জিয়া শহীদ, শেখ মুজিব নন কেন?

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মুহম্মদ জুবায়ের (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৫/২০০৮ - ৫:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন হয়ে আছে, মীমাংসিত কোনো উত্তর নেই। জিয়াউর রহমানকে যদি শহীদ বলা হয়, শেখ মুজিবকেও শহীদ বলা দরকার। আমার যুক্তিগুলি এরকম:

১. মুজিব এবং জিয়া ছয় বছরের ব্যবধানে যখন নিহত হন, দু'জনেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ছিলেন। দু'জনেই সামরিক বাহিনীর সদস্য/অফিসারদের গুলিতে নিহত হন যা ক্যু হিসেবে স্বীকৃত হয়।

২. মতভেদে ওজনের হেরফের মেনে নিয়েও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় দু'জনের অবদানই স্বীকার করে নিতে হবে।

৩. শাসক হিসেবে তাঁদের সাফল্য-ব্যর্থতা ছিলো, কিন্তু ব্যক্তিগত সততা নিয়ে দু'জনের কারো বিষয়েই সন্দেহ করা চলে না।

৪. শেখ মুজিব রক্ষীবাহিনী দিয়ে বিরোধীদের দমন/হত্যা করিয়েছিলেন বলা হয়। জিয়ার নামেও ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে শত শত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের খুন করার অভিযোগ আছে।

৫. বলা হয়ে থাকে, শেখ মুজিবের শাসনের কালে বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রচলন হয়েছিলো, জিয়ার আমলে তা সর্বস্তরে বিস্তৃত করা ব্যবস্থা হয়েছিলো বলে কথিত আছে।

৬. শেখ মুজিব একদলীয় শাসন চালু করে নিন্দিত হয়েছিলেন। জিয়া রাজনীতি তুলে দিয়েছিলেন সামরিক উর্দি-পরা মানুষদের হাতে এবং রাজনীতিকদের গাবতলীর গোহাটায় বেচাকেনার ব্যবস্থা চালু করে দিয়েছিলেন, যার জের এখনো আছে পুরোদমে।

৭. শেখ মুজিব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেননি বলে অভিযোগ, বিপরীতে জিয়া স্বাধীনতার শত্রু ও যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভাগ দিয়েছিলেন।

ভালোমন্দ মিলিয়ে শেখ মুজিব ও জিয়ার মধ্যে আরো অনেক মিল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু জিয়াকে শহীদ বলা হয়। শেখ মুজিব তাহলে শহীদ নন কেন? জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীকে শাহাদত দিবস বলা হলে শেখ মুজিব হত্যার দিনটিকেও শাহাদত দিবস বলা দরকার, তিনিই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নিহত রাষ্ট্রপতি।

****************************************
পুরনো লেখা। এখনো প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করা যায়।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অতি উত্তম প্রশ্ন।
দেখি আলোচনায় কে কী বলেন। আপাততঃ শ্রোতা হয়েই থাকি।

-
চোখ টিপি (কেনো হাসলাম বলবো না)

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

কেনো হাসলাম বলবো না

ঠিক আছে। জানলে হয়তো আমিও হেসে ফেলতে পারি। তোমাকে একা একা আপনমনে হাসার সুযোগ দেওয়া হলো। চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের নামের আগে বঙ্গবন্ধু লাগিয়েই সন্তষ্ট ছিলো এবং আছে ,এই কারণে
১)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে শহীদ শব্দটি এখনো অব্যবহৃত
২)শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজো অনেকটা আওযামী লীগের নিজস্ব সম্পত্তি হয়ে আছেন

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আপনার মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। তবে সেটা আংশিক সত্য বলে আমার ধারণা।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জিয়া শহীদ নাকি?
আমগো গ্রামে কারেন্টের শক খাইয়া মারা যাওয়া আতর আলীও তাইলে শহীদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আতর আলী অবশ্যই শহীদ। দায়ী পিডিবি।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সুমঞ্চৌধুরীর মন্তব্য বিভ্রান্তিকর। ঘটনা গ্রামে ঘটে থাকলে দায়ী পিডিবি নহে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আতর-কাতর-মেতর আলি সবাই শহীদ, আমেরিকার যুদ্ধে হাবিলদারি-দারোগাগিরি করতে যাওয়া বাংলাদেশের ভাড়াটে সৈন্যরাও শহীদ।
তবে আমার মনে হয় শহীদের থেকে জাতির পিতা উপাধি নিয়াই আলীগাররা সন্তুষ্ট। বাস্তবতও শহীদ অনেক কিন্তু জাতির পিতা (?) একজন_অন্তত ভক্তবৃন্দের কাছে।


মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

তবে আমার মনে হয় শহীদের থেকে জাতির পিতা উপাধি নিয়াই আলীগাররা সন্তুষ্ট। বাস্তবতও শহীদ অনেক কিন্তু জাতির পিতা (?) একজন_অন্তত ভক্তবৃন্দের কাছে।

একমত। তবে আমার বিশ্বাস, জিয়াকে শহীদ বানাতে আমাদের গণমাধ্যমগুলি ভয়াবহ রকমের দায়ত্বহীনতা ও পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে। অথচ আরেকজন নিহত রাষ্ট্রপ্রধানকে খাটো করার বিষয়ে থেকেছে উদাসীন। শুধু দলীয় আনুগত্য এখানে ক্রিয়াশীল ছিলো বলে মনে করার কারণ নেই, এটা অনেক ক্ষেত্রেই স্রোতে গা-ভাসানো বলে মনে হয়। এখনো তার ব্যতিক্রম খুব দেখি না।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অতিথি লেখক এর ছবি

কারণ শেখ মুজিব বাঙালীদের (দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর) নেতা, আর জিয়া বাংলাদেশীদের অর্থাৎ মুসলমানদের নেতা। তাই জিয়া মরে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু শেখ মুজিব হতে পারেননি। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিচার করা আমার সাধ্য নাই; তবে আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন জিয়া নাকি পাকিস্তান সরকারের চর ছিলেন এবং যুদ্ধের সময় গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়িয়েছেন। কাজেই তিনি শহীদ।

জিজ্ঞাসু

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উত্তম প্রশ্ন। ধাপ্পাবাজির শেষ নাই আর কি। সার্কিট হাউজে আধো ঘুম থেকে উঠে কিছু বদ পোলাপানের হাতে ("সেনাবাহিনীর কিছু বিচ্ছিন্ন ও বিপথগামী সদস্য") ঠ্যাক খেয়ে মরা ("ওমুক দে, নয়তো ভুড়ি গালায় দিমু") মানে শহীদ হওয়া, হাহ্‌!

তীরন্দাজ এর ছবি

"জাতির পিতা" হিসেবে এ অবধি যাদের স্বীকার করা হয়েছে, তাদেরকে কেউ খুন করার পর "শহীদ" বলা হয়েছে কখনো? জানিনা। আমার মনে হয় "জাতির পিতা" উপাধি এতো বেশী সন্মানের, জীবিত বা মরণোত্তর সময়েও, সেখানে অন্য কোন উপাধিরই আর প্রয়োজন পড়ে না বা ধোপে টেকে না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দু'জনের একজনকেও শহীদ বলার পক্ষপাতী নই। আভিধানিক বা ব্যবহারিক যে কোনো অর্থেই এঁদের শহীদ বলা মুশকিল। তবে আপনার কথিত 'জাতির পিতা'-র সঙ্গে 'শহীদ'-এর বিরোধটা ঠিক বুঝলাম না।

আমি যে কথাটা বলতে চেয়েছি তা হলো, বলতে হলে দু'জনকেই শহীদ বলতে হবে, নাহলে দু'জনের একজনকেও নয়। অতিভক্তির চোরাবালি থেকে আমাদের বের হয়ে আসা জরুরি।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অতিথি লেখক এর ছবি

শিবিরের কেউ মারামারি করতে গিয়ে মারা গেলেও শহীদ! এই যখন অবস্থা, তখন শহীদ পদবীর মর্যাদা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে বলাই বাহুল্য।

