অযান্ত্রিক(২)

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৬/২০০৯ - ৪:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্ব)

[বিজ্ঞপ্তিঃ সাই-ফাই বলে আমি কিছু কিছু জিনিস,কিছু কিছু ধারনা কল্পনা করে নেবার স্বাধীনতা নিয়েছি।এসবের কিছু কিছু সহজেই ধরতে পারবেন। বাকীগুলোর জন্যে প্রতি পর্ব শেষে একটা নির্ঘন্ট দেবার চেষ্টা করব]

/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\

সন্ধ্যার দিকে রানাস সাধারনতঃ হাঁটতে বেরোয়।অবশ্য কাজের খুব একটা চাপ না থাকলে পরে। তার এপার্টমেন্ট এর পেছনে যে রাস্তাটা গেছে, সেটা ধরে আধ-ঘন্টাটাক হাঁটলে সমুদ্রের ধারে পৌঁছে যাওয়া যায়। আসল সমুদ্র না। রাগাস্লুভের ২০২৭ ব্যাচের ছাত্রদের তৈরী করা 'কৃত্রিম সমুদ্র'। একটা বড়সড় লেকের উপর ত্রি-মাত্রিক কম্পিউটার সিম্যুলেশানে তৈরী এই নকল সমুদ্র কম্পিঊটার মরফোলজির ক্ষেত্রে একটা মাইলস্টোন হয়ে আছে। ২০২৭ এর পরের প্রত্যেকটি ব্যাচ তাদের বিদায় বেলায় একটু একটু করে নানান জিনিস যোগ করেছে এই মূল সিমুলেশানটায়---তাদের বিদায়ী উপহার হিসেবে। কেউ যোগ করেছে আকাশের রঙ বদলানোর ক্ষমতা(প্রজাতান্ত্রিক দিবসে এই ব্যাপারটা ঘটানো হয় এবং সেটা দেখার মত একটা জিনিস), আবার কেউ যোগ করেছে কৃত্রিম ঝড় সৃষ্টির কৌশল। গোটা ব্যাপারটা রাগাস্লুভ ইন্সটিটুটের কেন্দ্রীয় নবম প্রজন্মের কম্পিউটার 'নিরো' নিয়ন্ত্রন করে।

সমুদ্রের পারে যাবার আগে একটা সিকিউরিটি চেক পোষ্ট আছে। কেন কে জানে? রেটিনা স্ক্যানার এ চোখ রাখতেই গমগমে গলায় নিরো জানাল, স্বাগতম প্রফেসর রানাস। আশা করছি আপনি কুশলেই আছেন।
যন্ত্রের সাথে কথা বলতে রানাস কেন যেন খুব একটা স্বস্তি বোধ করে না কোন কালেই। যদিও নিরো কে 'শুধু' যন্ত্র বলাটা ঠিক হচ্ছে না।নিরোর ৩০ ভাগ জৈবিক আর বাকী ৭০ভাগ যান্ত্রিক।বিশ্ব চরাচরে নবম প্রজন্মের এই ধরনের অর্ধ-জৈবিক কম্পিউটার খুব একটা বেশি নেই। বুদ্ধিমত্তা মাপার নাইক্রা স্কেলে নিরো রয়েছে ১৯০-তে। রানাসের নিজের নাইক্রা স্কোর হল ১২৫।শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়,তার মাঝে সংবেদনশীলতাও যোগ করা হয়েছে।

রানাস কিঞ্চিত অস্বস্তির সাথে জিজ্ঞেস করল, কী খবর নিরো? কেমন আছ? নিরো হালকা একটা হাসির মত শব্দ করে বলল, প্রফেসর রানাস, আমি ভাল আছি। ধন্যবাদ জিজ্ঞেস করার জন্যে।আপনি যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে একটা প্রশ্ন করতে চাইছি।

-হ্যা, হ্যা, বল কী জানতে চাও?

--আমি লক্ষ্য করেছি, আমার সাথে কথা বলার সময় আপনি বেশ অস্বস্তিতে ভোগেন। কারনটা কী জানতে পারি?

