বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: সোম, ০৩/০৫/২০১০ - ৪:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে…

প্রাচীন এই পৃথিবীর অধিবাসীদের অধিকাংশই শুধু জীবনকে যাপন করে । অল্প কিছু মানুষ রুখে দাঁড়ায় অসম প্রথার বিরুদ্ধে, একগুয়ে গোয়ারের মত বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতার কাটে । এইসব মানুষেরা বাস করে প্রথাসিদ্ধ সমাজের একজন হয়েই । বাজার থেকে তেল, নুন কেনে, ঘর সংসার করে, সন্তান প্রতিপালন করে । সংসারী মানুষের মত সব কিছু করে । করে না শুধু একটা জিনিষ, সেটা হ’ল স্বার্থপরতা । যখন সমষ্টির স্বার্থে নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিতে হয়, তখন কিছুতেই নিজের কাছে নিজে ছোট হতে পারে না । বলতে পারে না, “জগতের কোথায় কি হ’চ্ছে আমি জানতে চাই না । আমি শুধু আমার গৃহকোনটুকু আগলে রাখবো । কোথায় কার সন্তান সামরিক জান্তার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিচ্ছে তা’তে আমার কিছু যায় আসে না । আমি শুধু আমার উত্তরসূরীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে আগলে রাখব ।” এই রকম বিরুদ্ধ স্রোতে চলা আপাত “সংসারী” এক মা তার অপত্য স্নেহের চেয়ে বড় করে দেখেন দেশের স্বাধীনতাকে । আত্মজের নিশ্চিত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চেয়ে মহৎ মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে । তাই একাত্তরের এপ্রিলে উনিশ বছরের রুমী যখন আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার হাতছানিকে পায়ে ঠেলে গেরিলা হতে চায়, তখন জাহানারা ইমাম বুকে পাথর চাপা দিয়ে বলেন, “ঠিক আছে, তোর কথাই মেনে নিলাম । দিলাম তোকে দেশের জন্য কোরবানি করে । যা, তুই যুদ্ধে যা ।”

জাহানারা ইমাম জন্মেছিলেন গত শতকে (১৯২৯) মুর্শিদাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে । সাত ভাই বোনের মধ্যে সবার অগ্রজ । বাবা সৈয়দ আব্দুল আলীর কর্মসুত্রে শৈশব, কৈশোরে দেখেছেন তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার প্রকৃতি, মানুষ ও জীবন । পারিবারিক আবহ তখনকার সময়ের রক্ষনশীল মুসলমান পরিবারের চেয়ে ছিল অগ্রসর । লেখাপড়া ও স্বাধীন চিন্তার উন্মেষে বাবা ও মা (হামিদা আলী) ছিলেন তাঁর প্রনোদনা । রংপুর কারমাইকেল কলেজ (১৯৪৫) হয়ে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ (১৯৪৭) থেকে বি. এ. পাশ করেন । দেশ বিভাগের পরে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী গভর্মেন্ট হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনের হাতেখড়ি । ১৯৪৮ সালে শরিফুল আলম ইমাম আহমেদকে বিয়ে করে ঢাকায় সংসার জীবনের শুরু । একই সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে হেড মিস্ট্রেসের কাজে যোগ দেন । মহিলাদের পত্রিকা “খাওয়াতিনে”র সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন অনেকদিন । কোল জুড়ে আসা দুই সন্তান রুমী, জামীকে অপত্য স্নেহে বড় করার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্যয় থেকে বাংলা (ভাষা ও সাহিত্য) ও শিক্ষা বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন, বিশ্ব সাহিত্য অনুবাদ করেছেন, সাহিত্য চর্চা করেছেন ।

