প্যারাল্যাক্স

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শুক্র, ২০/০২/২০০৯ - ১২:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পদার্থবিজ্ঞানে প্যারাল্যাক্স বলে একটা বিষয় রয়েছে। অপ্টিক্স বা আলোক-বিদ্যা থেকে শুরু করে জ্যোতির্বিজ্ঞান---প্রায় সব খানেই প্যারালাক্সের ভুরি ভুরি উদাহরন ছড়িয়ে আছে। এখন পর্যন্ত দূরের গ্রহ নক্ষত্রের দূরত্ব মাপার ক্ষেত্রে একটা কার্যকর পন্থা হল এই প্যারালাক্স পদ্ধতি।

সে নাহয় বুঝলাম, কিন্তু প্যারালাক্স জিনিসটা কী?

মনে করুন, আপনি এক শীতের সন্ধ্যায় আপনার বাড়ির সামনের রাস্তাটায় হাঁটতে বেরিয়েছেন। বেশ ঠান্ডা হিম হিম ভাব। খানিকটা কুয়াশাও নেমে এসেছে মনে হচ্ছে। রাস্তা ধরে খানিকটা এগিয়ে গিয়ে আপনার হাতের ডান দিকের যে ল্যাম্পপোষ্টটা আপনি রোজ দেখেন অফিসে যেতে আসতে---আজ হঠাৎ করেই তার সামনে থমকে দাঁড়ালেন। কুয়াশার চাদর নেমে এসে ল্যাম্পপোষ্টটাকে আজ কেমন যেন রহস্যময় করে দিয়েছে। আপনি দেখলেন, ল্যাম্পপোষ্টের একটু পেছনে যে চায়ের দোকান, সেখানে আজ ভীড় যেন একটু কম। একটা মাত্র লোক কাঠের বেঞ্চে বসে ধোঁয়া ওঠা চা তে চুমুক দিচ্ছে। হঠাত কী যে হল আপনার, আপনি হেঁটে গিয়ে এমন এক ভাবে দাঁড়ালেন যে চায়ের দোকানে বসা লোকটা আর আপনার মাঝে কেবল মাত্র ল্যাম্পপোষ্ট রইল।
আপনি খেয়াল করলেন, আপনি যদি আপনার এক চোখ বন্ধ করে সোজা তাকান(মনে করুন, ডান চোখ বন্ধ করা) তাহলে ল্যাম্পপোষ্ট চায়ের দোকানের খদ্দেরটিকে সম্পূর্ণ আড়াল করে দিচ্ছে। কিন্তু এই একই অবস্থায় থেকে এখন যদি বাম চোখ বন্ধ করে ডান চোখ দিয়ে তাকান----কী আশ্চর্য! লোকটাকে এখন দেখা যাচ্ছে! অথচ আপনি নড়েন নি এক চুলও। নড়েনি লোকটাও। এই অল্প সময়ের মাঝে যা বদলেছে তা হল আপনার 'দৃষ্টিভঙ্গী'।প্রথম বার ডান চোখ বন্ধ ছিল, আর দ্বিতীয়বার বন্ধ ছিল বাম চোখ।

যারা বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারছেন না, অথবা যাদের বাড়ির বাইরে রাস্তা, রাস্তার ওপরে ল্যাম্পপোষ্ট, ল্যাম্পপোষ্টের পেছনে চা পানরত চায়ের দোকানে বসা খদ্দের---এসব কিছু নেই, অথবা যারা আমার মত বিরাট অলস, তারা সহজেই জিনিসটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

এক চোখ বন্ধ করুন। ডান হাত সোজা সামনে প্রসারিত করুন এবং কাউকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাচ্ছেন এমন ভাব করে বুড়ো আঙ্গুলটি সটান মেলে ধরুন। হয়েছে? এবার আপনার পছন্দের যে কোন কিছুর দিকে তাকান---সেটা হতে পারে আপনার টেবিলের ফুলদানী, দেয়ালের টিকটিকি অথবা লুডু খেলায় ব্যস্ত ছোটভাই। এমন ভাবে আপনার 'দ্রষ্টব্য'-টির দিকে তাকান যেন বুড়ো আঙ্গুলটি পুরো সে দ্রষ্টব্যটিকে আড়াল করে দেয়। এক চোখ বন্ধ রেখে করেছেন তো? ঠিক আছে, এখন অন্য চোখটি খুলুন, বন্ধ করুন প্রথম চোখটি।

কী? আপনার দুষ্টু ভাইটিকে আবার দেখতে পাচ্ছেন তো? যে কিনা একটু আগেও আপনার বুড়ো আঙ্গুলের পেছনে লুকিয়ে ছিল!!!