--এইবার তো আসলেই অস্বস্তিতে ফেলে দিলে নিরো, হে হে হে --। রানাস হাসার চেষ্টা করে বলল, আসলে এইটা আমার একটা মানসিক সমস্যা বলতে পারো। আমি যন্ত্রের সাথে কেন জানি সহজে কথা বলতে পারিনা। এইটা শুধু তুমি বলে না---আমি আমার গাড়ি, ওভেন,বাথরুমের শাওয়ার কোন কিছুর সাথেই সহজ হতে পারি না। এক্ষেত্রে আমি একটু প্রাচীনপন্থী বলতে পারো। আমি চাই আমার গাড়ি, একটা গাড়ির মতই থাকবে---আগের আমলে যেমনটা ছিল। গাড়িতে উঠে তার সাথে ফুটবল স্কোর নিয়ে কথা বলা, বা কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সভার নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেয়া দরকার--এইজাতীয় আলাপ করতে আমার ভাল লাগে না। ঠিক একই কারনে আমার মাইক্রো ওভেনে আমি কেবল খাবার গরম করতে চাই, তার কাছ থেকে মহাজাগতিক ধ্রুপদী সঙ্গীতের উপর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুনতে চাই না---রানাস হয়ত আরো কিছু বলত, কিন্তু নিরো তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,প্রফেসর রানাস, কিছু মনে না করলে আপনার কথার মাঝে একটু ব্যাঘাত ঘটাতে চাই। আমাকে অহংকারী ভাবার কারন নেই--কিন্তু আমাকে ঠিক আপনার গাড়ি, ওভেনের সমগোত্রীয় করে ফেলাটা মনে হয় একটু বেশি সরলীকরণ হয়ে যাচ্ছে না?

এইটুকু শুনেই রানাসের মনে পড়ল, সে আসলেই কথার তোড়ে ভেসে যেতে যেতে এক ফাঁকে নিরো কে 'যন্ত্র' হিসেবে সম্বোধন করে ফেলেছে। নাইক্রা স্কেলে যার বুদ্ধিমত্তা ১৯০ এবং যার সংবেদনশীলতা মানুষের প্রায় ৮০ ভাগের কাছাকাছি--- তাকে যন্ত্র বলাটা রীতিমত অপমানজনক। রানাস ব্যস্ত হয়ে বলে, দুঃখিত আমি আসলে তোমাকে যন্ত্র হিসেবে বলতে চাইনি। আসলে হয়েছে কি জানো---

--আপনার অস্বস্তিতে ভোগার কোন কারন নেই। আমি কিছুই মনে করিনি।আমি জানি আপনার এই অস্বস্তির কথা।শুধু আমি নই, আপনার চেনা-পরিচিত অনেকেই ব্যাপারটা জানেন বলেই মনে হয়। আমি এটাও জানি যে, সারা ক্যাম্পাসে আপনি একমাত্র লোক যিনি পুরোনো আমলের গাড়ি চালান। পারতঃপক্ষে রোবট চালানো ট্যাক্সি চড়েন না।

--কথা সত্য। আমি বিজ্ঞানের লোক হলেও খুব বেশি 'টেকি' হয়ে উঠতে পারিনি।

নিরো বলল,যাক গে, আপনাকে আর আটকে রাখছি না। সমুদ্র পারে আপনার এই সান্ধ্য-ভ্রমন আনন্দদায়ক হোক---

--ধন্যবাদ, নিরো।

নিরোর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমুদ্রের পারে এসেই তার মনটা ভীষন ভালো হয়ে গেল। কম্পিউটার মরফোলজি আর প্রথম শ্রেনীর কিছু অপটিক্যাল ইলিউশন এই ছোট্ট হ্রদটাকে দিয়েছে সাগরের মহিমা। ছোট্ট একটা জায়গায় একটা বিশাল স্থানিক প্রেক্ষাপটের আবহ তৈরী করাটাই কেবল জটিল কাজ নয়, দর্শকের মনে সমুদ্র-দর্শনের অনুভূতি জাগাতে হলে প্রাসঙ্গিক আরো নানা জিনিস জুড়তে হয়----যার কোনটাই খুব একটা সহজ নয়। যেমন হ্রদের পারের হাওয়া আর সমুদ্রের হাওয়ার মাঝে তফাৎ রয়েছে। সাধারন লোকেরা হয়ত সেইটা নিয়ে মাথা ঘামায় না কিন্তু এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলোই শেষ পর্যন্ত অনুভূতির মাঝে ফারাক এনে দেয়।

সমুদ্রের পারে যথারীতি বসে আছেন ঈষো।ছোট্ট একটা আরাম কেদারায় গা এলিয়ে,বেশ রঙ্গচঙ্গে শার্ট পরে ঈষো মনে হল আশপাশটা খুব উপভোগ করছেন। ঈষো এককালের ডাক সাঁইটে মনোবিজ্ঞানী। বছর ছয়েক হয় অবসর নিয়েছেন। মন্দ লোকেরা অবশ্য বলে যে তাঁকে 'অবসর করিয়ে' দেয়া হয়েছে। শেষের দিকে তিনি নাকি প্রায় বদ্ধ উন্মাদ হয়ে উঠেছিলেন। রানাসের পাশের এপার্টমেন্টেই থাকেন বলে মাঝে মাঝেই দেখা হয়ে যায়। প্রতিবারই ভদ্রলোক মিষ্টি করে হাসেন,কুশল জিজ্ঞেস করেন। রানাস তাঁর মাঝে পাগলামীর কোন লক্ষণই খুঁজে পায় না।উলটো তার বেশ ভালই লাগে ঈষোর সাথে কথা বলতে।

রানাসকে দেখতে পেয়েই হাত নাড়ছিলেন ঈষো। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল রানাস। চওড়া একটা হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কী হে, ম্যাক্সার রিডলটা সমাধানে কেমন অগ্রগতি হচ্ছে--?

