অযান্ত্রিক(৩)

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ০৬/০৭/২০০৯ - ১০:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্ব)
(দ্বিতীয় পর্ব)

[বিজ্ঞপ্তিঃ সাই-ফাই বলে আমি কিছু কিছু জিনিস,কিছু কিছু ধারনা কল্পনা করে নেবার স্বাধীনতা নিয়েছি।এসবের কিছু কিছু সহজেই ধরতে পারবেন। বাকীগুলোর জন্যে প্রতি পর্ব শেষে একটা নির্ঘন্ট দেবার চেষ্টা করব]

/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\

রাত এগারোটার দিকে দরজায় নক পড়তেই দরজা খুলে হাসি মুখে রানাস বলল, ভেতরে আসুন প্রফেসর ঈষো। ঈষো মনে হয় এইটা আশা করছিলেন না। রানাসের সহাস্য সম্ভাষন মনে হল তাঁকে বেশ থতমত খাইয়ে দিয়েছে। বিব্রত কন্ঠে বললেন,দুঃখিত এত রাতে তোমাকে যন্ত্রনা দেবার জন্যে। তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি যেন জানতেই আমি আসব??!!!

রানাস হেসে বলল, আপনাকে যতটুকু চিনেছি তাতে অবাকই হতাম যদি আজকে রাতে হাজির না হতেন।আসুন, ভেতরে আসুন।

সারা ঘরের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এই মাত্র বিশাল একটা ঝড় বয়ে গেছে এই ঘরের মধ্যে। বই আর কাগজের স্তুপের ভেতর থেকে একটা চেয়ার খুঁজে বের করে সেখানে ঈষোকে বসতে দেয়া হল। রানাস নিজে বসল মেঝেতে।

কিছুখন কারোর মুখেই কথা নেই।
ঈষো নির্নিমেষ তাকিয়ে আছেন মেঝের দিকে।

--একটা রোবট গভর্নেস নিলে তো পারো। ঘরটা গুছিয়ে রাখত। তোমার নানান কাজেও সাহায্য করত।আর এই যে একা একা থাকো--একটা সঙ্গীও হলো--বেশিদিন একা একা থাকলে মানুষ আসলে আর মানুষ থাকেনা--

--তারা আপনার মত হয়ে যায়?

--হা হা হা । প্রায় ঘর ফাটিয়ে হেসে উঠলেন ঈষো। রানাস নিশ্চিত না, তবে তাঁর মনে হল হাসির আওয়াজ কম করে হলেও ১০০ ডেসিবেল ছুঁয়েছে।
রানাস হাসিমুখে তাকিয়ে রইল ঈষোর দিকে। এরকম মন খোলা হাসি ইদানিং কোথাও শোনা যায় না। ডিপার্টমেন্টে এই হাসি দিলে নির্ঘাত শিষ্টতার পঞ্চম ধারা ভঙ্গ হয়েছে বলে ধরা হতো। বলা যায় না---মোটাসোটা ফাইনও হয়ে যেতে পারত।

হাসিটা থামলে ঈষো স্মিত মুখে বললেন, আসলে আমরা মূলতঃ গোষ্ঠীবদ্ধ জীব। সেই বহুকাল আগে থেকেই জীবনের নানান প্রয়োজনে সেই যে মানুষ একাট্টা হল---তারপরে বিবর্তনের লক্ষ লক্ষ বছরের পথ ধরে আমাদের ডিএনএ-তে এই নির্ভরতাটুকু প্রোথিত হয়ে আছে। এখন হয়ত আমাদের আর আগের মত অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় না।কিন্তু ডিএনএ-এর মাঝে এখনো কিন্তু সেই যুথবদ্ধতার ডাক বেজে চলেছে----

এসবই রানাসের জানা কথা।তাই কিছু না বলে চুপ করে হাসিমুখে ঈষোর দিকে তাকিয়ে রইল। মানুষের গোষ্ঠিবদ্ধতার উপর লেকচার দেবার জন্যে নিশ্চয়ই ঈষো রাত এগারোটায় তার বাড়িতে এসে হাজির হননি।

ঈষো খানিকখন চুপ করে থেকে শেষে রানাসের দিকে ফিরে বললেন, আমি যতটুকু তোমাকে দেখেছি---তোমাকে বেশ চালাক চতুর ছেলে বলেই মনে হয়। কাজেই তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ,এত রাতে আমি তোমার কাছে কোন রোবো-গভর্নেস গছিয়ে দেবার প্রস্তাব নিয়ে আসিনি।আমি এসেছি দুটো কথা বলতে। অবশ্য তুমি যদি শুনতে না চাও--তবে অন্য কথা---

রানাস হাসিমুখে বলল, আপনার সাথে কথা না বলতে চাইলে দরজা থেকেই না করে দিতে পারতাম---তাই না?

