ছবি নিয়ে খেলা - "পোস্টপ্রসেসিং"

অরূপ এর ছবি
লিখেছেন অরূপ (তারিখ: সোম, ০২/০২/২০০৯ - ৯:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoএবারের বিষয়টা অনেকের কাছে বেশ ভারী ভারী ঠেকতে পারে। এর আরেকটা প্রচলিত নাম আছে, "ফোটোশপিং", মানে ছবি তোলার পর ফোটোশপ বা অন্যকোন ইমেজপ্রসেসিং সফটওয়্যার দিয়ে ছবিকে কেঁটেছেটে, ধুয়েমুছে, হালকা রদবদল করে জাতে আনাকেই বলে পোস্টপ্রসেসিং বা পিপি (প্রকৃতিপ্রেমিকদা মাইন্ড খাইয়েন না) করা।

পিপি করাকে অনেকেই তাচ্ছিল্ল্যের চোখে দেখেন এবং মনে করেন এটা হালআমলের কম্পিউটার সুলভ সফটওয়্যারের ফসল। যারা এমনটা ভাবেন তাদের হয়তো অনেক কিছুই ভাবার অধিকার আছে। কিন্তু পিপি জিনিসটা সেই আদিকাল থেকেই চালু। তখন লোকে অনেক ঝামেলা করে ডজিং, বার্নিং, রিটাচিং, আনশার্পমাস্কিং কিংবা সুপার ইমপোজিং এর মতো কাজ করতেন। রং আর কন্ট্রাস্ট নিয়ে খেলাধূলা করা ছিল নিত্যকার কাজ। তখন এসব করতে ব্যাপক দক্ষতা লাগতো, নিজের স্টুডিও/ল্যাব প্রয়োজন হতো। এখন একটা সস্তা পিসিতেই যে কেউ এসব করতে পারেন, জন্ম দিতে পারেন চমৎকার ছবির। আমি বিষয়টায় দোষের কিছু দেখি না। একটা ভালো ছবি তৈরি হলে কারো তো কোন ক্ষতি হবার না। তারপরেও পিপির বিষয়টা নিয়ে ফটুরেরা দু'ভাগ হয়ে গেছেন। আমার স্ত্রী পিপিতে বিশ্বাসী নন, যা কিছু করার তিনি ক্যামেরায় করেন। এতে সুবিধা হল তোলা ছবিটা আসলেই ভালো হয়। অসুবিধা হল যথেষ্ট মনোযোগ ও সময় দিয়ে ছবি তুলতে হয়। আমি অন্যদিকে পিপি-তে ঘোরতর বিশ্বাসী। আমার ক্যামেরায় মেশিনগানের মতো ছবি তোলা যায়। তাই কোথাও গেলে শ'পাঁচেক ছবি তুলি সাধারনত। তারপর তাদের বাছবিচার করে ফোটোশপে এনে ঘষামাজা করে ফ্লিকারে জমাই। এই পদ্ধতির একটাই অসুবিধা, প্রচুর আলতু ফালতু ছবি ওঠাতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এটা ভালো অভ্যাস না। ছবিতোলার সময় যত্ন ও সময় নেওয়াটাই ভালো চর্চা। কিন্তু বদভ্যাস কি ছাড়ে সহজে?

যাই হোক, পিপি নিয়ে আলোচনা করাটা জরুরী এই কারনে আপনারা অনেকেই ছবি তোলেন শখে। মাঝে মাঝে পছন্দের ছবিটা ঠিকমতো আসে না। তখন মুখভার করে বসে থাকা ছাড়া উপায় থাকে না। ঠিকমতো পিপি করা গেলে, সেই খারাপ ছবিটা থেকেই একটা ভালো ছবি জন্ম দেওয়া সম্ভব।