- ফেরারী ফেরদৌস

বজলুর রহমান এর ছবি

বহুদিন আগে এক সেমিনারে বিখ্যাত অভিকর্ষ-বিশেষজ্ঞ ট্রাউটমানকে বলতে শুনেছিলামঃ আমার বক্তৃতায় আমি বার বার আব্দুস সালামের নাম বলব। আমি কখনোই তাঁর নামের আগে প্রফেসর বলব না, কারণ আপনারা সবাই জানেন তিনি কি। তবে অনুগ্রহ করে আমার নাম যদি কেউ অনুগ্রহ করে উল্লেখ করেন, তবে অবশ্যই প্রফেসর ট্রাউটমান বলবেন। শুনে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, মনে পড়ে যায় সত্যিই তো, আমি একজন অধ্যাপক।

সবাই খুব হেসেছিল।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

অসাধারণ মন্তব্য। অভিবাদন আপনাকে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

মুজিব মেহদী এর ছবি

শহীদ বললেই কি জাতির পিতার মান বাড়বে আরো? বাড়বে না বলেই তো মনে করি।

জুবায়ের ভাই বলেছেন, জিয়াকে শহীদ বলা হয়, কাজেই মুজিবকেও বলা দরকার। কিন্তু তিনি পরিষ্কার করেন নি যে, জিয়াকে শহীদ বলা তিনি সমর্থন করেন কি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে দুজনের কাউকেই শহীদ বলার পক্ষে না।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

রণদীপম বসু এর ছবি

মুজিব মেহদীর সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। তাঁদের ক্ষেত্রে শহীদ শব্দটার ব্যবহার অপমানজনক মনে করি। শহীদ শব্দের লাবণ্য শহীদের মধ্যেই ধরে রাখা উচিৎ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

মুজিব মেহদী ও রণদীপম বসু,

আপনাদের মন্তব্যগুলি দেখার আগেই আমি প্রায় একই কথা লিখলাম তীরন্দাজ-এর মন্তব্যের জবাবে। পুনরুক্তির দরকার দেখছি না তাই।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

faruk wasif এর ছবি

প্রথমত শেখ মুজিব ও জিয়ার মধ্যে তর্কটা বড় ছোটর মধ্যে না রেখে যার যার ভূমিকার মধ্যে দেখা দরকার। বাঙলাদেশের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শেখ মুজিবের যে অবদান _তার শত দোষ-ত্রুটি মনে রেখেই তার সঙ্গে জিয়ার পার্থক্যটা গুণগত ধরৈ নিয়েই মানিকের যে প্রশ্ন কে জিয়াকে মারলো তার সন্ধানে যেতে হবে। কিন্তু সেদিকে যাওয়া আমাদের ড়্যাডিকালদের পক্ষেও সম্বব না মনে হচ্ছে...আমিও যাব না।
দরকারের খাতিরে এতটুকু বলতে পারি শত অপরাধ সত্ত্বেও শেখ মুচজব জাতীয় নেতা আর জিয়া কেবলই আর দশজন শহীদের একজন।
বরঞ্চ জিয়া শহীদ কি শহীদ না তার থেকে বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন হলো কারা উভয় নেতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং তার রাজনৈদিক ফায়দা তারা তুলেছে। এর বেশি এক বিন্দু যেতে আমি নারাজ। আমি এই জরুরি প্রশ্নকে শহীদ কি শহীদ না এর মধ্যে ফেলতে কঠোরভাবে নারাজ।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমার মতপার্থক্য বলতে গেলে নেই-ই। মুজিব ও জিয়ার তুলনা আপেল ও কমলার মধ্যে তুলনার মতোই অর্থহীন ও অবান্তর।

আমি মূল পোস্টে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারিনি, তার দায় আমার। যে কথাটা স্পষ্ট করে বলা দরকার ছিলো (আগের এক মন্তব্যের জবাবে লিখেছি যদিও), এই দু'জনের কাউকেই শহীদের কাতারে ফেলা যাবে না। দরকারও নেই। ভক্তরা তাঁদের নিয়ে যা খুশি করতে পারে, আমার হতাশাটা (অথবা প্রশ্ন) ছিলো, আমাদের গণমাধ্যম এই অতিভক্তির আগুনে বাতাস দেয় কোন যুক্তি ও বিবেচনায়?

