ থাকলো।
কথা হবে হয়তো এ বিষয়ে আরো তাহলে।
হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সিরাত এর ছবি

সুপার কনসেপ্ট তো (দারুন বেশি ব্যবহার হয়ে যাচ্ছিল, তাই 'সুপার')।

সামনে আমি ভেগোলজি লিখবো একটা, দাঁড়ান। আপনার আর তুলিরেখা ভাইয়ের ক্রেডিট থাকবে!

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

থ্যাংকস সিরাত।
পয়েন্ট অব ইনফর্মেশন- তুলিরেখা 'ভাই' না কিন্তু।
হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

সন্ধ্যাভাষা বলে তো সেই বৌদ্ধ আমলের সাঙ্কেতিক কবিতা মনে করিয়ে দিলেন!

"টালত মোর ঘর নাহি পরিবেশী
হাঁড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী"

অথবা
"নানা তরুবর মৌলিলরে গঅণত লাগেলি ডালি
মোরঙগী পিচ্ছ পরিহণ শবরী গীবত গুঞ্জার মালি।"

অথবা

কা আ তরুবর, পঞ্চম বি ডাল
চঞ্চল চি এ পইঠো কাল।

হাসি

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অ্যাঁ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

আরে অবাক হন কেন? চর্যাপদ পড়েন নাই?

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সিরাত এর ছবি

কি দারুন। কি দারুন! কি দারুন!! কি দারুন!!!

এই ভঙ্গুর মৃত্তিকাহৃদয় কিকরে ধারণ করতে পারে তাকে?

আহা! আহা!!

নক্ষত্রপিপাসা

কি নামই না দিয়েছেন। আহা!!!

সিরাতের পেল ব্লু ডট লেখাটা দেখে আবারও মন কেমন করলো

এ লেখায় সামান্যতম প্রভাব রাখলেও ও লেখা সার্থক! চলুক

হাবিবের 'মনে কর যেন' গানের সাথে লেখাটা পড়তে জাস্ট অসাধারণ লাগলো। ধন্যবাদ, তুলিরেখা ভাই(?)!

তুলিরেখা এর ছবি

গানটা দিবেন?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সিরাত এর ছবি

আমি অতিথি, স্টার দিতে পারি না। নাইলে এটারে ৭ স্টার দিতাম। হাবিবের গানের সাথে যা ভয়ানক জমে না এই লেখাটা! হাসি পাঁচখান কমেন্টে তাই এফেকশন প্রকাশ করলাম।

(Y)।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধইনবাদ সিরাত ভাই।
সত্যি আপনার পেল ব্লু ডট পড়ে আলোড়িত হয়েছিলাম।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

s-s এর ছবি

আমি আবারও আজ পড়ে গেলাম। বারে বারে পড়া হয় মন খারাপের রাতে এমন একটা লেখা এটা প্রত্যুষা'দি।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নাও সেঁজুতি।
কবেকার পুরানো এই লেখা, খুঁজে পেতে গেলে স্মৃতির পলিমাটি সরাতে হয়। চমকে গেলাম এ লেখায় মন্তব্য দেখে।
ভালো থেকো।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।