তারপর এল একাত্তর । বৈষম্য আর অধিকারহীনতার বিরুদ্ধে যখন বাঙ্গালী প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ গড়ে তুলল, তখন আরো অজস্র পরিবারের মতই জাহানারা ইমামের শান্ত গৃহকোনও আর শান্ত থাকল না । মেধাবী ও তূখোড় তার্কিক রুমী যখন জানিয়ে দিল, দেশের দূঃসময়ে আমেরিকায় পড়তে গেলে সে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবে না, তখন মা হয়ে তিনি ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন । পরিচিত অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও সাধ্যমত সহায়তা করেছেন । অবরুদ্ধ ঢাকায় ২৯শে আগস্ট গভীর রাতে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রুমী, জামী, শরীফকে পাকিস্তানী আর্মি গ্রেফতার করে নিয়ে যায় । একে একে ধরা পরে রুমীর সহযোগী আজাদ, বদি, চুল্লু, জুয়েল, আলতাফ মাহমুদসহ আরো অনেকে । সেই সময়ে উৎকন্ঠিত এই পরিবারগুলো খুব কাছাকাছি চলে আসে । পাকিস্তানী আর্মির টর্চার সেল থেকে জামী ও শরীফ ফিরে আসে । ফিরে আসে না রুমী ।

একাত্তর পালটে দেয় জাহানারা ইমামকে । দেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক দু’দিন আগে চিরতরে হারিয়ে যান শরীফ ইমাম । স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে তিনি তখন নিভৃতচারীর জীবন কাটাচ্ছিলেন (সাহিত্য চর্চায় মন দিয়ে নিজের দূঃখকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন । তাঁর ব্যাক্তিগত দিনলিপি “একাত্তরের দিনগুলি” ১৯৮৬তে প্রকাশিত হয় । তাঁর হৃদয়কে পাথর করে নির্মোহ বর্ননার গুনে এটি এক জননীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের “এপিক” সাহিত্যের মর্যাদা অর্জন করে) । কিন্তু খুব কি পাল্টাতে পেরেছিল তাঁকে একাত্তর? তা’হলে ১৯৯১ এর ডিসেম্বরে যখন গোলাম আজমকে জামাতী ইসলামীর “আমির” নির্বাচিত করা হয়, তখন কেন নীরব থাকতে পারলেন না ক্যান্সার আক্রান্ত প্রৌঢ়া এই নারী? কে জানে কোথা থেকে শক্তি পেলেন এই আপাত নিভৃতচারী মানুষটি । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমানের আমলেই গোলাম আজম ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানী পাসপোর্টে একজন “ভিজিটর” হিসেবে বাংলাদেশে আসে ।) যখন দেশব্যাপী গড়ে ওঠা উত্তাল প্রতিবাদে কর্ণপাত না করে রাজনৈতিক উচ্ছবৃত্তির চূড়ান্ত নিদর্শন রাখছিলেন, তখন সকল মুক্তিকামী বাঙ্গালীর হয়ে জাহানারা ইমাম পথে নেমে আসেন । ক্লাসরুমের বাইরে যিনি কখনো বক্তৃতা দেননি, তিনি কোন যাদুমন্ত্রে হয়ে উঠেন জনতার কণ্ঠস্বর ! স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী বাঙ্গালী কোলাবোরেটরদের দ্বারা সংঘটিত সকল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে গড়ে তুলেন “ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি” । তারপরের ইতিহাস রাজনৈতিক সুবিধাবাদীতার । প্রধান দুই রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের প্রতিযোগিতায় জামাতী ইসলামী দলটিকে শুধু পূনর্বাসিত নয়, পরিপুষ্ট করে তোলে ।

