গরম লেখার গরম খবর

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৮/২০০৭ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল ব্লগে লেখা বাদ দিয়েছি। কারণ, খুবই যুক্তিযুক্ত। আজকাল পড়ি। পড়তে গিয়ে লেখার সময় পাই না। পড়েই গরমের দিনে গরম আরও বাড়ে। হাত বাড়িয়ে ফ্যানের স্পীড বাড়িয়ে দেই। এছাড়া, লেখালেখি করে বাঁশডলা খেতে চাই না। ড: আনোয়ার হোসেন সামরিক বাহিনীর কাছে ক্ষমা চেযেছেন, সেটা একটু আগে ব্রেকিং নিউজি হিসেবে দেখলাম। আর্মীর হাঁটুতে নেমে আসার বুদ্ধির বহর দেখে হাসি। আরে ব্যাটা একজন প্রফেসর আর্মীর কাছে করজোরে ক্ষমা চাইল তা সাংবাদিক সম্মেলন করে লাইভ টিভিতে দেখালেই তো জনতা আরও ভাল করে বুঝত বাঁশডলা কাকে বলে? বেকুব কাকে বলে? যাক, কিছু গরম লেখার লিংক দিয়ে আমি সটকে যাই। এমনিতেই ইন্টারনেট কানেকশন ঝড়ের দিনের মোমবাতির শিখার মতো কম্পমান, কাটলে আবার জোড়া লাগে না। পড়ে দেখুন গরম লেখা কাকে বলে?

১)মনসুর ইব্রাহীমের লেখা লেকচারস এন্ড রিয়েলিটি: গরম লেখা কাকে বলে? পারলে কেউ কি বাংলায় অনুবাদ করে পোস্ট করবেন?

২)সাব্বির আহমেদের এ লেসন নট লার্ন্ট ওয়েল। হাঁটুতে নেমে আসা বুদ্ধিতে আর কতো লেসন নেবে?

৩)সাজ্জাদ জহিরের লেখা: উই ডিডন্ট স্টার্ট ফায়ার। বিলি জয়েলের গান দিয়ে শিরোনাম। তাহলে প্রশ্ন, দেন হু? এতে ডিজিএফআইয়ের বাঁশডলা নিয়ে হালকা বর্ণনা আছে। এক্সপেরীয়েন্স থেকে লিখেছেন কি না জানি না।

মানবাধিকার আর গণতন্ত্র নিয়ে অনেকে অনেক ব্লগ সাইটে লেখেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে যারা এসব ব্যাপার নিয়ে খুব লেখালেখি করেন তাদের ব্লগ সাইটে, এসব বিষয় নিয়ে তাদের আকস্মিক নীরবতা খুব অস্বস্তিকর। তারপরও যারা সরাসরি জলপাই কীর্তন গাইছেন তাদের চেয়ে তারা কি কম হীনমন্যতায় ভুগেন? দয়া করে উদাহরণ চাইবেন না। উদাহরণ চাইলে অনেকের ব্যাগ থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসবে।


মন্তব্য

হযবরল এর ছবি

বাংলা ছবি বানিয়ে ফেলেছে পুরো বিষয়টাকে। এখন পর্দা কাঁপিয়ে খালি 'ওয়াসিম' এর আসা বাকী। এসেই 'নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা' বলে দেশোদ্ধারে নামাটা বাকী আছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জলপাই বুদ্ধি হাঁটু থেকে নেমে গোড়ালিমুখী। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আড্ডাবাজ এর ছবি

বাঁশডলা নিয়ে সর্বশেষ খবর পড়ুন:
ঢাকা, আগস্ট ৩০ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে অন্য একটি মামলায় চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চার দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সা¤প্রতিক ঘটনায় জরুরি বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে শাহবাগ পুলিশের দায়ের করা আরেকটি মামলায় আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতে দুই অধ্যাপক অভিযোগ করেছেন, রিমান্ডে নিয়ে তাদের মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে গত ২৩ আগস্ট গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২৫ আগস্ট শনিবার তাদের মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করার পর শাহবাগ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। (আরও তথ্যসহ-২)

সেই রিমান্ড শেষে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তারা দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে সেই তথ্যগুলো গোপন রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে তিনটায় তাদের মহানগর মুখ্য হাকিম মুহাম্মদ সালেহ উদ্দীনের আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, শাহবাগ থানার উপÑপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম আরেকটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চান।

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দুই অধ্যাপক অভিযোগ করেন, তাদের শাহবাগ থানায় নয়, চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার উসকানিদাতা তারা ছিলেন না।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, "আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে আমাকে। যেখানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সেখানে ১৯৭৬ সালেও আমাকে নেওয়া হয়েছিল।"

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে তিনি জানতে চান, "সেদিন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সুরাহা করার জন্য শিক্ষক সমিতির হয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সভা করেছিলাম। আজ আমাদের কেন এভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে?"

