‘বহমান হে উদার অমেয় বাতাস’

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মুহম্মদ জুবায়ের (তারিখ: রবি, ২০/০৭/২০০৮ - ১২:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কালচারাল শক-এর বাংলা কি? সাংস্কৃতিক ধাক্কা বা চমক? পরবাসী হয়ে অনেকগুলি নতুন নতুন জিনিসের মুখোমুখি হয়েছিলাম। ছোটোখাটো কিছু বিষয় তেমন গায়ে লাগে না। দেশে পথচারীরা রাস্তার ডান দিক দিয়ে হাঁটে, গাড়ি বাঁ দিকে। এ দেশে ঠিক তার উল্টো। রাইট হুইল ড্রাইভের বিপরীতে এখানে লেফট হুইল ড্রাইভ। যে শব্দটিকে বরাবর জানতাম সেমি-ফাইনাল, এখানে শুনি তা সেমাই ফাইনাল। শিডিউল হয়েছে স্কেজ্যুল। ঢ্যাঁড়সের ইংরেজি শিখেছিলাম লেডিজ ফিঙ্গার, বেগুন ব্রিঞ্জাল। আমেরিকায় তারা যথাক্রমে ওকরা এবং এগপ্ল্যান্ট। পেট্রল শব্দটি এখানে অচল, বলতে হবে গ্যাসোলিন বা সংক্ষেপে গ্যাস, অতএব পেট্রল পাম্প এখানে গ্যাস স্টেশন। আমার পরবাস-যাত্রার সময় বাংলাদেশে ফাস্ট ফুড বলে কিছুর অস্তিত্ব দূরের কথা, ধারণাও ছিলো না। এ দেশে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ম্যাকডোনাল্ডস, বারগার কিং, পিৎজা হাট বা কেএফসি জাতীয় ফাস্টফুড-কেন্দ্রিক।

প্রতিদিনের ব্যবহার্য এইসব আস্তে আস্তে সয়ে যায়, বলতে, শুনতে এবং চর্চা করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। কিন্তু আমেরিকায় লিবারেল শব্দটি যে প্রায় একটি গালিবিশেষ, তা হজম করা আজও সম্ভব হয়নি। যে দেশটি ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মুক্তচিন্তা ইত্যাদির স্বনির্ধারিত পাহারাদার, সেখানে উদারপন্থী হওয়া দোষের তা অকল্পনীয়!

এ দেশীয়রা ব্যক্তিগত জীবনাচরণ ও পোশাক-পরিচ্ছদে উদার। ফ্যাশনে যা কিছু নতুন তা নিতে উদারতার অভাব নেই। মেয়েরা ভারতীয় নারীদের অনুকরণে নাক ফুটো করতে রাজি, হাত মেহেদিতে রাঙাতে আপত্তি নেই। ন্যায্য-অন্যায্য যৌনসম্পর্ক স্থাপনে নারীপুরুষ-নির্বিশেষে উদারও সুলভ (বস্তুত, ক্লিনটন-মনিকা কাহিনী এ দেশের ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে এবং সম্ভবত সে কারণেই ইমপীচমেন্টের কালেও ক্লিনটনের জনপ্রিয়তায় কিছুমাত্র ঘাটতি হয়নি), সেখানে ধর্মীয় বা নৈতিক অনুশাসনের কামড় নেই। অথচ ঐ উদার সম্পর্কের প্রতিক্রিয়ায় গর্ভসঞ্চার হলে বাচ্চাটি রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা মেয়েদের দিতে প্রবল আপত্তি। তখন তা আর ব্যক্তিগত বিষয় নয়, তা হয়ে যায় সামাজিক ও সামষ্টিক। অজুহাত তখন ধর্মীয় অনুশাসনের ও নৈতিকতার।

