কচিকাঁচা কথা

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: বুধ, ২০/০৭/২০১১ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছুটির সন্ধ্যায় জম্পেস পারিবারিক আড্ডা চলছে, এর মাঝে ছোট্ট তুতুন মাকে জিজ্ঞেস করে বসল, আমি তোমার পেটে কি করে এলাম আম্মু ? ওর মা ঢোক গিলে সাবধানী গলায় বলল, 'আমি রাতের বেলায় নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে তোমাকে চেয়েছিলাম, তারপর সকালে দেখি আল্লাহ তোমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তুতুন দুই সেকেন্ড চিন্তা করে বলল, 'কিন্তু আমি যে টিভিতে দেখলাম নিন্টু হয়ে আদর করলে পেটে বেবি আসে ?!' আকস্মিক আক্রমনে হতচকিত মা-টি সাহায্যের আশায় আমার দিকে তাকাতেই তাড়াতাড়ি হাসি চাপতে আরও তেলেভাজা আনার ছল করে পালানো ছাড়া গত্যন্তর রইল না। এই ক্ষুদে গোলযোগটির সাথে আমার আলাপটিও কিন্তু বেশ উপভোগ্য ছিল । প্রথমবার বাসায় এসে দু পকেটে হাত ভরে ভুরু নাচিয়ে গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলে, তোমার নাম কি ? নাম শুনে টুনে বলে কিনা, বাহ, তোমার দেখি চুল তার কবেকার অন্ধকার ! তারপরেই দুলাইন হিন্দি গান ! ওইটুকু পিচকির মুখে এই কথা শুনে আমার তো হাঁটু পর্যন্ত চোয়াল ঝুলে যাবার দশা।

মহাকালের হিসেবে বিশ পঁচিশটা বছর নিশ্চয় তেমন কিছুই না। কিন্তু নিজের ছেলেবেলায় তাকালে খুব অবাক হয়ে দেখি এই কটা বছরেই শৈশব কথাটার মানে কি অদ্ভুত ভাবে পাল্টে গিয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় বিকেলগুলো আশ্চর্য রকমের সত্যিকারের বিকেল হত। সূর্যি একটু হেলে গেলেই মা এক থাবা খাঁটি নারকোল তেল মাথায় থাবড়ে দিয়ে এমন করে কষে টেনে চুল বেঁধে দিতেন যে চোখদুটো চাইনিজ দের মত টানা টানা হয়ে যেত। তাই নিয়েই খালি পায়ে এক ছুটে বাড়ির সামনের মাঠে হাজির। সেখানটায় সারাটা বিকেল সবাই মিলে পৃথিবীর সম্ভব অসম্ভব কত খেলা যে খেলতাম ।

অথচ এই কটা বছরের ব্যবধানে শহুরে বাচ্চাদের জীবন, দৃষ্টিভঙ্গি, হাঁটাচলা মায় কথাবার্তা পর্যন্ত কি আমূল অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। আমরা বড় হয়েছি বাবা মায়ের চোখের ইশারায়। মা একটু ভুরু কোঁচকালেই বুঝে যেতাম ওই কাজ করলে খবর আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আর মুখে মানা করার দরকারই হতো না। তারপরও সাহস দেখাতে গেলে নির্ঘাত হাতপাখার ডাঁটির বাড়ি নয়ত অপরাধ গুরুতর হলে চ্যালাকাঠ । মুখে মুখে কথা? অকল্পনীয়! সন্ধের পর গুরুজন স্থানীয় কেউ মাঠে দেখতে পেলেই যদি বলেছে, এই তুই এখনও এখানে কি করিস, তোর বাবার নাম কি ? অম্নি মুখ কাঁদো কাঁদো করে দে ছুট বাড়িতে। এর ব্যত্যয় কি ছিলনা ? ছিল নিশ্চয়, কিন্তু সে হল ব্যতিক্রম। এখনকার কচিকাঁচাদের দেখলে বেশির ভাগকেই মনে হয় ব্যক্তিস্বাধীনতার বাই প্রোডাক্ট। সেদিন স্কুলের সামনে এক ক্লাস ওয়ান পড়ুয়া দেখি মা-কে শীতল গলায় কেটে কেটে বলছে, 'তুমি যে আমাকে যে ঠাশ করে মারলে, এটা কি ঠিক হল ? তুমি জাননা, মারলে বাচ্চারা ব্যাথা পায়? দুঃখ পায়? কষ্ট পায় ? এতে বাচ্চাদের মনের ওপর 'চাপ' পড়ে, ওরা ঠিকমত বেড়ে উঠতে পারেনা, তুমি জাননা ? এরকম কাজ তুমি কি করে করলে ? কানে ধরে আমাকে সরি বল!' মা-টিও হাসি চেপে তাই করছেন দেখে বেশ মজা লাগলো। মনে হল, নাহ্‌, একুশ শতক নিজের চোখেই দেখছি তবে।

