Archive - জুন 30, 2011 - ব্লগ

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা,মনে মনে..

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ১০:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোন একদিন..

রাতভর স্বপ্ন দেখব অনেক,
সত্যি স্বপন..

ঘুম ভেঙে যাবে,
খুব ভোরবেলাতেই..
উঠতেই দেখব
ঝিরিঝিরি রোদ্দুর..

ছোট্ট এক টুকরো
সবুজ মাঠ..
বেড়াল ছানার মত;
তুলতুলে নরম ঘাসে,
হেটে যাব বহুদুর..

দিনভর তুমুল বৃষ্টি হবে,
অঝোর ধারায়..
আমার ছোট্ট ঘরটা;
ভেসে যাবে প্রিয় যত গানে,
আর মাঝে মাঝে চা কফি তো থাকবেই..

বিকেল হতেই ছুটবো পাহাড়ে,
কিছু মেঘ ছুঁয়ে দেখব বলে..
শহুরে বিকেল-ছাদের


মায়া

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি
লিখেছেন মানিক চন্দ্র দাস [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ১০:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টেবিলের উপর বোতল। সাদা বোতল, বোতলের ছিপি আটকানো, জল আছে অর্ধেক। সে হিসেবে চিন্তা করলে অর্ধেকটা খালি। বোতলটা এখন যদি উল্টে যায় তাহলে কি হবে? ধরা যাক বোতলটা টেবিলের উপরেই উল্টে যাবে। ছিপির উপর বোতলটা দাঁড়িয়ে থাকবে। জল নেমে আসবে ছিপির দিকে। তলার দিকটা হয়ে যাবে ফাঁকা। আর কি ভাবে উলটানো যায়? গোটা বোতলটা যদি ভেতরের দিকে উলটে যাওয়া শুরু করে, তাহলে কি হবে? জল চলে আসবে বাইরের দিকে। ছিপির রঙ্গীন দিকটা চলে যাবে ভেতরে আর ভেতরের অ্যালুমিনিয়ামের দিকটা চলে আসবে বাইরে। জলটাকে যদি তখন ধরে রাখার ব্যাবস্থা করা যেতো তাহলে সে তখন থাকতো বোতলের চারিদিকে এবং অবশ্যই অর্ধেকটা জুড়ে। অদ্ভুত একটা দৃশ্য হবার কথা। মনের চোখে জমির সাহেব পুরো দৃশ্যটা দেখা শুরু করলেন।


একটা ছবি, একটা প্রশ্ন, একটা ফ্যাকাশে কষ্ট

মহাস্থবির জাতক এর ছবি
লিখেছেন মহাস্থবির জাতক (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ১০:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
বইটা পড়া অনেক আগেই। বড্ড কাঁদিয়েছিলো বেয়াড়া অক্ষরগুলো। যুদ্ধ, প্রেম, কৈশোর, বন্ধুত্ব, উত্তেজনা, বুদ্ধিমত্তা-সব মিলিয়ে নিটোল বেদনার্ত দাগকাটা পাঠোপকরণ। আমারও হাল্কা স্বপ্নালু ইচ্ছে হয়েছিলো আমার সন্তানের নাম রাশেদ থাকুক না হয়।


মুচাই অথবা একটি অনুর্বর গাভীর গল্প

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ৩:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যে বাড়িটিতে আমি বড় হয়েছি, সেই চারতলা বাড়ীটির তলায় একটি আর ছাদে আরেকটি পানির ট্যাঙ্ক ছিল। নিচতলার সিঁড়ির তলায় লোহার খাঁচায় বসে থাকতো এক ময়ূরকণ্ঠী নীল রং এর পেড্রলো পাম্প। সকাল বিকেল সিঁড়িঘরে মৃদু ঝাঁই ঝাঁই শব্দ তুলে সেই পাম্প নিচের ট্যাঙ্ক থেকে পানি ছাদের ট্যাঙ্কে তুলত। ভোরে ঘুম ভেঙে শুনতে পেতাম। আবার আসরের আজান পড়তে পড়তেই। বিকেলেও সিঁড়ি বেয়ে নিচে খেলতে নামার সময় বেখেয়ালে শুনতাম আমি সেই পাম্পটার আও


ঠিকানা ভারতবর্ষ- ০১

ইমরুল কায়েস এর ছবি
লিখেছেন ইমরুল কায়েস (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৬/২০১১ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১.
পয়লা এপ্রিল এগারো সাল। রোজ শুক্রবার। খোশ মেজাজে অফিসে গিয়েছি। রাত আড়াইটার ফ্লাইটে ভারতে যাচ্ছি। দেশের বাহিরে প্রথম কোথাও যাওয়া, ভাল না লাগার কোন কারন নেই। ভারতের সর্বদক্ষিণবিন্দু কণ্যাকুমারিতে কনফারেন্সে গিয়ে একটা পেপার পড়ব, এই হল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। কিন্তু শুধু একটা পেপার পড়ে দেশে ফেরত আসার লোক আমি না। অফিস পেপার রেজিস্ট্রেশনের শ'চারেক ডলার দিয়েছে, যাতায়াতের একটা সিংহভাগ দেবে, সাথে দিন সতেরো ছুটি তো আছেই। এত সব পেয়ে শুধু একা যাব বলে একটু এদিক সেদিক ঘুরব না, এটা তো কোন কাজের কথা না। আমি অকাজের লোক হতে পারি কিন্তু অতটা না। ভারতের পু্র্ব থেকে দক্ষিণ, দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং উত্তর থেকে আবার পূর্বে ফেরার জন্য তাই প্লেন-ট্রেনের হাজার ত্রিশ টাকার টিকেট কেটে ফেলেছি। সব প্রস্তুতি শেষ, এখন শুধু শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা। কিন্তু হঠাৎ করে দুপুরের পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করল।