ওরা এক বাসায় তিনজন থাকে। রাসেল, তন্ময় আর তাহসীন। ব্যাচেলর গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্যে এটাই সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা। একটা দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট। একজন লিভিংরুমে থাকে। খাওয়া দাওয়া একসাথে, রুটিন অনুযায়ী রান্না। ওদের অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক উপরতলায়ই একটা এক বেডরুমের ফ্ল্যাট। কামালি ভাই ওখানেই থাকে। কামালিকে এখানকার সবাই 'কামালি ভাই' বলেই ডাকে।
১। নী
গোল জানালাটির সামনে এসে দাঁড়ায় নী। আস্তে আস্তে হাত বাড়িয়ে ছোঁয় নীল বোতামটাকে। এখন সে হাত পায়। কয়েকমাস আগেও অত উঁচুতে হাত যেতোনা নী'র। তখন ওর সঙ্গে ওরাককে আসতে হতো। কিন্তু নী'র ভালো লাগতো না, কেমন যেন মনে হতো একা আসতে পারলেই ভালো হতো।
আনু
সাহিত্য রচনা বরাবরই আমার আয়ত্বের বাইরে ছিলো, আছে এবং থাকবে। হাসান মামুনের "এলান কোয়াটারমেইন ও আয়েশা" পোস্টে অনুবাদ, পরিভাষা হেন তেন নিয়ে বিরাট পণ্ডিতি দেখানোর পর মনে হলো, উনি তো তাও সাহস করেছেন একটা উপন্যাসের অনুবাদ শুরু করার। আর আমি শুধুই বুলি কপচাচ্ছি, কখনো তো এক লাইন লিখেও দেখলাম না। কি আছে জীবনে, আমিও শুরু করে দিলাম। ভুল অবশ্যই অজস্র আছে। আপনাদের চাঁছাছোলা মন্তব্য আশা করছি। ক্রমশঃ শুধরে নেব।
--------মধ্য প্রজন্ম
“মানুষ কীভাবে এই শহরে যেত যিকালী?”
“আমার মনে হয় সমুদ্র পথে, মাকুমাজন। তবে আমার ধারনা তোমার ঐ পথে না যাওয়াই ভালো। সমুদ্র পাঁড়ের জলাপথ এখন পার করা অসম্ভব। তোমার পায়ে হেঁটে যাওয়াই তোমার পক্ষে নিরাপদ”
“যিকালী তুমি কেন আমাকে এই অভিযানে পাঠাতে চাও? আমি জানি তুমি উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু কর না।”
বছর দুই আড়াই আগে এই উপন্যাসটায় হাত দিয়েছিলাম৷ তারপর নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য লেখা বন্ধ হয়ে যায়৷ পাত্রপাত্রীরা আজকাল ঘুমের মধ্যে এসে বকাবকি করেন ওঁদের এরকম মাঝপথে ফেলে রাখায়৷ তাই আবার লিখতে শুরু করলাম৷ সচলদের কাছে একান্ত অনুরোধ দু হাত খুলে সমালোচনা করুন৷ একটুও দ্বিধা করবেন না, পড়ে যা মনে হবে মন্তব্যের ঘরে গিয়ে দমাস দমাস করে লিখে ফেলবেন, হ্যাঁ৷
বাদলের কথা
হাবিব ভাইকে আমরা সবাই খুব পছন্দ করতাম। অন্তত তার মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
মাঝেমধ্যে সন্দেহ হয়, হাবিব ভাইয়ের এই পাগলাটে স্বভাব উত্তরাধিকারসূত্রে বিলুও খানিকটা পেয়েছে। আজ সকালে সন্দেহটা আবার একটু পানি পেয়েছে হালে। নির্বিকার নিরুত্তেজিত গলায় ছোকরা ফোন করে বলে, "বাদল মামা, বাসায় চলে আসো। বাবা মনে হয় মারা গেছে।"
রবির কথা
১.
ইউনি বন্ধ। রাতে একটু দেরিতে ঘুমাই। এক বাক্স ডিভিডি নিয়ে এসেছি হাফিজের কাছ থেকে, রাত জেগে সিনেমা দেখি। কালকে দেখলাম লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন। গায়ের লোম বসার চান্সই পাচ্ছিলো না। ইচ্ছা ছিলো বেলা একটার দিকে ঘুম থেকে উঠে একেবারে দুপুরের খাবার খাবো, গোসল না করেই। বিলু ছাগলটা সেই ইচ্ছার গোড়ায় পানি ঢেলে দিলো সকাল আটটার দিকে।
আমার ধারনা প্রাচীন মিসর এর বাসিন্দারাই প্রথম বলেছিল প্রতিটি মানুষ ব্যাক্তি ৬ বা ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি। যদিও বাইবেল তিনটি উপাদান এর কথা বলে, এক – শরীর , দুই – আত্মা আর তিন - অতি আত্মা বা বিদেহী আত্মা। এই প্রাচীন মিসরীয়রা আমাদের ধারনার চাইতে বেশী বুদ্ধিমান ছিলেন এবং এসব ভাবার মত যথেষ্ট সময় এদের ছিল। আমি এসব ব্যাপারে নির্বিকার হলেও তাদের ধারনা যা বুঝেছি তাতে এই মানব শরীর ভিন্ন ভিন্ন তত্তের একক মুল ধারক, আমাদের দেহ কেবল রক্ত মাংসের একটি আবরন। অথবা সহজ করে বলা যেতে পারে আমাদের এই দেহ একটি বাড়ি ,যেখানে এইসব তারা মাঝে মাঝে থাকে, কখনো কখনো একসাথে। কিন্তু একটি সব সময়ই থাকে যা এই বাড়ি আলোকিত আর কর্মক্ষম করে রাখে।