গহীন অরণ্যে একা যেতে নেই- বলেন মুরুব্বীগণ। যেতে হলে যাও- সাথে নাও ঢাল, গায়ে বর্ম আর সাথে রাখো ধারালো অস্ত্রের ঝনঝন। কী জানি কী হয়! যে কোনো সময় মৃত্যুকূপ, কাঁটা-লতা-গুল্মে আটকে দুই পা পড়ে যেতে পারো খাদে। তাছাড়া বিশাল ভয় অরণ্য শ্বাপদদের, সারাক্ষণ হিসফাস করে বনের আড়ালে।
এ বিশাল জনারণ্যে একা হতে চাই। ভাবি নিমগ্নতার কথা, কবিতার কথা। ভীড় বাড়ে তবুও মনুষ্য শ্বাপদের। হিংস্র মুখ ভেংচি কাটে,...
সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করে শেফালী যখন কলেজে ভর্তি হলো তখন হিরূ মেম্বারের বদমাশ পোলা খোড়া হাশেম তাকে একদিন ‘কারিনা জান আমার’ বলে শিস দেয়ায় সে একমাস কলেজ কামাই দিল। শেফালীরে তার বাপজান বিয়ে দেয়াই মনস্থ করেছিলো তবে শেষপর্যন্ত ব্যাপারটা না অদ্দুর বাড়ায় বিয়ের আর দরকার হলোনা। তার গলা মিষ্টি ছিলো, অন্তত কলপাড়ে গাইলে তার বাবার ভালোই লাগতো। সেটাও বিয়ে না দেয়ার একটা কারন হতে পারে।
শেফাল...
তুমি কে হে- দুরূহ! পাষাণ-পায়ে
হেটে-হেটে যাও? এখানে রক্ত-মাংস
নিশ্চিত জেনেও-
ব্যথা দিয়ে-
দিয়ে
যাও ;
আমার যখন খুব প্রেমের তৃষ্ণা
তখন আমার হাতে গোলাপ থাকে না,
আবার যখন খুব থাকে ...
তখন তৃষ্ণা থাকে না!
এমনি করে জীবন থেকে
চুপিচুপি চুরি যায় রঙ ;
অকালপক্ক গোলাপ আসে,
কয়েকটি বাড়তি-
কবিতা
লিখে
যেতে ;
দীর্ঘ-ব্যর্থ-দীর্ঘশ্বাস শেষে যেমন
জীবন ঘনিষ্ঠ গোলাপ ফ...
এই বিপ্রতীপ সময়
গল্পের অনুকূল নয় মোটে
কথাগুলোর কোন ক্রমানুসার নেই ;যেন
বালকের অগোছালো খেলাঘর-----
কাঠের ঘোড়া
রোবোট-মানব
মাটির পুতুল
সাইরেন বাজানো গাড়ী
প্লাস্টিকের লাটিমগুলো
লাল-নীল ঘুড়ি
নাটাইয়ের এলোমেলো সুতো
রংগীন বেলুন
ঝিকি মিকি মার্বেল
----- সারা ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
জানিনা কোন কথা আগে বলা যায়
গোলাপ এবং বারুদের গন্ধ মিলে মিশে গেলে
সব কথা এলোমেলো হয়ে যায় বড়ো.........
সেন্সরড 'আ...
কে কীভাবে কখন কোথায় মিশে বিষ হয়ে যায়
জানার পরিধিতে এ রূপান্তরের ব্যাখ্যা নেই।
বিষক্ষয় প্রক্রিয়া তাই রূপকথায় ডুকরে মরে
অবলীলাক্রমে
বদলে যায় দৃশ্যপট
আর নয় নিছক নিস্তরঙ্গ নিদ্রাবিভূত মাংসপিন্ড
তাই দ্রোহের মন্ত্রহীন বিবেক অহিংসায় খুন হয়
আণবিক আড়োলন আসে গোবেচারা চলনে
নিরীহ সত্ত্বায়-
মননে রণাঙ্গণ সাজ
অবশেষে জ্ঞানতঃ হয় 'ভালোবাসা'-ই শেষ রূপকথা।
গভীর কূপ থেকে তোলা দু-আজলাজল :
কার যেন
আঙুলের আঁচ লেগে ঝরঝর -
ঝরে পড়ছে এক রূপোর বাটিতে।
চেয়ে দেখি সেই রূপোর বাটিতে
ভেসে গেল তোমার কাঞ্চননিতম্ব
নারী। আর তার সাথে ভেসে গেল
আমাদের সেই চঞ্চল চোখ। সে
ছিল সন্ধ্যার বহতা নদী অথবা
জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে ভিজে আমরাই
কাঁপছিলাম যেন যুগল শিল্পের বন্ধনে
ঝিলের- ঝিলিক!
