লন্ডনে অস্থায়ীভাবে বাস করতে আসা সুসংস্কৃত এক চৈনিক পরিব্রাজকের জবানিতে লেখা এই চিঠিগুলো, যা লন্ডনের একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই চিঠিগুলোই ‘দি সিটিজেন অভ্ দি ওয়ার্ল্ড’ নামে পুস্তক আকারে প্রকাশ পায়।
পত্র ১
রাশান কারাভানের মাধ্যমে চীনের পিকিং-এর সেরেমোনিয়াল অ্যাকাডেমির প্রথম প্রেসিডেন্ট ফুম হোয়াম-এর উদ্দেশ্যে মস্কোর অধিবাসী ফিপসিহির কাছে লিয়েন চি আলতাংগি-র প্রেরিত
হৃদয়ের ভার যদি এই কাগজের ওপরে নামিয়ে রাখতে না পারতাম আর আমার মনের মানচিত্র প্রতিদিন যদি তোমাকে পাঠাতে না পারতাম, তাহলে, স্বর্গীয় জ্ঞানের অধিকারী, হে আমার প্রিয় বন্ধু, কী দুঃসহই না হয়ে উঠত এই দুর্লঙ্ঘ্য দূরত্ব আমার কাছে!
প্রতিদিনই আমি একটু একটু করে এখানকার পরিবেশ আর মানুষজনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছি। এমনকি এমন স্বপ্নও দেখছি যে, একসময় হয়ত এখানকার মানুষজনকে- শুরুতে যেমন ভেবেছিলাম- তার চেয়ে সমৃদ্ধ, দানশীল আর অতিথিবৎসল বলে আমার মনে হবে। তাদের আচার-ব্যবহার আর রীতি-নীতির কিছু কিছু শিখতে শুরু করেছি। আর আমাদের রীতি-নীতি, যা থেকে বিশ্বের অন্য সব জাতি শিষ্টাচারের শিক্ষা নিয়েছে, তার সঙ্গে এদের পার্থক্যের কারণও বুঝতে শুরু করেছি।
রুচির পার্থক্য সত্ত্বেও, অথবা আমার পছন্দ হবে না- এমন একধরনের পূর্বনির্ধারিত ধারণা সত্ত্বেও আমি ভাবতে শুরু করেছি, এখানকার রমণীরা অন্তত সহনীয়। কোনোরকম অপছন্দের ভাব ছাড়াই তাদের বিরক্তিকর নীল চোখের দিকে এখন আমি তাকিয়ে থাকতে পারি, এবং তাদের গজদন্তের-চেয়েও-সাদা দাঁতের সারিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে পারি। আমি এখন ভাবতে শুরু করেছি, সৌন্দর্যের কোনো বিশ্বজনীন মানদণ্ড নেই। আসলে এখানকার মেয়েদের আচার-ব্যবহার এতটাই মুক্ত আর হৃদয়গ্রাহী যে, তাদের অন্তরে-নিহিত সৌন্দর্য তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের অভাবের ক্ষতি পূরণ করেছে বলে আমার মনে হতে শুরু করেছে। তাদের কালো দাঁত নেই, অথবা বৃদ্ধাঙ্গুলির সমান পায়ের সৌন্দর্য থেকেও তারা বঞ্চিত, তবুও তাদের মন আছে, প্রিয় বন্ধু; আর সে মন মুক্ত, আকর্ষণীয়, অতিথিবৎসল ও হৃদয়গ্রাহী। লন্ডনের রাস্তায় মেয়েদের কাছ থেকে একরাতেই রাত্রিযাপনের যত আমন্ত্রণ আমি পেয়েছি, পিকিং-এ বারো চন্দ্রমাসেও তা পাইনি।
