প্রথম আলোর সম্পাদকীয় : এবিএম মুসার ভীমরতি

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: শুক্র, ১৪/১১/২০০৮ - ১২:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আওয়ামী লীগে ধর্ষক-যৌননিপীড়ক শুনলেই এবিএম মুসার গা জ্বলে কেন? এর আগে ধর্ষক মানিকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবিএম মুসা এখন আবার সানির পক্ষ নিলেন কেন? সামনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এটা বুঝতে পেরে কি আগেভাগেই ধর্ষক-নিপীড়কদের পক্ষে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছেন? মিথ্যাচারিতার একটা সীমা থাকা উচিত। বুড়ো ভাম এবিএম মুসা এইসব কী লিখছেন? আর প্রথম আলো এইসব মিথ্যাচার কি উদ্দেশ্যে ছাপছে? তারাও কি বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ আসছে, সুতরাং আগেভাগেই আওয়ামী লীগের ধর্ষক-নিপীড়ক-দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কিছু লেখাপত্র ছাপানো যাক?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন বিষয়ে বুড়োভাম এবিএম মুসা বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোতে যে সম্পাদকীয় লিখেছেন এবং যেটা আরেক বুড়ো ভাম মতিউর রহমান প্রথম আলোতে ছাপিয়েছেন, তার কয়েকটা স্পষ্ট মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তিকর তথ্য এখানে তুলে ধরছি।

১. জাহাঙ্গীরনগরে যখন যৌননিপীড়নের ঘটনা যখন ঘটে (১৯৯৮), "তখণ আমি সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হয়েছিলাম" এই বাক্যটিতে তথ্য গোপন করা হয়েছে, তখন এবিএম মুসাকে আওয়ামী লীগ সরকার সিন্ডিকেটে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করে ছাত্রলীগের ধর্ষকদের বাঁচানোর জন্য; মুসা পুরো সময় জুড়েই মানিক ও তার সহযোগীদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন, এমনকি আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার-ও করেন।

২. মুসা প্রশ্ন করেছেন, ১৯৯৬ সালের ঘটনা সেদিন প্রকাশ পায়নি কেন, সরকার পরিবর্তনের পর কেন প্রকাশ পেল? এবং প্রথম কেন মানবজমিন পত্রিকায় রিপোর্টটি ছাপা হলো, ইতিপূর্বে অন্য কোনো কাগজে কেন ছাপা হলো না? আওয়ামী লীগের আমলে এই ধরনের নাক-কাটা যাওয়া ঘটনা প্রকাশিত হওয়াতে আওয়ামী লীগের নাক-রক্ষক হিসবে মুসা সাহেব ব্যথিত হয়েছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে। অন্য কাগজগুলো কেন ছাপালো না, সেটি বরং কাগজ-ওলাদেরই প্রশ্ন করুন। বিশেষ করে যে কাগজে এখন লিখছেন, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তখন তো আপনিও সাংবাদিকতা করতেন, অন্য ভামগুলোও করতো। তখন তো আপনারা এমনকি ধর্ষণ শব্দটিও নাকি মুখে আনা খারাপ- আমাদেরকে এইসব উপদেশ দিয়েছেন।

৩. অভিযুক্তদের সবাই নাকি "তড়িঘড়ি আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার বনে গেছে।" এমনকি মুসা লিখেছেন, "মানিক ও অন্যান্য অভিযুক্ত দবৃত্ত (ধর্ষক শব্দটি মুখে আনতে ওনার আবার কষ্ট হয়, পচাঁ শব্দ কিনা) মাত্র কয়েকদিন আগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছেড়ে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে।" বলিহাড়ি যাই! এমন মিত্থুক না হলে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী!!! যে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন, তার পেছনে এইসব মিথ্যাচারী বুদ্ধিজীবীদের অবদান কতোটা, এমন লেখা ছাপা না হলে তো আমরা বুঝতেই পারতাম না। মানিক কয়েকদিন আগে ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে যোগ দিলো, আর রাতারাতি মানিককে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করে দেওয়া হলো। শুনি ছাত্রলীগের কমিটি নাকি শেখ হাসিনা নিজেই করেন, মাত্র দুদিন আগে ছাত্রদল থেকে আসা একটা পরিচয়হীন ছেলেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করে দেওয়াটা কতোটা বিবেচনার পরিচয় হলো? মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা উচিত। সব ধর্ষক আর দুর্নীতিবাজকে অন্য দলের বলে চালানোর যে ঘৃণ্য চেষ্টা, সেটা আপনার কাছেও দেখতে পেয়ে, আপনার প্রকৃত মনোভাব জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ!!!

