অনেকেই প্রশ্ন করেন- দেশকে এত ভালবাস, দেশের ভাষা নিয়ে কাজ করতে চাও, তাহলে বিদেশ এলে কেন?
[justify]পড়া এবং লেখা, এই ছাড়া আমার কোন কাজ নেই এই দুনিয়ায়। যারা আমাকে খুব বইপোকা ধরনের মানুষ ভাবছেন, তাদের আমি নিশ্চিত করেই বলতে চাই, আসলেই আমি তাই। খুব অন্তর্মূখী একজন মানুষ। আমার জীবনটাও বইয়ের পাতার মত। আলতো চোখে তাকালে মনে হলে, কাগজের উপর কিছু ছাপানো অক্ষরের মত নিস্তরঙ্গ জীবন, বইটা হাতে নিয়ে পড়তে বসলে তখন মনে হবে, এই পাত নিস্তরঙ্গ জীবনের মাঝে কত অবাক করা ব্যাপার লুকিয়ে আছে। আমায় জিজ্ঞেস করলে বলব, জীবনটা সুন্দর! সারাটা দিন আমি দুটো জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত থাকি, বই আর ইন্টারনেট। সাথে কফির কাপ। আমার মাথায় থাকে কয়েকটি প্রশ্ন, সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করাই আমার কাজ। এভাবে সারাটাদিন চলে যায়, জানালার পাশে সকাল-বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে, আমার কারোর সাথে কথা হয় না। যখন মাথাটা কাজ করেনা, কফির কাপ হাতে চলে যাই ল্যাবের পাশের বারান্দায়। খোলা আকাশ, বাতাস, রোদ্দুর, অথবা নীচে জলের মৃদু তরঙ্গ দারুণ লাগে। আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকিয়ে দেখি, কোনদিনই এই আলোটা বিবর্ণ হয়, পুরোনো হয় না। প্রতিদিন নতুন করে এসে হাজির হয়। আমার ছায়ার দিকে তাকিয়ে দেখি, ছায়ায় জীবনে কি নতুনত্ব এসেছে একটু? সারাটাক্ষণ এভাবে নিজের সাথে, বই এর সাথে কথা বলে দিন কেটে যায়। হডজকিন-হাক্সলির মডেল নিয়ে পড়ছি, কোন ফাঁকে হয়ত তাদের নোবেল লেকচারের ফাইলটা খুলে ফেলেছি। চোখ মেলে মডেলের পিছনের মানুষটাকে দেখার চেষ্টা করছি, দেখছি তাদের শ্রমটাকে। এমন একটা মানুষ, যার সামাজিক যোগাযোগ বলতে দুয়েকটা স্ট্যাটাস, ব্লগে বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি, ক্লাস আর ল্যাবে আসা যাওয়ার পথে কয়েকজন সহপাঠীর সাথে কুশল বিনিময়ে সীমাবদ্ধ, তাকে কি বলবেন? অন্তর্মূখী নাকি অসামাজিক?
