[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই নো' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি]
পৃথিবী কি সমতল?
বহুকাল আগে, মানুষ ভাবত পৃথিবী বুঝি সমতল। কেননা তা দেখতে সমতল সমতলই লাগে।
মিসেস ডেকার আজকেই ফিরলেন হাইতি থেকে।
একাই গিয়েছিলেন মিসেস ডেকার। না গিয়ে উপায় কি! মি. এবং মিসেস ডেকারের বনিবনা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। আর ইদানীং অশান্তি তো চরমে উঠেছে। তাদের পক্ষে আর একসাথে থাকা সম্ভব হচ্ছেনা। দুজন একে অপরকে রীতিমত ঘৃণা করতে শুরু করেছেন এখন!
তারা বলতেন, প্রতিযোগিতাই হচ্ছে ব্যবসার প্রাণ।
খুব অল্প বয়সে আমি বিষয়টি বুঝে গিয়েছিলাম আমার দাদাকে দেখে। আমার গরীব দাদা এ প্রতিযোগিতার কারণেই ব্যবসা করতে গিয়ে উপূর্যপরি দু’বার ব্যর্থ হয়েছিলেন।
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
(জেনেটিক মডিফাইড (বিটি) খাবার নিয়ে তিন পর্বের এই সিরিজ শুরু হচ্ছে পৃথিবীর জিএম বীজ সরবরাহের নব্বই ভাগ যার দখলে সেই মনসানটো কোম্পানি দিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে বিটি খাবার এবং শেষ হবে গোল্ডেন রাইস বা সোনালী ধান দিয়ে।)
(Monsanto) মনসানটো নবযুগের ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি?
১।
ঝোড়ো বাতাস হচ্ছে সেই সকাল থেকে। দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু উড়িয়ে নেবে বলে পণ করেছে দক্ষিণের এই নাছোড়বান্দা বাতাস।
ডাকপিয়ন কোনমতে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ালেন। তাঁর হাতে থাকা কাগজপত্র গুলো উড়ে যেতে চাইছে বাতাসের দমকে।
আমার মা কোনক্রমে দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়ালেন।
“আপনার একটা চিঠি আছে” ডাকপিয়ন হেসে বললেন।
[justify]ঘড়িতে প্রায় সন্ধ্যা ছয়টা। বিয়ারে চুমুক দিতে দিতে সুইমিং পুলের ধারে আয়েস করে বসে সন্ধ্যা নামা দেখার আদর্শ সময়।
সারাদিন হোটেল রুমে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, বার থেকে এক ক্যান বিয়ার হাতে নিয়ে বাগানে প্রবেশ করতেই সন্ধ্যার গোধুলি আলোতে পাম গাছের সারি এলোমেলো করে বয়ে যাওয়া মিষ্টি বাতাসে মনটা জুড়িয়ে গেল।
বাগানটা দারুন, দুই ধারের লন জুড়ে সার বেধে ফুলের বাগান আর মাঝ দিয়ে দিয়ে বড় বড় নারিকেল গাছ আর পাম গাছের সারি, পিছনে আকাশ তখন শেষ সূর্যের আলোতে রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে, সমুদ্রের তীর থেকে ধেয়ে আসা বাতাসে এমনভাবে নারিকেল আর পামের সারি দুলছে মনে হচ্ছে যেন আকাশে আগুন দেখে গাছগুলো পালানোর চেষ্টায় হুটোপুটি লাগিয়েছে।
বিগত চার শতাব্দী ধরে ঢাকা নগরীর অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নানা ধরনের বুনো প্রাণীর অস্তিত্বের জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে, যার মাঝে কিছু প্রাণী মানববিশ্বে ভয়াবহ বিপদজনক বলেই পরিচিত। যদিও কয়েক শত বছরে ক্রমবর্ধমান শহর তাকে ঘিরে থাকা বুনোজগতের অস্তিত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছে ক্রমাগত। বুড়িগঙ্গার তীরে অল্প কয়েকজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে স্থাপিত ঢাকা নগরী সতের শতকেও বিশাল অরণ্যে পরিপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে শহর
আমি ফুটপাত থেকে নেমে কয়েক পা পিছিয়ে এলাম । তারপর রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ডাকলাম – “ তিথিইইইইইইইইইইইইইইইই” ।
কোন সাড়াশব্দ নেই !
চারতলা বাড়িটার দিকে মুখ উঁচু করে আমি আবারো ডাকলাম “ তিথিইইইইইইইইইইইই” ।
কেউ সাড়া দিল না ।
হাত দুটো মেগাফোনের মত মুখের কাছে ধরে ডাক দিলাম – “ তিথিইইইই” ।
কিন্তু এই দুপুর রাত্রিতে আমার ডাক কেউ শুনলনা । রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমি আর আমার ছায়া ।