অদম্য সাহসী এই নারীকে টলাতে পারেনি কোন কিছু । না বয়স, না ক্যান্সার, না ভয় ভীতি, না একাকীত্ব । জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করে । মৃত্যুশয্যায় দেশবাসীর কাছে রেখে গিয়েছেন লক্ষ্য অর্জনে অটল থাকার প্রেরনা ( লাস্ট মেসেজ ) । মেধাবী, স্বাধীনচেতা, অগ্রসর এই নারীর জীবনকে বিশ্লেষন করলে আপাত সাধারন একজন মানুষের ভেতর থেকে অনন্য এক মানুষের দেখা মেলে । রুমীকে বিবেকের কাছে হেরে যেতে দিতে পারবেন না বলে মাতৃস্নেহকে তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন । সামরিক জান্তার কাছে মার্সি পিটিশন করে রুমীর প্রানভিক্ষা চাওয়া “অবমাননাকর” বলে তা করতে অস্বীকৃতি জানান । সেই মুহুর্তে তিনি ‘মা’য়ের অধিক একজন ‘দেশপ্রেমিক’ হয়ে যান । স্বাধীনতার মাত্র দুই দশকের মধ্যেই যখন আত্মবিধ্বংসী বিস্মরনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন মধ্যবয়সী এই নারী গর্জে উঠেন । আবার একবার তিনি নিজেকে অতিক্রম করে ‘শহীদ জননী’র অধিক একজন ‘দ্রোহী’ হয়ে যান । আজ (৩রা মে) তাঁর জন্মদিনে নতুন প্রজন্মকে তাঁর মত তীব্র মানুষের কথা বলতে ইচ্ছে করছে । প্রার্থনা করি, এমন মায়ের জন্ম হোক বারেবারে এই দেশের ঘরে ঘরে…

পাদটীকাঃ

১. তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া , ও একাত্তরের দিনগুলি

২. জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের ঠিকানাঃ কনিকা, ৩৫ ধানমন্ডি (পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড) । এটি ইমাম পরিবারের বাসস্থান ছিল একাত্তরে । এখানে আছে রুমীর একটি প্রমান সাইজ ছবি । যে ছবি জাহানারা ইমামকে মনে পড়িয়ে দিত রুমীর প্রিয় কবিতা “আবার আসিব ফিরে…”

৩. এই অনন্য মায়ের উদ্দেশ্যে একটি অতি সাধারন কবিতা ( একজন জাহানারা ইমাম )

৪. নতুন প্রজন্মের ফেসবুকে জাহানারা ইমাম

৫. নব্বইয়ের দশকে জাহানারা ইমাম যখন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভা করছেন সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে, তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী । দীর্ঘ মিছিলের কোথাও জায়গা করে নিয়ে হাঁটছি রাজপথে । কখনো তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়নি । হলে হয়তোবা তাঁর হাতদু’টো ধরে কিছুক্ষন বসে থাকতাম নীরবে । ১৯৯৪ এর জুন মাসে যখন তিনি শেষবারের মত শহীদ মিনারে এলেন, তখন আরেকবার দীর্ঘ মিছিলে দাঁড়িয়ে মিনারের বেদীতে গিয়ে দাঁড়ালাম । আলগোছে একটি মাত্র ফুল রেখে মনে মনে বললাম, “জননী, ভালবাসি তোমাকে । তোমার, তোমাদের ঋণ কোনদিন শোধ হবে না …

==============================================
অনুগ্রহ করে আমার লেখায় বানান ও যতি চিহ্ন ব্যবহারের ভুলগুলো দেখিয়ে দিন । ধন্যবাদ ।


মন্তব্য

সাবিহ ওমর এর ছবি

শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা...

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

এই অনন্য সাধারন মাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি…

একজন জাহানারা ইমাম

স্বাধীনতার কুড়ি বছর পরেও যখন পুরাতন শকুনেরা
থাবা থেকে নখর বের করার দেখায় দুঃসাহস,
তখন তুমি সেনাপতির ধ্রুপদী মুদ্রায়
এসে দাঁড়াও শহীদ মিনারের বেদীতে;
তখন আর তুমি “ঢাকার সুদর্শনা সুচিত্রা সেন” থাকো না
তখন তুমি আর শুধুই একজন শহীদের দূঃখিনী জননী থাকো না,
তখন তুমি হয়ে যাও একজন ভীষন বিদ্রোহী নেলসন মেন্ডেলা
তখন তোমার দূ’চোখ স্বপ্নাতুর শেখ মুজিব
তখন তোমার দূ’হাত লেনিনের উচ্চকিত শপথ
তখন তোমার দূ’পায়ের অস্থিরতায় চে গুয়েভারা
তখন তোমার কন্ঠে এসে বাসা বাঁধে কালবোশেখীর মেঘের গর্জন ।

