প্রথম অধ্যায়
১.
পশ্চিমাকাশ সূর্যহীন। হালকা লাল কমলা আভা। উর্ধ্বমুখে আকাশ পানে তাকালে নীল আকাশের পটে ধরা পড়ে ছোট ছোট কালো রঙ্গের পাখির ঝাঁক। অনেক উপর দিয়ে অস্থিরভাবে উড়ছে। কিচির মিচির তীব্র শব্দ তুলে ঘরে ফিরছে তারা। আজকের দিনের জন্য সব কাজ শেষ। নীড়ে ফিরে চোখ বুজবে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।
"তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কোলকাতার ট্রামে হারিয়ে ফেলেছিলেন অদ্বিতীয় “অদ্বৈত মল্ল বর্মন”। তীর্থের কাকের প্রায় সম্পূর্ণ লেখাটা খোয়া গেছে আগের ল্যাপটপ সারাতে গিয়ে। সচলে যতটুকু দেয়াছিল তার পর থেকে আবার নতুন করে লিখতে হচ্ছে। লেখা জমা রাখার নিরাপদ জায়গা সচলায়তনে আজকের লেখা পর্বটি জমা রাখছি। বিরতির কারণ যাই হোক; যারা তীর্থের কাক পড়তেন তাদের কাছে এই অনাকাংক্ষিত বিলম্ব এবং অনিয়মিতির জন্য ক
[১]
'মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আর/ পোড়োবাড়িটার/ ঐ ভাঙা দরজাটা/ মেলাবেন'। প্রথম আলোর বাজেট প্রতিবেদনে অমিয় চক্রবর্তীর দেখা মিলল। অমিয় ছাড়াও সেখানে উদ্ধৃত বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আর ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। বিশেষ প্রয়োজনে মার্কিন সরকারকে ডেকে আনা প্রথম আলোর স্বভাববিরুদ্ধ না। কিন্তু বাজেট বিশ্লষণে অস্তিত্ববাদীর মৌল সংকট-বিষয়ক কবিতার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজতে গেলে, আগে জানতে হবে তাদের দফতর আলো করে আছেন নিদেনপক্ষে আড়াইজন কবি। তারা কারণে-অকারণে সাহিত্য ডেকে আনেন।
তাই বাজেটের পরের দিন ছাপা হওয়া 'হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল: সাহিত্যের সীমনা ও আদালতের দায়' খটকার জন্ম দেয়। লেখক সাজ্জাদ শরিফের আপত্তি '[হুমায়ূনের 'দেয়াল'] সাহিত্যের ['মধুর'] সীমা উপচে সমাজ-রাষ্ট্রের খোলা ময়দানে প্রবেশ করেছে'। কতগুলি পূর্বানুমান লক্ষ্য করি: সাহিত্যের সীমানা মধুর, সাহিত্য বদ্ধকাঠামো (যেহেতু সমাজ-রাষ্ট্রের 'খোলাত্ব' তাকে সাহিত্যের বিপরীতে দাঁড় করায়) এবং সমাজ-রাষ্ট্রের ময়দান খোলা, অর্থাৎ বদ্ধোকাঠামোয় সমাজ-রাষ্ট্র নাই।
কবিরাজ কাহিনি-১
শুয়ে পড়েছি যে যার বিছানায়। কিন্তু লাইট নিভাইনি তখনো। সাম্যের মাথায় চিন্তার ঝড় তখনো বয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি। আমার মাথাও থেমে নেই।