৪. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাকি "স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে" তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন! আহারে আনন্দে আমার নাচতে ইচ্ছা করছে। দেশ এতো এগিয়ে গ্যালো, আমি জানতেই পারলাম না। এমনকি যে তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে লাণ্ছিত হয়ে হল ছাড়তে হলো, আমার রুম ভাঙচুর করে রুম থেকে বিছানা কাথা পর্যন্ত লুট করে নিয়ে গেলো এবিএম মুসার সোনার ছেলেরা, সেই তদন্ত কমিটি যে "স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে" গঠিত হয়েছিলো, আমি সেটা জানলাম-ই না। আহা কোন্ বোকার স্বর্গে আছি আমি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর আমি তথ্যহীন এক অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে আছি!

৫. "বামপন্থী ছাত্রমৈত্রী ব্যতীত কোনো ছাত্রসংগঠন ছাত্রীদের আন্দোলনে অংশ নেয়নি"। (রূপকথা শুনতে খুব ভালো লাগছে) জাহাঙ্গীরনগরে কস্মিনকালে ছাত্রমৈত্রী ছিল কিনা, আমার মনে পড়ছে না। আন্দোলনটাকে কেবল ছাত্রী আন্দোলন বলে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন করার যে অপচেষ্টা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং ধর্ষণকারীরা চেষ্টা করেছেন, সেই একই কাতারে মুসা তার অবস্থান পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন। ১৮ আগস্ট প্রথম যে মিছিল থেকে ১৯৯৮-এর ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, সেই মিছিলের প্রথম স্লোগানদাতাদের আমি একজন। ওই মিছিলে পুরুষ শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি ছিল, নারী শিক্ষার্থী আনুপাতিক হারে কম ছিল। পুরো আন্দালন জুড়েই শত শত পুরুষ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন এবং ছাত্র ফেডারেশন আন্দোলনে প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত সক্রিয় ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মতো আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করে মুসা সাহেবরা আসলে কাদের ঝোল টানছেন, এই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার।

৬. মুসা সাহেব লিখেছেন, তারা ধর্ষকদের জোর করে "স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করলাম"। এবং অন্যত্র লিখেছেন, "আমাদের দেওয়া শাস্তিগুলো যদি সেদিন কেউ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতো, তবে বাতিল হয়ে যেত।" আমি জানতে চাই, আওয়ামী লীগ কি ওই ধর্ষক-নিপীড়কদের আগামী নির্বাচনে নমিনেশন দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছে? নইলে মুসার মতো সাংবাদিক ধর্ষকদের পক্ষে সাফাই গেয়ে পত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখে তাদের দায়মুক্তি করেন কেন? আর প্রথম আলো-ই বা কেন ধর্ষকদের দায়মুক্তির এই সম্পাদকীয় ছাপায়?


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই লোক মিছা কথা কইতে গিয়া সব গুলাইয়া ফালাইছে। ১৯৯৮ তে আন্দোলনের একটা বড় ব্যর্থতা ছিল চিহ্নিত ধর্ষকদের পলাইয়া যাইতে দেওয়া। সেইটা দিছিল প্রশাসনই তবে আন্দোলনকারীদেরও আরেক্টু জোশ থাকলে ভালো হইতো। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠণের কেউ ধর্ষণ বরতে পারে না এই কথা প্রমাণ করার জন্য এই শালারপো গুলা দুইদিন পর পর এইসব লিখবো। তাতে ওদের লাভ হইবো যে বিষয়টা ক্রমশ: , যারা আন্দোলন করছিল তাদের ভিউ পয়েন্ট থিকা একটা আওয়ামী-বিএনপি-জামাত শেইপ পাইবো। জাবির বাইরের আওয়ামী "মধ্যপন্থী" ভোট ব্যাংকও বিষয়টারে ষড়যন্ত্র মনে কইরা খুশী থাকবো।

ধর্ষনকারীদের সব সমর্থকদের সেদিন বানানো হয় নাই ধইরা। এর মাশুল আরো অনেকদিন দিতে হইবো। এখন বইসা বইসা হাত কামড়াই....



