স্বপ্ন-উশীর

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৪/২০১২ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভোর হয়ে আসে পুবের দিগন্তে। একটা অতি হাল্কা সাদা আলোর চাদর এসে পড়ে মাটিতে, সেই ক্ষীণ নীহারশুভ্র আলোয় ঢেকে যায় নক্ষত্রমালা, হারিয়ে যায় সেই টলটলে নিবিড় রাত্রিনীল যার মধ্যে মণিকণার মতন টলমল দুলছিলো নক্ষত্রেরা, নীহারিকাসমূহ ছড়িয়ে ছিলো শুভ্র উর্ণাতন্তুর মতন! এখন শুধু দেখা যাচ্ছে দুই একটা অতি উজ্জ্বল তারা আর গ্রহেরা। ওরা দপদপ করে জ্বলছে আকাশে, দক্ষিণে এলানো একটা কাল্পনিক রেখার কাছাকাছি, একটু উপরে বা নীচে, খুব দূরে নয়।

পুব আকাশে গোলাপী রঙ জেগে উঠলো এইবার। ঊষা। সূর্য উঠতে দেরি নেই আর। সব তারা মিলিয়ে গেছে, গ্রহেরাও যায় যায়। শিশিরভেজা একটা টলোটলো সময়। কোথা থেকে যেন ভেসে আসে আশ্চর্য সৌরভ, ভুলে যাওয়া একটা স্মৃতি এসে যেন টান দেয়। পথের পাশে ক্যাকটাসতলায় গাড়ী থামিয়ে লক করে পাশের নামাল হয়ে এলিয়ে পড়া জমিতে নেমে আসে অর্চিষ্মান। ওর মনে হচ্ছিলো আরেকটু গেলেই পাওয়া যাবে কোনো গাঁ, সেই গাঁয়ে হয়তো এখনো পাওয়া যায় আশ্চর্য পাহাড়ী গুহা, গুহার দেয়ালে ছবি, সেইসব ছবি আসলে অদ্ভুত ভাষা।

ঢেউয়ের সঙ্গে ভাব ছিলো খুব সেই সেকালে
লেবুরঙের ভোরের বেলার ঘুমভেজা চোখ
পালিয়ে যাওয়া সে কোন্ অতীত,
টগর ফুলে টুনির বাসায়,
রোদের টুকরো মেঘের উড়ান
সেই ঘরে তোর পায়ের নূপুর, চলার ধ্বনি।

এখন যে তুই অনেক দূরে
এখন যে তোর বাসা ঘিরে
অচেনা গাছ, অচেনা ফুল
মুখগুলো সব চেনা চেনা কিন্তু তবু বাধে কোথায়
এখন যে চোখের কোণে কীসের ঝলক
এখন তোর আর সময় যে নেই পরণকথার।


মন্তব্য

ইশতিয়াক এর ছবি

ভোরের শুরুর অসাধারন ছবি। মনে হল চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। অনেক দিন এত ভোরে ওঠা হয়না। আপনার লেখায় ইচ্ছেটা জেগে উঠল। খুব ভালো লাগলো।

পরণকথার অর্থ কি? জানালে খুশী হব।

ভালো থাকবেন।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

পরণকথা মানে কি?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তুলিরেখা এর ছবি

পরণকথা মানে হোলো লোককথা বা উপকথা বা রূপকথা।

জীবনানন্দের কবিতায় পড়েন নি? "পরণকথার গন্ধ লেগে আছে" "মোমরঙা হাঁসটিরে ডেকে নেবে পরণকথার দেশে" এইরকমের সব লাইন?

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ। কবিতাটা অসাধারণ হয়েছে।

ইয়ে, মানে... কবিতার কিছুই মনে নেই, এখনতো আর পড়াও হয় না তেমন (সচলায়তন বাদে)। তবে এইটা মনে আছে স্কুলে থাকতে জীবনানন্দের কবিতার বেশ কিছু শব্দের মানে বুঝতে না পেরে একবার এক স্যারের কাছে গেছিলাম, স্যার বলেছিল গীতাঞ্জলী পড়ে তারপর যেন আসি। হেহ হে আর ওই শব্দের মানে গুলো জানা হয় নি।