পিপি করতে একটা ভালো সফটওয়্যার চাই। আমি ফোটোশপ ব্যবহার করি। যারা প্রো তারা অ্যাডবি লাইটরুম বা অ্যাপল অ্যাপারচার ব্যবহার করেন। এসব বস্তুর দামও কঠিন। কিন্তু চিন্তা নেই। মহামতি গুগলের কল্যানে একটা ফ্রি সফটওয়্যার পাবেন নেটে, নাম পিকাসা। পারলে আজই ডাউনলোড করুন এখান থেকে। নবীশদের জন্য এরচেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না (তবে মনে রাখতে হবে পিকাসা ফোটোশপ, লাইটরুম এগুলোর তুলনায় নিতান্তই খেলনা)।

যারা পিকাসা কিভাবে ব্যবহার করে জানতে আগ্রহী তারা এই ত্রিশ মিনিটের ভিডিওটা দেখতে পারেন।

যারা ভিডিও দেখার চেয়ে পড়তে আগ্রহী তারা এখানে ক্লিক করুন।

পিপি করার ক্ষেত্রে আমরা সাধারনত নিচের ইফেক্ট, ফিল্টার (ফোটোশপ জার্গন) বা ফিক্স গুলো ব্যবহার করিঃ

১. ক্রপিং (ছবি থেকে প্রয়োজনীয় অংশটি কেটে বের করে এনে নতুন ছবি তৈরি করা, সাধারন বাজে ভাবে কম্পোজ করা ছবিকে ঠিকমতো কেটে রিকম্পোজ করতে ব্যবহার করা হয়)

২. রোটেটিং/স্ট্রেইটেন (ছবি বাঁকা হলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমানে ঘুরিয়ে সোজা করার জন্য)

৩. কার্ভ/লেভেলিং (অতি উজ্জ্বল, মাঝারী উজ্জ্বল ও অন্ধকার/ছায়াচ্ছন্ন অংশের ঔজ্জ্বল্যের পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়)

৪. অটোলেভেলিং/অটোকন্ট্রাস্ট (অটোমেটিকালি আলো ও রং ঠিকঠাক করে দেয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভালো ফল দেয়)

৫. স্যাচুরেশন (ছবিকে বেশী কিংবা কম রঙ্গিন করতে ব্যবহৃত হয়)

৬. হিউ//কালার টেম্পারেচার (ছবিতে কোন রং এর প্রাধান্য থাকলে তা কমিয়ে দিতে ব্যবহৃত হয়, পুরোনো লালচে হয়ে যাওয়া ছবিকে ঠিক করতে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে)

৭. শার্পনেস/আনশার্প মাস্ক (ছবির কোন অংশ ঈষৎ ঘোলা হলে তাকে কিঞিৎ স্পষ্ট করা যায়)

৮. ব্লার (ছবির কোন অংশ ইচ্ছা করে ঘোলা করার জন্য)

পিকাসাতে কোন ছবিতে ডাবল ক্লিক করলে বামে টুলবার দেখা যাবে। টুলবার তিনটি ভাগে ভাগ করা,

ক. বেসিক ফিক্স
খ. টিউনিং
গ. ইফেক্টস

বেসিক ফিক্স দিয়ে ক্রপ ও স্ট্রেইটেন করা যায়। এখানে I'm feeling lucky, Auto Contrast এবং Auto Color বলে তিনটি মজার টুল আছে। "I'm feeling lucky"-তে ক্লিক করলে পিকাসা তার যাদু দিয়ে ছবিটা ঠিকঠাক করে দেবে। সত্যি বলতে এই ফিচারটা মন্দ না, কাজে দেয়। Auto Contrast এবং Auto Color ব্যবহৃত হয় যথাক্রমে অটোমেটিকালি কন্ট্রাস্ট ও কালার ঠিক করতে।

টিউনিং এ আলো-ছায়ার পরিমান কমবেশী করে অন্ধকার ছবিকে যথাযথ ঔজ্জ্বল্য দেওয়া যায় আর ইফেক্টস পাবেন মজার সব স্পেশাল ইফেক্ট দেবার সুযোগ।

এবার দেখা যাক কিছু উদাহরন।

আসল ছবি
এটা অটো কন্ট্রাস্ট ব্যবহার করার পরের অবস্থা

এটা ক্রপ করার পরে

এটা "সফটফোকাস" ইফেক্ট ব্যবহার করার পরে

আরো কিছু ইফেক্টের পরে.. (বেশী সবজে হয়ে গেল এবার!!)