--ঠিক। মাথা নেড়ে সায় দিলেন ঈষো।একটু থেমে শুরু করলেন,কথা দুটোর প্রথমটা হচ্ছে--তোমার কাছে আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা।আমি আজ বিকেলের ঘটনাটার জন্যে সত্যি ভীষন লজ্জিত। বহুদিন হয় আমি এইরকম বাজে আচরণ কারো সাথে করিনি। হয়ত তোমার কানে এসে থাকবে----একটা সময় আমি প্রায় বদ্ধ-উন্মাদ ছিলাম। প্রায় ছ'বছর আমাকে নিয়মিতভাবে মানসিক-সুস্থতার জন্যে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আমার চাকরীটাও যায় এই কারণেই।

এতটুকু বলে ঈষো থামলেন একটু দম নেবার জন্যে। তারপর উৎসুক চোখে তাকালেন রানাসের দিকে। খুব সম্ভবত আশা করছিলেন রানাস তাঁর এই ক্ষমা-প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত কিছু একটা বলবে।রানাস কে দেখে মনে হলনা যে তার সেরকম কোন পরিকল্পনা আছে।তার বদলে মুখে বেশ চওড়া একটা হাসি ঝুলিয়ে বসে আছে।

কিছুখন অপেক্ষা করে ঈষো নিজে থেকেই শুরু করলেন, দ্বিতীয় যে কথাটা এখন তোমাকে বলতে যাচ্ছি---সেইটে আমি আর কারো কাছেই কখনো বলিনি। এবং আমাকে যদি জিজ্ঞেস করো---কেন তোমাকে বলছি, আমার উত্তর হবে---আমি জানিনা---আমি সত্যিই জানিনা। শুধু এইটুকু জানি---কারো এই ব্যাপারগুলো জানা দরকার---খুব দরকার---

কথার শেষের দিকে এসে ঈষোর গলা স্তিমিত হয়ে আসে।রানাস বুঝতে পারে অবস্থার গুরুত্ব কতখানি। সে মৃদু স্বরে জানায়, প্রফেসর ঈষো, আপনি মন খুলে, নির্ভয়ে আমাকে যে কোন কিছু বলতে পারেন।আপনি যদি চান তাহলে আমি এই কথা দিতে পারি যে, আপনার কথাগুলোর গোপনীয়তা আমি যেকোন মূল্যে রক্ষা করব।

রানাসের এই কথায় কি না কে জানে, ঈষো একটু সহজ হয়ে এলেন মনে হল। চেয়ারটাতে হেলান দিয়ে বসে তিনি শুরু করলেন,

--- আমার কাজের ক্ষেত্র ছিল মূলত ইভোল্যুশনারি সাইকোলজি।২০২০ সালের দিকে আমি একটু একটু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। ওই সময় আমার বেশ কয়েকটা কাজ ইন্টার গ্যালাক্টিক এ-আই রিভিউ লেটার এ ছাপা হয়েছিল। তুমি মনে হয় জানো যে, এই জার্নালটা
আসলে আমাদের মনোবিজ্ঞানীদের সমাজে খুবই নামকরা জার্নাল। যা হোক, ঐ সময়ে আমি হফস্টাডটার-টুরিং টেস্ট নিয়ে কাজ করছিলাম। তুমি কী এই বিষয়ে কিছু জানো?