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, "আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার সামনে অন্যদের শারীরিক নির্যাতন করে দেখানো হয়েছে। "
অধ্যাপক হারুন-অর রশিদ বলেন, "২৩ আগস্ট থেকে গত সাতদিন আমি অজ্ঞাত জায়গায় ছিলাম। মানসিকভাবে আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক। আমরা ছাত্র পড়াই। এই ছাত্ররাই দেশের কর্ণধার হয়। আমি আদালতের সামনে স্বস্তির সঙ্গে কথা বলতে চাই।"

বলুন তো তারপরও নীরব থাকি কিভাবে?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমার সব ঘৃণার থুতু এইসব অত্যাচারির দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছি। থু..থু...ছি: থু...থু..।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অতিথি এর ছবি

হায় একদা দুঃসাহসী আনোয়ার! তোমার ভাই কর্নেল তাহেরকে জিয়া ফাঁসীতে ঝুলিয়েছিলেন। তিনি পঙ্গু ছিলেন, তুমি তাঁর ক্রাচটা ব্যবহার করেছিলে, যখন পুলিশ ২০০২ সালের জুলাই মাসে শামসুন্নাহার হলে পুলিশের বর্বরতার বিরুদ্ধে তোমার জ্বালাময়ী বক্তৃতার সময়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছিল। কিন্তু এবার যৌথবাহিনীর অত্যাচারে তোমার মনের সহজাত সাহস ভেঙ্গে গেছে মনে হলো। তাই তুমি ক্ষমা চাইলে সেই বর্বরদের কাছেই। লজ্জায় ফেললে সব ছাত্র-ছাত্রী, সব শিক্ষককে, কারণ তুমি মাফ চাইলে সবার পক্ষ থেকে, যাদের অধিকাংশই এ ব্যাপারে কোন ভাবেই যুক্ত ছিল না !

তবু তো মুক্তি মিলল না। আবার রিমান্ড। এর পরে ফিরে এসে কি বলবে?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নীরবতা বোধহয় খুব বেশি একটা চোখে পড়ে নি আমার । যারা লেখার তার ঠিকই লিখছেন।

কিছু কনফিউশন অবশ্য সৃষ্ঠি হচ্ছে অনেকের মনে।সেটি হচ্ছে "হোয়াট নেক্সট?" এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়,তাহলে কি আবার আরেক আঠাশ অক্টোবর দেখার জন্য ফিরে যেতে হবে।এটা হচ্ছে সাধারন আশংকা,আমার পরিচিত মহলে।

ব্যক্তি হিসেবে আমি মনে করি গনতন্ত্রের অভিযাত্রা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প কখনোই নেই।

আর মুখোশের আড়ালে থাকা ভদ্রদের খোলস খুলে যেতেও বেশি সময় লাগে নি।
সেই বিভৎস চেহারা দেখেও হয়তো অনেকে হতবাক।

-----------------------------------
ঢাকার ভূমে ফিরেছে একাত্তর/প্রস্তুতি নে,সময় হলো তোর..

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আড্ডাবাজ এর ছবি

আরিফ,
আমি সচলের লেখক বা বাংলা ফোরামের লেখকদের ব্যাপারে বলছি না। যারা মানবাধিকার বলে কিছুসংখ্যক ব্লগে মুখের ফেনা উপচে তুলেন সেসব অপগোন্ডদের যখন সামরিক বাহিনীর পদলেহন করতে দেখি তখন তাদেরকে ধিক্কার দেওয়া ছাড়া আর কিছু দিতে পারি না। সময়মতো সেসব ধিকৃত ব্লগসাইটের পরিচিতি সবাই জানবে।

হযবরল এর ছবি

মনসুর ইব্রাহিমের লেখাটা পড়লাম। দারূণ। আপনাকে ধন্যবাদ লিংকের জন্য।

অমিত আহমেদ এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল লিঙ্ক। ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আড্ডবাজ ভাই,

আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশ থেকে কম লেখা এসেছে যতটা না এসেছে বিদেশ থেকে। এটা সঙ্গত কারণেই হয়েছে। তবে শক্ত এবং বিশ্লেষণধর্মী লেখা দেশ থেকে একেবারেই আসেনি (আমার জানা মতে)। অন্য ব্লগের কথা জানিনা।

সৌরভ এর ছবি

এই শাসনে আপনি ভালো নেই - জোর গলায় বললে তেনারা আপনার বাড়িতে এসে মতবিনিময় করে যাবেন বলেছেন।
(আরিফ ভাইয়ের কমেন্ট অন্য একটা লেখায়!)

দেশের ভিতরে থেকে কে যায়, গায়ে পড়ে বিপদ ডেকে আনতে?



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতিথি (এহেছান লেনিন) এর ছবি

কয়েকটি লেখার লিঙ্ক থাকাতে নতুন কিছু পড়ার সুযোগটা পেলাম। ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।