ক্লাস ফোরে পড়ার সময় একবার ইসলামিয়াত ক্লাসে পড়া না করে আসার দায়ে আমি বাদে ক্লাস সুদ্ধু সব মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সাজা পেল। স্যার আঙুল তুলে 'যতক্ষণ না আমি বসতে বলব, কেউ বসবি না' বলে শাসিয়ে চলে গেলেন। সবাই মুখ ভার করে দাঁড়িয়ে রইল । ছুটির ঘণ্টা পড়ে স্কুল পুরো ফাঁকা হয়ে গেল, তখনও সবাই চোখ ছলোছলো করে দাঁড়িয়েই আছে। এদিকে সাজা না পেলেও বন্ধুদের ফেলে যেতে পারছিনা বলে ওদের সাথে আমিও দাঁড়িয়ে আছি। কি করে বাড়ি যাবে, স্যার তো যেতে বলেন নি ! তখন আমাদের বাবা মায়েরা আদিখ্যেতা দেখিয়ে নিতে আসতেন না, আমরা নিজেরাই একা একা বাড়ি যেতাম, কাজেই কেউ আমাদের ডাকতে এলনা। অনেক পরে দপ্তরি দাদু স্কুল বন্ধ করতে এসে দেখেন পুরো এক ক্লাস ভর্তি বেকুব তখনও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আমাদের সাজা দিয়ে স্যার যে আসলে ভুলে গেছেন এবং বাড়ি গেলে তিনি রাগ করবেন না এটা আমাদের বোঝাতে দপ্তরি দাদুর যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছিল।

কিছুকাল একটা ইংরিজি স্কুলে দিদিমণির চাকুরি করেছিলাম। টুকটুকে ফুলের মত শিশুরা সব পড়তে আসে ঝাঁ চকচকে গাড়ি করে। ড্রাইভার নয়ত আয়ারা পেছনে ব্যাগ বয়ে আনে, আর ছোট মালিক বা মালকিনটি রাশভারি গাম্ভীর্য নিয়ে সামনে হাঁটেন । হাবভাবই আলাদা। দেখে ভারী মজা লাগত। একদিন কেজি ক্লাসে গিয়ে দেখি নতুন দিদিমণিটি একজনের পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, 'সামিন, এটা লিখে ফেল আব্বু'। কয়েক সেকেন্ড গেল, সামিন নামধারি ছোট মানবটি পাত্তাই দিলেন না। আবার, 'সামিন, এটা লিখে ফেল প্লিজ'। একটু পরে আবার 'আহ্‌ সামিন, এটা লিখে ফেলো না'। এবার শান্ত গলায় নিরুত্তাপ উত্তর এল, 'মিস, আপনি একবার, দুবার, তিনবার এই কথা বলেছেন; আর একবার যদি বলেন, তাহলে দাঁতে জুতোর কালি ঘষে দেব !'

সত্যি, এদের সামনে নিজের ছোটবেলার ওই তেলোচুলে কষে বেণিবাঁধা চেহারাটা মনে হলে বড্ড কেমন বোকা বোকা লাগে।

