বইমেলা শেষ হয়ে এল প্রায়। তাক থেকে পুরানোদের হটিয়ে নতুন বইগুলো জায়গা করে নিচ্ছে, বাতাসে ছাপাই-বাঁধাইয়ের সৌরভ। সচলায়তনের সাথে সম্পৃক্ত অনেকের নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়। কারো বা পূর্বপ্রকাশিত বই নতুন আঙ্গিকে পাঠকের হাতে এসেছে। লেখার বিষয়বস্তু, ভাষার ধরন ও মুদ্রণের অভিনবত্ব বিচারে এই বইগুলো বিস্তর আলোচনার দাবী রাখে। সচলায়তনের পক্ষ থেকে এবারের বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখকদের সাথে তাই
বস্টনে প্রুডেনশিয়াল বিল্ডিং নামের স্কাইস্ক্রেপার’টার নিচে প্রুডেনশিয়াল সেন্টার বলে একটা বড় মল আছে। কোথাও যাবার পথে হাতে খানিকটা সময় থাকলে সেখানে চীজকেক ফ্যাক্টরিতে, অথবা গোডাইভা চকলেটের দোকানে, নয়ত কোল্ড স্টোন আইসক্রিমের দোকানে, আর নাহলে বার্নস অ্যান্ড নোবল’এর বইয়ের বড় দোকানটাতে খানিক ঘুরেফিরে যাই। সেদিন বইয়ের দোকানটায় গিয়ে ফটোগ্রাফি সেকশনে কিছু বিনামূল্যে জ্ঞানসঞ্চয়ের চেষ্টায় ছিলাম। বস্টন গরীব গ্র্যাডস্টুডেন্টদের শহর, এসব দোকানে ছেলেপিলে বই নিয়ে মাটিতে ছেতরে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিলেও কর্মচারীরা কিছু বলেনা।
প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডিতেই আছি তখনো, চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন, স্কুল নামের যন্ত্রণা ছাড়া সবই পাগলের মত ভালো লাগে- কার্টুন, ফুটবল, গাছের সবুজ, পাখির উড়াল, পদ্মার চর, শহরের বিদঘুটে চিড়িয়াখানা আর নতুন নেশা- বই, মানে গল্পের বই!
[justify]
১।
সমস্ত কিছুর শুরু একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক এখন অবধারিত ভাবে জুড়ে আছে আমাদের দিনযাপনের একটা দীর্ঘ সময়। গলাগলি থেকে গালাগালির, ভাবনার থেকে দুর্ভাবনার বিষয় যোগানোতে ক্লান্তি নেই ওটার। চমৎকার একটা সিনেমা দেখে সেটা বন্ধুদের জানিয়ে দিচ্ছে কেউ, কেউ শেয়ার দিচ্ছে এলক্লাসিকোর হাইলাইটস্।
বইটির শুরু এক গুচ্ছ ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন দিয়ে। কারণটা পরিষ্কার। বইটি সর্ম্পকে আপনার আগ্রহ তৈরী করা। সেই প্রশ্নগুলো দিয়েই শুরু করা যাক। দেখা যাক কয়টার উত্তর দিতে পারেন।
১) শিশুকে পালং শাক খাওয়াবার সর্বোত্তম পদ্ধতি কি?
ক. পালং শাক গরম চিজ দিয়ে পরিবেশন করুন
খ. পালং শাক খাবার আগে মিষ্টি কিছু খেতে দিন
গ. ছোটো বেলা থেকেই উদ্ভিজ দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন
ঘ. উপরের সবগুলো
ফাতু-হিভা, আমাদের গ্রহের স্বর্গ। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে, আর সব দেশ-মহাদেশের বাঁধন ছিন্ন করে অতল নীল মহাসাগরের বুকে ফুঁড়ে ওঠা চির সবুজে ছাওয়া পাথর-মাটি মেশানো কয়েকটি একরত্তি দ্বীপের সমাহার। পলিনেশিয়ায় অবস্থিত, তাহিতির খুব কাছের মারেক্কস দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত ত্রিভুবনের অমরাবতী।
ইউরোপের সুন্দরতম নগরী খ্যাত প্রাগ থেকে শেষবার বিদায় নেবার সময় সেখানকার পুরনো বন্ধু মারিস্যা ক্রাউসোভা ( মহিলা ২ বছর ঢাকাতে জাতিসংঘের ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ) এক পোলিশ সাংবাদিকের বই উপহার দিলেন, অদ্ভুত নামের বই ট্র্যাভেলস উইথ হেরোডটাস, লেখকের নাম রুশজার্দ কাপুসচিনস্কি ( Ryszard Kapuściński )। বললেন তোমার রুচির সাথে খুব মিলবে, পড়েই দেখ।
পাতলা করে একটা বই দ্যা গ্রেইট গ্যাটসবি। জানতাম যে এটা একটা প্রেমের উপন্যাস। গল্পটা নিয়ে দু'দু বার করে সিনেমাও হয়েছে। দ্বিতীয়বারের সিনেমাটি ২০১২ তে প্রকাশিতব্য, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও অভিনীত। সুতরাং একটা বিশাল আশা ছিলো বইটা নিয়ে।
ভ্রমণ করতে খুব ভাল লাগে আমার, সেই যে এস এস সির পরপরই প্রথম বাড়ীর বাইরে অভিভাবক ছাড়া বন্ধু উদয় শঙ্করের সাথে বাহির হয়েছিলাম দক্ষিণ বঙ্গ দেখতে, দুচোখ ছাপানো বিস্ময় নিয়ে দেখেছিলাম খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, পশুর নদীর জোয়ারভাঁটা, দক্ষিণ ডিহিতে কবিগুরুর শ্বশুরবাড়ি, ষাট গম্বুজ মসজিদ, দুর্গা সাগর, ভ্যান গগের হলদে তুলির পরশ বোলানো মাইলের পর মাইল বিস্তৃত পাকা ধানের ক্ষেত, অপূর্ব সুন্দর গ