শুভ জন্মদিন হে দুঃখী রাজকুমার--

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১৬ - ১১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুভ জন্মদিন রবিন!

আজ বেঁচে থাকলে তার বয়েস ৬৫ হত। কিন্তু রবিন আর কখনো বুড়ো হবেন না। সিনেমাতে, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ইভেন্টস গুলো আর মাতিয়ে বেড়াবেন না। হাসাতে হাসাতে সবাইকে অস্থির করে তুলে পরক্ষনেই সবাইকে কাঁদিয়ে ফেলবেন না।

না, রবিন উইলিয়ামস নামের এই হাসিমুখের দুখী মানুষটাকে আর কোথাও দেখা যাবে না। কথাটা হয়ত সম্পূর্ণ সত্যি নয়--কারণ তাকে বার বার দেখার জন্যে তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন প্রায় শতাধিক ছবি আর অসংখ্য ফুটেজ। যা তিনি দিয়ে যান নি কাউকে তা হলো তার অন্তরের ব্যথার খবর। সবাইকে হাসানোর কাজ ছিল যার--সেই লোকটাই ভুগছিল নিরাময়াতীত বিষন্নতার রোগে। ভাগ্যের সে কী সুমহান প্রহসন! সেই আশির দশক থেকে শুরু হয় তার যুদ্ধ---বিষন্নতা আর ড্রাগের বিরুদ্ধে---আর ২০১৪তে এসে তিনি আত্ম-সমর্পন করেন। Good will Hunting, Dead Poet's Society, The Birdcage, Good Morning, Vietnam, Hook, Zumanji, Mrs Doubtfire এবং আরো অসংখ্য স্মরণীয় চলচ্চিত্রের বরণীয় চরিত্রে প্রাণ এনে দেওয়া রবিন আমাদের সবার কাছে শেষ পর্যন্ত কি রয়ে গেলেন একজন পরাজিত মানুষ হয়ে?

না, আমি রবিনকে পরাজিত মানুষ ভাবি না।

অনেকে বলেন যে আত্মহত্যা হচ্ছে স্বল্পমেয়াদী সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান। আমি মনে করি এর মত ক্রুর কঠিন আর অমানবিক মন্তব্য খুব কম হয়। আমরা কেউ কোন দিনও জানতে পারব না রবিন উইলিয়ামস বা তার মত অন্য যারা বিষন্ন হতে হতে এক সময় হারিয়ে গেছেন পৃথিবীর বুক থেকে--তাদের মনের কথা, তাদের প্রতিদিনের যুদ্ধের কথা। ২০০৬ সালে ডায়ান সয়ারের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবিন বলছিলেন তার মনের অবস্থার কথা,'এটা অনেকটা গহীন এক পাহাড়ের খাদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকার মত---যার ভেতর থেকে উঠে আসছে এক ভীষন কোমল কন্ঠস্বর, সেই স্বর বড় মধুর গলায় বলছে,'ঝাঁপ দাও' !!