আর একবার মিড সেশনে এক বাচ্চা এল নার্সারিতে ভর্তি হবার জন্যে। প্রিন্সিপাল ম্যাডামের মোটেও তাকে নেবার ইচ্ছে নেই। কিন্তু বাচ্চার বাবামা এত হাই প্রোফাইলের লোক যে সরাসরি না-ও করা যাচ্ছে না। তখন তিনি এক বুদ্ধি আঁটলেন। বললেন বাচ্চার টেস্ট নেবেন, টিকতে পারলে তবেই ভর্তি, নইলে নয়। পরীক্ষার দিন আমাকেও ডাকলেন রুমে। বাচ্চাটিকে নিয়ে এলেন মা বাবা। টুকটাক গৎবাঁধা প্রশ্ন শুরু হল। তারপর ম্যাডাম জিজ্ঞেস করলেন, 'আচ্ছা মামনি, বলতো, গাড়ি কি দিয়ে চলে ?' মেয়েটি একটুও দ্বিধা না করে বলল, 'চাকা দিয়ে'। ম্যাডাম তখন নানান ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাকে ক্লু দিয়ে দেখতে লাগলেন কিন্তু কোনভাবেই তার নিজের উত্তর থেকে তাকে সরানো গেলনা। সে নিজের বক্তব্যে অটল। এবার একটু অসহিষ্ণু হয়েই ম্যাডাম বলে ফেললেন, 'সেকি, তুমি এটাও জাননা যে গাড়ি আসলে ফুয়েলে চলে ?' এই কথা শুনে বাচ্চা মেয়েটা কয়েক সেকেন্ড উনার চোখে চোখ রেখে স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকল; তারপর অকম্পিত গলায় বলল, 'আমাদের বাসায় দুইটা গাড়ি আছে, তুমি একদিন আমাদের বাসায় আইস, আমি চাকাগুলা খুলে রাখবো; তারপর দেখব, গাড়িগুলা তুমি কেমন করে চালাও !'

এবার ম্যাডাম আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, 'আশালতা, একটা ভর্তি ফর্ম দাও।'


মন্তব্য

আশালতা এর ছবি

যারা আশালতাকে 'মিস' করছিল, এই লেখাটা সেইসব অদেখা প্রিয় মানুষগুলোর জন্যে উৎসর্গ করা হল হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

হি হি... আমার জন্য লেখা? ঠাম্মি কী ভালো!

তিথীডোর এর ছবি

উহুঁ, শুধু আপনি নন, দলে আছেন আরো কজনা। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

অ্যাই খবর্দার, ঠাম্মি শুধু আমাকেই নারকেলনাড়ু মতিচুর জিলিপি এইসব খাওয়াবে...

আয়নামতি1 এর ছবি

@কৌস্ত্তভ, পাগলের সুখ মনে মনে হে বালক! হো হো হো

আশালতা এর ছবি

এই এই, ধাক্কা ধাক্কি ঠেলা ঠেলি চল্বেনা একদম। মোটে শবেবরাত গেল, বুটের ডালের হালুয়া আর মাংসের ঝোলের সাথে চালের আটার সাদা রুটি সবার জন্যেই আছে। তাই মারামারি নয়। ... কিন্তু আজকাল পোস্ট পড়াতে গেলে খাবার দাবারের আয়োজন করতে হচ্ছে সাথে...গতিক তো সুবিধের নয়। এই হারে চলতে থাকলে লিখে লিখেই আমার ভিটে মাটি চাঁটি হবে দেখছি... চিন্তিত

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ফাহিম হাসান এর ছবি

খাই খাই কর কেন, এস বস আহারে -
খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।
যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে,
জড় করে আনি সব,- থাক সেই আশাতে।

তিথীডোর এর ছবি

এমবিএ ক্লাসের ফাঁকে সিনিয়র আপুরা মাঝেমাঝে নিজেদের ছানাপোনাদের গল্প শোনাতেন। এক আফামনি (তিনিও ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষিকা) একদিন বলছিলেন--
ইশকুলে 'প্লে' তে ভর্তি হতে আসা এক পিচকি 'হোয়াটস ইউর নেইম?' শুনতেই দিব্যি গেয়ে উঠেছে-- 'মাই নেম ইজ শিলা, শিলা কী...'
'বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর' অবস্থা আর কী! অ্যাঁ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

এইটাও লাফাং হয়েছে দেখি। নিচে রতন্দার কমেন্টটাও। এইজন্যই বলি, ইমো ব্যবহার করে প্রেতিবাদ জানাতে...