রানাস মাথা নেড়ে জানাল যে সে জানে না।

--কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্যে অনেক গুলো স্কেল তৈরি হয়েছিল। সবচাইতে নামকরা ছিল টুরিং টেস্ট।এল্যান টুরিং বলেছিলেন যে, কোন কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা রোবট কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী তখনই বলা যাবে যদি একজন মানুষ ও সেই প্রোগ্রাম একই সাথে কোন পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সেই পরীক্ষার পরীক্ষক তাদের উত্তর পত্র দেখে
যদি বের করতে না পারেন কোনটা মানুষের উত্তর আর কোনটা রোবটের উত্তর। সোজা কথায়----যদি কোন প্রশ্নের উত্তরে রোবট এমন কিছু বলে যেটা আসলে কেবল একজন মানুষের পক্ষেই বলা সম্ভব---তখন টুরিং টেস্টে ঐ রোবট পাস করেছে বলা যাবে। এই টেস্টটার সবচেয়ে অসুবিধা ছিল এই যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্নয়ের জন্যে যে টেস্টগুলো তৈরি করা হত সেগুলো আসলে খুব একটা উঁচু পদের হতো না। ফলে অনেক চালাক-চতুর প্রোগ্রাম কেবল মানুষের রেস্পন্সের খুব খাঁটি অনুকরণ করে সহজেই সে পরীক্ষায় পাস করে যেত। তো সেইজন্যে আরো জটিল জটিল টেস্ট তৈরি করা হচ্ছিল। এর মাঝে সবচাইতে জটিল টেস্টটি ছিল হফস্টাডটার-টুরিং টেস্ট।
ডগলাস হফস্টাডটার টুরিং টেস্টের একটা নিজস্ব রূপ দিলেন। তিনি বললেন, যে কোন প্রানী বা প্রোগ্রাম বা রোবট কে তখনই 'সত্যিকারের বুদ্ধিমান' বলা যাবে যদি সে কিছু নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে পারে। সেই নির্দিষ্ট কাজগুলি কী? কাজগুলো হচ্ছেঃ

প্রথমে সেই প্রানীটিকে একটা ভার্চুয়াল জগত তৈরী করতে হবে।
দ্ব্বিতীয়তঃ সেই ভার্চুয়াল জগতে তাকে একটা ভার্চুয়াল প্রানী সৃষ্টি করতে হবে যে কিনা নিজে ঐখানে আরেকটা ভার্চুয়াল জগত তৈরী করবে।
এবং তৃতীয় ও শেষ ধাপ হল---ঐ ভার্চুয়াল জগতে ভার্চুয়াল প্রানীটি হফস্টাডটার-টুরিং টেস্ট পাশ করার মধ্যে দিয়ে নিজেকে বুদ্ধিমান হিসেবে প্রমানিত করতে পারবে।

রানাস প্রায় হৈ হৈ করে উঠল----দ্যুৎ, কী বললেন তো বুঝলামই না। কেমন যেন পেঁচিয়ে গেল মনে হচ্ছে।

ঈষো একটু হাসলেন। বললেন, দাঁড়াও, সহজ করে বলি। এই টেস্ট শুধু সেই পাশ করতে পারবে যে---- একটা ভার্চুয়াল প্রানী তৈরী করে ঐ প্রানীকে দিয়ে এই হফস্টাডটার-টুরিং টেস্ট পাশ করাতে পারবে।

--যা বাব্বা! এতো দেখছি সাংঘাতিক ঘোরালো প্যাঁচানো টেস্ট!!!

এতক্ষন পরে ঈষো একটু শব্দ করে হাসলেন। হাসতে হাসতেই বললেন, অন্য কোন কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা রোবটের কথা বাদ দাও---মানুষ নিজে এই টেস্ট অনেক বছর পাস করতে পারে নি----

---দাঁড়ান, দাঁড়ান---আপনার ২০২০ এর সেই পেপারগুলোতেই কী--??

--নাহ, তুমি আসলেই বিরক্তিকর রকমের চালাক! প্রশ্রয়ের হাসি হাসতে হাসতে ঈষো বলেন, হ্যা ওই পেপারগুলোতে আমি দেখাই কিভাবে একমাত্র মানুষের পক্ষেই শুধু এই টেস্ট পাশ করা সম্ভব---মানুষের তৈরী করা কোন যন্ত্রের পক্ষে সেটা সম্ভব না।

--ওরে দুষ্টু--!!! হাতে কিল মেরে রানাস উত্তেজনায় দাঁড়িয়ে পড়ে।

--ইয়ে কী বললে--ঠিক বুঝলাম না !!! ঈষো কে স্পষ্টতই দিশেহারা লাগে।
--ওহ ,বলেছি "ওরে দুষ্টু"! এইটা একটা ভীষন পুরাতন একটা অভিব্যক্তি। আমি লাইব্রেরীতে বসে হাজার বছর পুরোনো সভ্যতার উপর একটা ডকুমেন্টারী দেখতে গিয়ে এইটা শুনেছিলাম। অনেকটা আমরা এখন যেভাবে 'হাকুল্যা' শব্দটা ব্যবহার করি আর কি--।

---ওহ,দারুন তো! ঈষো মনে হল বেশ মজা পেয়েছেন। বার কয়েক নিজে নিজে আউড়ে নিলেন।

রানাসের এই দিকে মন নেই। সে ভীষন অস্থির পায়ে ঘরময় হেঁটে বেড়াচ্ছে। কপালে জমেছে চিন্তার ভাঁজ।

--আচ্ছা একটা জিনিস বলুন তো---প্রফেসর ইখট্রাক্টের সেই Quaternary logic এর উপর ভিত্তি করে যেসব বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরী করা হয়েছিল
তারা কেউ কি এই টেস্টটা পাশ করেছে?