একটু অন্যভাবে ক্রপ করার পরে

একটু অন্যভাবে ক্রপ করার পরে পাখিটাকে ঘুরিয়ে দিয়ে






এবার একটা পুরানো ছবির উপর পিপি করা যাক

১৯৯১ সালের জনৈক রাতকানা বালকের ছবি

ফোটোশপে পিপি করার পরে চোখ টিপি

---------------------

পিপি করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথম কথা হল ছবিটা ভালো করে তোলার চেষ্টা করুন। কারন মূলছবি ভালো না হলে তাকে পিপি করে বেশী দূর তোলা যায় না। আর দ্বিতীয় বিষয় হল, পিপি-তে যাইচ্ছাতাই করা যায় বলেই যা সব ব্যবহার করতে হবে সেটা ভাবা ঠিক না। ছবিকে যতো বাস্তবের কাছাকাছি রাখা যায় ততোই ভালো। পিপি করা ছবি দেখে যদি মনে হয় ছবিটা আর্টিফিসিয়ালি বানানো, তাহলে পিপি না করাই ভালো।

নিকনিয়ান একাডেমির মডেল শূটিং নিয়ে একটা সেশনে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম মডেল ফোটোগ্রাফিতে প্রায় একতৃতীয়াংশ কাজ হয় পোস্টপ্রসেসিং এর সময়!!!
একই রকম গল্প শুনেছি ওয়েডিং ফোটোগ্রাফি নিয়ে যারা কাজ করে তাদের মুখে। তাই পিপি করা নিয়ে নাঁক সিটাকানোর কিছু নেই। আর এখনকার ক্যামেরা গুলোর ডিএসপি চিপ অনেকখানি বিল্টইন "পিপি" করে দেয় (উদাহরন: সনির ক্যামেরায় ছবি তুললে দেখবেন বাস্তবের চেয়ে ফোটোর রং অনেক সুন্দর, ব্যাটারা আর্টিফিশিয়ালি কালার স্যাচুরেশন বাড়িয়ে দেয়!!)।

যাই হোক, ছবি তোলা শখের বিষয়। একটা ভালো ছবি (তা সে পিপি করেই হোক আর না করেই হোক) তুলে আনন্দ পাওয়াটাই বড়। তাই না?

নীচে ফোটোশপে পোস্ট প্রসেসিং এর কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল দিলাম। লেভেলিং ও হিস্টোগ্রাম নিয়ে বেশ ভালো আলোচনা পাবেন এখানে..

লেভেলিং এর গল্প

হিস্টোগ্রামের গল্প

নোটঃ
---------------------------
১. ক্যানন বা নিকনের DSLR ক্যামেরা কিনলে সাথে পিপি করার সফটওয়্যার দিয়ে দেয়।

২. লিনাক্সে পিপি করার ভালো টুল হল (এটা ফ্রি এবং WinXP-তেও চলে) Gimp। এছাড়া সিনেপেইন্টক্রিটা ব্যবহার করা যেতে পারে।


মন্তব্য

তানিয়া এর ছবি

আমি এর আগে পিপি তেমন করি নাই আমার বিদ্যা অ্যাডোবের ফটোশপ পর্যন্ত
পিকাসা আছে কিন্তু পিকাসা দিয়ে আমি অ্যালবাম অর্গানাইজ করি এবারে পিপি ট্রাই করবো
অতি উপকারী এই পোস্ট চলতে থাকুক চলুক চলুক

কালকে লন্ডলে চাইনিজ নিউ ইয়ার এর ছবি তুলেছি আজকে স্নো এর (১৮ বছরের মাঝে সবচয়ে বেশী বরফ পড়েছে লন্ডন ও তার আশেপাশে)। দেখি পিপি দিয়ে কি করতে পারি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলেও অনেক কম দেয়া হয়
ভালো থাকুন