আশালতা এর ছবি

'বাচ্চা ভয়ংকর' মানে যে কি, তা হাড়ে হাড়ে জানি। শুধু ঐ দিয়েই আরও গোটাকয়েক পোস্ট দেয়া যায়। আর হোমটাস্ক না করার যে কতরকম ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আসে ওদের মাথায় ! শুনলেই চোখ রসগোল্লা হয়ে যেত। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চিন্তিত

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখায় স্পষ্ট যত্নের ছাপ। দারুণ!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

যত্নের ছাপ ! বলেঙ্কি!! আপনার লেখা পড়লাম সেদিন, সত্যি বলছি, ভয় পেয়েছি। সচলে কিছু লেখা আছে, পড়লে বেশ আত্মপ্রসাদ লাভ হয়। মনে হয় ধুর, কি ফালতু লেখে, আমি অনেক ভালো লিখি এরচে। আর কিছু লেখা আছে, যেগুলো পড়লে মনে হয়, এইটা হল লেখার মত লেখা! ধুর কি আব্জাব লিখি! তখন হিংসেতে ছোটলোকিতে চোখ সরু করে লেখাটেখা ছেড়ে দিতে মনে চায়। আপনার লেখা দ্বিতীয় গোত্রের। লাকি বিষয়ক লেখাটা পড়ে এইরকম মনে হয়েছিল। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি ছোটবেলায় নাকি খুবই ঠাণ্ডা আর বাধ্য ছিলাম, একেবারে 'স্টুড অন দা বার্নিং ডেক' টাইপের, এ কথা সবাই পঞ্চমুখ হয়ে বলে। বড় হয়েও মোটেই বাঁদর হই নি, ভালোছেলেই আছি। কিন্তু আজকালকার ছেলেগুলো... আহেম! (অবশ্য এই অভিযোগ তো শুনি প্রত্যেক জেনারেশনই করে যাচ্ছে... তাহলে অ্যারিথমেটিক প্রগ্রেশনে ছেলেপিলেদের স্বভাব চলেছে কোথায়???)

লেখা গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আয়নামতি1 এর ছবি

@কৌস্ত্তভ, ছোতোবেলায় সুবোধ বালকটি ছিলেন বলেই বড় হয়ে বাঁদরামীগুলো এফোঁড় ওফোঁড় করে বেরুচ্ছে খাইছে

কৌস্তুভ এর ছবি

অ্যাই চোপ! রেগে টং

ফাহিম হাসান এর ছবি

কত্ত বড় সাহস! আয়নামতি আপাকে ধমক দিচ্ছেন। আজকে আপনার একদিন কী আমার ... রেগে টং রেগে টং রেগে টং

ঐ কোথায় কে আছিস, পছন্দনীয়ই বা কই গেল ??

কৌস্তুভ এর ছবি

ঐ আইছেন!

আর পছন্দনীয়'কে ডেকে কী হবে, তিনি তো এসেই খাবার-দাবার-রামপাখি খুঁজবেন...

অপছন্দনীয় এর ছবি

যেন রামপাখি আমি একাই খাই রেগে টং

আয়নামতি1 এর ছবি

শুধুই বকা নাকি! হাতে ব্যাট দেখতে পাচ্ছি তো রেগে টং এতো রীতিমত নারী নির্যাতনের ইঙ্গিত! ধারেকাছে পেলেই পটাং করে বসিয়ে দেয়া হতো বেশ বুঝতে পারছি। কৌস্ত্তভের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অপছন্দনীয় এর ছবি

ঠিক ঠিক! সন্ত্রাসবাদের ক্ষমা নেই...

(তার) মাথায় ঢেলে ঘোল, (তারে) উলটো গাধায় তোল,
তার কানের কাছে পিটতে থাকো চৌদ্দ হাজার ঢোল।
কাজ কি ব্যাটার বেঁচে, (তার) চুল দাড়ি দাও চেঁচে,
নস্যি ঢোকাও নাকে, ব্যাটা মরুক হেঁচে হেঁচে...

(#সুকুমার রায়, লক্ষ্মণের শক্তিশেল)

আশালতা এর ছবি

বারে বা, এই করে করে কস্তুবাবু পটল তুলুক, আর আরেকজন নির্বিবাদে রামপাখি ভোজন আসরের একছত্র সম্রাট হয়ে গ্যাঁট হয়ে বসুক ! বুদ্ধি বড় মন্দ নয় ! একেই বলে পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা। আয়নামতি হুঁশিয়ার চোখ টিপি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

এইরকম?

অপছন্দনীয় এর ছবি

উঁহুঁ, এই লোকের মাথায় ঘোল ঢালা হয়নি, চোদ্দ হাজার ঢোল আর নস্যির কৌটোও দেখছি না...