মুখে মিটিমিটি হাসি নিয়ে ঈষো জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী মনে হয়?

--সর্বনাশ!! তারমানে আমাদের নবম প্রজন্মের নিরো---?

--হ্যাঁ। সেও এই টেস্ট পাশ করেনি!
--বলছেন কী এই সব?
--তোমার তো মনে হচ্ছে আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না।স্বাভাবিক। যার নামে বদ্ধ-পাগল হবার লেবেল সাঁটা আছে--তার কথা বিশ্বাসযোগ্য না লাগাটাই স্বাভাবিক। আমি হলেও তাই করতাম। আর এইজন্যেই আমি কিছু গোপনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে এসেছি। পকেট খুলে একটা নীল রঙের ডাটা মড্যুল বের করে রানাসের হাতে দিতে দিতে ঈষো বললেন, এইখানে তুমি সব পাবে। আমি অনেক কষ্টে আমার কাজের সম্পূর্ণ বিবরণ, ইখট্রাক্টের সাথে আমার দ্বন্দ্ব, তারপর কীভাবে ইখট্রাক্ট বিজ্ঞান পরিষদে তাঁর প্রভাব খাটিয়ে আমাকে হেনস্থা করে, চাকুরীচ্যুত করে---সবকিছুর ডকুমেন্ট এখানে তুমি পাবে। আমি জানতাম যে আমার উপর একটা বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে--তাই আমি পাগল হবার আগেই এইসব কিছু জমিয়ে রাখছিলাম। ঠিক যখন সব গুছিয়ে এনেছি এবং বিজ্ঞান পরিষদের সামনে সেগুলো পেশ করতে যাব--তখনি---

ঈষো চুপ করে গেলেন।

--কিন্তু, কিন্তু একটা জিনিস বুঝছি না। আপনি এত জায়গা থাকতে এই রাগাস্লুভে এসে হাজির হলেন কি চিন্তা করে? আপনি কী জানতেন না যে ইখট্রাক্টের সাথে আপনার গোলমাল বাঁধতে পারে???

---সত্যি কথা হল, আমি আসলেই ভাবতে পারিনি। আর ঐ সময়টাতে আমার অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভাল ছিল না। কাজেই এক গ্রীষ্মে যখন ইখট্রাক্টের কাছ থেকে এখানে একটা খন্ডকালীন চাকুরির অফার পাই তখন আমি আর না করিনি। একে তো টাকার অঙ্কটা ছিল বিশাল---আর একই সাথে ইখটাক্টের সাথে কাজ করার সুযোগ। সব মিলিয়ে আমি ভীষন খুশি হয়েছিলাম। এখানে আসার পর আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম---ইখট্রাক্ট আসলে আমার সাথে গবেষণা করার ব্যাপারে উৎসাহী না। সে তার সমস্ত সময়-মেধা-অর্থ ব্যয় করছে কীভাবে আমার সেই থিওরীটা ভুল প্রমান করা যায়---তার সুলুক-সন্ধান করতে। আস্তে আস্তে আমার গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত করে দেয়া হল। রাগাস্লুভের বাইরে আমার যাতায়াত, অন্যদের সাথে যোগাযোগ সব কমিয়ে আনা হল। পরিস্থিতি টের পেয়ে দুইবার পালাতে চেয়েছি এখান থেকে। প্রতিবারই
ধরা পড়েছি---আর প্রতিবারই আগের বারের চেয়ে বেশি যন্ত্রনা ও কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। একবার, আমার মনে আছে, আমাকে টানা ৭২ ঘন্টা ঘুমুতে দেয় নি। আমি ডায়াবেটিক। আমাকে ইন্সুলিন নিতে না দিয়ে প্রায় মেরেই ফেলেছিল। শুধু আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব যারা বাইরে ছিলেন---তারা আমার এই রকম উধাও থাকতে দেখে সন্দেহ করা শুরু করেছিলেন। তাদের অনুরোধে আন্তঃনক্ষত্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের একটা বিশেষ গ্রুপ আমার সাথে দেখা করতে আসে। কিন্তু তত দিনে আমি আর আমি নেই----আমি জানিনা তাদের ইন্টারোগেশান সেলে থাকতে আমাকে কী করেছিল---আমার কিচ্ছুই মনে নেই। শুধু জানি পুরো দুই বছর আমি নাকি বদ্ধ উন্মাদ হয়েছিলাম। কাউকে চিনতাম না। সবাইকে তাড়া করতাম রাস্তায়। প্রায় তিন বছর পর আমি একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পেতে থাকি। ততদিনে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। বিজ্ঞান পরিষদে জানিয়ে দেয়া হয়েছে আমি নাকি কাজের চাপ সইতে না পেরে পাগল হয়ে যাই। পরের তিন বছরের মাঝে আমার চেনা পরিচিত প্রায় সকল বিজ্ঞানী নানান দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এখন আমি রাগাস্লুভের কাছ থেকে মাসে মোটা মাসোহারা পাই।চুপচাপ নিজের মনে থাকি। মনে করার চেষ্টা করি---আমার শৈশবের কথা,কৈশোরের কথা---স্ত্রী সন্তানের কথা---কিছুই তেমন মনে পড়ে না----জানি না তারা আমার মাথাটায় কী করেছে--শুধু এখনো মাঝে মাঝে একটা বন্য ক্রোধ চড়ে বসে--আমি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। দূর্ভাগ্যক্রমে আজ তুমি এই রকম একটা মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছিলে---আমি আসলেই দুঃখিত।