অজ্ঞাতবাস

যূথচারী এর ছবি

ঠিক বলছেন, তবে নিজের হাত বেশিদিন মানুষ কামড়াতে পারে না। কামড়ানো চলতে থাকলে একদিন এই ভামগুলাও সেই কামড় পাবে। দাঁতে শান দিয়ে রাখছি। দিনেশ দাসের কবিতাটা মনে আছে নিশ্চয়ই-
বাঁকানো চাঁদের শাদা ফালিটা
তুমি বুঝি খুব ভালো বাসতে?
কাস্তেটা শান দিও বন্ধু
এযুগের চাঁদ হলো কাস্তে!


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মনে আছে।

অফটপিক, মৈত্রী ছিল জাবিতে। তবে ১৯৯২-৯৩ পর্যন্ত। কলেজে মৈত্রী করে আসারা কেউ ইউনিয়ন কেউ ফ্রন্ট করেছেন। তবে বেশীরভাগই আর ছাত্ররাজনীতি করে নাই।



অজ্ঞাতবাস

যূথচারী এর ছবি

প্রথম আলো ব্লগের নীতিমালার সঙ্গে যায় না


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বুড়োভাম শব্দগুলো বাদ দিলে মনে হয় নীতিমালার সাথে চলবে। দিয়েই দেখেন ওরা কী করে।

লেখার জন্য চলুক

হিমু এর ছবি

ওনারও তো বয়স বেড়েছে। তাই না হাসি ?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুমন চৌধুরী এর ছবি
মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হো হো হো
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

যূথচারী এর ছবি

যেকোনো কারণেই হোক, ১৯৯৮-এর আন্দোলনে মাহবুব মোর্শেদ ছিল না, কিন্তু এর পরের প্রায় প্রত্যেকটি আন্দোলনেই ছিল। আর প্রথম আলো ব্লগের ব্যাপারটা শুধু মাহবুব মোর্শেদের ওপর ছেড়ে দেওয়াটা আমি সমর্থন করছি না। বিষয়টা প্রথম আলোর পলিসির। প্রথম আলো গ্রুপ শুরু থেকেই সুবিধাবাদী জায়গাতে আছে, যেখানেই ধান্দা, সেখানেই প্রথম আলো। এটা প্রথম আলোর পলিসি, মাহবুব সেখানে চাকরি করে, সুতরাং ওকে ওই পলিসি মেনেই চলতে হয়, তবে শুধু ওকেই সব দায়দায়িত্ব দেয়াটা আমি সমর্থন করি না।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্যাপারটা নিয়ে কচলাতে ইচ্ছে করতেছে না কিন্তু অন্যান্য বিবৃতি প্রদানে শুধু একজন চাকুরে হিসেবেই মনে হয়নি আলোচ্য ব্যক্তিকে। বরং অনেক বেশি কিছুই মনে হয়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

সব দলেই ধোয়া তুলসীপাতারা দলবাজি করে, কেষ্ট ব্যাটা হইলাম আমরা জনগন।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তবে পাঠ প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্তত প্রথম আলোতে একটা লেখা যেতে পারে... আপনারা যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারাই লিখুন না...

অন্য কিছু না হোক... এটা প্রয়োজন এ কারনে যে নাহলে এটাই পরবর্তীতে রেফারেন্স হয়ে যাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যূথচারী এর ছবি

একটা প্রতিবাদপত্র প্রথম আলোতে পাঠানো হয়েছে। দেখা যাক ছাপে কিনা!


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

আলমগীর এর ছবি

এবিএম মুসা কখনই শ্রদ্ধার করার মতো কেউ নন।
কাজেই বিস্মিত হই নাই, কিন্তু ভাবছি সমকালে না দিয়ে প্রথমআলোতে কেন?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনারা যারা আন্দোলনে সরাসরি ছিলেন তাদের পক্ষ থেকে প্রথম আলো'তে পাঠপ্রতিক্রিয়া পাঠান ।
হয়তো ছাপাবেনা, তবু পাঠান ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুস্তাফিজ এর ছবি

এটাই প্রথম না, প্রথম আলো মিথ্যাচার করে। কমবেশী সব দৈনিকই করে। তবে এটা মানসিক বিকৃতি।
আপনাদের উচিত্‌ প্রতিক্রিয়া পাঠানো, ওরা না ছাপালে এখানে দিন। অন্তত শ,খানিক লোককে তো জানাতে পারবো।

...........................
Every Picture Tells a Story

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধিক এবিএম মুসা ।
ধিক প্রথম আলো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

