তোমার বাড়িটা দুপুরের রেলগাড়ির মত,
মৌমাছির ব্যস্ত গুঞ্জন, ডেকচির বাষ্পীয় শিস
শিশিরের কীর্তিকলাপ প্রপাতের স্বর হয়ে ঝরে,
তোমার গলায় বেজে ওঠে তালগাছের উৎফুল্লতা।
হালকা নীল দেয়ালটি, গ্রামীণ ডাকপিওনের মত
গেয়ে-ওঠা টেলিগ্রাম হাতে, পাথরের ওপর ঝুঁকে কথা বলে,
আর ওই ওখানে, দুটো ডুমুর গাছের সবুজ ধ্বনিময়তার মাঝখানে,
নিঃশব্দে হেঁটে যান হোমার।
এখানে নেই নাগরিক ধ্বনি, নেই কান্না,
সমুদ্রের নোনা ঢেউয়ে ঝলকায় মুহূর্ত,
হলদে আকরিকের তীব্রতায়, মধুর সোনালী জৌলুসে,
ঝঞ্ঝার বিক্ষোভ যার বরফি পাথুরে কেলাসকে
ভাঙতে পারেনি এতটুকু
সূর্যালোক, আগুনের শব্দে বেজে ওঠে চড়চড়,
মৌমাছির মত গুনগুন করে,
ব্যস্ত রাখে নিপুণ আঙুল, সবুজ পাতায় ঢেকে নেয় মুখ,
গাছের তামাম উচ্চতায় শিস দেয় ঝিলমিলে, ফিসফিসে রূপকথা।
আগুনের ক্ষুধা আর আঁচ নিয়ে, সামান্য পাতায়,
আমার অস্থি যে তোমার, প্রিয়তমা,
মহিষী আমার; তোমার মাথায় দখিনা বনের পাতা,
সুগন্ধী ঘাস-মুকুট পরাই; মাটির বোনা দোপাটি ফুল,
সবুজ সম্মান, তোমারই প্রাপ্য।
তোমাকে যে ভালবাসে, সে পুরুষের মত, তুমিও এসেছ
বনভূমি-আপরিসর থেকে। যে মাটি এনেছি আমরা দুজন,
তার ঘ্রাণ আমাদের রক্তে। আমরা দুটি লোকজ মানুষ
নগরে পথ হাঁটি বিভ্রান্ত ধাঁধায়, পৌঁছনোর আগেই বন্ধ না হয় যেন হাট।
ভালোবেসেছি তোমায় বহুবার, দেখার আগেই,
মনে পড়েনি তবু একবারও, চিনিনি তো চাহনি তোমার,
কে বা খোঁজে নীলকণ্ঠ ফুল ঝাঁ ঝাঁ দুপুরের রোদে?
গমের সুগন্ধের মত অধরা প্রেম ছিলে তাই।
অথবা আবছায়া ছিলে যেন জুনের ভরা জোছনায়
সুদূর আঙ্গলে, ধরে ছিলে পানপাত্র ঠোঁটের কোনায়,
[justify]১৯৯০ সাল। ততদিনে কার্ল স্যাগান একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। ভয়েজার-১ যখন আমাদের সৌরজগত ছেড়ে আরো বাইরে চলে যাচ্ছিলো, তখন স্যাগান নাসাকে অনুরোধ করলেন, যাতে যাওয়ার আগে পৃথিবীর একটা ছবি তোলা হয় ঐ দূরত্ব থেকে।
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
- আচ্ছা, এই বাসটা কি ফার্ম গেটে থামে?
- থামে।
- এখান থেকে অনেক দূরে?
- আমার দিকে লক্ষ্য রাখুন। আমাকে যে বাসস্টপে নামতে দেখবেন, তার আগের স্টপে নামলেই হবে।
নুতন করে আর বলার কিছু নেই। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
তোমারই ইঙ্গিত খুঁজি আমি নারীদের ভীড়ে,
আন্দোলিত রমণীর দুরন্ত প্রবাহ, চুলের খোঁপায়,
আধবোঁজা পলক, ফেনীল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া
হালকা পায়ের ভেতর।
হঠাৎ যেন খুঁজে পাই তোমার আয়তাকার নখ,
টুকটুকে চেরির মত, গতিময়
তোমারই মত এলোমেলো মোহনীয় চুল
সমুদ্রের জলে জ্বলতে থাকা তোমার গনগনে অবয়ব