মুজিব ও জিয়া তাঁদের নিজের নিজের অর্জন বা ব্যর্থতার নিরিখেই ইতিহাসে বিবেচিত হবেন। কিন্তু ভক্তিরসের বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার বা ঘৃণার আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার এই অসুস্থ রেওয়াজটা বন্ধ হওয়া দরকার।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঠিক এটাই বক্তব্য ছিল।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ফারুকের সাথে শতভাগ একমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইটা এমন কিছু না
এটা হলো সমোঝোতার ভিত্তিতে টাইটেল বন্টন এবং টাইটেলের ব্রান্ডিং

জিয়াকে যখন টাইটেলের বাজারে আনা হলো তখন দেখা গেলো তার মুক্তিযোদ্ধা টাইটেলটা অনেক বেশি কমন
বীরোত্তম টাইটেলটাও অনেকেরই আছে
ফলে কোনোটাকেই আর ব্রান্ড করা যাচ্ছে না

ওদিকে মুজিবের তখন দুই টাইটেলের প্রটোকল নিয়েই নাজেহাল অবস্থা
বঙ্গবন্ধু আগে বসবে না জাতির পিতা আগে বসবে
এর সঙ্গে আছে আবার তার পারিবারিক টাইটেল শেখ

তাকে কেউ ডাকে জাতির পিতা। কেউ ডাকে বঙ্গবন্ধু কেউ ডাকে মুজিব কেউ ডাকে শেখ সাব
এই অবস্থায় শহীদ ডাকার স্পেস কোথায়?
ফলে ওটার দিকে আর কেউ নজর দেয়নি। এমন সময় জিয়ার জন্য টাইটেল খুঁজতে আসা লোকজন দেখলো শহীদ শব্দটা ফাঁকা। তখন তারা এইটারেই জিয়ার নামে প্যাটেন্ট করে নিলো

এই যা কাহিনী

সবজান্তা এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি


অলমিতি বিস্তারেণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই দেশে এ্যাওয়ার্ডগুলার যা দূরাবস্থা... তাতে কেউ এ্যাওয়ার্ড পাইছে শুনলেই আমরা বলি ও... কত দিয়া? বা কি দিয়া?
এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির সাথে সন্মানের যে বিষয়টা জড়িত তা এই দেশ থেকা একেবারেই উধাও...
তেমনই হইছে শহীদ শব্দটার... এই শব্দটার এখন কোনও বেইল নাই জনগনের কাছে... সন্ত্রাসী ওয়ার্ড কমিশনার মরলেও শহীদ হয়। শহীদ শব্দটা ধীরে ধীরে মৃত্তুর বিকল্প শব্দই হয়া যাইতেছে...

গণমাধ্যমও এখন গণমাধ্যম নাই... এইটা এখন মিডিয়া হয়াই গেছে... তো তারেও নিস্তার দেন... আশা করাই সার...

আর তাঁদের শহীদ হওনের পেছনের কাহিনী কখনওই প্রকাশ হইবো না বইলা মনে হয়... প্রচলিত মতগুলাই আরো জোড়ালো হবে...

তবে শহীদের প্রসঙ্গ তুলতে গিয়া তাঁদের দুইজনের তুলনাটা ভালো লাগে নাই...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কনফুসিয়াস এর ছবি

মুজিব একই সাথে জাতির পিতা আর বঙ্গবন্ধু, এদিকে জিয়ার কোন উপাধি নাই, এইজন্যে বোধহয় শহীদ টাইটেলটা ওনার নামে বরাদ্দ দেয়া হইছে।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

বন্ধু এবং পিতা এর ছবি

শেখ মুজিব সাহেব নিজে ছিলেন একজন রাজাকার। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন তার কোনকালে মাথাতেও আসেনি। মুখে বড় বড় কথা বলে ধরা দিলেন পাকিস্তানি বন্ধুদের হাতে, তাদের সাথেই থাকলেন যখন দেশের মানুষ যুদ্ধ করল, শহীদ হল। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা মাই ব্লাডি ফুট।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, আপনার নুরানী যন্ত্রের আড়াই বচ্ছর লাগলো এই লেখাটা ধরতে! আরু আগে আ-প-নি কেনু এলেন না?এত বচ্ছর যাবত আমাদিগকে বিয়াফক গিয়ান থেকে বন্চিত হইতে হইলো!

প্রমিথিয়ুস

কল্যাণ এর ছবি

অ্যাঁ কস্কি মমিন!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।