আশি দশকের কবিতা নিয়ে এগারটা থিসিস

??? এর ছবি
লিখেছেন ??? (তারিখ: মঙ্গল, ০২/১০/২০০৭ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

বাংলা কবিতায় আশির দশকের মোড়বদল আজ একটা বহুমান্য সত্যবিশেষ। বিশেষত আশি দশকের মাঝামাঝি থেকে বাংলা কবিতার চারিত্র বদলে যেতে আরম্ভ করে। নতুন একদঙ্গল কবিকে দেখা যায় পুরোভাগে। তাদের জীবন, তাদের বেদনা, তাদের পরাজয়, তাদের মৃত্যু.... নিকটতম দূরত্বে থেকে সেসব আমাদের দেখা। মনে হয়, সেসবের সাথে বোঝাপড়া করার মত নির্মোহ দূরত্ব মনের মধ্যে তৈরি হয়েছে এতদিনে.....


১. আশি দশক দুইপ্রকার। মধ্যআশি-র আগে এক প্রকার আশি বাংলা কবিতায় ছিল। সেটা মূলত ষাট দশকের প্রেতাত্মা। পঞ্চাশ ষাট সত্তর যে কোনো শিরোনামেই তাদের চালাতে খুব অসুবিধা হয় না। দশকের মাঝামাঝি থেকে বাংলা কবিতার যে মোড়বদল, তাকে সমকালীন বাংলা কবিতায় রেনেসাঁ বলে মানেন অনেকেই। এই রেনেসাঁর সবচেয়ে মলিন গ্রাহক আমাদের পুরাতন আশি-র কবিরা। নতুন কবিতার দাপটে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মতই হেজেমজে গেছেন তারা। সেই থেকে এই দুই রুচির মধ্যে একটা সমান্তরাল দূরত্ব থেকে গেছে সবসময়। (এর একমাত্র ব্যতিক্রম সম্ভবত কবি সরকার মাসুদ, যিনি পুরাতন আশি থেকে নতুন আশি-তে শিফট করার সাহস দেখিয়েছেন।)

২. আশির দশকের নয়া কাব্যান্দোলনের মূলে ছিল কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিন। গাণ্ডীব ও অনিন্দ্য (সাজ্জাদ শরিফ, শোয়েব শাদাব, শান্তনু চৌধুরী), পেঁচা (অসীম কুমার দাস, শামসুল কবীর, বিষ্ণু বিশ্বাস), দামোদর, পূর্ণদৈর্ঘ (কফিল আহমেদ, শাহেদ শাফায়েত, মাহবুব পিয়াল), ছাঁট কাগজের মলাট, জলপ্রপাত, ফৃ (রিফাত চৌধুরী, কাজল শাহনেওয়াজ, আহমেদ মুজিব, খায়রুল হাবিব), প্রসূন (সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, সৈয়দ তারিক) ইত্যাদি। এদের মধ্যে গাণ্ডীব এবং অনিন্দ্য আজো আশ্চর্যজনক গোঁয়ার্তুমি নিয়ে বেঁচে আছে। বেঁচে থাকা কত ক্লান্তিকর, এসব কাগজের পাতা উল্টালে মনে হয়।

৩. আশির কবিরাই বাংলা কবিতার রাজধানী নিউমার্কেট কিংবা পল্টনের মেস থেকে শাহবাগে স্থানান্তর করেন। তখন মফস্বল থেকে শাহবাগ আসতে টিকেট লাগত। এখন অবশ্য শাহবাগ আর কবিতার রাজধানী নয়, গণতন্ত্র মানলে বাংলা কবিতার রাজধানী এখন সিলেটে।

৪.আশির দশকে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দটি সম্ভবত "প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা"। দৈনিকের সাহিত্যপাতায় লিখে শাহবাগে আড্ডা দিতে আসা অনেকের কাঁচুমাচু মুখ মনে পড়ে। "প্রতিষ্ঠান" তৈরি হওয়ার আগেই "প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা" একটি প্রাতিষ্ঠানিক দাপট সহকারে ঘুরাঘুরি করত শাহবাগে। এই মারকুটে বিরোধিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য পরবর্তীতে ঢাকার দৈনিক কাগজগুলো নিজেদের "প্রতিষ্ঠান" ভাবতে উত্ সাহিত হয়।

