অণুকবিতাগুচ্ছ- ০২
(০৬)
স্বপ্নের লাল ফিতে মেপে মেপে বানিয়েছি ঘর,
সব কিছু আছে তার
নেই শুধু ভিতের পাথর।
(০৭)
আকাশটা বড়ো খুব, স্বপ্নটা আরও,
যে শুধু স্বপ্নই দেখে
আকাশ কি হারিয়ে যায় তারও ?
(০৮)
শব্দের বন্ধনে এলে অক্ষর অমর্ত্য হয়,
জীবনে...
অনুকবিতাগুচ্ছ- ০১
(০১)
চোখের উঠোন জুড়ে গভীর সাঁকো,
কে যে কোন্ পথে যাবে ডুববে কোথায়
চোখও কি জানে তা !
(০২)
দৃষ্টির পাড় বেঁধে চোখের সীমানা দেবে ?
গভীর কলঙ্ক হবে। বৈধতার ঘোড়াটাকে
কী করে খাওয়াবে বলো কেটে রাখা সংস্কারের ঘাস !
(০৩)
নামে...
লোকজন তাকে ডাকে কুড়াইল্যা বলে। প্রকৃত নাম কেউ জানে না। জানে না তার আসল ঠিকানা কি। হয়তো বা এসব ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেনি কেউ। কিংবা জিজ্ঞেস করলেও লোকটা কোনো জবাব দেয়নি। সেই কারণেই হয়তো তাকে ব্যক্তিগত প্রশ্নবাণে কেউ বিদ্ধ করতো না। ...
পেমপত্ত
পিংকিরানির বয়স ষোলো আর পিংকুবাবুর সতেরো। ফলতঃ পিংকিরানির গোলাপী ফিতেফ্রকে পিংকুবাবুর কেস বেশ খারাপ হয়ে যায় রোজ সন্ধ্যেবেলার টিউশানি হাওয়ায়। পাতলা গলিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পিংকুবাবুর হাঁটু খুলে গেলেও ডিউটিতে কামাই থ...
অকস্মাৎ আলো নিভে গেলে থোকা থোকা অন্ধকার
দৃষ্টিপথে নৃত্য করে অবিরাম। জ্বলে জোনাকীরা
যেন হতাশার কালোতে আলোর বুদবুদ অগণিত।
অচেনা আঁধার ভাসানের স্রোত হয়ে
টেনে নিয়ে যায় বুঝি বাকি অবলম্বন; অতি প্রিয়জন সব
হয়ে যায় যেন দূরলোকে মেঘেদ...
রাতটা কোনো রকমে কাটলেও ভোর হতে চায় না সহজেই। বিছানায় পড়ে থেকে এপাশ ওপাশ করাই সার। কিন্তু তবুও একভাবেই শুয়ে থাকে রহিমা। শরীরের ব্যথায় দু-চোখের পাতা এক করতে পারেনি সারা রাত। পাশে নাক আর মুখ দিয়ে বিশ্রী ভাবে পাশবিক গর্জন করতে করতে ...
স্রোতচিহ্ন । একটি সমৃদ্ধ ছোটকাগজ। সম্পাদক -সুমন সুপান্থ।
সংখ্যা-২ । ফেব্রুয়ারি -২০০৪।
সম্পাদক থাকেন ইংল্যান্ডে। সমন্বয় সাধন করা হয় , মৌলভীবাজার থেকে। কি এক মাটি ও শব্দের টানে এই সাহিত্যকর্মীরা বের করেন লিটল ম্যাগ।আর এই সাহিত্...
জীবন ভেসে যায় মৃত্যুস্রোতে
জন্ম নেয় অন্য এক দিনে
এটাইতো এক মধুর আত্মহনন।
রক্ত বেরিয়ে আসে
আমার উন্মুক্ত আঘাতে
আমাকে দেয় আত্মহননের গাঢ় স্বাদ।
শিকারীর আবেগ
বদলে যায় হৃদয়হীন হাসিতে
এটাইতো এক মধুর আত্মহনন।
ঘুমের বড়িগুলো ...
পাখিদের মতো আকাশে উড়তে আমি শিখিনি
শিখেছি হেঁটে যেতে মানচিত্রের পথ ধরে,
এঁকেছি রক্ত দিয়ে সীমারেখা-
আমার বিচরণ ভূমির
বেঁচে আছি আমি এভাবেই।
শূন্যের মাঝে বসবাস
তাই অনুভব করি শূন্যতা চারিদিকে।
দেহের দুষিত রক্তবীজ
ঢেলে দিয়ে শূন...
মেয়েটি
বাইরে অঝোর বৃষ্টি-
মেয়েটা কি জানলো তা ?
ছেটে দেয়া ভ্রুর নতুন মানচিত্র খুঁজে
কাটিয়েছে সারাদিন-
আয়নাটাই প্রতিদ্বন্দ্বী তার !
পর্দা সরিয়ে শেষে
যে ছেলেটি দৃশ্যমান হলো
তার বুকে
তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে অন্য কেউ ;
মেয়েটা কি জানে...