--আরে কোন ব্যাপার না। হাত নেড়ে রানাস জানায়।খানিক খন চুপ করে থেকে বলে, তার মানে দাঁড়াচ্ছে এই যে নানা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এমনকি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান পরিষদ যে বিপুল পরিমান অর্থ লগ্নী করেছে এইখানে, যদি প্রকাশ পায় যে আসলে গোটা ব্যাপারটাই ভাওতা তাহলে তো ইখট্রাক্টের বিরাট সমস্যা।

--হুমম, সেটা তো আছেই। সমস্যা আরো অন্যদিকেও রয়েছে। তুমি শেষ কবে ইখট্রাক্টকে সামনা-সামনি দেখেছ?

--"শেষ কবে" আবার কি? আমি কখনোই তাকে সামনা সামনি দেখিনি। প্রতি বছর তার ঐ সেমিনারগুলোতে যাই, যদি তার দেখা মেলে। এখানে আছি প্রায় বছর তিনেক হল। একবারও তো দেখিনি। এত ব্যস্তও মানুষ হয়??!!

--অথবা--
--অথবা কী?
-- হয়ত ইখট্রাক্ট আর এখানে নেই। হয়ত তার হয়ে কেউ গোটা জিনিসটা চালাচ্ছে। অথবা হয়ত সে আছে এবং কোন গভীর গোপনীয় প্রকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। লোক সমক্ষে আসাটা তার জন্যে নিরাপদ নয়। মোট কথা---অনেক ধরনের সম্ভাবনা আছে---কিন্তু কোনটা যে ঠিক সেটা জানার কোন উপায় নেই----

রানাসের কপালের ভাঁজ আরো গভীর হয়।

---আপনার ঠিক কী কারনে মনে হল যে, তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে? তাঁকে গত কয়েকবছর লোক সমক্ষে দেখা যায় নি---এই কারণে?

--আমি যতটুকু ঈখট্রাক্টকে দেখেছি---সে খুবই যশপ্রার্থী লোক।নামযশের জন্যে তার অশ্লীল ধরনের লোভ ছিল। সে জন সমক্ষে আসার সুযোগ কোন অবস্থাতেই মিস করবে না। বিশেষ করে সেই আয়োজন যদি তাঁর নিজের পেপার নিয়ে হয়।

--হুমম----

---আর এছাড়া আরেকটা কারনও আছে বলে মনে হয়।

--কী?

