বরফ কেন ঘেন্না করি---

বরফ আমিও দেখি নাই। তবে বুঝতে পারছিলাম পেছনের কারণটা এরকমই হতে পারে! বিদেশে এই একটা কারণেই যেতে ইচ্ছা করে না, কারণ এখনও আমার কাছে ঢাকা পৃথিবীর সেরা শহর। এই ঘিঞ্জি, জ্যামে ভরপুর, ময়লা শহরটাকেই ভালো লাগে!

===
অনীক আন্দালিব

গত শুত্রবার অবধি আমরাও বরফে ডুবে ছিলাম। শনিবার থেকে সে বরফ গলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

আপনার অনুভূতি মন খুব ছুঁয়ে গেলো, অনিকেতদা।
যদিও বরফ পড়া দেখিনি, তবু বলি, আমাদের বৃষ্টির আসলেই তুলনা নেই।
ভালো থাকুন।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

অনিকেত, আপনি এরকম কেন?! এক্কেবারে 'ঘেন্না' ? গতকাল থেকেই তো জানি আজকে কী হতে যাচ্ছে - তারপরও ভোরবেলা যখন চারপাশে তাকিয়ে দেখি ভালো করে কিছু বোঝাই যাচ্ছে না কোথায় আকাশ আর কোথায় দাঁড়াবার জায়গা, পুরোটাই ঘোলাটে, ছাই ছাই সাদা সাদা - কেমন যেন সুররিয়ালিস্টিক, মনটাই ভালো হয়ে গেলো!! আর এখন ? এখন পুরো বন্দীদশা। রাস্তাও দেখা যাচ্ছে না। চারপাশ ধবধবে, ঠান্ডা, কনকনে - এখন, গরম দু মগ চা আর গান - আহ্‌হ্‌হ্‌

তুষার আমি বেশ পছন্দ করি। বরফ খারাপ লাগে, কিন্তু তুষারকণা দেখতে ও তার উপর দিয়ে মচমচ করে হেঁটে যেতে ভালোই লাগে।

তবে ভুট্টা ক্ষেতে এবার আর তুষার খুব বেশি পড়েনি।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

রাগিব ভাই, এদিকে চলে আসেন বস----গাড়ি ভর্ত্তি করে কাড়ি কাড়ি তুষারকণা দেবার মত অবস্থায় আছি---হে হে হে ----

এ: ঘেন্না বড় শক্ত শব্দ৷ বরফের মত নরমসরম জিনিষকেও কেউ ঘেন্না করে?! আমি বাপু বরফ খুউব ভালবাসি৷ যতদিন দিল্লী অঞ্চলে ছিলাম, শীতকালে ঠিক টুকরোটাকরা ছুটি জমিয়ে হিমালয়ের উপরের দিকে কোথায়ও একটা যেতাম বরফ দেখবার, গড়াগড়ি খাবার জন্য ৷
দাঁড়ান না, আমার দেখা সুন্দর সুন্দর বরফের গল্প নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দেবো৷ দেবোই দেবো৷
হুমম...........
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

ভালো লাগাটা জানিয়ে যাই--

তারপরেও আমি বলি বরফ আমার ভালো লাগে।

আরেকটু যোগ করি-- লেখার প্রথম প্যারাটা কবিতার মত মনে হচ্ছে।

ধুর মিয়া... আপনে কোনো কামের না... আমি ছোটবেলা থেকা তুষারপাত দেখার জন্য মুখায়া আছি। ফ্রিজ ছাড়া বরফ হওন দেখার আশায় আছি।
একবার রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪ হইলো। আমি রেডি হইলাম রাজশাহী যাইতে। কারন আরেকটু আগাইলেই সেখানকার পানি বরফ হবে। সেইটা দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলাম। কিন্তু তারপরে আর আগাইলো না।
(যদিও এর অন্য একটা দিক এখন বলতেছি না, কারন ৪এ পৌঁছানোর পরে রাজশাহীর লোকদের, যারা শৌখিন না, যাদের শীত করে, তাদের কথা আলাদা)

আমি তুষারপাত দেখার অপেক্ষায় এখনো আছি। তবে বৃষ্টির চেয়ে মজার জিনিস আর কিছুতে নাই