প্রতি সন্ধ্যায় নিঃসঙ্গ পরিব্রাজন শেষ করে যখন ঘরে ফিরি, তখন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাস্তায় এ ধরনের সুবেশা অতিথিবৎসল রমণীর সঙ্গে আমার দেখা হয়। তারা দামি পোশাক পরে থাকে; আর তাদের মনও তাদের সৌন্দর্যের চেয়ে কম সমৃদ্ধ নয়। তুমি তো জান, কোনো বিচারেই আমার চেহারা সুন্দর নয়। তবুও তারা আমার এই আটপৌরে চেহারা নিয়ে আপত্তি করে না; আমার চৌকো চেহারা আর চ্যাপ্টা নাক দেখে আমাকে ঘৃণা করে না। তারা বোঝে, আমি এখানে আগন্তুক, আর তারাও যেন এর চেয়ে বেশি কিছু চায় না। এমনকি তাদের সাধ্যমত আমাকে তুষ্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করাকেও তারা যেন তাদের কর্তব্য বলেই মনে করে। এদের মধ্যে একজন তো আমাকে প্রায় জোর করে বগলদাবা করে ফেলে। অন্য একজন আমার গলা জড়িয়ে ধরে এই অতিথিপরায়ণতার অংশ হতে চায়। আর তৃতীয় একজন- সে আরো দয়ালু- দ্রাক্ষারস পান করে আমার মন-মেজাজ চাঙ্গা করে নেবার আমন্ত্রণ জানায়। ইংল্যান্ডে দ্রাক্ষারস শুধু ধনীদের জন্যই সংরক্ষিত, অথচ সেই দ্রাক্ষারসও এখানে আগন্তুকদের পরিবেশন করা হয়।
কয়েকদিন আগে এমনই এক রাতে এই উদারচিত্ত প্রাণীদের একজনÑ সম্পূর্ণ সাদা পোশাকে আবৃত- উল্কার মত ঝলমল করতে করতে আমার কাছে এসে প্রায় জোর করে ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিল। আসবাবপত্র আর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জাঁকজমক দেখে সে মুগ্ধ হয়ে গেল বলে আমার মনে হল। অবশ্য মুগ্ধ সে হতেই পারে, কারণ এই ঘরটির জন্য সপ্তাহে দু’শিলিং করে আমাকে ভাড়া গুনতে হয়। কিন্ত এখানেই শেষ নয়; তার সৌজন্য আরো অবশিষ্ট ছিল। যাবার সময় আমার ঘড়িটি দেখে সেটি মেরামত করা প্রয়োজন জেনে সে তার এক আত্মীয়কে দিয়ে সারিয়ে দেবে বলে নিয়ে গেল। বুঝতেই পারছ, এর ফলে আমার বেশ কিছু খরচ বেঁচে যাবে। শুধু তাই নয়, সে আমাকে আশ্বস্ত করে গেল যে, এতে আমার কোনো পয়সা লাগবে না আর কয়েকদিনের মধ্যেই ঘড়িটি আমি ফেরত পেয়ে যাব। ফলে, এখন আমি এ উপলক্ষে একটি কৃতজ্ঞতাভাষণ রচনা করতে শুরু করেছি: “হে স্বর্গের গুণে গুণান্বিতা মহিয়সী, আমি ধন্য, কারণ দীর্ঘ ও কষ্টকর এক অভিযাত্রার পর এমন একটি নিষ্পাপ দেশ আর এমন মানবতাবোধনিষিক্ত মানুষজনের সন্ধান লাভ করতে পেরেছি। এর পর হয়ত এখন-পর্যন্ত-অনাবিষ্কৃত অন্য কোনো দেশ ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে আমি পড়ব, কিন্ত তোমার বক্ষপিঞ্জরে যার অধিষ্ঠান তেমন পবিত্র আত্মা আর কোথায় পাব? নিশ্চয়ই শিন শিন তার চঞ্চু দিয়ে খাইয়ে তোমাকে বড় করেছে, অথবা নিশ্চয়ই তুমি ঐশী জিন হিউং-এর স্তনধারা পান করে বড় হয়েছ। তোমার কণ্ঠসুধা চং ফৌ-এর কাছ থেকে তার শাবককে ছিনিয়ে আনতে পারে, অথবা পারে জলতলবাসী বোহ-কে অন্ধ অনুসারীর মত চালিত করতে। তোমার এই অনুগ্রহের কথা এই ভৃত্য চিরকাল মনে রাখবে এবং একদিন চীনকন্যাদের কাছে তোমার এই অনুগ্রহ, নিষ্ঠা ও সততা নিয়ে গর্ব করবে।”
বিদায়।
মন্তব্য
বাকি চিঠি কবে আসবে?
