Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

উপন্যাস

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ প্রসাধনী আয়না

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৮/১১/২০১১ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব
পর্ব ৪

সেই ছোট্ট ঘরটায় অর্ণবের জন্য বিছানা পাতা হয়েছিল। সেটায় শুয়ে একটা কিশোর থ্রিলার-এ ডুবে গেল ও। বিপদে পড়েছে কিশোর, মুসা আর রবিন। প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে ওরা গুহামুখ দিয়ে। ঘুটঘুট্টি অন্ধকার দশদিকে। হঠাৎ কিসের সাথে বাঁ পাটা বেধে গেল কিশোরের। তাল না রাখতে না পেরে হুড়মুড়িয়ে পড়ল সে সামনে। আঁতকে উঠল কিশোর ভীষণভাবে। এই বুঝি বিশাল ভক্সওয়াগনটা উঠে পড়ল ওর পিঠে!


প্রসাধনী আয়না

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/১১/২০১১ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব পড়ুন এখানে

পর্ব ৩
পুরো বাগানের সাথে এই অংশটা যেন মিলছে না। একটু বেখাপ্পা ভাব এই অংশটুকুতে। মাটি আলু-থালু। ভদ্রমহিলা পাশের এক জায়গায় অর্ণবকে তাকাতে বললেন। তাকিয়ে অর্ণবের ভেতরটা যেন একটু কেঁপে উঠল। ফুল-লতা-পাতা দেখে মানুষের অন্তর কাঁপে না। কিন্তু তাদের বিন্যাস অন্তর কাঁপাতেও পারে! কেউ নির্মমভাবে কিছু ছিঁড়েছে, গাছ উপড়ে ফেলেছে। তারপর সেগুলো মাটিতে সাজানো হয়েছে একটি জ্যামিতিক নকশায়।


সাহিত্যিক -০৩

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/১১/২০১১ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনু

রূপকথা

তারা ছিল তিন রাজ্যের যমজ কুমার,
প্রথম রাজ্যের যমজ কুমার আনন্দ ও দুঃখ,
দ্বিতীয় রাজ্যের যমজ কুমার রাগ ও অভিমান,
তৃতীয় রাজ্যের যমজ কুমার বুদ্ধিমান আর বোকা।
একদিন তারা সবাই শুনল ঢেঁড়া পিটিয়ে ঘোষণা হচ্ছে
সুন্দর রাজ্যের রাজকন্যা ভালোবাসা স্বয়ংবরা হবে
ছয় কুমার প্রস্তুত হল রাজকন্যার স্বয়ংবর সভায় যাবার জন্য।


প্রসাধনী আয়না

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/১১/২০১১ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব ১
পর্ব ২

এই উটকো ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়া যায় কি না চিন্তা করল ও। এবং সংগে সংগেই প্ল্যানটা বাতিল করে দিল।


প্রসাধনী আয়না

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি
লিখেছেন জহিরুল ইসলাম নাদিম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১১/১১/২০১১ - ১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দরজা খুলে অর্ণব অবাক হয়ে গেল। লম্বা, একহারা গড়নের একজন ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে। অর্ণব তাঁকে কখনো
দেখেছে কি না মনে করার চেষ্টা করল। নাহ্ মনে করতে পারছে না। তাছাড়া ওঁর চেহারাও অর্ণবকে দারুণ ধাঁধায় ফেলে দিল। ভদ্রমহিলা বিদেশী! পাশ্চাত্যের অঙ্গে তাঁর প্রাচ্যের শাড়ী! অর্ণব অভিভূত হয়ে দেখতে লাগল।


ফেরা - ০৫

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/১১/২০১১ - ৯:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মাদুলি

ডাইনিংএ মেয়েটার সাথে প্রায় প্রতিদিন দেখা হয়। এটা একটা আশ্চর্য ব্যপার। ওর খেতে যাওয়ার সময়ের কোন ঠিক নেই। খাওয়া দাওয়ায় ওর বরাবরই অনিয়ম। দেশে থাকতে তাও বাসার সবার সাথে বসে সবার সাথে খাওয়া হত, তাই কিছুটা হলেও একটা সময়সূচী ছিল। কিন্তু এখন তো সেরকম কোন বালাই নেই। কোনদিন ডিনার করে সন্ধ্যা ছয়টায় তো কোনদিন রাত বারটায়। কিন্তু ডাইনিং এ যাওয়ার তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে মেয়েটা হাজির। কোন কথা বলে না মেয়েটা। একটু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসে থাকে শুধু।


ফেরা - ০৪

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১১/২০১১ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ইভানা

