এক.
রেস্তোরাটার নাম 'অন্তরে'।আজিজ মার্কেটে কয়েক বছর পরে এসেছি তাই নাম বদলেছে না আগেরটা আছে খেয়াল করতে পারছি না।টেবিল ঘিরে অনেক কজন ব্লগার।আমার বাম পাশে বাকি বিল্লাহ,জামাল ভাস্কর ,মৌসুম,ঠুনকো।
ডানপাশে অমি রহমান পিয়াল,কালপুরুষ,কৌশিক,অন্যমনস্ক শরৎ।
উল্টোদিকে ব্রাত্য রাইসু আর শোহেইল মোতাহির চৌধুরী।
কার সৌজন্যে যেন আসে গরম গরম লুচি আর তরকারি। আর কেউ অর্ডার দেন পায়েস,আসে লাল চা,দুধ চা।
চায়ের কাপে ঝড় ওঠে।শোহেইল মোতাহির চৌধুরী উস্কে দেন স্বাধীনতা আর পাকিস্তানিদের প্রতি জাতীয় ঘৃণা প্রসঙ্গ।রাইসুর ভিন্নমত আর তার সাথে আবার ভিন্নমত পিয়াল ভাইয়ের।আসে একের পর এক জমাট প্রসঙ্গ। এমন কি রিফাত রহমানের জামর্ান ভাষা শেখানোর প্রানান্ত প্র
"গত ছয় মাসে লন্ড্রি সাবানের বিক্রি কমলেও ডিটারজেন্ট পাউডারের বিক্রি বেড়েছে আগের তুলনায় প্রায় টুয়েন্টি পার্সেন্ট। নতুন আইটেম হিসেবে আমাদের কোম্পানীর ডিটারজেন্ট পাউডার যে মার্কেট পেয়েছে - এরকম চললে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা টোটাল মার্কেটের ফিফটি পার্সেন্ট শেয়ার ক্যাপচার করে ফেলবো...।"
শুনে ভ্রু কুঁচকে উঠে আদিল রহমানের।
ইশারায় থামায় মোহাইমেন চৌধুরীকে। মোহাইমেন চুপ হয়ে যায়।
"ডিটারজেন্ট পাউডার এসে যদি লন্ড্রি সাবানের মার্কেট দখল করে তাহলে লাভ
আমি ব্ল্যাক কফি খাই ।
দুধ না , চিনি না, কেবল এক মগ গরম জলে এক চামচ কালো কফি ।
জলের পরিমান ঠিক আছে আজো ।
কেবল কফির পরিমান বেড়ে গেলো কয়েক চামচ ।
খা হারামজাদা , তিতা খাবি যখন ভালো করে খা !
খাচ্ছি এখনো ।
কোনো প্রতিক্রিয়া নেই ।
যেহেতু প্রতিক্রিয়া জানানোর স্বাধীনতা আমি কফি কিনতে গিয়েই বিকিয়ে দিয়েছি।
বিগত লেখায় সংশয় প্রকাশ করেছিলাম, তত্ত্ববধায়ক সরকারের তত্ত্ববধান করবে কে? রাষ্ট্রপতি অথর্ব এবং নৈতিক যোগ্যতাহীন একটা অবস্থানে নিজেকে নিমজ্জিত করেছেন।তাই তার পক্ষে হাল ধরা সম্ভব না। এবং তার অক্ষমতা এবং অথর্বতা এবং নৈতিকতাহীনতার দায় বহন করছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সকল নাগরিক। কিছু উন্নাসিক মানুষ অবশ্য আমার অবস্থানকে পছন্দ করবেন না। আমার ভেতরে এই তত্ত্ববধায়ক সরকার শুধুমাত্র ঋণাত্বক অনুভুতির জন্ম দিচ্ছে।
এত ফলাও করে কার্যত অকার্যকর দেশ বলে ব্যাপক প্রচারণার পর দেশকে গতিশীল এবং গনতান্ত্রিক করার জন্য এ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অবতারনা। এবং এই তত্ত্ববধায়ক সরকার ভীষণ রকম অগনতান্ত্রিক আচরন করছেন।
গনত্নরের প্রধান দাবী স্বচ্ছতা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ, ই
হীরক রাজার দেশে যে সময়ের ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয় ঠিক একই রকম একটা উটকো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে। জরুরী অবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। বর্তমান নির্দেশনা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রায় ঐশ্বরিক একটা আবহ নিয়ে এসেছে- কোনো রকম প্রশ্ন করা যাবে না, কোনো রকম মত প্রচার করা যাবে না যার রাজনৈতিক একটা ভবিষ্যত আছে। মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক চরিত্র ধারন করে অতএব মানুষের সবগুলো আলোচনার ভিতরে কোথাও না কোথাও রাজনীতির গন্ধ আছে। মানুষ কি তবে আলোচনা বন্ধ করে দিবে?