রবিনের সাথে আমার পরিচয়--অনেক ছোটবেলাতে, তার বিখ্যাত Mork & Mindy সিরিয়ালের হাত ধরে। প্রথমেই এই ছটফটে, সব সময় প্রাণশক্তিতে ভরপুর লোকটা আমাকে ঠিক আকৃষ্ট করতে পারেন নি। কিছুটা সময় লেগেছিল আমার তাকে ভাল লাগতে গিয়ে। ঐ সময়ে বিটিভির একটা অনবদ্য আঙ্গিক ছিল---মুভি অব দ্য উইক। পশ্চিমের তাবৎ তাবৎ বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রতি শুক্কুরবারে আমাদের বাড়িতে হানা দিত। সেই মুভি অব দ্য উইকের সুবাদে হঠাৎ করেই আমার দেখা হয়ে যায় Awakenings নামের ছবিটি। এই ছবিতে রবিনের কোন কৌতুকময় চরিত্র ছিল না। রবিন এখানে একজন আধ পাগলা নিউরোলজিষ্ট হিসেবে কাজ করছেন এক হাসপাতালে যেখানে অনেক রোগী প্রায়-কোমাগ্রস্ত হয়ে (Catatonic state) শয্যাশায়ী হয়ে আছেন বেশ অনেক বছর ধরে। ১৯১৭ - ২৮ পর্যন্ত এনসেফালাইটিস লেথার্জিকা-র যে মহামারী দেখা গিয়েছিল এরা সেটারই ফলাফল। এই ছবিতে রবিনের চরিত্র, যেটা আসলে বিখ্যাত নিউরোলজিষ্ট অলিভার স্যাকস-এর চরিত্রের আদলে গড়া, একটা নতুন ড্রাগ আবিষ্কার করে ঐ হাসপাতালে দশ বছর ধরে অচেতন-প্রায় রোগীদের মাঝে জীবনের সাড়া ফিরিয়ে আনেন। আমি ছবিটা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম--প্রধানত দুটি কারণেঃ

ক) ছবির বিষয়বস্তু, অভিনয়, বিশেষ করে রবিনের অভিনয় একেবারে অসাধারণ পর্যায়ের। আমি এই রকম ছবি এর আগে কখনো দেখিনি
খ) রবিন, যে লোকটা মর্ক এন্ড মিন্ডিতে ক্রমাগত লাফালাফি-ঝাপাঝাপি করে দাবড়ে বেড়াচ্ছে--সেই লোকটা এমন (প্রায়)শান্ত-সুস্থির চরিত্রে এত মানবিক অভিনয় করতে পারবে--আমার বিশ্বাস হয়নি

বলতে গেলে এই ছবিটা দেখে আমি লোকটার অভিনয় ক্ষমতার বিশাল ভক্ত হয়ে উঠি। তারপর খুঁজে পেতে তার প্রায় সব ছবি দেখে ফেলি। দেখা হয় Good Morning,Vietnam,Dead Poets Society। মজার ব্যাপার হল, আমার নিজের ডেড পয়েটস সোসাইটি দেখার কিছুদিন পরই হাতে আসে হুমায়ুনের আত্ম-জীবনীমূলক বই গুলোর একটা (নাম মনে করতে পারছি না---হয় ‘অনন্ত অম্বরে’, নয়ত ‘হোটেল গ্রেভার ইন’) যেখানে উনি বর্ণনা করছিলেন ডেড পয়েটস প্রথম দেখার অনুভূতিটা। ছবিটা তিনি দেখছিলেন যখন গভীর রাতে--বাসার সকলে তখন ঘুমে। হুমায়ুন ছবি দেখে এত মুগ্ধ হলেন, তিনি গিয়ে তার স্ত্রীকে ডেকে ঘুম থেকে তুললেন এবং তারপর দুজনে মিলে আবার ছবিটি দেখেন। এইটা পড়ে, অস্বীকার করব না, আমার নিজের অনুভূতির সাথে অনেক মিল পেয়েছিলাম এবং মনে হচ্ছিল যে আসলে এই রকম পরিস্থিতিতে একটা বউ থাকাটা এমন খারাপ কিছু নয় (উল্লেখ্য, বয়েস আমার তখন হয়ত ১৮/১৯)।