ঠিক তার পাশাপাশি প্যালেস্টাইন সংকটে ইজরাইল রাষ্ট্রের শত অন্যায় আচরণকেও অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়। অর্থনৈতিক অবরোধে ও বোমাবর্ষণে ইরাকে শিশুহত্যার ঘটনায় তাদের নৈতিকতার বোধ নিদ্রামগ্ন থাকে। ব্যাপারটিকে তখন জাতীয় শৌর্য-বীর্য ও দেশপ্রেমের মোড়কে বেঁধে ফেলা হয়। অথচ অন্য একটি সংস্কৃতিকে বা সেই সংস্কৃতির মানুষদের সম্মানসূচকভাবে দেখার বা তাদের বোঝার ধৈর্য ও উদার বিবেচনা সেখানে অনুপস্থিত। কয়েক বছর আগে ভারতে ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবরে রেডিও টক শো-তে একজনকে বলতে শুনলাম, এমন তো হবেই, ওরা যে যীশুখ্রীষ্টকে মানে না! শুনে বিশ্বাস করা কঠিন, একবিংশ শতাব্দীতেও মানুষ এমন অযৌক্তিক ও তীব্র সাম্প্রদায়িক কথা উচ্চারণ করতে লজ্জাবোধ করে না। আমেরিকায় হারিকেন কাটরিনা ও রিটা যে অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি করে গেছে, সে বিষয়ে ঐ লোকটি কী বলেছিলো জানা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই যীশুর অনুসারী, তাহলে? আসলে ধর্মান্ধরা সবসময়ই এসব ক্ষেত্রে আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বরের গজব আবিষ্কার করে থাকে। অথচ সাধারণ যুক্তিতেই বোঝা সম্ভব, প্রকৃতির শক্তি ও তাণ্ডব মানুষসহ অন্য সকল প্রাণীর ধর্মীয় পরিচয় মোটেই বিবেচনায় রাখে না। অথচ রক্ষণশীল প্রচারণায় তাকে একটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা হয়। কৌশলটি অতি পুরনো, কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে তা আজও কম কার্যকর নয়।

এ দেশে সর্বত্র লিবারেলদের সন্দেহের চোখে দেখা হয়। নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া বা জন কেনেডির অঞ্চল ম্যাসাচুসেটস রাজ্য ছাড়া আমেরিকার প্রায় সর্বত্র রক্ষণশীলদের প্রবল দাপট। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্বাচনের জয়-পরাজয়ও নির্ধারিত হয়ে যায় প্রার্থীর উদার বা রক্ষণশীল পরিচয়ের সূত্র ধরে। নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যে গায়ে লিবারেল ছাপটি লাগিয়ে দিতে পারলেই হলো। আমেরিকার গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জন কেরির পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিলো তাঁর লিবারেল পরিচয়। দ্বিতীয় টার্মে বুশ জুনিয়রকে ঠেকানোর জন্যে মুক্তচিন্তার অনেক মানুষ মাঠে নেমেছিলেন। রক গায়ক ব্রুস স্প্রিংস্টিন যদিও কোনোদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হননি, তিনিও সারা আমেরিকায় কনসার্ট করে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এই গায়ক তাঁর বিখ্যাত ‘বর্ন ইন দ্য ইউএসএ’ গানটি রক্ষণশীল রেগ্যানকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহারের অনুমতি দেননি নৈতিক ও আদর্শগত কারণে। দক্ষিণপন্থী দর্শনের তিনি প্রত্যক্ষ বিরোধী। ওদিকে মাইকেল মোর ‘ফারেনহাইট নাইন ইলেভেন’ নামে ডকুমেন্টারি তৈরি করলেন বুশ ও রক্ষণশীলদের কাণ্ডকীর্তি বিবৃত করে। ছবিটি নিয়ে প্রচুর হৈ চৈ হলেও তা নির্বাচনে কেরির বাক্সে ভোট হিসেবে আশানুরূপভাবে রূপান্তরিত হয়নি।

মজার ও দুঃখের কথা, আজকাল সত্যিকারের লিবারেল বা উদারপন্থীরাও বিপুল সময় ও সামর্থ্য খরচ করেন নিজেদের রক্ষণশীল প্রতিপন্ন করার জন্যে। শুধু আমেরিকা নয়, সমাজতান্ত্রিক আদর্শের পতনের পর এটি সারা পৃথিবীতেই মহামারীর লক্ষণযুক্ত এক নতুন প্রবণতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বড়ো ধোঁয়াশাময় একটি সময় আমরা অতিক্রম করছি।

উদারপন্থীদের মধ্যে প্রকৃত চরিত্র ও আদর্শ উহ্য রেখে নিজেদের অন্য কারো মতো, আরো স্পষ্ট করে বললে দক্ষিণপন্থীদের মতো করে, দেখানোর ঝোঁক বাড়ছে। উদারপন্থীরা স্পষ্টতই দ্বিধাগ্রস্ত আজ। কিন্তু তাতেও যে শেষরক্ষা হয় না। আমেরিকায় এর উদাহরণ হয়ে রইলেন গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী জন কেরি এবং তার আগের অ্যাল গোর। এবারে উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কী করেন তা দেখার বিষয়। যদিও এরই মধ্যে তিনি রক্ষণশীলদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার আশায় জোরেশোরে ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন।