একদিন কথায় কথায় রানাস তাঁকে জানিয়েছিল তার কাজের সম্পর্কে। তখন থেকেই ঈষো দেখা হলেই এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। ঈষোর চেয়ারের পাশে মাটিতে বসতে বসতে রানাস জানালো, সেই জন্যেই তো সাগরের পারে আসা----যদি সাগরের হাওয়ায় চিন্তার জট কিছু খোলে--

-- হা হা হা, আর পড়ানো কেমন চলছে?
--সেইটা তেমন খারাপ না---, আচ্ছা আজ আপনাকে তো ইখট্রাক্টের সেমিনারে দেখলাম না----

ঈষো মনে হল কিঞ্চিৎ গম্ভীর হয়ে গেলেন। খানিকখন চুপ থেকে বললেন, আমি কখনো এইসব মিটিং-এ যাই না, বিশেষ করে সেই মিটিং যদি হয় ইখট্রাক্ট কে নিয়ে-----

শেষের কথাটায় একটা ঝাঁঝ টের পেয়ে রানাস একটু থমকে গেল। জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে কিনা ভাবতে ভাবতে শেষমেষ জিজ্ঞেস করেই ফেলল, আপনার যদি আপত্তি না থাকে,আমি কি জানতে পারি, কেন?

--না, পারো না।নাক গলানো লোকজন আমি দেখতে পারি না।
ঝাঁঝিয়ে উঠলেন ঈষো। রানাস থতমত খেয়ে গেল। সদালাপী,সজ্জন, হাসিখুশি ঈষোর বদলে যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন এখানে বসে আছে। শক্ত হয়ে ওঠা চোয়াল,হিংস্র মুখভঙ্গী দেখে কে বলবে যে ইনিই একটু আগে হাসছিলেন।

--দুঃখিত, আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে।

রানাস পেছন ফিরে হাঁটতে শুরু করে।এত চমৎকার একটা পরিবেশ কেমন যেন তেতো হয়ে উঠেছে রানাসের কাছে।কত কিছুই না প্রযুক্তি আমাদের দিচ্ছে, কেবল আমাদের মনটা প্রয়োজন মত ভালো করে দেবার প্রযুক্তিটা এখনো নাগালের বাইরে।

(চলবে)

/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/

নির্ঘন্টঃ

১।কম্পিউটার মরফোলজি (কাল্পনিক)ঃ ত্রি মাত্রিক সিমুলেশান ব্যবহার করে ইন্দ্রিয়-গ্রাহ্য পরিবেশ,বাতাবরণ তৈরী করা।

২।নাইক্রা স্কেল(কাল্পনিক)ঃ বুদ্ধিবৃত্তি মাপার আই,কিউ পদ্ধতি নিদারুন ভাবে ব্যর্থ হবার পর প্রফেসর নাইক্রা কর্তৃক আবিষ্কৃত একটি অরৈখিক (non-linear) বুদ্ধি মাপার স্কেল। এই স্কেলে একজন সাধারণ মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি শুরু হয় ১০০ থেকে। এই স্কেল ব্যবহার করে কেবল মানুষ নয়, অন্যান্য প্রানী থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটারেরও বুদ্ধি মাপা যায়।

৩।ম্যাক্সার রিডল(কাল্পনিক)ঃ কোয়ান্টাম ইনফরমেটিক্সের(পদার্থবিজ্ঞানের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ব্যবহার করে ইনফরমেশন আদান-প্রদান বিষয়ক শাখা,আবারো কাল্পনিক) সবচাইতে জটিল ধাঁধা।রাগাস্লুভ ইন্সটিটুটে ঘোষণা দেয়া আছে যে, যিনি এই দূরুহ ধাঁধাটির সমাধান দেবেন, ইন্সটিটুটের পক্ষ থেকে তাঁকে আজীবন ষষ্ঠ মাত্রার সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। অপার ক্ষমতাবান বিজ্ঞান পরিষদের সদস্যরা এই বিশেষ মাত্রার সুযোগ সুবিধা উপভোগ করেন। বিজ্ঞান পরিষদের সভাপতি পান সর্বোচ্চ সপ্তম মাত্রার সুবিধা।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