হিমু এর ছবি

গিম্প বেশ ভালো জিনিস।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

১০০ ভাগ সহমত । আমি অনেকবার (গবেষণা) প্রকাশনার জন্য দরকারী কাজ গিম্পে করেছি । ফটোশপ জাতীয় ইমেজ প্রসেসরের প্রায় সব সুবিধাই গিম্পে আছে, সেই সাথে আরো ভাল একটা জিনিস আছে । গিম্পের জন্য নিজের ইচ্ছেমত স্ক্রিপ্ট লিখে ফিল্টার ইত্যাদি বানান যায় । যারা অ্যাডভান্সড কাজ কর্ম করতে চান তাদের জন্য খুবই উপকারী ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তানিয়া এর ছবি

হা হা হা ...... আমি হলাম সেই মানুষ যে ফ্লপি ডিস্ক হাতে নিয়ে ১৯৯৬ এ ভাবসে এইটে কেমনে ইন্সার্ট করে? মেটাল দিক সামনে না পেছনে নাকি প্লাস্টিক দিক? অ্যাঁ
আমি এমনই অগা টাইপ
তবে ফোটোশপে আমি ক্রপ, কুইক ফিক্স আর শার্প করতে পারি অবশ্য আমার মতো মানুষের জন্য এইটাই অনেক হাসি

হিমু এর ছবি

এখন কি ডিভিডির চিত-উপুড় নিয়ে সমস্যা হয় হো হো হো ?


হাঁটুপানির জলদস্যু

তানিয়া এর ছবি

হিমু সত্যি হয় ....... তোমার ভাইয়া মাঝে মাঝে আমাকে বলে পিএসথ্রি বা এক্সবক্সে গেইম বদলায় দিতে আমি ধান্ধা খেয়ে প্রায়ই বলি কোন্দিক সামনে চকচকা দিকটা ????

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে আমার মত যারা ছবি নিয়ে সময় নষ্ট করে অথচ ফটোশপকে দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন (ডিফিকাল্ট অর্থে) সফটওয়্যার মনে করে তাদের জন্য বেশ তথ্যবহুল ছবি। গিম্প ট্রাই করতে হবে।

পোস্ট-প্রেসেসিং বা পিপি'র কথা প্রথম শুনে আমারও মনে হয়েছিল এসব হল ডিজিটাল কারসাজি। আমি যখন এসএলআর ফটোগ্রাফি শুরু করি তখন একটা ধারণা ছিল যে ছবির সবকিছুই যেন স্পষ্ট আসে, অর্থাৎ ডেপথ-অফ-ফিল্ডকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হতো। যেমন, একটা ফুলের ছবি তুললে সাথে আর সবকিছুর ছবি স্পষ্ট হতেই হতো। (গ্লোবালি এরকম ধারনা ছিলো কিনা জানিনা, তবে আমাদের আশেপাশের গুরুদের কাছে এমনটাই শুনতাম। এটা ১৯৯৩-১৯৯৫ সালের কথা)।

আর এখন তো ডিজিটাল সব হয়েছে। কম সময়ে এখন অনেক বেশী ছবি তোলা যায়, কোয়ালিটি নিয়ে ততটা ভাবতে হয়না। এক্সপোজারের কথা চিন্তা করতে হয়না (আগেও এক্সটার্নাল এক্সপোজার মিটারের ব্যবহার হতো।) চিন্তা করতে হয়না কম্পোজিশনের ব্যাপার। অনেককিছুই এখন অনেক সহজ। কিন্তু তার পরেও মানুষের সৃজনশীল মন ও দৃষ্টির স্বরূপ কিন্তু ডিজিটাইজড হয়ে যায়নি। মানুষ এখনো প্রকৃতিকে ভালোবাসে, সুন্দরকেই ভালোবাসে। আর তাই সেসবের ছবি ক্যামেরায় ধরে রাখে। আর চিন্তাভাবনা করে তোলা ছবি পিপি দিয়ে টেনে তোলা যায়, যেমন তেমন করে তুললে সেটা হয়না; আপনি যেটা উল্লেখ করেছেন।

পিকাসা দিয়ে টুকটাক ভালো কাজ চালানো যায়। এতে এমন কিছু টুল আছে যেটা ফটোশপ দিয়ে কিভাবে করে সেটাই জানিনা। লাইটরুমের কথা শুনি কিন্তু কখনো দেখিনি। আমি ডিজিটাল ফটো প্রো (ডিপিপি) দিয়েই কাজ করি।