আর ওটা গাধা না খচ্চর ঠিক বোঝা যাচ্ছে না...

ফাহিম হাসান এর ছবি

হ, এইটার সাথে রাজনীতিবিদদের মিল বেশি

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

অপছন্দনীয় এর ছবি

আছি আছি...

আশালতা এর ছবি

@আয়নামতি, 'কৌস্ত্তভ, ছোতোবেলায় সুবোধ বালকটি ছিলেন বলেই বড় হয়ে বাঁদরামীগুলো এফোঁড় ওফোঁড় করে বেরুচ্ছে'
যা বলেছ ভাই, লাখ কথার এক কথা !! এটার সব খাওয়া খাদ্য বন্ধ করে দিয়ে কদিন শুধু মেথির জল খাওয়াতে হবে চিরতা সহযোগে। বদ্যি বুড়ো তো বলে, এতে স্বভাব শান্ত হয়। এটার যা মারকুটে স্বভাব দেখছি, এছাড়া আর কোন নিদান নেই। চোখ টিপি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

চিরতার জল আমি খেতে ভালোবাসি! আছে? আছে?

আশালতা এর ছবি

এই রে ! এটা তো দেখি সর্বভুক গোত্রের !! তাইতো বলি কি খেয়ে এতো জ্ঞানী গুণী পোস্ট বেরোয় ! যাই বাবা, চিরতার গাছগুলোয় সবে সবুজ সবুজ ফুল এসেছে, এইবেলা বেড়া দিয়ে রাখি। খাইছে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অপছন্দনীয় এর ছবি

কৌস্তুভঃ আমি ছোট্টবেলায় একেবারেই সুবোধ বালক ছিলাম। ওই যে উঠন্ত মূলো যখন পত্তনেই চেনা যায়, তখন রিভার্স লজিকে উঠে যাওয়া মূলো যে পত্তনে ভালো ছিলো সেটা তো বোঝাই যায়! এই দেখুন এখন, আমি কী শান্ত শিষ্ট লেজহীন, মোটেই আপনার মত লেজ লুকিয়ে লেজকাটার ভাব ধরা নই খাইছে

আর, ইয়ে, আজকালকার ছেলেপিলেদের স্বভাব চলেছে কোথায়?

আশালতা এর ছবি

ইয়ে... আমাদের কস্তুবাবুটি কি রঙের মুলো ছিলেন জানা যায় কি ? রাঙ্গামুলো নয়ত ? খাইছে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশালতা এর ছবি

@ কৌস্তুভঃ
হাসি হাসি হাসি
অ্যারিথমেটিক প্রগ্রেশনে ছেলেপিলেদের মানে মানুষের স্বভাব সম্ভবত কোথাও যাচ্ছে না বোধহয়, বৃত্তাকারে ঘুরছে। আদিম যুগে মানুষের ভাষা টাশা ছিল কম, কিছু ভালো না লাগ্লেই পাথুরে মুগুর তুলে ধাঁই করে বাড়ি মারত। মানে পেশির জয় ছিল। সে থেকে মানুষ 'সভ্য' হয়ে হয়ে আবার তো সেই পেশির যুগেই ফিরে যাচ্ছে মনে হয়... চারপাশে যা দেখছি তাতে তো সেই আদিম যুগ ফিরতে খুব বেশি দেরী নেই বলেই তো মনে হচ্ছে...

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তুলিরেখা এর ছবি

আশালতা, কী দারুণ!
এই চাকা দিয়ে গাড়ী চলা উত্তর দেওয়া মেয়েটা এককালে কামাল করবে, তুমি দেখে নিও। কী কেয়ারফুল পর্যবেক্ষণ, কী অকাট্য যুক্তি! হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ তুলিরেখা। বাচ্চাদের কথা আসলে কিছুই বলা যায়না ঠিক করে। এক একজনের ভিতর কি দারুন স্পার্ক থাকে, অথচ কদিন পরেই মিয়নো মুড়ি। একজনকে জানতাম, ক্লাস ফোর পর্যন্ত টিচাররা বলতেন, এই মেয়ের খাতায় একটা কলমের দাগ পর্যন্ত দেয়া যায়না, এত নিট লেখে, সেই মেয়ে হটাত যে ফেল করা শুরু করল...সারাজিবন ঐ ব্যাকবেঞ্চার হয়েই রইল! বাচ্চাদের আমরা কিভাবে গড়ে তুলি সেটাও একটা বড় ব্যাপার।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বোধকরি এগুলো ঘটে সঠিক পরিচর্যার অভাবে। সময়মত জল না পেলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বীজ কিম্বা অঙ্কুরের যে দশা হয়!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আয়নামতি1 এর ছবি