প্রথমেই লাল পতাকা তুললাম পাঠক হিসাবে। কল্পবিজ্ঞানের চরিত্রদের নাম নিয়ে জানাই তীব্র পেতিবাদ। সাধারণ নামগুলি দেখতে চাই কল্পবিজ্ঞানে। জাফর-ইকবাল ঘরানার নামগুলি দেখলেই কল্পবিজ্ঞান নিয়ে প্রত্যাশার পারদ নেমে আসে।

একান্ত ব্যক্তিগত মত। কোন কিছু চাপানোর চেষ্টা করছি না। পাঠকীয় মস্তানি হিসেবে নিতে পারেন আর কি দেঁতো হাসি ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অনিকেত এর ছবি

হিমু,
তোমার পয়েন্ট মাথায় রাখলাম।
পরেরটাতে(যদি আদৌ কোনদিন লেখা হয়) এই পরামর্শ সক্রিয় বিবেচনায় রইবে।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

এমি এর ছবি

অনিকেতদা আপনার সাই ফাই লেখা পড়ে অনেক ভাল লাগছে । একটু কঠিন লাগলেও
মজা পাচ্ছি । মনে হচ্ছে জাফর ইকবালে স্যারের ভাত আপনি শীঘ্রিই মারতে যাচ্ছেন ।

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু এমি---

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনিকেতদা, এত ছোট যে কি বলব, এক ঢোক পানি খাবার আগেই যেন শেষ হয়ে গেল, এতদিন অপেক্ষায় রাখলেন, তারপরে শুরু না করতেই শেষ মন খারাপ । তবে ভালো জিনিষ মনে হয় কম কম খেতে হয় হাসি । লেখা বরাবরের মতই দুর্দান্ত হয়েছে, আগের পর্বে রসায়নের যে গন্ধ পেয়েছিলাম, তার কোন ছিঁটেফোঁটাও এবার রাখেন নি খাইছে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস।
পরের পর্বে কিছু 'রসায়ন' আশা করতে পারো---হে হে হে ---

মামুন হক এর ছবি

হিমু পাগলের সাথে সহমত, তার পরেও লেখায় বিলিওন বিলিওন তারা। বস আমিও একটা সাইফাই লেখতে চাই, তোমারে খুজতেছি আলাপ করতে।

অনিকেত এর ছবি

বস, অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্যে।
আমি নিজেও হিমু আর তোমার সাথে একমত। আগের পর্বে একজনের প্রশ্নের উত্তরে আসলে ব্যাখ্যা করেছিলাম----কেন সাই-ফাই গুলোতে আজগুবী নাম রাখা হয়---সেইটা পড়ে দেখতে পারো--অবশ্য নেহাতই আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গী।

মামুন হক এর ছবি

বস নাম নিয়া আমার কোন আপত্তি নাই, তয় দেশি নাম হইলে এট্টু আপন আপন লাগে এই আর কি, নিতান্তই গ্রাইম্যা চিন্তা ভাবনা হাসি
সাই ফাই লেখার পারমিশনটা দিলানা?

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা ---বস তুমি এগিয়ে চল---

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জাফর ইকবালের প্রভাব কীনা জানিনা, আমার কিন্ত এরকম নামই ভালো লাগে।

অনিকেত এর ছবি

ইয়ে, মানে আমারো কিন্তু খুব ভালই লাগে-----

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কেন জানি, আমারো...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! সবারই যদি খটমটস্কি নাম ভালো লাগে, আমার লাগবে না কেন ?

কিপ্টেমী করে পোস্ট দেয়ার জন্য প্রতিবাদ জানাইলাম.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কীর্তিনাশা এর ছবি

খটমটস্কি নাম আমারো ভীষণ পছন্দ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কেরাবেরা নাম না হলে সাই-ফাই লাগে না মন খারাপ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বইখাতা [অতিথি] এর ছবি

খুব চমৎকার হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি।
নামের ব্যাপারে যদি বলি, আমার ভোট দেশি নামের জন্য।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এতদিন অপেক্ষা করিয়ে মাত্র এইটুকু! আগের পর্বে শেষ হওয়া ঘটনার সাথে এখানকার শুরুর যোগসুত্র পেলাম না, নীশানের কোনো নামগন্ধও নেই মন খারাপ

অধীর অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের...

আর, সাই-ফাই গল্পের চরিত্রের নামগুলো আমারও এরকমই ভাল লাগে। কে জানে, হয়ত জাফর ইকবালের প্রভাব হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।