বইমেলা শেষ হয়ে এল প্রায়। তাক থেকে পুরানোদের হটিয়ে নতুন বইগুলো জায়গা করে নিচ্ছে, বাতাসে ছাপাই-বাঁধাইয়ের সৌরভ। সচলায়তনের সাথে সম্পৃক্ত অনেকের নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়। কারো বা পূর্বপ্রকাশিত বই নতুন আঙ্গিকে পাঠকের হাতে এসেছে। লেখার বিষয়বস্তু, ভাষার ধরন ও মুদ্রণের অভিনবত্ব বিচারে এই বইগুলো বিস্তর আলোচনার দাবী রাখে। সচলায়তনের পক্ষ থেকে এবারের বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখকদের সাথে তাই
বাঙ্গালীর জীবনে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি আসে ভিন্ন আবেদন নিয়ে, বিভিন্ন উদযাপন করার উপলক্ষ্য নিয়ে। সে উপলক্ষ্য হতে পারে সাংস্কৃতিক, হতে পারে রাজনৈতিক, হতে পারে এর বাইরেও। এই শেষ শ্রেনীভুক্ত বর্তমান প্রজন্মের প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়টি হল ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস্ ডে।
সময়ের বিরুদ্ধ স্রোতে চলা পুঁজিবাদী এক বিশ্বে আদর্শবাদী এক নেতা, সর্বদাই শুনিয়ে যান সাম্যের মন্ত্র, একের পর এক যুগান্তকারী নতুন নতুন কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়ে আশ্চর্য করে তুলছেন সারা বিশ্ববাসীকে কিন্তু তার ব্যক্তিজীবন আজো রহস্যে ঘেরা। ৪০ টি বছর একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হবার পরও মানুষ জানে না তার পরিবার নিয়ে। অথচ বিরুদ্ধ রাষ্ট্র তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে অসংখ্য বার আর অপপ্রচার চলছে সারা বিশ্ব জুড়ে
পৃথিবীর কোন জীব এই গ্রহের সবচেয়ে বেশী দেখেছে- ভাবছেন নিশ্চয়ই অতল জলের নীল তিমি, কিংবা অক্লান্ত ডানায় ভর দিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পরিভ্রমণ করা পরিযায়ী পাখি, গহন বৃষ্টি অরণ্যের কোন জন্তু, অতলান্তিক মহাসাগরের অজানা মাছ বা নদীর সরীসৃপ। কিন্তু এই মহান গর্বের, আমাদের নীল গ্রহটাকে সবচেয়ে ভাল করে দেখবার, ভ্রমণ করবার, উপভোগ করবার তকমা যার গায়ে তিনি আমার-আপনার মতই মানুষজাতির সদস্য, ডেভিড অ্যাটেনবোরো!
চিনুয়া আচেবেকে আফ্রিকান সাহিত্যের অগ্রপথিক গণ্য করা হয়। বাড়ি নাইজেরিয়া। প্রথম বই থিংস ফল অ্যাপার্ট-এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৯৪ সালে প্যারিস রিভিউ পত্রিকার জেরোমি ব্রুকস্-কে বড়োসড়ো একটা সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি আফ্রিকার রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, নিজের বেড়ে ওঠা ও লেখালিখি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সচলায়তনে নতুন লেখকদের পদচারণা থাকায়, তাদের উপকারে লাগবে ভেবে আচেবে সাক্ষাৎকারের যে যে অংশে নিজের লেখালিখি, নতুনদের লেখালিখি ও তাদের করণীয় সম্পর্কে বলেছেন সেসবের অংশবিশেষ ভাষান্তর করা গেল। নিতান্ত দায়সারা চেষ্টা।
সময়ের প্রধান কবিদের একজন কবি বেলাল চৌধুরী। কবিতায় মাত করে রেখেছেন
এপার ওপার। কবিতার সাথেই যার ঘর সংসার। আপন আলোয় সাহিত্যাঙ্গন
সমুজ্জল করে রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। কবিতার বরপুত্র বেলাল চৌধুরীর সাথে
দৈনিক ফেনীর সময়’র পক্ষে রাশেদুল হাসান সম্প্রতি ঢাকায় তার নিজ
বাসভবনে সাহিত্যে নানা দিক নিয়ে আলাপরিচারিতায় মেতে ওঠেন। বাংলা
সাহিত্যের এ বরপুত্রের সাথে আলাপে কবিতাসহ সাহিত্যের নানা দিক
উঠে আসে। তারই আলাপচারীতার চুম্বক অংশ পত্রস্থ করা হল।
দৈনিক প্রথম আলোর উপসম্পাদক কলামিস্ট আনিসুল হক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সংবাদ এবং তদপরবর্তী ঘটনাবলি আমরা পত্রিকায় তার বয়ানে জেনেছি। স্বভাবতই মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে সংশয় সময়ের সাথে চক্রবৃদ্ধিহারে বহুগুণিত হওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানার কৌতূহল আমার জেগে উঠেছে। উদ্যোগ নিয়ে আমি তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে তাকে ফো ...[justify]