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি
জীবনানন্দের কবিতা বুঝতে গীতাঞ্জলি? তারপরে সেটা পড়ে এলে গীতাঞ্জলির কিছু জায়গায় আটকে গেলে বলবে মেঘনাদবধ কাব্য পড়ে আসতে, তারপরে "মেঘনাদবধ" তো মারাত্মক কঠিন কঠিন শব্দওয়ালা, সেই নিয়ে আটকে গেলে বলবে যাও মূল মহাভারত পড়ে এসো, তারপরে--- এই করতে করতে কার্যকারণ পরম্পরায় বাবা আদমের আপেল খাওয়া অবধি চলে যেতে হবে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, এত হাসলে চলপে? হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

আরে হাসি কি আর সাধে। ঘটনাতো প্রায় ঐ রকমি। এই গীতাঞ্জলী ট্রিটমেন্টের কিছুদিন পরেই স্কুল ম্যাগাজিনে লেখা দেওয়ার জন্যে ক্লাসে ক্লাসে ঘোষণা দিয়ে গেলো। আমার কেন যেন মনে হল আমি মহাকবি, একটা মহান কবিতা আমি খুব সহজেই লিখে ফেলতে পারি। লিখতে যেয়ে দেখি ইকোনো বল পয়েন্ট ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তেছে, তো ধ্বস্তাধস্তি দেখে বড় ভাই বুদ্ধি দিল আবার স্যারের কাছে যাইতে। এই খানে বলে রাখি ঐ শব্দের মানে জানার পদ্ধতিও বড় ভাই বাৎলাইয়া দিছিলো। তাপ্পর আর কওয়া লাগপে না লিচ্চয় হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তাপস শর্মা এর ছবি

তুমি ব্যাটা কালিদাসের হারিয়ে যাওয়া নাতি খাইছে

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, তখন যদি আপনার চরম উদাস মশায়ের লগে দেখা হইতো, তাইলে একটা কেন দশটা কবিতা বানাইয়া ফেলতে পারতেন, জাভা বা ম্যাটল্যাব যদি তখন নাও থাকতো, টুকরা টুকরা কাগজ আর বাটি তো ছিলো। নানারকম বৈচিত্রময় শব্দ যেমন আকাশ আঁকশি দড়ি বাঁশ বেণু বীণা আক্কেল কন্ঠ নীল মৈরেয় নিপুনিকা এইসব সব ডিকশনারি দেইখা দেইখা টুকরা টুকরা কাগজে লিখ্যা বাটিতে নিয়া, আরেকটা বাটি চাপা দিয়া ইচ্ছামতো ঝাঁকানি দিতেন। তারপরে মাটিতে ঢালতেন, ব্যস পর পর যেসব শব্দ তুলতেন, খাতায় পর পর লিখতেন, লাগসই ক্রিয়াপদ ও অব্যয় বসাইতেন, ব্যস কাফি কবিতা হইতো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

বুজছি আপনার লেখালেখির রহস্য। এইখানে কঠিন তো কিছুই নাই, খালি কিছু দন্ত উতপাটনে সক্ষম শব্দ খুঁজে বের করা এই যা কাজ।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তুলিরেখা এর ছবি

তবে ? দন্ত উৎপাটনে সক্ষম শব্দের বিরাট এক ডিকশনারি লইয়া আপনের সেই পুরানো মাষ্টারমশাইয়ের কাছে যান। হাসি
মোপাসাঁ না কে জানি এক বিখ্যাত লেখক একবার এইরকম করেছিলেন। তিনি তখনও বিখ্যাত হন নি, পরে বিখ্যাত লেখক হন। হাসি
আপনার চান্স আছে। সিরিয়াসলি কইলাম।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

কাম সারছে হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ এর ছবি

ধরেছ ঠিক, তবে হারিয়ে যাওয়ার আগেই দাদুরে ওই যে মেঘ, পাহাড় টাহাড়, দূত টুত (সে অনেক দিনের কথা তো তাই নামটা ঠিক মনে পড়তেছে না) নিয়ে বেশির ভাগটা লিখে দিছিলাম। বুড়া বেটা কৃতজ্ঞতা স্বীকার তো করেই নাই, আবার চামে চামে চরম বিখ্যাত হয়ে গেলো। চোখ টিপি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

কিছু লেখার হাতে মনে হয় শাবল থাকে। পড়লেই খুড়তে শুরু করে বুকের ভিতর। কিছু লেখায় চরম কাঁদুনে গ্যাস । যতই পালান তাও হু হু করে জলের মিতালি গালের রোমে।
কিছু লেখায় থাকে সাবান ঘষা আলতো খুশি, কিছু লেখায় টুকটাক বাদামের খোসা ভাঙ্গা সময়ের বোতাম। আচ্ছা এমন হাজার লেখা আছে- আর বেশি ধরন বর্ণনায় নয় নাই যাই।