আমি এখনো বৃষ্টি হইলে রাস্তায় নামি। বৃষ্টি হইলেই আমারে ঘরে আটকায়া রাখা যায় না। এখনো। এই বুড়া বয়সেও।
আমি এখনো উত্তরার রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কবিতা বলি। লোকে পাগল বলে... তবুও...
আসছে আষাঢ় মাস... মন তাই ভাবছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হা হা হা ---

বস, একবার ঘুরে যান এইখানে বরফের সময়----আরো ভাল---থেকে যান আমার মত---আট আটটি বছর----তারপর এসে দেখা করব আপনার সাথে--জিজ্ঞেস করব বরফ কেমন লাগে-----তখনও যদি বলেন(স্নিগ্ধা'পু-র মত) যে বরফ ভাল লাগে, দেখলেই মন 'ভালু' হয়ে যায়---তখন শক্ত কইরা মাইর দিব----

একই সাথে মন খারাপ আবার মন ভালো করে দেয়া লেখা।
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আসেন কোলাকুলি করি। বরফের চেহারা যদিও কালেভদ্রে দেখি তবু আমার কাছে এটা দু' চউক্ষের বিষ! আর বরফে ড্রাইভ করা তো একটা পানিশমেন্টের মত। জান নিয়ে টানাটানি। এর মধ্যে সৌন্দর্যের কী আছে কিছুই বুঝি না! যদি কাজ-কাম না করে সারাদিন বাসায় বসে জানালা দিয়ে ঝিরঝির তুষারপাত দেখা যেত, তখন না হয় সৌন্দর্যের কিছু একটা আছে সেটা বুঝতাম। কিন্তু গোলাম হোসেনদের জন্য সে সৌভাগ্য তো আসে নি কখনো!

আজকের অবস্থা দেখছেন!! এখন একটু কমলো তুষারপাত...

=========================================
অনিকেত প্রান্তরে ভেসে বেড়াই

তবে তুষারপাত আমার খারাপ লাগে না। কিন্তু বাস্তবিকতা ভিন্ন।

=========================================
অনিকেত প্রান্তরে ভেসে বেড়াই

অনিকেত, তানভীর, এবং আরো যারা যারা আমার বরফগানে ক্ষিপ্তমতো হয়ে গেছিলেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই - আহাম্মক আমি, সারাদিন ধরে হা হা হি হি করে দিন পার করতে গিয়ে ভুলেই গেছিলাম যে আজকেই ড্রাইভওয়ে পরিষ্কার করে না রাখলে কালকে শুধু যে খবরাছে তাই না, হয়তো খবরের কাগজে আপনারাও পড়বেন " বরফে আছাড় খাইয়া জনৈকা বাংলাদেশীর করুণ হাল" -

অতএব, আমাকে এখন এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গাব্দা গাব্দা শীতবস্ত্র চাপিয়ে, সেলফোনটা অবশ্যই পকেটে ভরে (পড়ে গিয়ে উঠতে না পারলে বন্ধুবান্ধবকে যেনো ফোন করতে পারি), আমার প্রিয় বরফেরই সাথে যুদ্ধে নামতে হবে -

অনিকেতদার লেখা পড়তে বড় ভালো লাগে
আমার ধারণা আপনি গু নিয়ে লিখলেও সেখান থেকে সুগন্ধ বের হওয়া শুরু করবে।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

রাতে চাঁদের আলোর নিচে ঝুরঝুর করে তুষার পড়ছে, হাওয়া-বাতাস সেই একেবারেই - এমন পরিবেশে একবার রাস্তায় হেঁটে বেড়িয়েছিলাম ঘণ্টাধিক সময় ধরে। সবকিছু অবাস্তব মনে হচ্ছিলো চারপাশে। নেমে এসেছিল রূপকথার কাল। আহা! আমার মতো চ্রম বে-রোমান্টিকও ভুলতে পারে না সে-কথা। এমন পরিবেশে (চাঁদের আলো না থাকলেও)এখনও সুযোগ পেলে ঘুরতে বেরোই।

রূপকথা ধাঁচের আমার একটা প্রিয় ছবি (ফটোগ্রাফি নয় এবং ছবিটি তুষারপাতেরও নয়) জুড়ে দিচ্ছি।