বজলুর রহমান এর ছবি

জনাব আবুল বাশার মুহাম্মদ মূসা আমার বেশ কিছু ক্ষতি করেছেন। যেমন করেছেন তাঁরও সিনিয়র কে জি মুস্তাফা বা তুলনামূলকভাবে চ্যাংড়া মাহফুজ আনাম, মতি প্রমুখ। তবে আমি কাউকে 'বুড়ো ভাম' জাতীয় অভিধা দেব না। একটা ভালো লেখাও দুর্বল হয়ে যেতে পারে যত্রতত্র বারংবার এরকম আবেগাপ্লুত শব্দ ব্যবহারে।

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শত্রু শেখ হাসিনা। কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই তিনি সব হঠকারী সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সিদ্ধান্ত দলের সবাইকে উৎসাহ নিয়ে সমর্থন করতে হয়, বা মূসা সাহেবের মত মানুষকে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বিকৃত করতে হয়। খিলাফতকে সাথে নেওয়ার পরিকল্পনা অবশ্য পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আশা করি শুভ শক্তি গুলো ভবিষ্যতেও আবার যথাসময়ে সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং তাঁকে সিরাতুল মুস্তাকীম দেখিয়ে দেবে।

তবে হাসিনার সব সিদ্ধান্ত খারাপ নয়, যেমন ভারতকে গ্যাস বিক্রি না করার ব্যাপারে অনমনীয় থাকা।

যূথচারী এর ছবি

আপনাকে দুটি অনুরোধ করতে চাই,
১. এবিএম মুসা, কেজি মুস্তাফা, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান প্রমুখ সম্পর্কে যেসব তথ্য আপনার কাছে আছে, সেগুলো লিখুন।
২. গ্যাস বিক্রি বিষয়ে ফিনিশ কোম্পানীর কার্যকলাপ বিষয়ে যদি জানেন, লিখুন।
কয়েকজন দেশবরেণ্য ব্যক্তি বিষয়ে কিছু তথ্য আমার কাছেও আছে, সেগুলোও লিখবো, আশা করছি।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে , এই সম্ভাবনায় সব চাটুকার যেভাবে বগল বাঁজাতে শুরু করেছে তাতে এখনই চিন্তিত হয়ে পড়েছি । আগামীদিনগুলো যে কিভাবে কাটবে...।

প্রথম আলো'য় প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন জেনে ভালো লাগল ।
প্রথম আলো ব্লগে এই লেখা যায় না , নীতিমালায় আটকায় , সেটাও সত্যি বলেছেন ।
বাংলা ব্লগ আর বাংলা ব্লগাররা ( অবশ্যই আমি সহ ) ক্রমেই ইন্টারেস্টিং দিকে যাচ্ছে ।

যূথচারী এর ছবি

আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে , এই সম্ভাবনায় সব চাটুকার যেভাবে বগল বাঁজাতে শুরু করেছে তাতে এখনই চিন্তিত হয়ে পড়েছি । আগামীদিনগুলো যে কিভাবে কাটবে...।

কিভাবে আর কাটবে? আওয়ামী লীগের (দুঃ)শাসন তো আর আমাদের অজানা নয়। তপ্ত বালি থেকে জ্বলন্ত চুল্লী আর জ্বলন্ত চুল্লী থেকে তপ্ত বালি... এ-ই তো আমাদের কর্মফল

চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আশা নাইরে... ফুরাইয়া গেল দিন...

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় যুথচারী, সুমন চৌধুরী, ফারুক ওয়াসিফ এবং অন্য যারা সচলে আছেন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালের আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন সবাইকে একটা বিনীত অনুরোধ করছি।

আপনাদের সবার এসংক্রান্ত যতগুলো লেখা নানা জায়গায় নানা ফর্মে আছে তা একসাথ করে ফেলুন। ক্রনোলজিক্যাল অর্ডারে একটি ঘটনাপঞ্জী (আসলে দুইটি) তৈরি করে ফেলুন। আন্দোলনের পক্ষশক্তি আর বিরূদ্ধশক্তি দুপাশের মানুষদের নামই তাদের সংক্ষিপ্ত কার্যকলাপসহ লিখে ফেলুন। পেপার কাটিংগুলো জোগাড় করুন (পত্রিকাগুলোর ভূমিকাও মনে রাখতে হবে)। ছবি আর ভিডিওগুলোও জোগাড় করুন। তারপর একটা বই বের করুন (প্রিন্টেড আর ই উভয় ফর্মে)। আমি জানি কাজটা একেবারেই সহজ না। তবু আপনারা যদি এখনই কাজটা শুরু না করেন তাহলে অচিরেই এই ইতিহাস মুছে ফেলা হবে। অথবা ১৯৯৮ ও ২০০৮-এর "হানাদার" ও "রাজাকারেরা" ভবিষ্যতে "মুক্তিযোদ্ধার" ভূমিকাতে নেমে যেতে পারে।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সমর্থন জানালাম