এর বেশ কিছু দিন পর আমার দেখার সৌভাগ্য হয় Good Will Hunting ছবিটি। এই ছবিটি নিঃসন্দেহে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ১০ ছবির মাঝে একটি হবে। এই ছবির অভিনেতা ম্যাট ড্যামন আর তার শৈশবের বন্ধু বেন এফ্লেক। তাদের লেখা চিত্রনাট্য নিয়ে নির্মিত এই ছবিতে ম্যাট ড্যামনের সাথে অভিনয় করেছিলেন রবিন উইলিয়ামসও। রবিনের চরিত্রটি ছবিতে আসে বেশ পরে। ততখনে আমরা ম্যাটের অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ দর্শক! কিন্তু যে মুহূর্তে স্ক্রীনে রবিন এলেন---এরপর থেকে ঐ ছবিটা কেবল রবিনের হয়ে গেল! আমি প্রচুর ছবি দেখি। জীবনের একটা বড় সময় আমি ছবি দেখে কাটিয়েছি। আমি বুকে হাত দিয়ে প্রায় শপথ করে বলতে পারি--রবিনের ঐ ছবিতে পার্ফর্মেন্সের কাছাকাছি আসা খুব দুরূহ---এমনকি রবিনও আর সেই উচ্চতায় ফিরতে পারেন নি কখনও। তার পরের ছবির মাঝেও কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ আছে (ওয়ান আওয়ার ফটো, ইনসমনিয়া)--কিন্তু গুড উইল হান্টিং-এর রবিনকে আমি আর দেখিনি।

এর মাঝে হাডসন আর ডেলাওয়ার নদী দিয়ে অনেক জল অতলান্তিকে হারিয়ে গিয়েছে। রবিন অনেকটা চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন--আমরাও তাকে মনের আড়ালেই রেখে দিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই আবার খবরে ফিরলেন তিনি--২০১৪তে নিজের বাড়িতে আত্মহত্যার করার মাধ্যমে ! তার এই অকাল প্রয়াণ এতটা অপ্রত্যাশিত ছিল যে সারা পৃথিবীই শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সি এন এন পর্যন্ত ইরাক যুদ্ধ আর ইবোলা আক্রমনের খবর এক পাশে সরিয়ে রেখে প্রচার করছিল তার চলে যাবার খবর। হঠাৎ করেই আমাদের সবার আবার মনে পড়ে গেল হাসিখুশী মানুষটার কথা। ক্রমে ক্রমে আমরা যখন জানতে পারলাম তার বিষন্নতার সাথে অসম যুদ্ধের কথা, নিজের ক্ষত লুকিয়ে রেখে আমাদের সবার আনন্দের জন্যে তার হাসিমুখ তুলে ধরে রাখার কথা---তখন অজান্তেই কেন জানি নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। বহু বছর ধরে বিষন্নতার সাথে যুঝতে থাকা এই আমিও তার মাঝে খুঁজে পাই আরো এক অভিন্নহৃদয় বন্ধুকে, এক সহযোদ্ধাকে, এক সহযাত্রীকে! আরো একবার আমার মনে পড়ে গেল সেই অমর বাণীটি--আমাদের প্রিয় অতিমানবরা আসলে আমাদের মতই রক্ত মাংসে গড়া মানুষ, বাস্তবতা, আমাদের মতই, তাদের বুকেও রক্ত ঝরাতে জানে!

বিষন্নতার করাল গ্রাস ছিনিয়ে নিয়েছে এমন অনেক অমূল্য প্রাণ আমাদের কাছ থেকে। আমরা যদি সতর্ক না হই--হয়ত আরো নেবে। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে আমেরিকাতে প্রতি ৫ জনের মাঝে একজন ভুগছেন এই মনোবিকলনে। প্রতি বছর কেবল আমেরিকাতেই ১৫ মিলিয়ন মানুষ (যাদের বয়েস ১৮ এবং তার উপরে) এর শিকার হয়। Disability-adjusted life year বা DALY সূচকে পৃথিবীর ১ নম্বর ডিপ্রেসড দেশ হলো---আমেরিকা! আমাদের নিজের দেশও খুব একটা পিছিয়ে নেই--এই সূচকে আমরা আছি ৪র্থ অবস্থানে! যদি এর মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়--আগামী ২০২০ সালের মধ্যে হৃদরোগের পরেই প্রাণ-সংহারী রোগ হয়ে দাঁড়াবে বিষন্নতা।