দারুণ! দারুণ মজারু লেখা হো হো হো তোমার প্রিন্সিপালের মুখটা দেখবার মত হয়েছিলো নিশ্চয় শয়তানী হাসি
বিরতি ভেঙ্গে দারুণ একটা পোষ্ট দেবার জন্য অনেককককক ধন্যবাদ হাসি (গুড়) পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

আশালতা এর ছবি

হাসি হাসি হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বাচ্চারা আছে বলেই জগৎ মধুময়। আমি বড় হয়েছি যৌথ পরিবারে। দুই-তিনটা বাচ্চা সবসময়ই পায়ে-পায়ে ঘুরত। কত যে মজার গল্প তাদের নিয়ে! প্রবাসে আপনার লেখা পড়ে উদাস হয়ে গেলাম।

আশালতা এর ছবি

উদাস টুদাস রাখুন ট্রাঙ্কে ভরে। ওইসব দারুন গল্প বরং লিখে ফেলুন আমাদের জন্যে। মাঝে মাঝে সচল এমন ঝিমিয়ে যায়, বড় বিরক্ত লাগে। এইসব গল্প পড়তে তখন দারুন লাগে হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বেশ, এরপরের পোস্টে গল্পই আসবে, তবে দারুন হবে কীনা জানিনা

আশালতা এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

আমাকেও একটা ফর্ম দিন, প্লীজ।
কাহলীল জিবরানের কবিতা মনে পড়ছে:
Your Children are not Your Children
They are the sons and daughters of life’s longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.
Your children are the sons and daughters of life's longing for itself
You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,

ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ

আশালতা এর ছবি

আপনারও ফর্ম চাই ? বেশ, আগে নখ কেটে, দাঁত ব্রাশ করে, বাটা স্কুল শু আর কাল হাফ প্যান্ট সাদা সার্ট পরে লক্ষ্মী হয়ে লাইনে দাঁড়ান, তারপর আবৃত্তি করুন, বা বা ব্লাকশিপ...। [ তুতুনের মত, 'আমার বাবা বেলাকশিপ' না কিন্তু ! ] খাইছে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

ফাহিম হাসান এর ছবি
সজল এর ছবি

ভালো লাগলো পিচ্চিদের কাহিনী।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আশালতা এর ছবি

থ্যাঙ্কস সজল হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

হাসি

আশালতা এর ছবি

হাসি হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশালতা এর ছবি

ঠাম্মিরা তো ঠাম্মি হিসেবে দারুণই হয় বাছা হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অপছন্দনীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

দারুণ ঠাম্মি দেঁতো হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

অদ্ভূত মজা পেলাম, আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। সাথে আবদুল্লাহ ভাই এর দেয়া কহলিল জিবরানের কবিতাটা পুরো আসরে একটা অন্য মাত্রা যোগ করলে।

আর ছল করে যে ঝগড়াঝাটি চলছে, তাও বজায় থাকুকু, যোগ দিতে ইচ্ছে করে প্রায়ই, একদমই নতুন মানুষ হিসেবে জড়তা কাজ করে। একবার উয়ীদ লাঠি আর নারদ নারদ আওয়াজে ঘাবড়ে গেলেও সাথে সাথে জড়তাটাও চলে গেছে কিভাবে জানি। আয়নামতি আপা, আবারও প্রমাণিত হলো “প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে” ... তিথীডোর তিথীডোর, আপনিও নিশ্চয়ই আপত্তি করবেননা নিউটন সাহেবের সূত্রে!

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম এহসান। ঝগড়া করতে চান, এ তো অতি ভালো কথা, নতুন পুরনোর কি আছে, এই কদিনে চেনা জানা তো দিব্যি হয়েছে, ফাঁক পেলেই নাক গলিয়ে দিন, জায়গা না পেলে ঢুঁষিয়ে দেবেন। আমরা কিচ্ছুই মনে করবোনা। তবে হ্যাঁ, সাপোর্ট কিন্তু আমাদের করতে হবে, ওসব কস্তু-বস্তু পার্টীতে গেলে ফল কিন্তু ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি, হুঁ !