--আমি মাথা খারাপ লোক বলে এক ধরনের সুবিধা উপভোগ করি। সেটা হল মাঝে মাঝে আমার সামনেই লোকজন বেফাঁস কথা বলে ফেলে। বছর তিনেক আগে একটা পাবে গিয়ে নিখটার পান করতে করতে আমি শুনতে পাই দুটো মাতালের আলাপ। কথা শুনে মনে হচ্ছিল তারা ইখট্রাক্টের নিজের ল্যাবে কাজ করে। তারা বলছিল, কী রকম ভাবে রাগাস্লুভে কিছু হিউম্যানয়েড ছাড়া হয়েছে---যারা বাহ্যিক দিক থেকে একেবারেই মানুষের মত। এমনকি সংবেদনশীলতা,অনুভুতি--সব কিছুতেই মানুষের সমকক্ষ। এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে আমাদের মাঝে--একটা পরীক্ষার অংশ হিসেবে।ইখট্রাক্টের দল দেখার চেষ্টা করছে কোয়ার্টারনারি লজিক সিস্টেমে চালিত এই হিউম্যানয়েড গুলো আসলে কতটুকু 'মানবিক' হয়ে উঠতে পারে।তারা আমাদের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের সাথে ওঠা-বসা করছে---যাতে করে আমাদের অজান্তে আমাদের মত হয়ে উঠতে পারে----

--কিন্তু তাতেই বা সমস্যা কী?

-- তুমি কী বিগত শতাব্দীগুলোতে লেখা সাই-ফাইগুলোর কথা ভুলে গেছ? প্রায় আশি ভাগ সাই-ফাই গুলোতে এই রকমের একটা পরিস্থিতি নিয়ে গল্প সাজানো হতো। অ-মানুষেরা ধীরে ধীরে ক্ষমতা করায়ত্ত করে নিচ্ছে---হটিয়ে দিচ্ছে মানুষদের---পড়নি এই রকম কিছু??

রানাস হেসে উঠতে যাচ্ছিল। কিন্তু ঈষোর মুখ দেখে বুঝল, তিনি ঠাট্টা করছেন না। ঈষো সত্যি সত্যিই এইরকম কিছু ভাবছেন।

ঈষো কে বিদায় দিয়ে এসে ঘড়িতে দেখল ভোর হবার আর মাত্র দুই ঘন্টা বাকী। কী যে একটা অদ্ভূত দিন গেল!

দুই ঘন্টার জন্যে একটু গড়িয়ে নিতে গেল রানাস। গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে সে দেখতে পেল বিশাল একটা নৌকোর ভেতর থেকে ঈষো তাকে বলছেন সাবধান, খুব সাবধান---আর তার পাশেই বিষন্ন একজোড়া সবুজ চোখে কে যেন তার দিকে নিস্পলক তাকিয়ে আছে। খুব চেনা চেনা লাগছে।কিন্তু নামটা কেন জানি মনে পড়ছে না। সেই মুহুর্তেই রানাসের মনে হল---এর নামটা তার জানা খুব জরুরী--খুব খুবই জরুরী।মাকড়সার মত ঘুম তাঁকে আস্টেপৃষ্ঠে জালে জড়িয়ে টেনে নিয়ে যেতে লাগল কোন এক অতল গহবরের দিকে---হাত বাড়িয়ে সেই সবুজ চোখের মানুষটিকে একবার ধরার চেষ্টা করল, অস্ফুট কন্ঠে ডাকল এই,এই যে শুনছ? এই যে, শুনতে পাচ্ছ---????

তার চোখের সামনে চেনা-অথচ-অচেনা এক জোড়া সবুজ চোখ কে নিয়ে নৌকোটা কুয়াশায় হারিয়ে গেল।

(চলবে)

<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><
নির্ঘন্টঃ

ইন্টার গ্যালাক্টিক এ-আই রিভিউ লেটার(Inter galactic AI review letter: IARL)(কাল্পনিক)ঃ মনোবিজ্ঞানের সবচাইতে সম্মানীত জার্নাল। প্রফেসর ইখট্রাক্ট, প্রফেসর ঈষো দুই জনেরই প্রচুর লেখা এইখানে প্রকাশিত হয়েছে।

হফস্টাডটার-টুরিং টেস্ট(Hofstadter-Turing test)(বাস্তব)ঃ
এইটে সম্পর্কে উপরে লেখাতেই বর্ণনা দেয়া হয়েছে।ডগলাস হফস্টাডটার ১৯৮২ সালে তার "Coffee House Conversation " নামক প্রবন্ধে এই ধারণাটি নিয়ে আসেন।

নিখটারঃ(কাল্পনিক) এক ধরনের স্নায়ু প্রশান্তিকারী পানীয়।

হিউম্যানয়েডঃ(কাল্পনিক) অর্ধ-যান্ত্রিক মানব। এদের বাহ্যিক রূপ সম্পূর্ণ ভাবে মানবিক। তবে আভ্যন্তরীণ কাঠামোর ৮০ ভাগ যান্ত্রিক।


মন্তব্য

মামুন হক এর ছবি

ফাটাফাটি হইছে বস। যাই আরেকবার পড়ে আসি।

অনিকেত এর ছবি

আরে বস, তুমি এর মাঝে পড়ে ফেলেছ???
থ্যাঙ্কু বস--তোমার সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে।

ভাল থাকো সব সময়।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব বেশি ভালো। পরবর্তী লেখা পড়ার অপেক্ষায়....