ডিপিপি থেকে র ছবি কিভাবে ফটোশপে নেয় জানেন? গতকাল ট্রাই করলাম কিন্তু একটা এনকোডিং এরর দেয়। আর CR2 এক্সটেনশন ফটোশপ চেনেই না।

অভ্রনীল এর ছবি

১. একসময় এসিডিসি ব্যবহার করতাম। ছোটখাট কাজে এখনো অবশ্য ব্যবহার করি।
২. পিকাসা ছোটখাট কাজের জন্য খুবই উপকারী জিনিস। আমার বেশ পছন্দের। যদিও এর সব অপশন নিয়ে খেলা করার সময় পাইনাই...
৩. গিম্প ব্যবহার করি নাই...
৪. পোস্টের ভিডিও গুলা খুব হেল্পফুল... ভিডিওগুলার জন্য চলুক
৫. রাতকানা বালকটা কেডা??
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ফটোশপ সামান্য পারি বলার মতন তেমন কিছুইনা। আলসেমি করেও আজকাল শেখা হয়না অনেক কিছুই। টিউটোরিয়ালগুলো অনেক কাজের। অরূপদাকে ধন্যবাদ।

-----------------------------

--------------------------------------------------------

রণদীপম বসু এর ছবি

কম্পুকানা আমি কিছুই জানি না। কিন্তু মানুষের জীবন নাকি চল্লিশের পর থাইকা শুরু হয়। অতএব এখন আমার শেখার বয়স শুরু হইয়া গেছে ! এতো গুরুকূলের মধ্যে থাইকা কিছুই না শিখলে কেমনে কী ?

আহা সময়, তুমি এত্তো জোরে দৌঁড়াইয়ো না ভাই... !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এলোমেলো এর ছবি

লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

নয়েজ ফিল্টারিং এর জন্য এই টুলটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন-
http://www.imagenomic.com/nwsa.aspx
কম আলোয় তোলা ছবি ঝটপট ঠিক করার জন্য এটা আমার কাছে বেশ কাজের মনে হয়েছে!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

টুকটাক পিপির জন্য আমি পিকাসা ব্যবহার করি। তবে "মোল্লার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত" মার্কা ব্যবহার। আপনার পোস্টটা অনেক কাজে দিল। শিখলাম অনেক কিছু। তবে পড়লাম শুধু, কারণ কাছিম গতির নেট নিয়ে তিরিশ মিনিটের ভিডিও দেখার চেষ্টা করার চেয়ে কান্নাকাটি করা অনেক সহজ চোখ টিপি

দারুন হচ্ছে, অরূপ'দা। আমার মতো অ্যামেচার যারা আছেন, সবার জন্যই খুব দরকারি একটা সিরিজ এটা।

রায়হান আবীর এর ছবি

ফটোশপে ব্লার কিভাবে করে একটু বলেন না পিলিজ খাইছে

=============================

সবজান্তা এর ছবি

লেখায় উত্তম জাঝা!

অরূপ ভাই, পিকাসা তো ভাই বাচ্চাদের হয়ে গেল, মানে নিজেরাই চেষ্টা চরিত্র করলে বোঝা যায়। আপনি কষ্ট করে একটু ফটোশপের কেরামতি নিয়ে লিখেন।

আমি টুকিটাকি পি-পি যা করি, অধিকাংশই ACD SEE দিয়ে করা। আপনি যা যা বললেন, তার সবগুলিই বেশ সুন্দরভাবে করা যায়, এমন কী আমার পিকাসার থেকেও এ'টা বেশি ভালো লাগে, তবে সমস্যা একটাই চোরাই মাল।

আচ্ছা, একটা প্রশ্ন, ফটোশপ দিয়ে সিলেক্টিভ কোন এরিয়া ব্লার কীভাবে করে মানে ছবির কোন নির্দিষ্ট একটা অংশ শুধু কীভাবে ব্লার করে ?