প্রধান উপদেষ্টা তার উদ্্বোধনী ভাষণে যা বলেছিলেন তা থেকে আচমকা সরে এসেছেন। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার সীমিত লঙ্ঘন হবে অনুমান ছিলো সেখানে এখন ভয়ংকর একটা নির্দেশ জারি হয়েছে। এবং এই আ
নোটিশ বোর্ড
আমি নিজস্ব বিবেচনায় বলছি- আমি উটকো জরূরি অবস্থা ঘোষনার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছি, এবং আমি এই জরুরী অবস্থা ঘোষনার সমালোচনা করতে চাই- যেহেতু মানুষের প্রতিটা আচরনই রাজনৈতিক তাই আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে-
আমার সৎ সমালোচনা করার অধিকার আছে কি নেই এখানে।
কিংবা তত্ত্ববধায়ক সরকারের সমালোচনা করলে সেটা ব্যান কিংবা নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে কি না। তথ্য নিয়ন্ত্রন করা সম্পুর্ন অগনতান্ত্রিক একটা ব্যাবস্থা মনে করি আমি- এবং আমি বলতে চাই এবং প্রচার করতে চাই তথ্য নিয়ন্ত্রন, খরব সেন্সর এসব অহেতুক হয়রানী থামানো হোক অবিলম্বে-
এই নিজস্ব কথা লিখার জন্য আমার কতটুকু স্বাধীনতা আছে এখানে লেখার তা জানালে বাধিত হইতাম।
বাবুরাম সাপুড়ে,
কোথা যাস বাপুরে ?
আয় বাবা দেখে যা,
দুটি ব্লগার রেখে যা,
যে ব্লগির চোখ নাই,মুখ নাই
দেখে না সে লেখে না,
কাউকে সে বকে না।
লেখে শুধু প্রেম প্রীতি,
সেক্স-এর রীতি নীতি
ক্যাটওয়াক হাটে সে,
সব কিছু চাটে সে;
করে নাকো গালাগালি
শুধু আছে গলাগলি
নেই কোন উৎপাত,
লেখে শুধু দুধভাত
সে ব্লগি জান্ত
সাইটে তারে আনতো
ভালোবেসে হোস্টিং
করি তার পোস্টিং !
(ফুটনোট :ওস্তাদ; হাত বাধুন,তবে পিছমোড়া করে বাধবেন না। অবিবাহিতদের হস্ত না না কাজে ব্যবহৃত হয়। সামনের দিকে হাত বাধলে তারা অন্তত কিছু জরুরি কাজ সেরে নিতে পারবে।)
রৌদ্র ছায়ায় এত খেলা আকাশে,
চন্দ্রাবতী তোমার আলো ছায়ায়
সব খেলা ম্লান।
কী করে বলো তুমি আসবেনা
আমার কাছে!
চোখে ঠিকই আদর ঝরে পড়ে
তোমার। মুখে বল 'না'।
চন্দ্রাবতী অতটা বেদনা
কীভাবে পোষ ভেতরে তোমার!
অমন বেদনা
কীভাবে দাও আমায়!
তোমার নিরবতায়
আমাকে স্পর্শ করে মৃত্যুর শীতলতা।
ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আমার ধারাবাহিক পোস্টের তৃতীয় পর্বে আমি সমাজতন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলে একটি কথা লিখেছিলাম। আমার বন্ধু বাকী বিল্লাহ তার চমৎকার লেখনিতে এই কথাটির প্রতিবাদ করেছেন।
বাকী বিল্লাহর মন্তব্যটি পড়ার পর আমার মনে হয়েছে যে, সমাজতন্ত্র নিয়ে একটি বিষদ মূল্যায়নের প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা আর অর্থনীতি বিশ্লেষনে সমাজতন্ত্রের মতো এমন ঝড় তোলা মতবাদ মানব ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুজে পাওয়া যাবে না। বিশ্বের দেশে দেশে হাজার হাজার মানুষ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অকাতরে প্রান দিয়েছে,অসংখ্য মানুষ তাদের সারাটা জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে।
সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্র ধ্বসে পড়েছে কিন্তু এখনও চীনে টিকে আছে মাথা উচু করে।
: রাষ্ট্র বিজ্ঞান তো মানুষের বিভিন্ন গবেষনা অভিজ্ঞতা ইত্যাদির আলোকে তৈরি হয়েছে.. এবং প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। কিভাবে চালালে রাষ্ট্র যন্ত্রটি ভাল চলবে, মানুষজন ভাল থাকবে এসবই তো। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তো এরকম কোন সংজ্ঞা নেই যা মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যাবে না বা অপরিবর্তনীয়। সে ক্ষেত্রে কোন মানুষ যদি আরো বেটার কোন রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যাবস্খার সন্ধান পায় ও তা প্রচলন করতে চায়, সেটা কি রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় অন্যায় বা অযৌক্তিক হবে?সে যদি ইসলামকে তার রাষ্ট্রের ব্যবসথা হিসেবে নিতে চায় তবে অসুবিধা কোথায় ?
:তোমার প্রশ্নের মাঝেই তোমার উত্তরের ছায়া আছে। প্রথম কথা হলো এটা ঠ