৫. আশির কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম উম্মতবেষ্টনী পান রিফাত চৌধূরী। তিনি উম্মত আকর্ষণে ব্যবহার করতেন বিশেষ ধরনের ধুম্রজালিক পদ্ধতি। এখন কবি মাসুদ খানের উম্মতবেষ্টনী হয়েছে বলে জানা যায়। তিনি অবশ্য আরো নিরাপদ ও উন্নত নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।

৬. আসক্তি-বৈচিত্র্যে আশি দশকের তুল্য আর কোনো দশক নাই। নানা ধরনের ধুম্র আর তরল, তারা আবার নানাভাবে প্রবেশ্য! আশির দশক অ্যাডভেঞ্চারের দশক। নব্বই দশকে এই আসক্তি বৈচিত্র্যহীন হয়ে পড়ে; দ্রব্য থেকে প্রাণ, সমলিঙ্গ (অযৌন) থেকে মনোগ্যামাস বিষমলিঙ্গ।

৭. আশির কবিরা বাংলা কবিতার ইতিহাসে নানা ঘরানাযোগে অংশগ্রহণ করেছেন। এই ঘরানাগুলো হচ্ছে:

৭.১ জীবনানন্দ-উত্পল-জয়-রনজিত্ ঘরানা
৭.২ বিনয়-শহীদ কাদরী-মান্নান সৈয়দ-মুস্তফা আনোয়ার-আবিদ আজাদ ঘরানা
৭.৩ ভারতচন্দ্র-সুধীনদত্ত-অলোকরঞ্জন-মৃদুল ঘরানা

৮. আলঙ্কারিক অর্থে, তিরিশ থেকে সত্তর পর্যন্ত বাংলাদেশের কবিতাকে শাসন করেছে উপমা আর দৃশ্যবিবৃতি। আশি-তে এসে উপমার জায়গা দখল করে উত্ প্রেক্ষা। আর দৃশ্যবিবৃতি হয়ে ওঠে দৃশ্যকল্প। ফলে, আশির কবিতার দৃশ্য ফটোগ্রাফিক দৃশ্য নয়, আর সে কারণেই আল মাহমুদ মনে করেন সাজ্জাদ শরিফের চিত্রকল্পগুলো "মুহূর্তের মধ্যে কম্যুনিকেট" করে না।

৯. প্রগতিশীলতার যে দার্শনিক বিশ্বাস বাংলা কবিতাকে তিরিশ দশক থেকে চালিয়ে এনেছে -- চল্লিশে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কিংবা ফররূখ আহমদ, বা পঞ্চাশে আল মাহমুদ কিংবা ষাটে ওমর আলী এর গণ্ডীর বাইরে পা দিয়েছিলেন। আশির দশকে সেই সংখ্যা অনেক বেড়ে গেল। দার্শনিক বিশ্বাস হয়ে ওঠল মৌলবাদী রাজনৈতিক কৌশল। একদল "জামাতি" কবির কথা শোনা যায় এ উপলক্ষে। প্রকাশ্যে তাদের খুব একটা দেখা যায় না, তবে এখনও তারা বাস করেন কবি আল মাহমুদের প্রিয় কবির তালিকামধ্যে। বাংলা কবিতার রাজধানী মগবাজারে নিয়ে যাওয়ার ক্ষীণ চেষ্টা ছিল তাদের।

১০.দশকের চারিত্র নিয়ে বাংলা ভাষায় জানা মতে দুইখান পুস্তক লেখা হয়েছে। চল্লিশের দশকের চারিত্র নিয়ে অচিন্ত্য বাবু লিখেছিলেন "কল্লোল যুগ"। চার দশক পর, আশির দশক নিয়ে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ লিখলেন "কালকেতু ও ফুল্লরা"। "কল্লোল যুগ" ছিল স্মৃতিকথাজাতীয় ননফিকশন। কিন্তু "কালকেতু ও ফুল্লরা" একটি উপন্যাস (বা ফিকশন)।

১১. আশির দশকের নন্দনতত্ত্বের বিকাশ হয়েছে এরশাদ স্বৈরাচার আর কবিতা-আবৃত্তিশিল্পের রমরমা ব্যবসার এন্টিথিসিস হিসাবে। সেই সময়ে "রাজনৈতিক" কবিতা না-লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন আশি-র কবিরা, প্রধানত এই কারণেই এরশাদ-পরবর্তী বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পে চিরকালীন যবনিকা নেমে আসে।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাবালেন।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

সুমন রহমান লিখেছেন:

আশির কবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম উম্মতবেষ্টনী পান রিফাত চৌধূরী

এই রিফাত চৌধুরীই কি এখন ফারূকীর নাটকে অ্যাকটিং করেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনিন্দ্য এখনো বাইর হয়... শিবলী ভাই খাড়ায়া আছেন। কিন্তু গান্ডীব তো বহুদিন পরে একটামাত্র বাইরইলো... (ফেব্রুয়ারী ২০০৬) (সম্পাদক তপন বড়ুয়া) তারপরে কি আর বাইরইছে ?