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি


সিরিজটা দারুন হচ্ছে । অনেক কিছু শিখে ফেললাম এই কয়েকদিনে । আপনাকে ধন্যবাদ হাসি


রাতকানা ছেলেটা দিনের বেলা কালো চশমা পড়েছিল কেন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মনে হয় যারা রাতকানা তারা দিনে বেশী দেখে।

শামীম এর ছবি

অতি উত্তম পোস্ট।

GIMP for windows লিখে একটু গুগল বাবাজিকে বললেই উইন্ডোজের ফ্রী-ওয়্যার নামিয়ে নিতে পারবেন। যারা ফটোশপের মায়া ছাড়তে পারেন না ... তাঁদের জন্য লিনাক্সে রয়েছে GIMPShop.

কস্কী মমিনের ছবিটা উবুন্টুতে GIMP দিয়ে করেছিলাম। ইউনিকোড বাংলাতে টেক্সট দেয়া যায়!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

উইন্ডোজের গিম্প নামিয়েছি। এটা তো দারুণ একটা জিনিস!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার একটা বড়ো কাজ হচ্ছে কে কী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তা মনে রাখা

রাখলাম

দরকার মতো ছবি পাঠিয়ে পরীক্ষা করব কে কতটুকু ওস্তাদ

হাসিব এর ছবি

এতক্ষনে একটা মন্তব্য পাওয়া গেলো কাজের ।
আমি খুব খিয়াল কৈরা কে কি পারে দেক্তেছি ।
সময়মতো মেইল যাবে তাদের কাছে ।

হাসিব এর ছবি

এতক্ষনে একটা মন্তব্য পাওয়া গেলো কাজের ।
আমি খুব খিয়াল কৈরা কে কি পারে দেক্তেছি ।
সময়মতো মেইল যাবে তাদের কাছে ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার কাছে পিপি মানে ফাঁকিবাজি মনে হয়। ব্যর্থতা থাকলেও আবার গিয়ে, ঠিকমত, ভেবে ছবি তোলা হয়। এই দিকটায় আমি আপু'র দলে। হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তা ঠিক। যেমনটা আগের পোস্টেও বলেছিলাম... প্রযুক্তি/পরিবর্তণ অনেক সময় মেনে নেওয়া কঠিন।

আমি আসলে ক্রপিংকে সেই অর্থে পিপি মনে করি না। কিন্তু ঐ যে বললেন মেঘ বসিয়ে দেওয়া, ঐ ধরণের ব্যাপার ভাল লাগে না।

এই ব্যাপারটাও অন্য একটি উদাহরণ দিয়ে দেখি। আমার মা-বাবা'র আমলে শুধু "খারাপ" ছাত্রদের জন্য টিউটর রাখা হত। এখন হয়ে গেছে উলটা। "আরো ভাল" করার জন্য এখন টিউটর রাখা হয়। পিপি ব্যাপারটা সে-রকমই হয়ে গেছে।

একদিকে আছে আরো ভাল কিছু পাওয়ার বন্দোবস্ত, আরেক দিকে আছে স্বাভাবিকতা হারিয়ে যাওয়া।

আমি ফটো অ্যালবামে দেখে DSLR-এর ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতাম। কিন্তু কিছুদিন পর আপনার মতই আমিও খেয়াল করলাম যে অনেক বেশি পরাবাস্তব হয়ে গেছে ছবি। এই ব্যাপারটা কেমন-কেমন যেন লাগে।

ইন শর্ট, "ফটো"-কে "গ্রাফিক্স ডিজাইন" বানিয়ে ফেলায় আমার আপত্তি। বাকি সব যেমন হয় হোক।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার কাছে ভালো ছবি বলতে কেবল ভালো ছবিই... ক্যামেরা দিয়া তুলুক বা পিপি করুক... যা খুশি... শেষ বিচারে একটা ভালো ছবি পাইলেই সই।

আর ফটোশপিং করে একটা ভালো ছবিকে যদি আরো অনেক বেশি ভালো করা যায় তাইলে সমস্যা কোথায়?