তবে তুষারভক্ত হলেও বরফপ্রীতি আমার নেই। আসলে রোমান্টিকতা হিসেবে না আনলে বৃষ্টিও অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তির কারণ হতে পারে

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস...
আমি আশা করে থাকি, কবে এমন তুষারপাত দেখবো। আর আপনি ওদিকে বৃষ্টিবিহনে কেঁদে যান।

তুষারপাত আর বরফে ঢাকা মাঠ-ঘাট দুটোই আমার প্রিয়, সবুজ প্রান্তরে দেশী বৃষ্টির মতোই। তবে বরফ গলার কাদা একেবারে অসহ্য।

আপাতত পাঁচ তারা।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

"ঘেন্না"! আমার তো তুষার খুবই ভাল্লাগে। যদিও দেখিনি জীবনেও, কিন্তু খুবই শখ আছে তুষারপাত দেখার। সিনেমা-টিনেমায় দেখে আগ্রহ জন্মেছে। ভাবতে ভালই লাগে যে- "চারপাশে বরফের মাঝে আমি দাঁড়িয়ে আছি। সাদা তুলার মতো তুষারকণা পড়ছে চারদিকে, হাত বাড়িয়ে ধরছি..."

আমার তো এখনই তুষার দেখতে যেতে ইচ্ছা করছে।

লেখা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বললাম না। বরাবরের মতোই খুবই দারুন হয়েছে। ক্যামেরা নিয়েই তো বের হয়েছিলেন, তাহলে ছবি কই?

- বৃষ্টি আর তুষারপাতের তলনায় মনেহয় আমি সবচাইতে কনফিউজড হয়ে যাবো কোনটাকে সেরা ভাববো সেই ভাবনায়! আমাদের দেশের বৃষ্টির আসলেই কোনো তুলনা নেই যেমনটা নেই এই দেশের তুষারপাতের। কিন্তু এই দেশের বৃষ্টি যেমন অসহ্য লাগে তেমনি আমার দেশে তুষারপাতও আমার কাছে প্রত্যাশিত না। আবার আমার দেশের বৃষ্টির পরের কাঁদা প্যাকপ্যাক যেমন বরক্ত লাগে তেমনি তুষারপাতের পর জমে থাকা বরফ আর স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তাঘাটও চরম বিরক্তি ঘটায়। শুধু ভালো লাগে আমার দেশের বৃষ্টির সময়টা আর এখানকার তুষারপাতের সময়টা।

আপনার লেখায় কয়েকটা জায়গায় নিজেরই ভাবনার কেমন প্রতিফল মনে হলো অনিকেত'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্নিগ্ধা আপু নামক জনৈক 'মেধাবী' বাংলাদেশী
আছাড় খেয়ে উঠতে পেরেছিলেন তো?
নাকি অপঘাতে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আমি তো এসেই পড়লাম!!!!

পুতুল

-( শিরোনামহীন)

আমিও খুব শীতকাতুরে

বস, লেখাটা যখন দিয়েছিলেন, তখনও আমি কমেন্টানো শুরু করি নাই, তখন ভাবতাম সচল না হয়ে লেখা যায় না। যাক, ঐ রাতে কিন্তু ভালই মজা হয়েছিল, আবার বরফ পরুক, আবার হামলা করব আপনাকে, আর ছবি শেয়ার করি ২-১ টা, আপনার আপত্তি না থাকলে। হাজার হলেও ছবির স্বত্তাধিকারী আপনে। (বানানটা মনে হয় ভূল হল )

আমিও , শীতের গুষ্টি কিলাই!

শনি রবিবারে বরফ পড়লে আনন্দই লাগে। জানালা দিয়ে সাদা সাদা তুলোর মত ঝিরঝির করে পড়ছে, দেখতে খুব ভাল লাগে।
খারাপ লাগে যখন গলতে শুরু করে প্যাচপেচে হয়ে যায়।
দেশের বৃষ্টির সাথে কি তুলনা হয়? বহু বছর ধরে শীতে দেশে যাই। দেশের বৃষ্টিও দেখিনা কতকাল।
বৃষ্টির শব্ধ আবার কবে শুনব কে জানে। কখনো কখনো মনে হয় এখানেই টিনের চালের একটা ঘর বানাতে।
লেখা যথারীতি সুখপাঠ্য।