আপনার লেখা-
আছে দুটো করে ডানা। আলতো, শুভ্র, সংগোপনে পিঠের পাশে এসে কখন জুড়ে যায়। বাইরে বাতাস আছে কি নেই; থোড়াই কেয়ার। কোন অগোচরে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসে সেই সব দিনে।
এখনো মনে আছে আপনার একটি লেখা পড়ে খুব ইচ্ছে জেগেছিল ফেলে আসা সেই স্কুল বেলার হাতি পাতি হাঁটার রাস্তা গুলোকে দেখে আসতে। বাস্তবে পারিনি তবে আপনার বদৌলতে কটা দিন স্মৃতির মাঝে বেস চলা ফেরা করেছি।

মন্তব্যের মাঝে উচ্ছ্বাস এর চেয়ে আর অন্যকিছু নেই। হাসি
আর উচ্ছ্বাসের বিঃদ্রঃ - এমন লেখা যেন ঘুরে ফিরে লিখুন বারবার। পাঠক হিসেবে বেস আরাম পাই সময়ের পাখায় উড়াউড়ি করে।

তুলিরেখা এর ছবি

কমেন্ট যা দিলেন সেটাই একটা শিশির টলমল অশ্রু ঝলমল হাসি কলকল একটা লেখা হয়ে গেলো তো।
হাসি

নিন, আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

খুব ভাল লাগল। চলুক

আপনার লেখাগুলোর আঘ্রাণের সাথে আপনার প্রোফাইল পিক টা কোথায় যেন মিলে-মিশে যায় বারবার। চিন্তিত

তুলিরেখা এর ছবি

প্রোফাইল পিকটা তো চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবী দেখার! এটা তো কেবল স্পেসে যাওয়া মানুষেরা দেখতে পায়, আমাদের তো কেবল ছবি দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে কিনা, স্বপ্নে দেখতে তো বাধা নেই। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ইশ! ভোরের আলো এই দুপুরেও ছড়িয়ে দিলেন চোখের উপর !

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

কবিতাটা অসাধারণ লেগেছে।

গদ্যের শেষের লাইনটাই পাঠকের সমস্ত চেতনাকে ভেঙে চুরমার করে করে দিতে যথেষ্ট।
আমার বেলায় অন্তত তাই হয়েছে।

কোন আলো জ্বলা জোছনাতে
কেউ আমাকে নিয়ে চলনা
আমি ক্লান্ত এ পৃথিবীতে
নতুন কোন স্বাদ আমায় দাও না।

সুমন ও ফয়সাল (অ্যালবামঃ ঝড়)

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
গানটার জন্য আরো ধন্যবাদ। কেমন যেন সেই নীল জ্যোৎস্নার কথা মনে পড়িয়ে দেয়, যা পৃথিবীতে নেই, আছে অন্য কোনো গ্রহে।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ঊষালগ্ন বাস্তবে এখন আর দেখা হয়না। আপনার লেখাটার মাঝে উপলব্ধ হলো। চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

বরাবরের মতোই হাসি

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তাপস শর্মা এর ছবি

চিত্রকল্পগুলি খুবই সুন্দর।

আর

লেবুরঙের ভোরের বেলার ঘুমভেজা চোখ

কি মিষ্টি একটা কথা। গুচ্ছ কল্পনাটাই কি কিউট - লেবুরঙের ভোর হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আপনার আগে, আরো বহুকাল আগে আমার সচলে আসার আদিযুগে এই "লেবুরঙের ভোরেরবেলা" শুনে আরেকজনও খুব আপ্লুত হয়েছিলেন। হাসি

কিন্তু সত‌্যিই ভোরবেলাকে লেবুরঙেরই লাগে আমার, একটু বেলা হলে রূপো-রূপো হয়ে যায়, আর গরম দুপুর হলো ঝাঁঝালো মরিচ, বিকেল হলো তুলো-তুলো, সূর্যডোবার পরের সন্ধ্যা হলো কমলাগোলাপী, তারপরের সন্ধ্যা হয়ে যায় ধূপছায়ার মতন, তারপরে মেলে দেওয়া কালো কেশের মতন----

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তাপস শর্মা এর ছবি

গুরু গুরু

কিছুই বলার নেই দিদি। হাসি হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তাপস। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়) আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তুলিরেখা এর ছবি

পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।