তখন নিযুত শহীদের করোটি ছুঁয়ে করা শপথের উন্মাদনায়
তুমি ছূটে বেড়াও দিকবিদিক,
রাজধানী এবং মফস্বল শহরের সব পিচঢালা রাজপথ
তোমার পায়ের নীচে গলতে থাকে মোমের মতন ।
তখন চৌষট্টি হাজার গ্রামের সব মেঠোপথ
তোমার কন্ঠ ধ্বনি শোনার জন্য হয়ে যায় উন্মাতাল ।
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে সমস্ত নদী আর ঝর্নারা
তোমার অবিনাশী স্লোগানের জন্য উন্মুখ ।
তোমাকে অনুসরন করে মিছিলের কাফেলায়
একে একে শামিল হয় সব অমৃতের সন্তানেরা,
ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, ইলা মিত্র আর
রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার থেকে শুরু করে
আলতাফ মাহমুদ, শহীদুল্লাহ কায়সার, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা,
সেলিনা পারভীন, মুনির চৌধুরী, ফজলে রাব্বী, গোলাম মোর্তজা,
......................................... ...............................
তোমার আহ্বানে স্বর্গোদ্যান ছেড়ে সাহসী শেরপার মত নেমে আসে গেরিলারা
বাংলাদেশের সীমান্ত জুড়ে তিতুমীরের দুর্গের মত দূর্ভেদ্য দাঁড়ায়
রুমী, আজাদ, বদিউল, জুয়েল, চুল্লু, বাশার,
..........................................................................
তখন আর সীমান্তের এক ইঞ্চি ভুমিও অরক্ষিত থাকে না,
তখন তোমার হৃদয় হয়ে যায় রক্তাক্ত বাংলাদেশের মানচিত্র ।

উৎসর্গে-
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তিথীডোর এর ছবি

শ্রদ্ধা

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

_প্রজাপতি এর ছবি

অনেক শ্রদ্ধা, এরকম জ্যোতির্ময়ী মানুষের বড় দরকার এখন।
-----------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তাঁর মত মানুষেরা রেখে যান আলোর রেখা…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তাঁর মত মানুষেরা রেখে যান আলোর রেখা…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সিনা  এর ছবি

শ্রদ্ধা

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শরতশিশির এর ছবি

একজন 'লেজেন্ড' জাহানারা ইমাম। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস-এর যখন প্রিন্সিপাল ছিলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে খুব যোগাযোগ ছিল, আমার বাবা বলেন দেখতে ওঁনাকে সুচিত্রা সেন-এর মতো লাগতো। অনেক চেনা একজন মানুষ। এঁনার সামান্যতম কণাটুকুও যদি হতে পারি, তো আমার জীবন বর্তে যাবে।

শ্রদ্ধা রইলো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, এই রকম মানুষের অংশমাত্র হওয়াও এক বড় অর্জন ।

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অনিন্দ্য এর ছবি

শ্রদ্ধা এবং শ্রদ্ধা।এরকম মাকে দেখলে মনে হয়,নেপোলিয়ন ঠিকই বলেছিলেন,একজন মাকে দিয়েই একটি জাতিকে বদলে দেয়া সম্ভব।

"একাত্তরের দিনগুলি"র মত অসাধারণ বই বাংলা ভাষায় খুব বেশি লেখা হয় নি।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা ছাড়া আর কিবা দেবার আছে দেবীতুল্য এই জাননীর জন্য?

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

শ্রদ্ধা েরেখ েগলাম।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

এমন একজন মহিলা যদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতেন...