বাংলাদেশে ২০০১-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দশা স্মরণ করা যায়। বরাবর তারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বাইরে ছিলো, অথচ গত নির্বাচনে তারা সম্ভবত রক্ষণশীলদের চেয়েও বড়ো রক্ষণশীল হিসেবে দেখাতে চেয়েছে নিজেদের। পুরনো পাগলে যেখানে ভাত পায় না, নতুন পাগলের আমদানি হলে মানুষ তাকে সন্দেহের চোখে দেখবেই। ফলাফল তারা হাতে হাতে পেয়ে গেছে। এই শ্রেণীর রাজনীতিকরা নির্বাচকদের যতো অবোধ বিবেচনা করেন, তারা যে তা নয় তার প্রমাণও ভুরি ভুরি। লিবারেল তকমাটিকে উপেক্ষা করে বা পুঁজি করেই আমেরিকায় সর্বশেষ নির্বাচন জিতেছিলেন বিল ক্লিনটন। ভারতে বিগত নির্বাচনে রক্ষণশীল বিজেপির নিশ্চিত বিজয়ের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে স্বচরিত্রে বহাল থেকেই ক্ষমতা দখল করেছে অপেক্ষাকৃত উদারপন্থীরা।

আমরা যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী এবং সত্তর দশকে যুবকবয়সী, তাদের পক্ষে লিবারেলিজম বা উদারপন্থাকে গ্রহণ না করা একপ্রকার অসম্ভব ছিলো। সেদিনের বাংলাদেশে, যখন সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখার মতো মানুষের অভাব ছিলো না এবং স্বপ্ন দেখানোর মানুষও কিছু ছিলেন, উদারপন্থী না হয়ে ওঠা ছিলো অস্বাভাবিক। তখনো বাংলাদেশে রক্ষণশীল মানুষ ছিলো। সব দেশে সব সময়েই তারা থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তারা সেদিন ছিলো মূল স্রোতের একেবারে বাইরে। তাদের ধার এবং ভার কোনোটাই গ্রাহ্যের মধ্যে ছিলো না।

আজ অবস্থা বদলেছে। এতোটাই যে, এককালের কমিউনিস্ট এখন মনুষ্যপ্রজাতির অধিকার ও স্বাধীনতার পরিবর্তে দু’বার হজ্জ্ব করে এসে দাড়িতে মেহেদি লাগানো অধিক জরুরি মনে করেন। উদারপন্থীরা পৃথিবী জুড়েই আজ পিছু হটছে। হয়তো রক্ষণশীলতাই এখন বেশি ফ্যাশনেবল। বাংলাদেশও সারা পৃথিবীর এই প্রবণতার, বিশ্বায়নের বাতাসের অংশীদার হতে তীব্রভাবেই ইচ্ছুক বলে মনে হয়। নিজেদের মধ্যে তত্ত্বের বিভাজনে বিভক্ত হতে হতে উদারপন্থী মানুষেরা সংখ্যালঘু শুধু নয়, বিলীয়মান প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেওয়া মানুষগুলিকে কোনোভাবে আজকের বাংলাদেশে এনে হাজির করতে পারলে তারা যা প্রত্যক্ষ করবে, তা-ও কালচারাল শক বটে।

------------------------------------
পুরনো রচনা, সংশোধিত ও পরিবর্তিত।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সর্বাংশে সঠিক।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

কিন্তু উদ্ধার কীসে? শ্বাস নেওয়ার মতো বিশুদ্ধ বাতাস তো কমে আসছে!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

স্নিগ্ধা এর ছবি

কিন্তু আমেরিকায় লিবারেল শব্দটি যে প্রায় একটি গালিবিশেষ, তা হজম করা আজও সম্ভব হয়নি।

আমারও এই বিস্ময়ের ঘোর আর কাটে না!
এমেরিকানদের মধ্যেও যে এই পরিমাণ ধার্মিক মানুষ আছে বাইরে থেকে তা বুঝিনি।

তবে আমি আশাবাদী, সাধারণ মানুষ এখন এতোটাই বিরক্ত যে সেই প্রতিক্রিয়ায় যদি হাওয়া অন্যদিকে বইতে শুরু করে -

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ধার্মিক হওয়া দোষের কিছু নয় যতোক্ষণ তা ব্যক্তিগত থাকে। ধর্মের সংগঠিত চেহারাটাই ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, কারণ তখন তা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে, রাজনীতিকে এবং অতি-অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিজীবনকেও গিলে খেতে উদ্যত হয়। তার প্রকাশ ঘটে উৎকট সব ধর্মাচরণে।