আশির দশকের প্রতিষ্ঠান বিরোধী নেতা কবিদের অনেকেই তো এখন প্রতিষ্ঠানে ঝুলছেন।

কিংকর্তব্যবিমূঢ়... হ... এই সেই রিফাত চৌধূরী... কবিতার জন্য যার সংগ্রাম শাহবাগে এখনো রূপকথার বদলে শোনায়...

সুমন ভাই... আশির দশকের খালি কবিতা নিয়া লেখলেন ? গল্প নিয়াও লেখেন... পারভেজ হোসেন... সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ...

তয় লেখাটা ভালো হইছে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

??? এর ছবি

সর্বনাশ! এখানে দেখি গাণ্ডীব অনিন্দ্য পাঠক আছে!! ভয় পাইলাম। যদি কোনো কারণে আমার থিসিস ওদের কান পর্যন্ত পৌঁছায়, তাইলে আমার খবর আছে! একেবারে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে ছাড়বে।

রিফাত ফারূকীর নাটকে অভিনয় করতেন, এখন সম্ভবত ছেড়ে দিয়েছেন। পোষাচ্ছে না।

আশির কবিদের সাথেই আমার মাখামাখি বেশি ছিল। আশি-র যারা সেরা গদ্যকার, তারা একই সঙ্গে কবিও ছিলেন (ব্যতিক্রম শামসুল কবীর)। পারভেজ হোসেন বা সৈয়দ রিয়াজুর রশীদের গদ্য আমার কাছে মাঝারি মনে হয়েছে।

ধন্যবাদ এনগেজ করার জন্য।
..........................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভাল লাগল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ডরাইয়েন না সুমন ভাই...
আমি তেরম মনোযোগি পাঠক না... আশির দশকের কিছুসংখ্যক লোকের সাথে সখ্যতা হেতু খোঁজ খবর চইলা আসে আর কি... সাথে পত্রিকা।
অনিন্দ্য রেগুলার বাইরয় এইটা জানি... আর গান্ডীব নয়ারূপে বাইরনের কথা কলকাতায় এক বারে বইসা কাকতালে প্রথম শুনি আহমেদ নকীবের কাছে। সেইটা পড়ছিলাম... তারপরে আর বাইরইছে কি না আমি খোঁজ রাখিনাই।
আপনের থিসিস কিন্তু ভাবছিলাম হেগোরে কপি পাঠামু... পাঠামু নাকি ?
কিছুদিন আগে নাকি আশির আর নব্বইয়ের দশকের মেলবন্ধন ঘটানের লাইগ্গা একটা সভা হৈছিলো শাহবাগে... সেইখানে দুই দশকওলাদের গালিগালাজ নাকি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাইছে শুনছি।
আমি কিন্তু পারভেজ হোসেন বা রিয়াজুর রশীদরে উঁচুমানের গল্পক কইনাই...
থিসিসটা গল্প পর্যন্ত নিবেন কিনা জিগাইছিলাম... যদি নিতেন তাইলে কিছু জ্ঞানলাভ হৈতো আরকি... যেরম এই পোষ্ট পইড়া হৈছে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

??? এর ছবি

নজরুল, আপনি হেগো-রে কপি পাঠাইতে পারেন। হেগো মধ্যে অনেকেই অবশ্য কবিসভায় সঞ্চালন মারফত এই লেখা দেখছে। যারা দেখে নাই তারাও দেখুক।

গদ্য নিয়া লেখার বাসনা জাগ্রত হৈল, আপনার কথামত। এখন দেখা যাক, স্মৃতি কতদূর সহায় হয়।
..............................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