গ্রীসের একেবারে দক্ষিণের শান্ত শহর কালামাতা। একেবারে মেডিটেরিয়ান সী এর কোলঘেঁষা শহর। শহরের একেবারে দক্ষিণে সাগরের কোল ঘেঁষে চলে গেছে একটা রাস্তা, পসিডোনাস এভিনিউ। এমনিতে খুব বেশী লোকসমাগমস নেই, শহরটার মতই শান্ত, কিন্তু মাঝে মাঝে আশে-পাশের বাড়িঘরের মানুষের কান ঝালাপালা করে প্রচণ্ড গর্জন করে চলে যায় রেসিং কার। কার রেসিং এই রাস্তায় নিত্যদিনের ঘটনা। রাস্তার দক্ষিণে সাগর, নগরের শাসনে অনেকটাই শান্ত। ইয়াট আর স্পিডবোটের জন্যে জেটি করা আছে সেখানে।


ফেরা - ০৩

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১০/২০১১ - ৬:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আর মাত্র নয়দিন

টিএ শেষ করেই এক দৌড়ে বিল্ডিংএর পাঁচতলায় উঠে যায়। মাথায় বনবন করে সেই এক কথাই ঘুরছে শুধু, কামালি আর অনি, অনি আর কামালি, যোগসূত্রটা কোথায়? কিছুতেই ভেবে পায়না। মাথায় ঘুরতে থাকে অনির রেখে যাওয়া সেই নোট আর ছয়টা সার্কেল আর ছয়টা নাম। কামালির রুমে গিয়ে একটু দেখতে চায়, কোন অন্যরকম কিছু চোখে পড়ে কিনা। অন্যরকম কিছু কেন খুঁজছে হেলাল? অন্যরকম কোন কিছুতে তো ওর বিশ্বাস নেই! কিন্তু অনির ওই নোটের কথা শোনার পর থেকে হুট করে সবকিছু উড়িয়েও দিতে পারছেনা। এতদিনের বিশ্বাসে কি একটু চিঁড় ধরে ওর? বিশ্বাস কি এত সস্তা? নিজের মনে ভাবতে ভাবতে পাঁচতলায় উঠে আসে।


সাহিত্যিক -০২

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: সোম, ২৪/১০/২০১১ - ১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আনু

[justify] শরীফের মতো তেলতেলা লোক আমি জীবনে আর মাত্র একটিই দেখেছি। আমাদের জনৈক মন্ত্রী, যিনি কিনা সব ব্যাপারেই খালি দন্ত বিকশিত করে হেসে যান। শরীফের লেখার যত সমালোচনাই করা হোক না কেন, ও শুনে মুখে একটা তেলতেলে হাসি ঝুলিয়ে রাখে। গত বছর যখন ওর "সোনালি জোছনা এবং কালো জোনাকি" বাজারে আসে, উদাস বইমেলাতে একদিন কিছু উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণীকে অটোগ্রাফ দেয়া অবস্থায় শরীফকে পা


ফেরা - ০২

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: শনি, ২২/১০/২০১১ - ৬:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নোট

ঠাণ্ডা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। বরফ পড়া এখনো শুরু হয়নি যদিও, কিন্তু উইন্ডচিল আসলে বরফের চেয়েও খারাপ। বাতাস না থাকলে এখানে মাইনাস পাঁচ-দশেও দিব্যি একটা জ্যাকেট পরে চালিয়ে দেয়া যায়। আর বাংলাদেশের কাঁঠাল-পাকা শীতেও বাতাস আর কুয়াশার জন্যে মাফলার ছাড়া বের হওয়া যায় না। মানুষ যতটা ভাবে এখানে আসার আগে, ব্যাপারটা আসলে অতটা খারাপ না। শীতে একদিকে যেমন কষ্ট আরেকদিকে তেমন আরাম, যদি কাজকর্ম না থাকে আরকি। প্রফেসর এক সপ্তাহের জন্যে আম্রিকা গেছে, কি জানি কনফারেন্সে। সেই সুযোগের প্রথম দিন আজকে, সকালে ইচ্ছে করেই ঘড়ি আর মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখা যাতে ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। শীতের সকালে লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে জাগা-জাগা ঘুম ঘুমাতে হয়। মরার মত ঘুমালে শীতের ঘুম আসলে পুরাই মাটি।

‘জীবনটা এইভাবে কাইটা গেলে মন্দ হইত না’ ভাবতে ভাবতে আবার জাগা জাগা ঘুমে তলিয়ে যায়। দু-একটা মনোরম আধা-উষ্ণ স্বপ্নও বোধহয় দেখা শুরু করে। প্রচণ্ড উইন্ডচিলের মধ্যেও স্বপ্নের বালিকারা বেশ খোলামেলা, বাতাস তাদের কাপড় উড়িয়ে নিয়ে যায় যায়, শীতে কাঁপতে কাঁপতে বালিকারা লেপের নীচে আশ্রয় নিতে চাইছে বোধহয়, স্বপ্নটা কেবল জমে উঠছে, এমন সময় বেরসিকের মত চুতমারানি মোবাইলটা বেজে ওঠে। ‘থাক ধইরা কাম নাই, এত সক্কালে কোন বালছাল ফোন দিছে!’, কেটে দেয় গালি দিতে দিতে। একটু পরে আবার বেজে ওঠে, ধরে না, কিন্তু আবার বাজে। বেশ কয়েকবার। মেজাজ খারাপ করে ফোন ধরে অবশেষে,