তোমার মতো আমিও আশাবাদী হতে চাই। কিন্তু সেই আশাবাদের ভিত গাঁথার সরঞ্জাম তো আশেপাশে খুব দেখি না।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

স্নিগ্ধা এর ছবি

তত্ত্বগতভাবে আমিও মানি যে ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ বা ধর্মবিশ্বাস অসুবিধাজনক কিছু নয়, অন্তঃত ক্ষতিকর নয়। কিন্তু, মুশকিলটা হচ্ছে ধর্ম কখনোই 'ব্যক্তিগত' থাকে না, থাকতে পারেই না। বিশেষ করে এখনকার পৃথিবীতে, যেখানে যে কোন বিশ্বাস - তা সে গান কি ফ্যাশন কি রাজনীতি কি ধর্ম যাই হোক না কেন - একদল অনুসারী বানিয়ে নেয়, তারপর সেই বিশ্বাসীরা সেটাকে প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে গেঁড়ে বসায়, তারপর করে বাজারজাত, তারওপর নামে লড়াইয়ে - যার ভদ্র নাম হলো প্রতিযোগিতা।

আমি আশাবাদী কেন জানো? কারণ, সাধারণ মানুষ এতই বিরক্ত তাদের পেটে টান পড়ায়, যে শুধু সে কারণেই 'কি থেকে কি হলো' বুঝতে একটু এমেরিকার বাইরে তাকাতে বাধ্য হচ্ছে। দেখিই না, কূপের বাইরের দৃশ্যাবলী তো দৃষ্টির প্রসারতা আনতেও পারে, আনতেই পারে ? হাসি

শেখ জলিল এর ছবি

দারুণ বিশ্লেষণ।
বাংলাদেশ সম্পর্কে শেষ লাইনটি বেশ নাড়া দিলো।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

বাংলাদেশ সম্পর্কে শেষ লাইনটি বেশ নাড়া দিলো।

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যাঁরা এখনো জীবিত আছেন, হয়তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চারিত্রিক বদলটা চোখের সামনে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হতে শিখেছেন, যাঁরা পারেননি তাঁরা হতাশাগ্রস্ত ও বিষণ্ণ। অথচ আজ ৭১-এর সেই দিনগুলিতে ফিরতে পারলে আমরা অন্য এক সত্যের মুখোমুখি হতাম। মনে পড়ে যেতো আমরা কে এবং কী চেয়েছিলাম। স্বাধীন দেশ যে মানুষগুলি দেখতে পাননি, তাঁরা নিশ্চয়ই সাক্ষ্য দেবেন যে এই বাংলাদেশ তাঁরা চাননি।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

জিফরান খালেদ এর ছবি

মূল বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না।

তবে, আপনার শুরুটার সাথে নীললোহিত/সনাতন পাঠক/ সুনীলের 'সুদূর ঝর্ণার জলে'র শুরুর কিছু অংশ একেবারে হুবহু মিলে যায়।

মজা পাইলাম...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সর্বনাশ! নীললোহিতের লেখার সঙ্গে মিলে গেলো? আমি ভাই সামান্য কলমচি, তবে চুরি করিনি এটা নিশ্চিত বলতে পারি। আমি যা লিখেছি তা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাপ্রসূত। কোনো 'সুদূর' দেখার বিবরণ নয়। হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

জিফরান খালেদ এর ছবি

আরে ধুর! কে আপনারে চোর বলল?

ওই যে আপনার যে আংরেজী কিছু শব্দ নিয়া বিপাকে পড়া, সেও একদমি হুবহু এই শব্দগুলা নিয়াই পড়সিলো। লিখসিলোও এইভাবেই।

আহা, মার্গারিটের কথা মনে পড়ে গেলো...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

চোর নই জেনে নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো। হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সময় নিয়ে পড়লাম। লেখার প্রত্যেকটা কথার সাথে সহমত।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

একটুও দ্বিমত নেই, তাই হয়? থাকলে তো কিছু কথাবার্তা বলা যায়।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ঝরাপাতা এর ছবি

" উদারপন্হীরা আজ পৃথিবী জুড়ে পিছু হটছে। "

সেজন্যইতো শঙ্কা আর ভয়। পুরো পৃথিবীটাই কি নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে?


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সেই শংকা আর ভয় থেকেই তো এই লেখাটা লিখতে হলো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।