হামানদিস্তায় রশুন থেতো করতে গিয়ে হামানদিস্তার ঠুক ঠাক আওয়াজের মাঝে কানে আসে বাবার গলা, বলছেন, আম্মা'র হামানদিস্তাটা কই আছে কে জানে, থাকলে ওটা দিয়ে পান ছেচে খেতে পারতাম। মাঝে মাঝে বড় ইচ্ছা করে!
:পান আপনি হামানদিস্তাতেই কেন ছেচে খাবেন? ইচ্ছা করলে এমনিই তো খেতে পারেন! ...
মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার পরও কিছু কিছু মানুষ জীবনের প্রয়োজনে ছাগল হয়। বহু বছর পার করে মানুষ হবার পাশাপাশি ছাগল হতে হয়েছিলো। স্নাতক সম্মান পাশ করার পর সনদপত্রখানা হাতে নিয়ে দেখলাম উহাতে জল ছাপ! একখান...
“ঈদ মুবারক, দুবলা!”
ঈদ মোবারক, ভাইয়া। এই নিয়ে ছয়বার হল একদিনে।
“কী করবো বল? প্যাদরা নাই, ঘটি নাই, তাই তোমাকেই বলি বারবার।”
সেটাই। আপনি আর আমি ছাড়া এই ঘরে কেউ নাই।
“এই ব্যাটা, ভাগ! কী সব অশ্লীল কথাবার্তা বলিস।”
মন বড়ই উতলা, ভাইয়া। আর কাউকে তো কিছু বলার নাই। তাই আপনার সাথেই ঈদের দিনের আন্তরিক সময় কাটাই।
“হ্যাঁ, কেউ নাই আসলে এই ঈদে।”
মন খারাপ, হানি? ব্যাপার না। আসেন আপনি আর আমি মিলেই ঈ...
বছর পাঁচেক আগে রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ব্রেকফাস্ট এট টিফানী গানটা শুনতে শুনতে ভিজ্যুয়ালাইজ করেছিলাম এইভাবে যে কোন এক উইকএন্ডের সকাল বেলা মনে হলো ব্রেকফাস্ট করবো শহরের যান্ত্রিকতা ছাড়িয়ে কোন গাঁয়ের পথের ধারের অচেনা কোন এ...
রেসিস্ট এর বাংলা বর্ণবাদ হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম সবসময়ই। কিন্তু সত্যিকারের রঙমহলে এসে শব্দটার ব্যপকতা নিয়ে আমার মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। সংশয়টা যে ব্যাপক, সে বিষয়ে আমার সংশয় নেই। এই ধরণের একটা লেখার পটভূমি অনেক পুরোনো। কিন্তু লেখা...
যতদূর দৃষ্টি যায় পিচঢালা পথটা সোজা চলে গিয়েছে। দুপাশে নুড়ি পাথর আর কাঁকড় ছড়ানো। সে পথে পথিক হাঁটলে ধূলা ওড়ে। পথের দুই ধারে সবুজ গমের ক্ষেত এখনো পূর্ণতা পায়নি। কেবল লম্বা ঘাসের মত বাতাসে দুলছে এপাশ-ওপাশ। এপথ দিয়ে ঘোড়া টানা গাড়ি চ...
তাঁর সাথে আমার কবে প্রথম দেখা, মনে নেই। তখন গ্রীষ্ম চলছে। ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নেই, কাজও নেই। বাড়তি কিছু আয়ের জন্য নঈম আংকেলের দোকানে মাঝে মধ্যে কাজ করি। ডলার স্টোরের মত, তবে দামী জিনিসও আছে। নানা রঙের মানুষ আসে। কেউ কেনে গিফট কার্ড, চকোলেটবার; কেউ ছবির ফ্রেম, বাচ্চাদের খেলনা, পোষা প্রাণীর খাবার। টুকটাক ব...তাঁর সাথে আমার কবে প্রথম দেখা, মনে নেই। তখন গ্রীষ্ম চলছে। ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নেই, কাজও
টেম্পোরারি নান্দীপাঠ
আপাতত একটা শিরোনাম খাড়া করা হল, পরে প্রয়োজনে নিশ্চয়ই বদল করা যাবে। এই শিরোনাম থেকে বইয়ের একটা চরিত্র স্পষ্ট হয়, সেটা হল, "আদারনেস" এর একটা অনুভবকে এই বই ধরতে চায়। বিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি-রা তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কিভাবে সেটা অনুধাবন করছেন, এইটা খুঁজে পাওয়া এই সম্পাদনা কাজ...টেম্পোরারি নান্দীপাঠ
ভদ্রলোকেরা শুনলে আশ্চর্য হৈবেন, মাত্র পনের বছর বয়সে আমার "অভিষেক" হয়। সেইটা কবুল করে আমারই দুই বান্ধবী, পিঠাপিঠি দুই বোন সুলেখা আর জুলেখা। ওরা আমার সাথে একই ক্লাশে পড়ত, নিজেদের কমনরুমের দরজায় দাঁড়ায়া দাঁড়ায়া আমারে বর্ম বানায়া আগ...
“...তো সেই দাওয়াতে উনি বলছিলেন আমেরিকা এসে কত জায়গায় থেকেছেন, কী কী কাজ করেছেন, কতগুলো ডিগ্রি নিয়েছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।”
হ্যাঁ, উনি তো মনে হয় কয়েকটা করে মাস্টার্স আর পিএইচডি করেছেন। একটা মানুষ যে কত পড়াশুনা করতে পারে! আমার তো একটা ব্যাচেলরর্স করতেই তেল বের হয়ে যাচ্ছে।
“আরে কারণ আছে। ঐ দাওয়াতের কিছুদিন পরেই আরেক দাওয়াতে সেই কথা তুলে এক ভাই বলছিলেন এত সাফল্যের উৎস কী।”
তাই নাকি? কে...