এই ঘটনাটিরই গাল ভরা নাম প্যারাল্যাক্স। শুধু মাত্র 'দৃষ্টিভঙ্গির' পরিবর্তনে(এখানে সেটা হল চোখ পালটে পালটে দেখা) একই বস্তু মনে হয় আপাতভাবে তার স্থান পরিবর্তন করে। কিন্তু আদতে বস্তুটি যেখানে থাকার সেখানেই ছিল। চায়ের দোকানে খদ্দেরটি নড়ে নি, নড়েনি আপনার লুডু খেলায় ব্যস্ত ভাইটিও। শুধু মাত্র ডান চোখের জায়গায় বাম চোখ দিয়ে দেখলেই একই বস্তুর প্রেক্ষাপট পালটে যায়।

আসলে প্যারাল্যাক্স নিয়ে এত বিশাল কাহিনী ফাঁদার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। এই লেখাটা যে উদ্দেশ্য মাথায় রেখে শুরু করা---সেটা হল আমাদের সামাজিক জীবনেও যে প্যারালাক্স কত ভাবে জড়িয়ে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। একটা ঘটনা, একটি প্রপঞ্চ বস্তুত দর্শক নিরপেক্ষ। গতকাল আপনি যখন রিক্সায় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন--তখন যে টায়ারটা বিকট শব্দ করে ফেটেছিল, সেটাই ঘটনা। ঠিক ঐ সময়ে আপনার মনের নায়িকাটি সবান্ধব সেখানে উপস্থিত থাকাটা হল--দূর্ঘটনা। চিন্তা করে দেখুন, মেয়েটি রাস্তায় নেই----চাকা ফাটল---আপনি নির্বিকার। একই ঘটনা---মেয়েটি আছে (উচ্ছল কিছু বান্ধবী সমেত)--চাকা ফাটল---কিছু চাপা হাসির লহরা---আপনি বিনা কারনেই অপ্রস্তুত বোধ করতে শুরু করলেন। আপনার মনে হল---ভাবী ঠিকই বলেছিল, এই ক'দিনে আপনি বেশ মুটিয়ে গেছেন। নাহ জিমে যাওয়া শুরু করতে হবে!

দেখলেন তো? আপনি যদি ঐ মেয়েটিকে না দেখতেন (বা ঐ মেয়েটি যদি আপনার স্বপনচারিনী না হতো) আপনার এই না-হক জিমে গিয়ে দৌড়ানোর কথা মনেও আসত না।

শুধুমাত্র আমার নিজের ব্যক্তিসত্ত্বার কারনে, আমার নিজের কিছু স্বনির্বাচিত আজগুবি চিন্তা ভাবনার কারনে একটা আপাত পারম্পর্যবিহীন ঘটনা আমাকে বিব্রত করতে পারে। কিছু উদাহরন দেখা যাক।

প্রথম উদাহরনঃ

স্মরণ করুন, ছোটবেলায় ভাব-সম্প্রসারনের কথা। অধ্যবসায় নিয়ে ক্লাসে কিছু একটা লিখতে হবে এবং এই মুহুর্ত্তে আপনার চেয়ে 'অধ্যবসায়ী' ক্লাসে আর কেউ নেই।লিখতে গিয়ে আপনার মনে পড়ে গেল স্কটল্যান্ডের সম্রাট রবার্ট ব্রুসের কথা---সাত সাত বার ইংরেজদের সাথে লড়াই করে হেরে ভূত। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের গুহা-কন্দরে। সেই সময় তিনি দেখা পেলেন পরিশ্রমী এক মাকড়শার। সাত সাতটি বার জাল বুনতে ব্যর্থ হয়েও হাল ছেড়ে না দেয়া মাকড়শাটি কেবল যে অষ্টম বারে সফল হল তাই নয়, একইসাথে অনুপ্রানিত করল রবার্ট ব্রুসকেও। তিনিও অষ্টম বারের চেষ্টায় বিজয়ী হলেন।

এখন প্যারাল্যাক্স পদ্ধতিতে যদি ঘটনাটার দিকে তাকাই তাহলে কি দেখি?