কৌস্তুভ

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তাঁর মত দৃঢ়চিত্ত দেশপ্রেমিক কেউ প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছুই বদলে যেত ।

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শ্রদ্ধায় নির্বাক হয়ে যাই শহীদ জননীর লেখাগুলোর কথা মনে পড়লে। খুব ইচ্ছা ছিলো সামনে থেকে দেখবার।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সাফি এর ছবি

মা এর প্রতি শ্রদ্ধা

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তাসনীম এর ছবি

উনাকে শেষবার দেখেছি গণআদালতে গোলাম আযমের বিচারের সময়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের নবজাগরন আপনার হাত ধরেই হয়েছে, এই দেশ আপনার কাছে ঋণী।

একজন অকুতোভয় মায়ের জন্য ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রইল।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

বর্ষা এর ছবি

শ্রদ্ধা
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সুমন চৌধুরী এর ছবি
জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শরতশিশির এর ছবি

আমি মাত্র একটা এলবাম দেখলাম ফেইসবুকে একজনের প্রোফাইলে, অনুমতি নিয়েই পোস্ট করে দিলাম যেন আমাদের প্রজন্ম দেখে নিতে পারেন গণ আদালতের ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার দিনটির কিছু স্মরণীয় মূহুর্তগুলোঃ

http://www.facebook.com/album.php?aid=118796&id=611276953&op=18
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এলবামের লিঙ্কটির জন্য ।

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

সুপ্রিয় [অতিথি] এর ছবি

অনেক সুন্দর পোস্ট.........। এমন সকল মায়ের জন্য ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রইল।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চির জাগরুক থাক এমন মায়ের স্মৃতি…

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আমার পুরো স্কুলবেলাটা আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন জাহানারা ইমাম।

উনি চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে ফিরলে উনার সাথে দেখা করে উনাকে দেবার জন্য অনেকগুলো
কার্ড বানিয়েছিলাম, উনি আর ফিরেননি।

প্রতিটা স্কুলের বাচ্চাকে যদি বাধ্যতামূলকভাবে "একাত্তরের দিনগুলি" পড়ানো যেত, হয়তো বাংলাদেশ আরেকটু শক্ত হত।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

আপনার মত আমারও আক্ষেপ আছে কেন তাঁকে একবার দেখতে যাই নি । অথচ, কাছেইতো ছিলেন, এক শহরের বাসিন্দা হয়েও যাই নি । একবার জড়িয়ে ধরে দেখিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য কতটা বারুদ ঠাসা ছিল তাঁর বুকে…

একাত্তরের দিনগুলি আসলেই বাধ্যতামুলক পাঠ্য করা উচিত সকল কিশোর কিশোরীদের জন্য । স্বাধীনতা যে কোন পড়ে পাওয়া ধন ন্য়, অনেক ত্যাগের বিনিময়ের অর্জন তা জানা দরকার সবার ।

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শিশিরকণা [অতিথি] এর ছবি

খুব খুব খুউব ছোটবেলায় যখন ৪/৫ বছর বয়স তখন একবার উনার বাসায় গিয়েছিলাম, আমার ফুপু উনার প্রতিবেশী ছিলেন। তখন জানতাম না যে কার সংস্পর্শে আসতে পেরেছি। বড় হয়ে যখন তার ডায়রী পড়েছি, তখন স্তব্ধ, উত্তেজিত, আবেগ আপ্লুত হয়েছি, আর স্মৃতি হাতড়ে সেই একবারের দেখার মূহুর্ত মনে করতে চেয়েছি। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা নেই, শুধু বলতে পারি, যে দীপ তিনি জ্বালিয়ে রেখে গেছেন, যতদিন বেঁচে আছি, সে দীপশিখা উজ্জ্বল হয়ে জ্বলবে এই হৃদয়ে।

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে [অতিথি] এর ছবি

পড়ে না থাকলে উনার
'ক্যান্সারের সাথে বসবাস' বইটা পড়ে দেইখেন,মন ছুয়ে যেতে বাধ্য ।

ভাল লিখেছেন,ভাল লাগল।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।