জহিরুল ইসলাম নাদিম
ছোট খাট দেহ তার
ওজনে সে তুচ্ছ
নেই চোখ নেই কান
নেই কোনো পুচ্ছ।
গোলাকার দেহে কালো
ছোপ ছোপ চিত্র
হাতটার শত্রু সে
পা দুটোর মিত্র।
পদ নেই তবু চলে
পাখা ছাড়া ওড়ে সে
দু দলের মাঝে দেয়
ব্যবধান গড়ে সে।
কেউ রাখে শিরে-বুকে
কেউ মারে লাত্থি
সে-ই এনে দিতে পারে
কড়কড়ে পাত্তি!
কী জিনিস ভেবে ভেবে
বল্ দেখি এয়াকুব?
নাম তার ফুটবল
পারলি না বেয়াকুব!!
0.
নাই ইংল্যান্ড, নাইরে ব্রাজিল
নাইরে ইতালি,
আর্জেন্টিনা জিতলে বলো
দেবে কে তালি?
তারচে’ আস দেই ছেড়ে দেই
এবার বিশ্বকাপ—
ম্যারাডোনার ইয়ে না দেখে
কমবে মনে চাপ।
১.
নাই বা থাকুক ব্রাজিল
তবু সাম্বায় চাই ব্রা, জীল।
২.
সে ধুচ্ছিলো ব্রা ঝিলে-
এক ন্যাদা'র সাথে মিলে!
৩.
বলবে এবার জার্মানী—
"মেসির কাছে হার মানি"
৪.
ইটা আলী ইটে বসে
ভাবে আজ সকাল...
দুই লাইনের এই ছড়াখানি ২০০৬ সালে রচনা করিয়াছিলাম, বিশ্বকাপ ফুটবল হইতে ব্রাজিলের বিদায়ের পূণ্যস্মৃতি উপলক্ষে। উহা আজও অমলিন ও পুনর্ব্যবহার্য।
আয় রে মামি আয় রে চাচি
দুলিয়ে মাজা শাম্বা নাচি!
#৪
সুদূরে তোমার লাজুক বধূ
আমার মতন মানুষ গুলো,
হয়ত এমন এলোমেলো।
সুর তুলেছে মনের মাঝি,
হৃদয়মাখা গভীর তুমি।
কথায় আমি প্রেম না বুঝি;
কাব্যে তাই তোমায় বলি,
খুব যে তোমায় ভালোবাসি।
ছুঁয়েছি ঐ চোখ দুটি,
ছুঁয়েছি ঐ চাপা হাসি।
এই যে আমার জাগরণে,
খেলছ তুমি মায়ায় মৌতাতে।
নিত্য মোরা স্বপনে ভাসি,
তোমারই জন্যে তুমি আমি।
সুদূরে তোমার লাজুক বধূ;
হিয়ার ছোঁয়া অদূর তবু।
ঘুম পাড়াবো আদর করে,
চেয়...
।। ১।।
ভেবে ভেবে পাই না দিশা
কূল রাখি না শ্যামে,
ভীষণ রকম ফেঁসে গেছি
তোমার প্রেমের জ্যামে।
।।২।।
সংসারটা চুতরা পাতা,
কিংবা কচুর লতি।
বিয়ে করবে সময় হলেই
প্রেমটা যখন বতি।
।।৩।।
হৃদয়টা তো নিলেই না
করলা উল্টা-উল্টি।
ভালবাসা তো দিলেই না
দি...
দিনটা যেন
কেমন কেমন
ঝাপসা কাচের চশমা যেমন।
গাছগুলো
সব কুয়াশামোড়া,
ধোয়ায় ভরা বোতলে পোরা।
ভিজছে মানুষ
ভিজছে বাড়ি
ভিজছে নিযুত-হাযার গাড়ি,
আলুথালু বেশে সানশেডে কাক
বৃষ্টি-দিনের ছবি হয়ে থাক।
“পাঙ্কু মিঁয়ার চেঙ্কু গল্প”
রবিউল ইসলাম
সব দিনই যে যাবে ভালো
এও কখনো হয়?
পাঙ্কু মিঁয়ার চেঙ্কু গল্প
এই কথাটাই কয়!
আগে ছিলো ছাত্রদলে
এখন করে লীগ
উপরি আয় ছিল যে ঢের
লিঙ্কটা অনেক বিগ।
একে একে শুনুন এবার
কি হলো যে তার
ফাইস্যা গিয়া মাইনকা চিপায়
ছিঁড়লো মাথার তার।
কোন দুখেতে পল্টি দিল
লীগের আরেক দলে?
ওই দলের তো নাই কোনো বেইল
পড়ছে অথৈ জলে।
ভীষণ রকিং জিএফ দিলো
খবর খুব...
শীতের রাতে হিম প্রহরে
তোমায় পড়ে মনে,
দেখে তুমি চাদর দিতে
জড়িয়ে সযতনে।
জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকে
মাগো যখন ডাকি,
তোমার হাতের মাথা ধোয়া
কেউ পারবে নাকি?
কত জনেই ধুলো মাথা
কেউ পারেনা কেন,
পানি তোমার হাতের ছোয়ায়
জ্বর কেড়ে নেয় যেন।
তুমি যখন মারতে মাগো
ব্যথা সাথে সাথে,
এত বছর পরে বুঝি
আদর ছিলো তাতে।
আমার পেটে লাগলে ক্ষুধা
দুঃখ তোমার বেশী,
তুই কি খাবি? তুই কি খাবি ?
রাধঁি চুলা...
চলছে যেমন চলবে তেমন
রবিউল ইসলাম
চলছে যেমন চলবে তেমন
আজব এই দেশটাতে
যার যা খুশি করছে সবাই
টানছি মিলে পশ্চাতে।
গাড়ির নিচে পড়ছে কেউবা
কেউবা চাপা ভবন ধ্বসে
জানটা নিয়ে বাঁচবো নাকি
এই হিশেবই করছি কষে।
ট্র্যাফিক জ্যামে বসে বসে
বয়সটা ভাই যাচ্ছে বেড়ে
বাসে উঠলে তাকিয়ে দেখি
যমদূতটা আসছে তেড়ে।
সিএঞ্জি তে যাবেন নাকি?
আছেন রাজি চুক্তিতে?
দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে যারা
তার...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
তোমরা বোকা গাধা-
মিথ্যে কথা এমনি বলো
যায় লেগে যে ধাঁধা।
গাড়ি চলে ঘোড়াও চলে
মৌমাছিদের পাখনা থাকায়
মানতে পারি ওরাও চলে।
নৌকো চলে জাহাজ চলে
স্বপ্নে উড়ে পরী চলে,
কিন্তু শুনে ভয় লাগে না
যখন বলো ঘড়ি চলে?
চলত যদি তবে-
হাতের ঘড়ি থাকতো হাতে?
পালিয়ে যেত কবে!