আশরাফুল আলম রাসেল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনেকটা আমরা এখন যেভাবে 'হাকুল্যা' শব্দটা ব্যবহার করি আর কি--

গালি গালাজ দেখি একটি সংক্রামক ব্যাধি, গড়াগড়ি দিয়া হাসি চোখ টিপি

বস, অতি অসাধারণ হয়েছে, আর এই পর্বের দৈর্ঘও ঠিক আছে, পড়ে অনেক শান্তি পেলাম, আগের বারের মত চিপা দিয়া কোনা মারেন নাই দেঁতো হাসি

আর ঘটনাও বেশ জমে উঠেছে, আশা করি এ সিরিজ যেন কখনও শেষ না হয়। রসা্যনের লোভে মনটা আকুপাকু করছে

তুমি কী বিগত শতাব্দীগুলোতে লেখা সাই-ফাইগুলোর কথা ভুলে গেছ?

মনে হচ্ছে আপনার কল্পনা আপানকেও হারা মানাচ্ছে হাসি

চলুক, দৌড়াক, উড়ুক, ভাসুক, আর যা যা মন চায় ... ... ...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ রাসেল।
শুভেচ্ছা জানবেন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত, অনিকেত'দা। খুবই ফাটাফাটি লাগল। চলুক না, দৌড়াক। পরের পর্ব পড়ার জন্য খুবই আগ্রহ হচ্ছে। তবে গল্পের পরিণতি নিয়ে আমি একটা আন্দাজ করেছি। সেটা দেখি শেষ পর্যন্ত মিলে যায় নাকি। হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আবার পড়তে হবে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিকেত এর ছবি

সেরেছে---
বেশি জটিল করে ফেলছি নাকি শিমুল??

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি শেষ হলে পড়বো, কোনো রিস্ক নেওয়া নেই। যদি লাস্ট এপিসোডের আগে লেখক চা-বাগানে পথ হারান তাইলে শেষটা কী হত ভেবে রাতের ঘুম নষ্ট করার ইচ্ছা নাই। হাসি

অনিকেত এর ছবি

রাজর্ষী দা,

এইটা কী বস ঠিক হচ্ছে?? শেষ হোক তারপর পড়ব বলে সবাই পাশ কাটালে কেমনে কী? মন খারাপ

যাই হোক অসুবিধা নাই। এক সময়ে পড়ে আমাকে জানালেই খুশি হবো।

শুভেচ্ছা রইল।

মূলত পাঠক এর ছবি

আজকে একটা সিরিজ লেখা শুরু করার কথা ভাবছিলাম, তখনই এই কথাটা আমার মনে এলো, সবাই যদি এমন ঘাপটি মেরে শেষের আশায় বসে থাকে তাহলে তো মুশকিল। তখন নিজের সমর্থনে একটা যুক্তি সাজালাম। সাসপেন্স আর ক্লাইম্যাক্স থাকলে শেষ অবধি বসে থাকা অ্যালাউড, না হলে পর্ব পর্ব পড়া যেতেই পারে (মাঝ পথে লেখক কেটে পড়লেও শেষটা কী হলো জানার জন্য পাঠককে ছটফট করতে হবে না)।

বুঝতেই পারছেন, আমি সাসপেন্স সিরিজ লিখছি না শিগগির। হাসি

তবে আপনার লেখা পড়ে ফিডব্যাক দিচ্ছি এই পর্বেই।

[রাজর্ষি: হ্রস্ব-ই কার হবে। আবার সরি-টরি বলতে যাবেন না।]

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। উদগ্রীব হয়ে।
একটা অনুমান আছে, শেষ পর্যন্ত মেলে কিনা দেখবো। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ তুলিরেখা।
ভাল থাকবেন

শুভেচ্ছা।

মূলত পাঠক এর ছবি

খুব ভালো লাগলো, আশাতীত রকমের ভালো। বিশেষতঃ হফস্টাডটার-টুরিং টেস্ট-এর রিকার্সিভ লজিকটা বেশ চমকপ্রদ। পরের পর্বের জন্য হাপিত্যেশ করতে হবে এবার, এটাই যা সমস্যা।