এই পোস্ট পড়ে এমন একটা ধারনা হতে পারে (এই পোস্ট শুধু না, অনেকেই এই ধারণা করে থাকেন) যে পিপির কাজ শুধু খারাপ ছবিরে ভালো বানানো।
এইটা আমি মানি না। আদর্শ পিপি করার জন্য একটা ভালো ছবি অপরিহার্য। ভালো ছবি ছাড়া ভালো পিপি করা যায়না। পিপি কইরা ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না। ফটোগ্রাফার হইতে হইলে ভালো ছবি তুলতেই হবে, এর কোনো মাফ নাই। পিপি কেবলই সহায়ক।

ফটোশপ আমার দীর্ঘ প্রায় এক যুগের সঙ্গী। ফটোশপ ছাড়া আর কিছু ভাবতেও পারি না, দরকারও মনে করি না।

এই পোস্ট পড়ে আমার একটা বিষয়ে খুবই আনন্দ লাগতেছে... যারা আমার কম্পিউটার জ্ঞান নিয়া এতদিন হাসি তামাশা করতো (সব্জু, এনক্দু, বিডিআর, লীলেন্দা, আবীর) তারা অন্তত একটা বিষয়ে আমার সামনে নবীশ... হো হো হো

আমি গুতাইতে গুতাইতেই শিখছি ফটোশপ, তবে আমার কাছে ফটোশপের বেশ কিছু টিউটোরিয়াল আছে... (যদিও আমি সেগুলো পড়ে দেখিনি, কিন্তু মনে হয় বেশ ভালো) কারো লাগলে পাঠায়ে দিতে পারবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

টিউটর থাকতে টিউটোরিয়াল কেন? দেশে গিয়ে হাতে-বিরিয়ানি'তে শিখে আসবো নে আপনার কাছে। চোখ টিপি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যারা আমার কম্পিউটার জ্ঞান নিয়া এতদিন হাসি তামাশা করতো (সব্জু, এনক্দু, বিডিআর, লীলেন্দা, আবীর) তারা অন্তত একটা বিষয়ে আমার সামনে নবীশ...

ওস্তাদ মানতে কোনো আপত্তি নাই
আপনি ফটোশপে এক্সপার্ট সেটা স্বীকার করি
কিন্তু ফটোশপে কাজ করতে হলে তো কম্পিউটার অন করতে হয়

আপনি যখন ফটোশপে কাজ করার জন্য কম্পিউটার অন করতে না পেরে সবজান্তারে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন- পাওয়ার বাটনে চাপ দেবেন না টান দেবেন

তখন সে হাসে
আর সে বললে আমরাও হাসি আটকাতে পারি না

এইটা আপনারে ছোট করা না
আইনস্টাইনও নাকি হিসাব নিকাশ করতে পারতো না
পাতি পাতি অধ্যাপক আর ছাত্ররা তার হিসাব নিকাশ মিলিয়ে দিতো এসিস্টেন্ট হিসেবে
আর সে মিলাতো রিলেটিভিটি

আপনারও ওরকম
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র (পরবর্তীতে ডক্টর এবং অধ্যাপক) আপনার কম্পিউটার অন করে দেবে

আর আপনি বসে বসে ফটোশপাইবেন

সবজান্তা এর ছবি

হই মিয়া, আপনে তো মিয়া আসলেই মাহবুব ভিলেন !

আমি কবে কইলাম নজু ভাই এমন কথা কইছে !!!

মিয়া আপনে আমার প্ল্যানে পানি ঢালতেছেন এইসব কয়া। আপনি জানেন, নজু ভাই আমারে কথা দিছে নায়িকার লগে পরিচয় করায়া দিবো ? নায়িকারে ছুঁইতে পর্যন্ত পারুম ...... আর আপনে মিয়া এইসব কন।

লীলেন ভাইয়ের আই পি সহ ব্যাঞ্চাই। দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

দ্রোহী এর ছবি

আঁই "পিপি" কইত্তে হারি! হটুশফ দিয়াও হারি, গিম্প দিয়াও হারি!!!!!!!!!!!

কীর্তিনাশা এর ছবি

পিকাসাটা টেস্ট করতে হবে।

পোস্ট পুরা জাঝা

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।