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তানিম এহসান এর ছবি

চিন্তিত ((রয়ে সয়ে তানিম, রয়ে সয়ে! এখানেও দলাদলি - থান ইটা, লাঠি এমনকি মুগুরও এসে হাজির হয়েছে; রয়ে সয়ে বাছা, রয়ে সয়ে চাল্লু

কোথাও শান্তি নেই পৃথিবীতে, চারিদিকে দলাদলি
খানিকটা শান্তির আসা - সে গুড়ে এখানেও বালি!!!!))

বন্দনা- এর ছবি

বাচ্চাকাচ্চা আমি বড়ই ভালো পাই দিদি, আপনার লিখা তাই আর ও বেশি ভালো লাগলো। আপনি যেহেতু স্কুলে পড়িয়েছেন, আপনার কাছে নিশ্চয় ওদের নিয়ে আর ও মজার কাহিনি আছে, সেগুলো ও শুনতে চাই অচিরেই।

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা। তবে হয়েছে কি, বুড়ো হয়েছি তো, আজকাল মনে টনে থাকেনা তেমন, যখন যেমন মাথায় আসে, লিখে যাই হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মর্ম এর ছবি

কয়েকটা পুরানো লেখার লিঙ্ক দিয়ে যাই, আরাম করে পড়েন হাসি -

বুনোহাঁস-এর বাচ্চালাপ এবং বাচ্চালাপ ২ । আর তিথীডোর-এর ওরা ১১ জন ।

আগে হয়ত পড়েছেন, তবে কিছু লেখা আসলেই পুরানো হয় না। এ ঘরানার লেখা ওনারা আর লেখেন নি, ব্যাপারটা অবাক করার মত।

অবশ্য অবাক হয়েই বা হবে কি? আপনিই বলেন, আর কি লিখবেন কচিকাঁচাদের নিয়ে?!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আশালতা এর ছবি

লিঙ্কের জন্য এবং অবশ্যই মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ মর্ম। এই দুজন আসলেও দুর্দান্ত লেখেন। হয়তো একইরকম বিষয় নিয়ে লিখতে ভালো লাগেনি বলেই আর লেখেননি। আমার নিজের কথা আসলে জোর দিয়ে বলতে পারিনা। এই লেখাটা লেখার সময়েই বাচ্চাদের নিয়ে আরেকটা লেখা মাথায় এসেছে, কিন্তু সেটার কাঠামো দাঁড় করান হয়নি। হয়তো কোন একদিন দাঁড়াবে সেটা, কিংবা নয়, কে বলতে পারে ?

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মর্ম এর ছবি

আপনি কি লিংক পাচ্ছেন? আমি তো দেখি না! কথাগুলো ঠিকঠাক এল, লিংকগুলো হারালো কোথায়? :-|

আর হ্যাঁ, আরেকটা কথা। ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়, তাই নয়?

কৌস্তুভদাকেই দেখেন, কেমন ভাল মানুষ, টিনটিন নিয়ে লিখলেন, ওখানেই পাঠকের দাবী এল, এবার লিখলেন এসটেরিক্স নিয়ে। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আশালতা এর ছবি

নাহ্‌, লিঙ্ক আসেনি তা তো দেখতেই পাচ্ছি, খুঁজে টুজে পড়লাম আরকি। এরকম ভেল্কিবাজি আমিও দেখছি কাল থেকে, কমেন্টের রিপ্লাই লেখা শেষ করার পরপরই দেখি দুপ করে উধাও, এমনকি পোস্ট করার পরও গায়েব। অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।
তেমন তেমন ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয় সে আমিও জানি। কিন্তু সূর্যের থেকে বালির তেজ বেশি জানেন তো ? স্বভাবলেখক নই তো, তাই আমার মেলাই ঢং। নিজের ভেতর থেকে সাড়া না পেলে লিখতে পারিনা, শুধুই অন্যের জন্যে লিখতে গেলে সেটা খুব পদের হয়না। তবে আপনার কথা অবশ্যই মাথায় থাকবে, যুতসই লিখতে পারলেই আরেক খানা এমন পোস্ট দেব। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ নাদিয়া জামান। লেখায় পাঠক টেনে রাখার শক্তি অর্জন করতে পেরেছি জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মর্ম এর ছবি