বিষন্নতা নিয়ে আমাদের বিজ্ঞানীরা এখনো কাজ করছেন। নতুন নতুন ঔষধ আসছে একে মোকাবেলা করার জন্য। কিন্তু এ সবকিছুর চেয়ে বড় প্রয়োজন--আত্মসচেতনতা। বিষন্নতার লক্ষণ গুলো চিনুন, জানুন এবং আপনি বা আপনার কাছে কেউ যদি দিনের পর দিন বিষন্নতায় ভুগতে থাকেন তাহলে তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখান। আমাদের সমাজে বিষন্নতা এখনো একটা ট্যাবু শব্দ। আমাদের দেশে বাসে-ট্রেনে লোকজন যৌন অক্ষমতার তথাকথিত ‘কার্যকরী’ ঔষুধ বিক্রী করে উচ্চস্বরে। অনেকে আগ বাড়িয়ে কিনেও ফেলেন। অথচ মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলেই সারা পৃথিবী আমাদের ভাসুর মশায় হয়ে পড়ে! আমাদের বুঝতে হবে যে এই মানসিক সমস্যা গুলোও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতই আমাদের সমান মনোযোগ দাবী করে।

আমাদের সবার মাঝে সচেতনতা জাগ্রত হোক--এই কামনা রইল!

আবারো শুভ জন্মদিন রবিন, হে দুখী রাজকুমার!

পুন:সংযোজনঃ রবিনের মৃত্যুর পরে জানা যায় যে, বিষন্নতা তাকে কাবু করে ফেললেও-- অনেক দিন ধরে যুঝতে থাকা রবিন ঠিকই জানতেন তার শত্রুকে। ডাক্তারী পরীক্ষায় জানায়, রবিন বিষন্নতার পাশাপাশি ভুগছিলেন Lewy Bodies নামের আরেকটা নিউরোলজিক্যাল ডিসোর্ডারে। অনেকে মনে করেন তার আত্মহত্যার পেছনে এর শক্তিশালী হাত ছিল

পুনঃ পুনঃসংযোজনঃ লেখাটি ফেসবুকে প্রকাশিত নোটসের কিঞ্চিত পরিমার্জিত রূপ


মন্তব্য

সোহেল ইমাম এর ছবি

রবিন উইলিয়ামস আমারও প্রিয় অভিনেতা। শুধু প্রিয় বললে হয়তো ভুল হবে সেই ছোটবেলার Mork & Mindy থেকে তার অজস্র ছবির মাধ্যমে কেন জানি খুব কাছের মানুষ মনে হতো। বিদেশী অভিনেতাদের কাউকেই এতোটা কাছের মনে হয়নি কখনও। ষ্টিভেন স্পিলবার্গ শিণ্ডলারস লিস্ট ছবি করবার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী যুদ্ধবন্দিদের কথা ভাবতে ভাবতে প্রচণ্ড বিমর্ষ হয়ে রবিন উইলিয়ামসকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন ‘আমাকে হাসাও’। মনখারাপের দিন গুলোর জন্য তারছবি গুলো রয়ে গেল, ওদেরই একটা হয়তো দেখতে দেখতে আমরাও বলবো আমাদের হাসাও, তোমার অদ্ভুত অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে দাও।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অনিকেত এর ছবি

মনখারাপের দিন গুলোর জন্য তারছবি গুলো রয়ে গেল, ওদেরই একটা হয়তো দেখতে দেখতে আমরাও বলবো আমাদের হাসাও, তোমার অদ্ভুত অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে দাও।

--আসলেই! ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্যে!