----- রবার্ট ব্রুস এতই আগ্রাসী(!) সাম্রাজ্য লোভী যুযুধান পুরুষ যে বার বার হেরে গিয়েও তার লজ্জা হয়নি। এরপর মাকড়শা থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে আটবারের বার জিতেছেন! Spiderman যদি কাউকে বলতে হয়, সেতো রবার্ট ব্রুসকেই বলা দরকার।

---- একই কাহিনী স্কটিসদের কাছে ভিন্ন। তিনি তাদের কাছে কেবল অধ্যবসায়ের নজির নন, তিনি তাদের কাছে মহান সম্রাট, ইংরেজদের পরাস্তকারী বীর, অনন্য সাধারন স্বাধীনতার সৈনিক। আমি নিশ্চিত ইংরেজ আর আইরিশরা হয়ত এই ব্যাপারে একমত নাও হতে পারে।

দ্বিতীয় উদাহরনঃ

আবারো ভাব-সম্প্রসারনে নিয়ে যাচ্ছি আপনাদের(নিশ্চয়ই বুঝতে আর বাকী নেই----আমি ছোটবেলায় এই জিনিসটি কী পরিমান পছন্দ করতাম!!!)।আচ্ছা ঠিক আছে---এইবার নাহয় সারমর্ম নিয়ে কথা বলি। সারমর্মগুলো অধিকাংশ সময়েই 'উপদেশমূলক' হত খেয়াল আছে নিশ্চয়ই। আমার মনে আছে একটা বিশেষ সারমর্মের কথা। এক ছেলে ঈদের আগের দিন বায়না ধরেছে নতুন জুতো কিনবে বলে। দরিদ্র পিতা অর্থ সাশ্রয় করে উঠতে পারেন নি। সেইটা ছেলেটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। ছেলে মানুষ। মন খারাপ করে আছে। দুপুর বেলা নামায পড়তে গেছে। মসজিদে দেখা মিলল এক কোনায় বসে থাকা এক পঙ্গু ছেলের---একটা পা নেই তার।তৎক্ষনাৎ আমাদের সেই বেয়াড়া ছেলেটির বোধোদয়---আহারে, আমি নতুন জুতোর জন্য মন খারাপ করছি, আর এই ছেলেটির তো জুতো পরার পা-ও নেই!

সারমর্মঃ যখন মনে করছ যে তোমার অবস্থা খুব খারাপ, প্রবল কষ্টে দিনাতিপাত করছ--তখন একটু আশেপাশে তাকিয়ে দেখ। দেখবে তোমার চেয়েও দুর্দশা পীড়িত মানুষ রয়েছে। তাদের দেখে তুমি বুঝবে, তুমি আসলে যত খারাপ ভাবছ তত খারাপ আসলে অবস্থাটা নয়।

এইবার আমার প্যারাল্যাক্সঃ

----এইটি একটা ভয়াবহ ট্রেনিং! কোমলমতি শিশুদের বলা হচ্ছে---মন ভাল করার সবচাইতে সহজ উপায় হল---তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় যে আছে, তাকে খুঁজে বের করা। অন্যভাবে বললে বলা যেতে পারে----একমাত্র অন্য আরেকটি মানুষের দূরাবস্থাই একটি মানুষকে আত্ম-প্রসাদ দিতে পারে।

জানি, জানি--খুবই নির্দয় শোনাচ্ছে। হয়ত খানিকটা সরলীকরন ও করে ফেলেছি। কিন্তু মোটের ওপর ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন----আমরা আমাদের মনের অজান্তেই সব সময় খুঁজে বেড়াই আমার চেয়ে কম ভাগ্যবান কোন একজন কে।মানুষ সব সময় প্রতিযোগিতা করে। করে নিরন্তর তুলনা। মানুষের সুখের যোগান আসে অন্যের অসুখ থেকে।

মোটা দাগে হয়ত কথা গুলো সত্যি। কিন্তু এই ভীষন জজ বজে জীবন, আর অন্তহীন পথচলার মাঝে মাঝে হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখা যায়। হঠাৎ করেই দেখা যায় স্রোতের উজানে বাইছে নৌকা কিছু লোক। আমরা পঙ্গপালের মত গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যেতে যেতে ঘাড় ফিরিয়ে দেখে নেই সেই সব কিছু দলছুটদের। পাশের লোকটাকে কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে দেখাই ওদের----ফ্যা ফ্যা করে হাসি ওদের আহাম্মকিতে। আর রাতে বাড়ি ফেরে ছেলেকে বুকে নিয়ে যখন গল্প শোনাই---ওরাই তখন ফিরে আসে বীরের দর্প নিয়ে। ফিসফিস করে ছেলেকে বলি, বুঝলি খোকন, ওরাই--ওরাই আসলে 'আসল' লোক !!!!!