ভাস্কর এর ছবি

আশির দশকের নন্দনতত্ত্বের বিকাশ হয়েছে এরশাদ স্বৈরাচার আর কবিতা-আবৃত্তিশিল্পের রমরমা ব্যবসার এন্টিথিসিস হিসাবে। সেই সময়ে "রাজনৈতিক" কবিতা না-লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন আশি-র কবিরা, প্রধানত এই কারণেই এরশাদ-পরবর্তী বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পে চিরকালীন যবনিকা নেমে আসে।

আশির কবিরা কেবল রাজনৈতিক কবিতা লিখেন নাই এইরম না...তাগো মধ্যে বি-রাজনীতির চর্চ্চাও ছিলো...নব্বইয়ে আইসা অবশ্য উত্তরাধুনিক ডিসকোর্সের পথ ধইরা অনেকেই রাজনীতিমনষ্ক হইছেন...

প্রতিষ্ঠান বিরোধীতা ব্যাপারটা আশির দশকে ছিলো দৈনিক পত্রিকার বিরোধীতা...প্রতিষ্ঠান শব্দের আসল মর্তবাতে তর্ক করতে দেখি নাই খুব বেশি মানুষরে...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

"রাজনৈতিক" কবিতা বলতে আমি একটা বিশেষ ঐতিহাসিক শ্রেণীর কবিতা ইঙ্গিত করেছি ভাস্কর। একটা সময় ছিল, স্বৈরাচার-কে মা-বাপ তুলে দু-টা গাল দিতে পারলেই সেই উচ্চারণকে "বিপ্লবী" কবিতা সার্টিফিকেট দেয়া হত। আয়রনি হল, মোহাম্মদ রফিককেও এই প্রবণতা থেকে রাজনৈতিক কবি মনে করা হয়। কিন্তু ঐ বিশেষ লাইনটা বাদ দিলে "খোলা কবিতা" কিন্তু অনেক গভীর অর্থে রাজনৈতিক। ডেফিনিটলি মোহাম্মদ রফিকের সেরা বইগুলোর একটা। গভীরতার ঐ স্কেলে আশি-র অনেকেই আছেন যারা অনেক গভীর অর্থে রাজনৈতিক। কিন্তু সেসময় মূলত ছড়া-লিখিয়েদেরই দাপট ছিল।

শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

ভাস্কর এর ছবি

ঠিক আছে সুমন ভাই...আমি খুব গড় কেমন্ট কইরা ফালাইছি আসলে...কিন্তু আমার ঐ শৈশবকালে গন্ডীবগোত্রের লেজুড়ে থাইকা ক্যান জানি তাগো খুব অ্যাপলিটিক্যাল মনে হইতো...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

গাণ্ডীবের রাজনীতি ভিন্ন রাজনীতি, অনেকটা গোত্রনীতি জাতীয় ছিল। শেষ জানা ঘটনাটা বলি: তুমি ভাল জান গাণ্ডীব একেক সিজনে একেক জনের ওপর আছর করে। লাস্ট সিজনে মজনু শাহ-রে গাণ্ডীবাইজড করল এরা। গাণ্ডীবাইজ করার ধরন তুমি তো জান: একত্রে থাকা, আজিজের তিনতলায় আড্ডা মারা, নিচের গেদারিং-এ কালক্ষেপণ না করা, ভারী স্বরে কথা বলা, গুরুগম্ভীর মন্তব্য করা ইত্যাদি। তো, মজনুও এরকম শুরু করল। কিন্তু কিছুদিন পর মজনু আবার স্বরূপে ফিরে আসল, আগের সেই হাসিখুশি সহজ মজনু! জিগালাম, কী বিষয়? বলল, গাণ্ডীব ছেড়ে দিয়েছে সে। কারণ, সে মাসুদ খানের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল যেইটা গাণ্ডুদের পছন্দ হয় নি এবং সে জন্য তারা তাকে ঠাণ্ডা ঝারি দিয়েছে। মাসুদ খান গাণ্ডীবের গুডবয় লিস্টে নাই, তিনি দৈনিক-এ লেখেন এবং দৈনিকের লেখকের জানাজা পর্যন্ত এটেন্ড না-করার দার্শনিক প্রত্যয় আছে এসব লিটলম্যাগীদের। এই হৈল গাণ্ডীবের রাজনীতি।

..........................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

??? এর ছবি

ইমরুল এই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ না, খণ্ডিত। আরো অনেক ইস্যু আছে, সেগুলো তোমরা তোমাদের অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে লিখতে পারো।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।