তিথীডোর এর ছবি

মুভি দেখার সময় পাশে বউ থাকা অবশ্যই প্লাসপয়েন্ট। দেঁতো হাসি

বহু লোকজন জানেই না বিষন্নতা আসলে কী? কেউ হয়তো আদতে ক্লিনিক্যালি ডিপ্রেসড, উপরে হাসি-ঠাট্টার মুখোশ এঁটে থাকে, ভেতরের মলিন মুখটা লুকায়। কেউ কেউ সেই চেহারাটাকেই আসল ধরে নেয়। স্রেফ মন খারাপ হওয়া/করে থাকা মানেই বিষন্নতা নয়, ধুর মিয়া.. আসলে সুখে আছো তো তাই এসব ঢং করো- বলে কাউকে উড়িয়ে দেওয়াও বিষন্নতার নিদান নয়। সিমপ্যাথির দরকার নেই, স্রেফ সঙ্গ দিন বন্ধুটিকে, স্রেফ একটু সাহায্য করুন।
সেদিন সবজান্তার লেখায় একটা মন্তব্যে দেখলাম, প্রাথমিক পর্যায়ে বিষন্নতার কার্যকরী ওষুধ ঘুম। সমস্যা হলো সেই পর্যায় পেরিয়ে আসার পর খালি চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। খাদের কিনার থেকে ক্রমাগত যে স্বর বড় মধুর গলায় বলে চলে,'ঝাঁপ দাও', তাকে এড়ানো শক্ত।

লেখা ভালো হয়েছে, সেজন্য লগালাম। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ তিথী---ভাল থাকিস সব সময়ে!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

রবিন উইলিয়ামসের খুব কম সিনেমাই দেখেছি। প্রথম দেখছিলাম ফ্লাবার, খুব কম বয়সে। ওই বয়সের জন্য ছবিটা ভালো ছিলো। গুড উইল হান্টিংয়ের রবিন চমৎকার। তার আর কিছু সিনেমা দেখে ফেলতে হবে।

লেখা ভাল্লাগছে। আমার মনেহয় একজন মানুষ বেঁচে থাকেন অন্যদের এরকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্মরণীকায়। নয়তো ৪৫ আর ৬৫'তে তেমন পার্থক্য কই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিকেত এর ছবি

আমার মনেহয় একজন মানুষ বেঁচে থাকেন অন্যদের এরকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্মরণীকায়। নয়তো ৪৫ আর ৬৫'তে তেমন পার্থক্য কই!

--সেইটাই বস!

অতিথি লেখক এর ছবি

যদি দেখে না থাকেন তাহলে inside the actors studio-এ তার ইন্টারভিউটা দেখেন। নামেই ইন্টারভিউ কিন্তু আসলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা স্ট্যান্ড আপ ছাড়া আর কিছু না। ইন্টারভিউ শুরু হবার প্রথম ৫-৬ মিনিট হোস্ট প্রশ্ন করার কোন সু্যোগ পান নাই কারণ দর্শকদের হাসি আর করতালি থামে নাই। অতিরিক্ত হাসার কারণে দর্শকদের একজনকে শেষে হাসপাতালে নিতে হইসিলো। ইউটিউবে অনেক ক্লিপ পাওয়া যায় কিন্তু পুরোটা একসঙ্গে এখন আর পাই না।

বি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

একটা ছোটখাট ডিপ্রেশানের চাপের মধ্যে থাকার সময় 'ডেড পোয়েটস সোসাইটি' মুভিটা দেখতে বসেছিলাম ছবিটা সম্পর্কে একদম কিছু না জেনেই। যখন সমস্যা নিয়ে একটা নাভিশ্বাসের মতো অবস্থায় যাচ্ছিল সময়, ঠিক সেই সময়ে ছবিটার শেষ দৃশ্যটি বুকের একদম গভীরে গিয়ে স্পর্শ করে কেমন একটা আশ্বাসের মতো দেখালো এবং আশ্চর্যজনকভাবে আমার সেই চাপটা হালকা হতে থাকে তারপর থেকে। যখনই মনে পড়ে সেই ঘটনা আমি খুব কৃতজ্ঞ বোধ করি তাঁর উপর। তাঁর প্রতি বাড়তি একটা ভক্তি জমা হয় তখন থেকেই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।