এ কি!? লিংক গেল কই?! অ্যাঁ বাকি সব তো ঠিক আছে, লিংক নাই হল ক্যামনে?:-/

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ছোট ছোট ফুলের মত বাচ্চাগুলোর কথা শুনতে, পড়তে, ওদের সাথে থাকতে আর বিস্ময় ভরা চোখ নিয়ে ওদের কান্ড-কারখানা দেখতে দেখতে নিজের মনটাও সব ক্লেদ সাফ করে নিয়ে শিশু হয়ে যায়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আশালতা এর ছবি

ঠিক ঠিক, একদম ঠিক হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নাদিয়া জামান এর ছবি

আপনার লেখনী ভীষণ চমৎকার , পুরোটা পড়তে হল মাঝে উঠে যাবার জো নেই । শেষের টুকু পড়ে খুব মজা পেলাম। ছোট্ট মনে নিজের মত করে উত্তর ভেবে নেয় ...... আমরাও এমন সহজ করে ভাবতে পারলে বেশ হত।

আশালতা এর ছবি

দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৌনকুহর. এর ছবি

ভুবন মাঝে তারার মেলা.........

লেখায় হাততালি

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ কবি। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

নতুন প্রজন্মগুলো আরো বুদ্ধিমান/বিচক্ষণ হবে এটাই ভালো...............শুধু নীতিবোধটুকু যেন এরা না হারায় এটাই অভিভাবকদের সচেষ্ট থাকা উচিৎ..................আর আপনার গল্পের প্রতিটি বাচ্চাকেই ভীষণ আদর করতে ইচ্ছে হল.........কী বুদ্ধি রে বাবা!!!!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

খুবই সুন্দর লেখা। এখনকার পিচ্চিগুলা কিন্তু আসলেই চরম স্মার্ট!!!
------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি একটা ভালো কাজ করসি, ক্যাঁকো ক্যাঁকো; ক্যাঁকো ক্যাঁকো।

আশালতা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কল্যাণF এর ছবি

হো হো হো

আশালতা এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

উচ্ছলা এর ছবি

বরাবরের মতই এক টানে 'চোঁ' করে আপনার এই লেখাটাও খায়ালাইছি...মানে পড়ে ফেল্লাম আর কি দেঁতো হাসি

আমার বয়স যখন তিন, তখন এক লেজেন্ডারি কান্ড ঘটিয়েছিলাম। ঘটনাটি আজও...ত্রিশ বছর পরেও মা-খালাদের মুখে মুখে ফেরে। দেঁতো হাসি

প্রচন্ড জেদ করে আব্বুর সাথে ঈদের দিন ঈদগাহে গিয়েছি ঈদের জামাত পড়ব বলে। শয়ে শয়ে, কাতারে কাতারে লোক যখন সিজদায় উপুড় হয়ে বসেছে, আমি মাথা তুলে উঠে বসে চীৎকার করে বলেছি, "আল্লাহ্! এত্তগুলা পাছা!!" গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আশালতা এর ছবি

"আল্লাহ্! এত্তগুলা পাছা!!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কৌস্তুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আজকের উচ্ছলাকে সেদিনই চেনা গেছিল! দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এই লেখাটা অনেক পরে পড়া হলো! পড়তে গিয়ে আমার খালি মনে পড়লো রোয়াল্ড দালের 'মাতিলদা'র শুরুর কিছু কথা...! বইটা আপনার পড়া না থাকলে মনে করবেন, দেব পড়তে, দালের আর সবকিছুর মতই অবশ্য পাঠ্য! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আশালতা এর ছবি

আমি দরিদ্র পড়ুয়া হে। ভালো ভালো বই বিশেষ পড়া হয়নি। রেস্ত- ধৈর্য দুইই কম পড়েছিল। এনার বইও পড়ি নাই। মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সর্বনাশ! মিতির অন্তত পড়তেই হবে! আচ্ছা নিজের বিজ্ঞাপন মেরে যাই, একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছিলাম, সামনে আরও কিছু করবার ইচ্ছা আছে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আশালতা এর ছবি

মিতির অমৃতে অরুচি। বই পত্র তেমন ধরেনা। মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

অনেক হাসলাম! হো হো হো

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আশালতা এর ছবি

সেইজন্নে অনেক ধন্যবাদ। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।