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
চিঠি আসতেই থাকবে, যদি আপনারা পড়তেই থাকেন। আপনার আগ্রহ দেখে প্রেরণা পাচ্ছি।
.......................................................................................
Simply joking around...
পড়া শুরু করলাম। এই অনুবাদের নিয়মিত পাঠক হিসেবে আমাকে পাবেন।
একটা প্রশ্ন ছিল, চিঠিগুলো কি আসলেই কোন চৈনিক পরিব্রাজক লিখেছেন নাকি পরিব্রাজক গোল্ডস্মিথের বইয়েরই একটি কাল্পনিক চরিত্র?
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসি ও ইংরেজি সাহিত্যে নতুন এক ধরনের রীতি প্রবর্তিত হয়- এতে প্রাচ্যদেশীয় পর্যটকের ছদ্মবেশে লেখক তাঁর নিজের দেশের সমাজ, রাজনীতি, মূল্যবোধ, সাহিত্য, ইত্যাদি বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রহসনের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতেন। প্রাচ্যদেশীয় পর্যটক বা দার্শনিকের ছদ্মবেশ ধারণের প্রধানতম কারণ সম্ভবত এই যে, সেই সময়ে চীনাদেরকে সবচেয়ে দার্শনিক, যুক্তিবাদী ও নির্মোহ জাতি হিসেবে দেখা হত। (আজও মনে হয় তাই।) ফলে, লেখকরা তাঁদের নিজেদের বৈপ্লবিক ধ্যানধারণা চৈনিক দার্শনিকের ভাষ্য হিসেবে প্রচার করতে আগ্রহী হতেন। আর ভিনদেশী দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে কোনো ধরনের মানসিক বাধা ছাড়াই পাঠকদের চিন্তার খোরাক হত এগুলো।
মন্তেস্কু-র ‘লেতরে পারসেঁ (পারসিয়ান লেটারস)’, দ্য ফ্রেনি-র ‘সিয়ামিজ লেটারস’, ও ‘দি টার্কিশ স্পাই’-এর ধারাবাহিকতায় লেখা হয়েছে ‘দি সিটিজেন অভ্ দি ওয়ার্ল্ড’। এই সিটিজেন অভ্ দি ওয়ার্ল্ড-টি আদি ও অকৃত্রিম গোল্ডস্মিথ ছাড়া আর কেউ নন। আর আমরা দেখতে পাব ছদ্মবেশে তিনি কতটাই হৃদয়গ্রাহী।
অনেক মাস্টারি করে ফেললাম, ভাই। ক্ষমা করে দেবেন। আমার কোনো দোষ নেই। যত দোষ, সব আপনার ওই নামের।
.......................................................................................
Simply joking around...
এতোদিনে নামের সুবিধা পাইতে শুরু করলাম। আমি কিন্তু আসলেই শিখতে চাই, যদিও নামটা এক বন্ধুর (পরিবর্তনশীল) দেয়া। আমার মাথায় প্রথমে এই নাম আসে নাই।
তথ্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আপনার ঝরঝরে অনুবাদ আমাকে আগ্রহী পাঠক করে তুলল
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
প্রশংসা পেতে কার না ভাল লাগে? তবুও খুশি হব যদি সমালোচনা করেন।
আসলেই ভাল লাগল। পরবর্তী চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
ধন্যবাদ।
সৌভাগ্যক্রমে আসল বইটা আমার লগেই আসে এখন। আমি আবার পড়তাসি আপনারটার লগে। সুতরাং, দিরং করবেননা। তাড়াতাড়ি দেন। একসাথে আগাই।
ভাল হইসে।
বিপদে পড়ে গেলাম ভাই। মনে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন। জানি না কত নাম্বার পাব আপনার কাছে।
শুধু একটা অনুরোধ, তিক্ত হলেও সমালোচনা করবেন। আর আমার পোস্টিং শেষ হলে আপনার বইটির একটা ফটোকপি হলেও পেতে ইচ্ছা করি।
গুগল বুক্স থেকে বইটির পিডিএফ পাবেন এখানে।
বাংলা একাডেমীর অনুবাদটির শিরোনাম ছিলো "বিশ্ব নাগরিক"। সম্ভবত আশির দশকের শুরুতে বেরুনো।
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
রাগিব ভাই, নেট থেকে বই ডাউনলোড করার ভাল কয়েকটা লিঙ্ক দিতে পারেন?