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাবানোর মত লেখা। খুবই ভাবানোর মত লেখা। ছোট বেলা থেকেই আমরা ভুল মর্মের শিক্ষা দিচ্ছি। এ-ধরনের ব্যাপারগুলো অতিসত্বর সংশোধন করা উচিত।

[যেদিনই ঠিক করি আগে ঘুমানোর চেষ্টা করবো, সেদিনই আপনার রাত দেড়টার পর লেখা দিতে হয়! ধুর!]

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা, সরি বস।
আগামী লেখা গুলো সন্ধ্যা হতে হতেই দিয়ে দেব।

রণদীপম বসু এর ছবি

প্যারাল্যাক্স-এর সহজ মানে হচ্ছে একটি আপেক্ষিক স্থির বস্তু বা বিষয়কে বিভিন্ন অবস্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করা। এই প্যারাল্যাক্স বোধটিকে আমরা আমাদের জীবন-দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবহার করে সহজেই অনেক মানসিক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পারি, নিজের শান্তিটাকে সহজে বিনষ্ঠ হওয়া থেকে রক্ষাও করতে পারি।
আমি কিন্তু এই বিষয়টাকে বহুকাল আগে থেকে নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে চমৎকার ফল পাচ্ছি। এটাই আমার সবসময় 'ফাইন' থাকার ম্যাজিক-সূত্র। আমার অবস্থানকে যে দৃষ্টি থেকে দেখলে না পাওয়ার বোধে আক্রান্ত হয়ে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারি সে দৃষ্টিতে সেধে সেধে অযথা দেখার দরকারটা কী ! বরং যে দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে একজন প্রচণ্ড সুখি মানুষ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি সেটাই তো অশান্তি থেকে দূরে থাকার সঠিক পর্যবেক্ষণ !

ইদানিং আপনার লেখা পোস্টের সময়কালীন গ্যাপটা মনে হয় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করায় মনোযোগী হয়েছেন। এটা কি আপনার স্বেচ্ছাকৃত উদ্দেশ্য যে দেরি করে করে লেখা পোস্ট করবেন ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনিকেত এর ছবি

রণ দা,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আর দেরী করে করে পোষ্টানোর কথা বলছেন? হা হা হা ---
আমার তো মনে হয়, আমি আমার গতানুগতিক গতিতেই পোষ্ট করে চলেছি।

ভাল থাকবেন,'ফাইন' থাকবেন,রণদা।

s-s এর ছবি

আমরা সবাই স্যাডিস্ট, অন্য কেউ আমার থেকে ভালো থাকলে, সে আমার যত প্রিয়ই হোক না কেন, মনের কোণে সূক্ষ্ম একটু মোচড় দেয়ই - টিভির রিয়েলিটি শো গুলোতে গণহারে গরীবদের বেশি এসএমএস করে জিতিয়ে দেওয়াটা , আমাদের সেই সামষ্টিক স্যডিসম আর হীনমন্যতার একটা ভালো প্রকাশ, যেহেতু দারিদ্র্য নিয়ে আমরা আহা উহু করতে পারি, এবং একটা আত্মপ্রসাদ লাভ করি "আমরাই তার ভাগ্য বদলে দিয়েছি", অতএব আমরা- মানে আমজনতাই আসলে ঐ গরীব রিকশাওয়ালার ছেলেটির থেকে "উন্নত" এই রকম "উন্নত" হবার আত্মপ্রসাদ কিন্তু বেশ বিস্তৃত।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

আপনার লেখা পড়ে কেন যেন জাফর ইকবাল স্যারের কথা মনে পড়ে গেল। দু'দিন আগে তাঁর "থিওরি অফ রিলেটিভিটি" বইটা কিনলাম। বইটা লেখা হয়েছে নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বোঝার উপযোগী করে। পড়তে খুব ভাল লাগছে। আপনার বোঝানোও অনেক সহজ, অনেক সাবলীল। এর আগেও কয়েকটা পোস্টে আপনার বোঝানোর ধরণ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।

লেখার বাকি অংশ আসলেই ভাবানোর মতো। সব মিলিয়ে দারুন একটা পোস্ট। খুবই ভাল লেগেছে।

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস। তোমার 'ফ্রস্ট/নিক্সন' রিভিউটা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে! ঐ রকম আরো কিছু নামাও জলদি।

এনকিদু এর ছবি

প্যারালাক্স জিনিসটা নতুন করে শেখালেন আপনি । লেখা দারুন হয়েছে !


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস!