হায় আমার স্মৃতি! কোন মায়াবলে -
তুমি আজ হয়েছো এমন রূপোর বাটি ?
থেকে থেকে তু...
শৈশব থেকেই আমি দুধ খাই
পেতলের ইয়াব্বড় গেলাসে করে গরম গরম
গরুর দুধ, ছাগলের দুধ, ডানোর দুধ
চেরনোবিলে ধামাধাম কী হয়ে যায়
ডানোর দুধ আর খেতে দেয় না কেউ
গরুর দুধের দাম বেড়ে যায়
ছাগলের ছাগলামি লোকে সহ্য করে যায়
আর পেতলের গেলাস উপচে বহুমূল্য দুধ চুকচুক করে খেয়ে যাই
তারপর আমি চড়চড় করে বেড়ে উঠি
আগে ঠোঁটের ওপরে দুধের পদাঙ্ক রয়ে যেতো
এখন মোচ সাদা হয়ে থাকে
সেই পুরনো পেতলের গেলাস
আল্লাই জা...
নীলকমল, নীলকমল,
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
পাও কি খোঁজ় শঙ্খমালার,
কন্যা আমার দুধবরন
শয্যা যে তার সোনার পালং
মৃ্নাল গলে হীরামোতির হার ।
নীলকমল, নীলকমল,
কোন দেশী এক দত্যি তারে
কেমন করে বন্দী করে ?
কেমন ঘোরে ঘুমায় যে সে
সারাটি দিন আলসে মে
সোনার কাঁঠির শেকল পরে ?
নীলকমল, নীলকমল,
দত্যিরা কি প্রেমে পড়ে
তাদেরো কি মন খারাপ হয়?
দত্যি বলেই দুষ্টু সে কি
দত্যি বলেই ভালো বাসতে মানা,
শুকপাখী কি ...
একে একে ফিরছে অপহৃত সব তারারা নিজস্ব কক্ষপথে
গ্রামে গ্রামে রিক্ত ধূপবাতি, মঙ্গলঘট জ্বলে গেছে যথারীতি
আমাকে সাথে নেয় নি কেউ; শুয়ে শুয়ে তমসা তীরে
তাই নিজের রক্তপানে নেশাতুর, তোমাকে ডাকি দূরাগতা
সকল বিচ্ছিন্নতা শেষে আমদের নীলাক্ত গ্রামে
এইবার তো ফিরো ক্রন্দনশীলা, এই প্রণতি রক্তপ্রণামে
এতোদিন সকল সম্ভাবনায় নিজেকে ধরে গেছি বাজি
তোমার কান্নার উজানে ফুটেছে এদেশের পাতাবাহারে...
কখনো কেউ আমাকে এমন ভিজিয়ে যায়নি
শেষে ভিজিয়ে গেল এক শ্রাবণ!
আমি শ্রাবণকে আলিঙ্গন করলাম
তবুও তুমি বললে যাই, (এঁ) বিদায় ॥
বাদবাকি বৃষ্টির টিপটিপ্ দিন
আমি হাটলাম, তোমার হাত ধরেই হাটলাম,
হঠাৎ ঈশ্বর, আমাদের হাত হারিয়ে ফেললেন!
তখনই তুমি বললে যাই, (এঁ) বিদায় ॥
আমরা তো যাচ্ছিলাম, স্বর্গের ভেতর দিয়ে,
অমরত্ব চাই না বলেও- পারিজাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
হঠাৎ ঈশ্বর, আমাদের হাত হারিয়ে ফেললেন!
তখনই তুম...