পাইরেট সাইটের লিংক দিবো না , তবে অনেক ক্লাসিক বইই এখন পাবলিক ডোমেইনে এসে গেছে। গুগল বুক্সে এসব আছে, আর তা ছাড়াও প্রজেক্ট গুটেনবার্গের বিশাল সংগ্রহ তো আছেই।
http://www.gutenberg.org
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
গুটেনবার্গেতো প্লেইন টেক্সটে বই পাই... একদম ফালতু লাগে দেখতে... গুগল বুকসও আমি যা চাইতেসি, ওইগুলা কিনতে কয়...
কয়েকটা পাইরেট সাইটি দেন না... বড় ভাই না আপনে!! আর, গুটেনবার্গ থেকে কি পিডিএফ করা যায় বা আসে?
ধন্যবাদ। গুগল থেকে বইটি আমি নামিয়েছি। এটা হচ্ছে আসল বই, যেটা আমি পড়েছিলাম। অথচ আমার কাছে যেটা আছে, মানে যেটা থেকে আমি অনুবাদ করছি, সেখানকার প্রথম চিঠি আর এই প্রথম চিঠির মধ্যে কোনো মিলই নেই। আমার বইটিতে আছে সর্বমোট তেতাল্লিশটা চিঠি। আর এখানে আছে একশ বাইশটি। কী কাণ্ড!
এখন কী করা যায়, পরামর্শ দিন। আমার মনে হয়, পিডিএফ-টি যখন পাওয়া গেল, তখন না হয় প্রথম থেকেই শুরু করি।
কী বলেন আপনারা?
মাত্রতো একটি চিঠি এখানে অনুবাদ করেছেন, এখন না হয় পিডিএফ অনুসারে প্রথম থেকে শুরু করেন। বইটার বাংলা একাডেমী সংস্করণ পড়ে বেশ মজা লেগেছিলো ... স্যাটায়ার হিসাবে দারুণ।
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
ওস্তাদ! আপনারে দেইখা বড়ই খুশী লাগতাছে। লেইখা যান। বড়ভাইয়ের অসুস্থতার সংবাদে চিন্তিত আছি। আশা করি সেরে উঠবেন।
কিছু কিছু বিষয়ে পাদটীকা পেলে সুবিধে হতো। শিন শিন, জিন হিউং, চং ফৌ, বোহ - এই সব কে বা কী, সাধারণ পাঠকের জানার কথা নয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই জিনিসগুলো যে আমিও জানি, তা নয়। মূল বইতে এ-বিষয়ে কোনো টীকা-ফিকা আমি পাইনি। অন্তর্জাল ঘেঁটেও বিশেষ সুবিধা করতে পারিনি। অবশ্য লাভের মধ্যে চীনদেশীয় বেশ কিছু রূপকথা পড়া হয়ে গেছে। বেশ কিছু চীনা বন্ধুকেও এ নিয়ে জ্বালাতন করে মেরেছি। তারা তো বটেই, এমনকি তাদের বাবা-মা প্রজন্মেরও কেউ কোনো দিশা দিতে পারেনি। আমার মনে হয়, এ-যুগের শিশুদের কাছে খোক্কস, জীয়নকাঠি, নীলকমল, ডাইনিবুড়ি যতটা অচেনা, শিন শিন, চং ফৌ- এরাও হালের চীনাদের কাছে ততটাই বিদেশী। আর গোল্ডস্মিথ তো একেবারে আদিম জিনিস। তার রেফারেন্স তো নিশ্চয়ই আদিমতর।
http://www.archive.org/details/worksofolivergol00goldrich
ধন্যবাদ।
.......................................................................................
Simply joking around...
নতুন মন্তব্য করুন