বানান নিয়ে একটু পণ্ডিতি ফলাই।
পর্ব ১:
বিদ্ব্যৎ, দূর্দান্ত, মূহুর্ত্তে, ওরাং-ওটান/ওরাং-ওটাং (দু রকমের বানান দেখলাম), হেটে
পর্ব ২:
ধারনা, কারনটা, ভ্রমন, ডাক সাঁইটে, দূরুহ
পর্ব ৩:
অদ্ভূত, নিস্পলক

অনিকেত এর ছবি

রাজর্ষি দা

অনেক অ-নে-ক ধন্যবাদ কষ্ট করে এই লেখাটা পড়ার জন্যে। তারচেয়ে বেশি ধন্যবাদ বানান ভুল গুলো ধরিয়ে দেবার জন্য। ভবিষ্যতে সতর্ক হবো।

শুধু একটা জিনিস নিয়ে বড়ই শরমিন্দা লাগছে। বারবার আপনার নামের বানান ভুল করি। শেষে প্রফেসর ঈষোর সাথে যোগাযোগ করতে হলো। তিনি ভবিষ্যত থেকে জানালেন যে আসলে আমি 'দীর্ঘ ই' দিয়ে আপনার প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালবাসা প্রকাশ করি। হাসি
পরে তিনি আরো যোগ করলেন যে, ২০২৫ এর পর থেকে নাকি সবাই নাকি রাজর্ষি নামের যে কাউকে 'রাজর্ষী' বলে ডাকে। চোখ টিপি

এসবই কিন্তু প্রফেসর ঈষোর কাছ থেকে শোনা। তাঁর সাথে বোঝাপড়া করতে চাইলে ২০২৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন---হে হে হে ----

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি তুমুল

হাততালি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মূলত পাঠক এর ছবি

নামঘটিত সমস্যার জন্য আমার ভবিষ্যতে যেতে হয় না, সুদূর অতীতেই এক বিলেতি ভদ্রলোক নামে-কীবা-আসে-যায় বলে সব গোল মিটিয়ে দিয়ে গেছেন। দীর্ঘ ঈ লেখায় কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই, তবে ঐ চিঠিতেই বানান ভুল নিয়ে কথা বলেছি কি না, তাই এই বানানটার কথা না বলে ছাড়ি ক্যাম্নে? হাসি

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা -----

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক বস... দৌড়ানিতে চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিকেত এর ছবি

ঠিক হ্যায় বস----

কীর্তিনাশা এর ছবি

দুর্দান্তিস একটা সাইফাই হচ্ছে। চলুক

ঝড়ের বেগে কিবোর্ডে আঙুল চালান বস্ । বেশি অপেক্ষায় রাখলে পিছের কাহিনী গায়েব হয়ে যাবে মন থেকে। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিকেত এর ছবি

তথাস্তু----

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দ্রিমু দ্রিমু ক্ররেন, ম্রাগার দ্রেন ত্রো ন্রা, টাল্টি বাল্টি থুইয়া পরের পর্ব নামান, নাকি আরেক সপ্তাহ বসায় রাখবেন আমাদের? দরকার পড়লে প্রফেসর রানাসকে ইউডি তে নিয়া আসেন, গাড়ী নষ্ট হইলে আমি আর স্রীনি তো আছি, হাজার হইলেও সে বেটা পুরানা আমলের (১৯৯৭) গাড়ী চালায়, ঐটা তো নষ্ট হইবেই, শুনলাম তার পিছের চাকার ব্রেক শুতে আওয়াজ করে? চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

আপনার এখনো মানুষের গাড়ির ব্রেক ঠিক করার শখ যায়নি ?

অতিথি লেখক এর ছবি

কম্পিউটার নিয়ে বাংলা ভাষায় সাইন্স ফিকশন নেই বললেই চলে, যদিও সাইন্স ফিকশন থাকলেই কম্পিউটার থাকেই তবুও শুধুমাত্র কম্পিউটার বা কম্পিউটিং থিউরি নিয়ে কিছু পাইনি। যদিও রাসেল-নরভিগ 'এর কল্যানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থেকেছি (এতো প্যাঁচরে বাবা!) তবুও লেখাটি পড়ে বেশ মজা পাচ্ছি।

লেখাটি দ্রুত শেষ করা হোক। এই আবদারটি থাকছে।

_______
চিন্তিত (sajjadfx@জিমেইল.কম)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।