মাল্যবান [অতিথি] এর ছবি

@s-s, স্যাডিস্ট আর স্যাডিজম, দুঃখবাদী আর দুঃখবাদের সমার্থক নয়।

s-s এর ছবি

দু:খবাদের সমার্থক তো বলিনি -স্যাডিসম, স্যাডিস্ট

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

ফারুক হাসান এর ছবি

অসাধারণ পোষ্ট চলুক

সারমর্ম থেকে উঠে আসা আপনার বক্তব্যটা সত্যিই ভাববার মত। অন্যের অসুখ থেকে সুখ খুঁজে নেয়া- এটি আপনার ভালো একটি পর্যবেক্ষণ। অনেকে বলছেন এটা মানুষের স্যাডিস্ট চেতনা। তবে ব্যাপারটা সুখ থেকে দুঃখতে ট্রান্সফার করলে বোধহয় ততটা স্যাডিষ্ট থাকে না। অন্যের দুঃখ দেখে মানুষ দুঃখিত হলে সেটাই স্বাভাবিক। সেই হিসেবে অন্যের বেশি দুঃখের কাছে নিজের দুঃখ তুলনা করে যদি সান্ত্বনাসূচক কিছু পেয়ে যায়, তাহলে বোধহয় সেটা তেমন খারাপ কিছু না।
এইটা আমার মত।

অনিকেত এর ছবি

হাসি

সবজান্তা এর ছবি

ভাগ্যিস আমার থেকেও অধিক দুঃখী লোকেরাও ছিলো পৃথিবীতে হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

সবজান্তা এর ছবি

ভাগ্যিস আমার থেকেও অধিক দুঃখী লোকেরাও ছিলো পৃথিবীতে হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

মাল্যবান এর ছবি

আশ্চর্য !!! ৭-২২ মিঃ আমার নামে একটি মন্তব্য দেখছি । ওই মন্তব্যটা তো আমি করিনি !!!
আমার নামে এটা কি করে হোলো ?
মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

অনিকেত এর ছবি

শেষ পর্যন্ত সচলায়তনে ভূতের উপদ্রব---!!!!
কী সর্বনাশ, মডু ভ্রাতা গণ----কোথায় আপনারা?

তানবীরা এর ছবি

আমিতো জানতাম এসবের নাম হেলুসিনেশন ??? ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা তো অতি চমৎকার। দৌড়ে দৌড়ে পড়লাম! হাসি

ভাবছিলাম, এখনকার প্রেক্ষাপটে লেখাটির মাজেজা অনেক বেড়ে গেছে! আমাদের জীবনের ঘটনাগুলো রাষ্ট্রের ঘটনাগুলোতে প্রবল প্যারাল্যাক্স। কোনভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছি না।

সুখের অসুখ আর অসুখী হবার সুখে যেন কেউ মজে না থাকে সেজন্যেই মনে হয় ওভাবে আশেপাশের মানুষদের দেখতে বলা হতো....!

===
-অনীক আন্দালিব

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু অনীক-----

সাইফ এর ছবি

আপনার এই পোস্ট পড়ার পর থেকে যাই দেখি, দাঁত ভেটকায় মনে মনে বলি, প্যারাল্যাক্স

দাদা ভাই এর ছবি

প্যারালাক্স খুজতে গিয়েই বাকি দিনটা হারিয়ে যাবে মনে হচ্ছে। মন্তব্য টা লিখতে গিয়েও প্যারালাক্স খুজতেছি।।।।।।।।।।। ভাল লাগল

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা ভাই
শুভেচ্ছা নিরন্তর

মন মাঝি এর ছবি

আমার এরকম ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের পরামর্শটা মনে পড়ে। উনি বরং নিজের মনের সাথেই একটা বোঝাপড়া করে নিতে বলেছেন। কবিতাটা নির্ঘাৎ বহুবার পড়া আপনার, তবু খানিকটা দিলাম এখানে -

মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে।
কেউ বা তোমায় ভালোবাসে
কেউ বা বাসতে পারে না যে,
কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ বা
সিকি পয়সা ধারে না যে,
কতকটা যে স্বভাব তাদের
কতকটা বা তোমারো ভাই,
কতকটা এ ভবের গতিক—
সবার তরে নহে সবাই।
তোমায় কতক ফাঁকি দেবে
তুমিও কতক দেবে ফাঁকি,
তোমার ভোগে কতক পড়বে
পরের ভোগে থাকবে বাকি,
মান্ধাতারই আমল থেকে
চলে আসছে এমনি রকম—
তোমারি কি এমন ভাগ্য
বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে। .........

****************************************

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মন মাঝি---
অনিঃশেষ শুভ কামনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।