সুমন চৌধুরীর এ সংক্রান্ত এক পোস্টে আমি এরকম একটা অনুরোধ করেছিলাম কিছুদিন আগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সমর্থন জানালাম

সুমন চৌধুরীর এ সংক্রান্ত এক পোস্টে আমি এরকম একটা অনুরোধ করেছিলাম কিছুদিন আগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

উত্তম প্রস্তাব।

যূথচারীর কাছে জানতে চাইছি, ১৯৯৮ সালের শেষে নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে একটা অ্যালবাম বের হয়েছিল ধর্ষণকারীদের নাম ও ছবিসহ। সেটা কারো সংগ্রহে আছে কি না খবর নেয়া যায় কি?



অজ্ঞাতবাস

যূথচারী এর ছবি

ওই সঙ্কলনটা তো আমার কাছেই ছিল, কিন্তু এই মুহূর্তে পাচ্ছি না, তবে খুঁজলে পাওয়া যাবে। ওই সঙ্কলনটা বের করেছিল অশুচি নামে একটা সংগঠন। আন্দোলনের একটা খণ্ডিত রূপ তাতে দেখা যায়। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত বেশিরভাগ পেপারকাটিং তাতে যুক্ত করা হয়েছে। আর সংস্কৃতির একটি সংখ্যাতে আনু মুহাম্মদ আন্দোলনের একটা ইতিহাস লেখার চেষ্টা করেছিলেন, ওটা অনেক বেশি অথেনটিক। তবে পূর্ণাঙ্গ কোনো ইতিবৃত্ত লেখা বা প্রকাশ হয়নি।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

নির্বাক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ সত্য প্রকাশের জন্য। পরিতাপ এই জন্যে যে আমরা প্রতিনিয়্তই আত্মসার্থবাদী জাতিতে পরিনত হচ্ছি!!

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বিষয়টা নিয়ে আমারো কৈফিয়ত দেবার আছে। আমি যে পাতায় কাজ করি সেই পাতাতেই এবিএম মুসার লেখা ছাপা হয়েছে। পত্রিকা যদি তার অবস্থানের গুরুতর বিরোধি না দেখলে সাধারণত একটি লেখা ছাপে। সেখানে এবিএম মুসা প্রথম আলোর এলিট কলামিস্ট। তাই, আমার পক্ষে লেখাটাকে আটকানো কঠিন ছিল। তারপরও আমার মনে হয় সেটা পারতাম, গুরুতর তথ্যবিভ্রাটের অভিযোগ তুলে। কিন্তু সেদিন আমার ডে অফ ছিল। পরের দিন সকালে আমিও অন্য অনেকের মতো লেখাটা দেখি।

যাহোক, আজ প্রথম আলোয় ঐ লেখার একটি উপযুক্ত প্রতিবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে যুথচারীরও অবদান রয়েছে। তাদেরকে ধন্যবাদ। কিন্তু একটি জিনিষ খেয়াল করার মতো, যাঁরা এমনিতে অনেক উদার ভাব দেখান, প্রগতিশীলতার তকমা ধারণ করেন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই নারী ও ক্ষমতা প্রশ্নে এমন কপটতা ও বিচ্যুতি দেখা যায় যে, সন্দেহ তাদের প্রকাশ্য চেহারাটি আসলে ভেক কিনা। এই ভেকধারীদের উন্মোচনের কাজটি দৈনিক পত্রিকা করবে না, করতে পারে ব্লগ। গত বেশ কয়েকটি ঘটনায় সেটাই দেখা গেল।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই ভেকধারীদের উন্মোচনের কাজটি দৈনিক পত্রিকা করবে না, করতে পারে ব্লগ। গত বেশ কয়েকটি ঘটনায় সেটাই দেখা গেল।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আলমগীর এর ছবি

@ফারুক ওয়াসিফ
ভাইরে বাঘা বাঘা কলাম লেখেন, পত্রিকায় কাজ করেন আর এতদিনে এই কথা বুঝতেছেন? মুসা সাহেব যে নির্বাচিত কেউ ছিলেন না, (সরকারে মনোনীত ছিলেন) এই আসল কথাটা কই প্রতিবাদলিপিতে?

ইসলাম নারীর মর্যাদা নিশ্চিত করেছে এমন বক্তব্যও দেখছি আপনার সাম্প্রতিক লেখায়। বিষয় কী?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।